× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
বিএনপির পিতে পাকিস্তান শেখ হাসিনা
google_news print-icon

বিএনপির ‘পি’তে পাকিস্তান: শেখ হাসিনা

বিএনপির-পিতে-পাকিস্তান-শেখ-হাসিনা
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
‘বি..এন..পি, বাংলাদেশ না, পাকিস্তান হ্যাঁ… এই তো বিএনপি? এই হলো তাদের রাজনীতি, এই হলো তাদের গণতন্ত্র।…জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন কারফিউ গণতন্ত্র। অনেকগুলো দল করার সুযোগ তিনি দিয়েছিলেন এটা ঠিক। কিন্তু সেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। নির্বাচনের যে রেজাল্ট তা আগেই নির্দিষ্ট।’

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিএনপিকে তুলাধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে বিএনপির যে পি, সেটি দিয়ে পাকিস্তান বোঝায়।

শনিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘গণতন্ত্র’ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যদের সমালোচনা জবাব দিয়ে দলটির শাসনামলের কথা স্মরণ করান সংসদ নেতা।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বি..এন..পি, বাংলাদেশ না, পাকিস্তান হ্যাঁ… এই তো বিএনপি? এই হলো তাদের রাজনীতি, এই হলো তাদের গণতন্ত্র।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর নানা ঘটনাপ্রবাহে সে সময়ের উপসেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন।

তার শাসনামলে ১৯৭৭ সালে ‘হ্যাঁ’-‘না’ ভোট, ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন কারফিউ গণতন্ত্র। অনেকগুলো দল করার সুযোগ তিনি দিয়েছিলেন এটা ঠিক। কিন্তু সেখানে গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। নির্বাচনের যে রেজাল্ট তা আগেই নির্দিষ্ট।’

জিয়াউর রহমানের পথেই সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ক্ষমতা দখল করেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার আমলে ৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টা ভোট আটকে রেখে আওয়ামী লীগকে হারাল।

‘জিয়া, খালেদা জিয়া, এরশাদ সবই একই বৃন্তের কয়েকটি ফুল। তারাও একই কাজ করেছে’-বলেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

এই হলো বিএনপি

বঙ্গবন্ধু হত্যা, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসা, জিয়ার শাসনামলের নানা ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় যে পরিকল্পনা করা হয়, তার মূল শক্তি ছিল জিয়াউর রহমান। এটা কর্নেল রশিদ এবং ফারুক তাদের বিবিসি ইন্টারভিউতে স্পষ্ট আছে। তিনি ছিলেন মোশতাকের (খোন্দকার মুশতাক আহমেদ) প্রিয় বান্দা।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রেসিডেন্ট হন মুশতাক। তিনি জিয়াউর রহমানকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপ্রধান করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান উপসেনাপ্রধান। তাকে কেন উপসেনাপ্রধান করা হয়েছিল তার ইতিহাস আমি জানি। বিএনপির অনেকেই হয়ত এখন যারা, তারা জানেন না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর জিয়াউর রহমান যখন বাংলাদেশে আসেন, তিনি তো বেগম জিয়াকে ঘরে নিতে চাননি। তার আরেকটা ঘটনা ছিল সেটা আমি জানি।

‘জিয়াউর রহমান ছিল কুমিল্লায়। তাকে উপসেনাপ্রধান করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং তার সংসারটা টিকিয়ে দেয়া হয়। সেটা করেছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিব।

‘জিয়া ছিলেন মেজর, তাকে প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই জিয়াই ষড়যন্ত্র করে মুশতাককে নিয়ে।’

‘খোন্দকার মুশতাক অবৈধভাবে নিজেকে যখন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলো জিয়াউর রহমানকে বানালেন প্রধান সেনাপতি। জিয়া যখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়, মাঝে অবশ্য আরেকজন কিছু দিনের জন্য ছিলেন, সায়েম সাহেব। তাকে জিয়া সোজা গিয়ে বলেছিল, প্রথমে চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আমাকে ঘোষণা দেন।

‘অস্ত্রের ভয়ে তিনি (বিচারপতি সায়েম) সেটা সই করলেন। এরপর রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিদায় দিয়ে জিয়াউর রহমান হলেন রাষ্ট্রপতি। একদিকে সেনাপ্রধান আরেক দিকে রাষ্ট্রপতি। এই দৃষ্টান্ত কে দেখিয়েছিল জানেন? আইয়ুব খান।’

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সেনাবাহিনীর ভেতরে হত্যাযজ্ঞের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীদের জেলে পুরে। আজকে গুম-খুনের কথা বলেন, বিমানবাহিনীর ৬৬৫ জন অফিসার-কর্মচারী হত্যা হয়েছে জিয়ার হাতে।

