× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
google_news print-icon

প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রার্থী-সরে-দাঁড়ানোয়-জাতীয়-পার্টিতে-তোলপাড়
মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক (বামে) ও জসিম উদ্দিন
দুটি উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় দলটি টানাপড়েনে পড়েছে। প্রার্থীরা দায় চাপাচ্ছেন দলের ওপর। আর দুই প্রার্থীকে বহিষ্কার করে দল বলছে, তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

জাতীয় পার্টিতে এখন প্রার্থী সংকট। দলের দুজন প্রার্থী উপনির্বাচনের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলে চলছে তোলপাড়। প্রার্থীরা ‘সমঝোতা’ করেছেন নাকি কোনো চাপের কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন – এ নিয়ে দলে চলছে আলোচনা।

দলীয় প্রার্থী ও দল একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। ওই দুই প্রার্থী ‘সমঝোতা’ করে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

গত ২৪ জুন ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নেয়া মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। মোস্তাক দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

এর আগে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোয় কুমিল্লা-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী জসিম উদ্দিনকেও দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়ে এখন দলকেই এ জন্য দায়ী করছেন এ প্রার্থী।

ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আবুল হাশিম খাঁন।

ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন চার জন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের আগা খান মিন্টু, জাপার মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জাসদের আবু হানিফ ও বিএনএফের কেওয়াইএম কামরুল ইসলাম। মোস্তাক, হানিফ ও কামরুল ভোট থেকে সরে যান। ফলে আওয়ামী লীগের আগা খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৪ ও আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে কুমিল্লা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা হওয়ার পর সেখানে উপনির্বাচনের তারিখ দেয়া হয়েছিল। নির্বাচনে কারচুপি হয় এমন অভিযোগ এনে বিএনপি আগেই জানিয়েছে, তারা ভোটে আসবে না। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিই একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগের।

বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে: মোস্তাক

ঢাকা-১৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়া মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। কারণ পার্টি কোনো সহযোগিতা করে নি, কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। একটি কাগজ দিয়ে মাঠে ছেড়ে দিছে।’

তার বিরুদ্ধে সমঝোতা করার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারও সমঝোতা হয় নি। আমার সঙ্গে কারও দেখা হয় নি। সমঝোতার কোনো প্রশ্নই আসে না। আগা খান মিন্টুর সঙ্গে আমার তো দেখাই হয় নি।’

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য কে দায়ী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দল। কারণ প্রার্থী হওয়ার পর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে আমি দলীয় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। দল যদি আশ্বাস দিত, বলত নির্বাচন করো, যত ধরনের সমস্যা আছে আমরা ফেস করবো, কেউ যদি নির্বাচন বহির্ভূত কাজ করে প্রয়োজনে আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করব - তাহলে আমি নির্বাচন করতাম।’

দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি নিজে কেন সংবাদ সম্মেলন করলেন না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে করা কিংবা দলের চেয়ারম্যান করা এক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান স্যারকে বললাম, আপনারা যদি কোনোভাবে কোনো ইনিশিয়েটিভ না নিয়ে মাঠে ছেড়ে দেন, তাহলে আমরা কী করে নির্বাচন করব। গত বারের মতো আমার ঝামেলা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনারা যদি কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারেন, কোনো সংবাদ সম্মেলন না করতে পারেন, তাহলে আমরা কী করে নির্বাচন করব? দলের মহাসচিবের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে।’

মোস্তাক বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনেও আমি প্রার্থী ছিলাম। সেবার আমার ছেলে-পেলেদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছিল। আমি চেয়ারম্যানকে বলার পরও কোনো অ্যাকশন হয় নি।’

তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কেন তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন, জানতে চাইলে মোস্তাক বলেন, ‘দলের চেয়ারম্যান তার ক্ষমতাবলে আমাকে বহিষ্কার করেছেন। দলীয় গঠনতন্ত্রের মধ্যে থেকেই এটা করেছেন। তবে অনেকেই দলের চেয়ারম্যানকে অনেক কিছু ভুল বোঝায়।’

মোস্তাকুর রহমান মোস্তাককে বহিষ্কার করার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক খান বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় মোস্তাকুর রহমান মোস্তাককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

কুমিল্লায় জেলা কমিটিই বাতিল

কুমিল্লা-৫ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জসিম উদ্দিন। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

তবে এ প্রত্যাহারের কারণে ২১ জুন কুমিল্লা জাতীয় পার্টির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন দলটির জেলা কমিটির সভাপতি (বর্তমানে সাবেক) ইয়ার আহমেদ সেলিম। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুও।

বাবলু বলেন, ‘কুমিল্লা জেলার কমিটি বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওরাই তো সুপারিশ করেছিল প্রার্থীর (কুমিল্লা-৫) ব্যাপারে। সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি তাড়াতাড়ি রিপোর্ট দেবে।’

জাতীয় পার্টির নেতা ইয়ার আহমেদ সেলিম নিউজবাংলাকে বলেন,‘উনি (জসিম উদ্দিন) জুলাই মাসের ১৭ তারিখের পর থেকে আর যোগাযোগ করেন নি। তিনি মোবাইল বন্ধ করে রাখছেন। তিনি আমাকে ১৬ তারিখে বললেন, প্রতিপক্ষ আমাকে হুমকি দেয়। আমি বললাম, এগুলোর জন্য ভয় পেয়ে লাভ নাই। রাজনীতি করলে এগুলো আসবেই। জেলা পর্যায়ে যদি কোনো সাহায্য সহযোগিতা লাগে, আমরা করব। হুকমি দিলে আমরা প্রশাসনকেও বলব। এর পরে তিনি আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন নি।’

তিনি বলেন, ‘উনি (জসিম উদ্দিন) আমাদের না জানিয়েই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এটা নিয়ে দল তদন্ত করছে।’

কোনো চাপে উনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন কি না, জানতে চাইলে ইয়ার আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমরা এটা বুঝতে পারছি না। তবে আমি চাপ দেখি নি। যদিও তিনি বলেছেন, চাপ আসছে।’

তিনি সমঝোতা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো এখন বলতে পারছি না। যেহেতু চার দিন আগেই তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, এটা তিনিই জানেন। এটা আমাদের তিনি বলেন নি। তবে তার আশেপাশের সহকর্মীরা বললেন, ওইখানকার লোকজন ও পারিবারিক চাপেই তিনি এটা প্রত্যাহার করেছেন।’

জাতীয় পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল থেকে সহযোগিতা করা হয় না এ বিষয়টি কিছুটা হলেও সত্য। লক্ষ্মীপুরে উপনির্বাচনে এ বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। এ ছাড়া ঢাকা-৫ আসনেও দল থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হয় নি। তবে তারা কী কারণে সরে দাঁড়ালেন, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সমঝোতা কিনা জানারও দরকার নেই

প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর দায় দলের ওপর বর্তায় কিনা জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর প্রশ্নেই উঠে না। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা যদি নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে করেন। মাঝপথে সরে গেলে ব্যবস্থা নেব। এই মুচলেকা দিয়েই তারা প্রার্থী হয়েছিলেন।’

প্রার্থীরা সম্ভাব্য সমঝোতার ব্যাপারে তদন্ত করার দরকার মনে করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন দরকার নাই। তারা সমঝোতা করেছে কি না আমাদের জানারও দরকার নাই। কারণ আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নির্বাচন করলে শেষ পর্যন্ত থাকবা। প্রত্যাহার করলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’

বাকি দুই উপনির্বাচন

চারটি আসনে উপনির্বাচনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২-এ জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ পর্যন্ত থাকলেও সেখানে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। সেখানে আওয়ামী লীগের নৌকায় সাড়ে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। উপনির্বাচনে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের শেখ মোহাম্মদ ফায়িজ উল্যাহ পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮৬৮ ভোট।

এর বাইরে সিলেট-৩ আসনেও ভোট হচ্ছে। সেখানে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়া আতিউর রহমান আতিক এখন পর্যন্ত ভোট নিয়ে আগ্রহী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া হাবিবুর রহমানের প্রার্থিতা ঠেকাতে তিনি চেষ্টাও করেছেন।

পৌর নির্বাচনেও প্রার্থী সংকট

এর আগে পৌর নির্বাচনেও প্রার্থী সংকটে ছিল জাতীয় পার্টি।

গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত রংপুরের বদরগঞ্জেও প্রার্থী ছিল না জাতীয় পার্টির। জাতীয় পার্টির আরেক দুর্গ কুড়িগ্রামেও প্রার্থী পায়নি দলটি।

পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম তিন ধাপে জাতীয় পার্টি ৩২ জন মেয়র প্রার্থী দিয়েছিল। এদের মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিল মাত্র চারটিতে। দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় হওয়া ভোটে ১৪টিতে লড়াই করে দল। ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভার মধ্যে দলটি প্রার্থী দিয়েছিল ১২টিতে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ২৪টি আসনের মধ্যে নীলফামারী জেলা ছাড়া সব আসন ধরে রাখে জাতীয় পার্টি। তবে ১৯৯৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ আসনগুলো দখলে নিতে শুরু করে। মাঝে জামায়াতে ইসলামীও নীলফামারীর একটি আসনে দুবার জিতেছে। তবে গত দুটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছাড়ে এই জেলার দুটি আসন জিতেছে জাতীয় পার্টি।

আরও পড়ুন:
তিন আসনে উপনির্বাচনে জাপার মনোনয়ন বিতরণ শুরু
হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ : বাবলু
জাতীয় পার্টি আ. লীগের ‘বি’ টিম নয়: জিএম কাদের
জি এম কাদের করোনায় পজিটিভ
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব জাতীয় পার্টিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Patuakhali District BNP Conference on July 2 after 20 years

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পটুয়াখালী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন সফল করতে জোরে সোরে চলছে সকল ধরনের প্রচার- প্রচারণা ও প্রস্তুতি।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির শাহীন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য ইঞ্জিঃ একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।

এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল বিএনপির নেতা- কর্মীদের মাঝে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩০ জনসহ ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার প্রায় ১৪০০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কমিটি নির্বাচন) বিকেলে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ তিনটি শীর্ষ পদে এক ডজন প্রার্থীর নাম নেতা-কর্মীদের মুখে চাউর হচ্ছে। এ তিনটি পদের মধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম উঠেছে, তারা হলেন বর্তমান জেলা বিএনপি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও অন্যতম সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জীদ পান্না মিয়া।

সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পিপি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ মোহসীন উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৌফিক আলী খান কবির।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, সাবেক জিএস আলমগীর হোসেন বাচ্চু, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদউত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়

মন্তব্য

রাজনীতি
BNP wants the election schedule after the chief adviser CEC meeting

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’

শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’

মন্তব্য

রাজনীতি
Mob Justice is not justified Rizvi

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
CPC invites Tareq Rahman to visit China

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

মন্তব্য

রাজনীতি
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

রাজনীতি
Meeting with BNP

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
One should not have more than 5 years of prime minister in lifetime Jamaat

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে প্রস্তাব করেছিলাম—একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি।’

‘অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।

তিনি বলেন, ‘এমন নজির বহুদেশে আছে। এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’

বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।

মন্তব্য

p
উপরে