‘সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, একে একে তাদের হত্যা করেছে। পরিবার-পরিজন লাশও পায়নি। রাতের পর রাত এ হত্যাযজ্ঞ চলেছে। একেক দিন ১০টা করে ফাঁসি, জিয়াউর রহমান সই করে যাচ্ছেন।

‘উর্দি পড়ে ক্ষমতায় এসে আবার রাজনীতিতে নামলেন। সেখানে এসে দল গঠন। আর সেই দলই হলো বিএনপি।’

বিএনপি-জাতীয় পার্টির সদস্যদের বক্তব্যের জবাব

বাজেট অধিবেশনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সরকারের সমালোচনা করে যেসব বক্তব্য রাখেন তারও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বক্তৃতায় আমাদের বিএনপির একজন নেতা অনেক সময় অনেক কথাই বলেন। আমি তার কয়েকটি কথার জবাব না দিয়ে পারছি না। হারুন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ) সাহেব বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কথা বলেছিলেন।

‘আমি আগেই বলেছি, জাল সার্টিফিকেট, ছাত্রদল গায়ে নিয়ে আলোচনা করা, ভোট চুরির পরিকল্পনা, এরপরেও নাকি খুব ভালো অবস্থা ছিল।

‘ভোট চুরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধান বিচারপতি কে হবেন তার বয়স বাড়িয়ে দিয়ে সে যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে পারে সে ব্যবস্থাও নিয়েও নজির সৃষ্টি হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘তিনি (হারুন) বলেছেন, গণতন্ত্র কী আছে? কার মুখ থেকে শুনব মাননীয় স্পিকার? এমন একটি দল, যে দল সৃষ্টি করেছে একজন সামরিক জান্তা, যে ছিল সেনাপ্রধান।’

বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের সমালোচনারও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা নিয়ে এখানে বেশ কিছু কথা হয়েছে। …বিচারের ব্যাপারে, বিচারপতি নিয়োগের ব্যপারে আমাদের মাননীয় উপনেতা কিছু কথা বলেছেন। এখানে একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। এই বাংলাদেশে বিচারপতি নিয়োগের যে নমুনা ছিল সেটা যদি আপনারা একটু স্মরণ করেন।’

এরশাদ শাসনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাস্টিস কামাল উদ্দিন হোসেন, তিনি এজলাসে বসে আছেন। চিফ জাস্টিস বসে আছেন। কিন্তু তিনি জানেন না যে তিনি আর নাই। তখন মাননীয় উপনেতা, আপনার বড় ভাই জেনারেল এরশাদ সাহেব ক্ষমতায়। তিনি রাষ্ট্রপতি।

‘রাষ্ট্রপতির এক কলমের খোঁচায় বিচারপতি নাই। প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে আসেন, তিনি কোর্ট চালাবেন ওনাকে বলা হলো আপনি তো নাই। রাতে বেলা আপনাকে বিদায় দেয়া হয়েছে কলমের খোঁচায়। তারপরে একজনকে দিলেন, জাস্টিস মুহিম সাহেব, তিনি আর বসতেও পারেননি।’

বিএনপি শাসনামলের একটি ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘একজন বিচারপতি একটি মামলার রায় দেবেন, ছাত্রদলের সেক্রেটারি গলায় হাত দিয়ে বসে সে রায় নিয়ে আলোচনা করছেন। কাজেই বিচার ব্যবস্থার যে কী অবস্থা ছিলো!

‘যদি আমি জিয়া ও এরশাদ আমলের কাহিনী বলতে যাই তাহলে অনেক সময় লেগে যাবে। এটুকু বলে রাখলাম নমুনা হিসেবে’- এই বিষয়ে এখানেই কথা শেষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু মৃত্যুর মুখে ঠেলতে পারি না: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে খোলা হবে স্কুল-কলেজ
প্রযুক্তিতে ৫০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ চান প্রধানমন্ত্রী
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী
সহায়তা প্যাকেজে উপকৃত ৬ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Mob Justice is not justified Rizvi

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
CPC invites Tareq Rahman to visit China

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

মন্তব্য

রাজনীতি
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

রাজনীতি
Meeting with BNP

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
One should not have more than 5 years of prime minister in lifetime Jamaat

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে প্রস্তাব করেছিলাম—একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি।’

‘অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।

তিনি বলেন, ‘এমন নজির বহুদেশে আছে। এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’

বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Meeting the US charge the Affairs with Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

রবিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

এমন এক সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন ফখরুলসহ বিএনপির আরও আট নেতার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আজই বেইজিং সফরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
BNP delegation is going to visit China under the leadership of Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।

সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।

এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।

ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।

১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

মন্তব্য

p
উপরে