× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
দানের টিকায় করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়
google_news print-icon

দানের টিকায় করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়

দানের-টিকায়-করোনা-মোকাবিলা-সম্ভব-নয়
জি এম কাদের বলেছেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাসের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কোনো সাফল্য নেই।
‘সারা বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলো এর মধ্যেই রোডম্যাপ অনুযায়ী গণটিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। ওই সব দেশের মানুষ জানেন, কখন তাদের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হবে। কিন্তু, আমাদের দেশের কেউই জানেন না কখন আমরা গণটিকা শুরু করতে পারব।

দানের সংগৃহীত অপর্যাপ্ত টিকায় করোনার মতো মহামারি মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

বুধবার তার বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাপা চেয়ারম্যান এমন মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবেলায় ভ্যাকসিন প্রধান অস্ত্র হিসাবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে।’

‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৮০ শতাংশ জনসাধারণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা গেলে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব হবে। অনেক দেশ ক্রমান্বয়ে সে পরিস্থিতি অর্জনের পথে সাফল্য দেখাচ্ছে। আমাদের মতো জনবহুল দেশে উপহার আর দানের সংগৃহীত অপর্যাপ্ত টিকা দিয়ে করোনার মতো মহামারি মোকাবিলা সম্ভব নয়।’

সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘প্রতিদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাসের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কোনো সাফল্য নেই।’

‘টিকা কূটনীতিতে বাংলাদেশ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে উপহারের ৫ থেকে ১০ লাখ টিকা পেয়ে স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অথচ ১৮ কোটি মানুষের টিকা পাওয়ার বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। বিশ্বাসযোগ্য কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই সরকারের ঘোষণায়। টিকার বিষয়ে দেশের মানুষের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ করোনার টিকা পাওয়ার বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা জানতে চায়।’

‘সারা বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলো এর মধ্যেই রোডম্যাপ অনুযায়ী গণটিকা কর্মসূচি শুরু করেছে। ওই সব দেশের মানুষ জানেন, কখন তাদের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হবে। কিন্তু, আমাদের দেশের কেউই জানেন না কখন আমরা গণটিকা শুরু করতে পারব।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘অদূরদর্শিতার কারণে টিকা ক্রয়ে বিকল্প কোনো সোর্স রাখেনি সরকার। অথচ গেল বছর বারবার সরকারকে টিকা ক্রয়ে বিকল্প সোর্স রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলাম আমরা। এ ছাড়া বাজেটে টিকা ক্রয়ের জন্য স্পষ্ট বরাদ্দ নেই। তবে বাজেট বক্তৃতায় কিছু দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং ভ্যাকসিন ক্রয়ের অর্থপ্রাপ্তির আশ্বাস উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি এখনও সে পর্যায়ে আছে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। তাই আমরা চাই উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সহায়তা এবং আইসিইউ থাকতে হবে। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে। যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই পরিকল্পিতভাবে আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। গণহারে মৃত্যু ঠেকাতে অনতিবিলম্বে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নে বাস্তবায়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে দেশীয় করোনা ভ্যাকসিনের টিকা উদ্ভাবনের যেকোনো উদ্যোগকে সহযোগিতা দিতে হবে।’

এরশাদ নিয়ে গবেষণা করবে আগামী প্রজন্ম

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের বলেন, “আগামী প্রজন্ম একসময় পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবনী নিয়ে গবেষণা করবে। তখন ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ বইটি তরুণ প্রজন্মের কাছে সমাদৃত হবে। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এরশাদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও “সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু” গ্রন্থের প্রকাশক আহসান আদেলুর রহমানের সভাপাতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। আরও বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
টিসিবির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়: জাপা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Nations liberation only if Awami League boycotts Indian products party Gayeshwar

আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্য, দলটিকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি: গয়েশ্বর

আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্য, দলটিকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি: গয়েশ্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

আওয়ামী লীগকে ভারতীয় পণ্য উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এই দলকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি মিলবে। সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনি তো ভেজাল লাগালেন! বললেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। ভারত পাশে না থাকলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না।

‘এখানে কী বুঝব? আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। তাহলে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ (সরকার), শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। এই সরকারকে বর্জন তো করছেই, এটা ফেলে দিলেই শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চিকিৎসাসহ নানা কারণে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দশ হাজার মানুষ পাসপোর্ট জমা দেন। গড়ে ৮’শ টাকা করে হলেও প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লাগে এ জন্য। একটা মানুষের সীমান্ত অতিক্রম করতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৫ হাজার টাকা। আসার সময় আবার ৫০ হাজার টাকার বাজার করেও আনে।’

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাহলে পণ্য বর্জন কিসের? বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে যে কাল থেকে ভারতে যাব না, তাহলে দিল্লি বলবে- শেখ হাসিনা তোমাকে রাখতে গেলে আমরা বাঁচতে পারব না।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও থিংকট্যাংক আগামী এক’শ বছর পর দেশের কী হবে তা নিয়ে হিসাব কষে। তারা দেশের মধ্যে মাতব্বরি করে না। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের (বিরোধী দল) পেছনে লেগে আছে। তারা দেশের জন্য কাজ করতে পারে না।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
বিদেশিদের স্বার্থ দেখা ছাড়া সরকারের বিকল্প পথ নেই: গয়েশ্বর
‘জনগণ ভোট দিতে পারলে সেলফির ভরসায় বাঁচতে পারবেন না’
ডিএজির যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া নিয়ে নিন্দার কিছু নেই: গয়েশ্বর
পুলিশ হামলা চালালে বলি, দরকার হলে আমাকে গুলি করো: গয়েশ্বর
‘এ যুদ্ধ জয় করলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিতে হবে’

মন্তব্য

রাজনীতি
Awami League does not enslave foreigners who

আওয়ামী লীগ বিদেশির দাসত্ব করে না: কাদের

আওয়ামী লীগ বিদেশির দাসত্ব করে না: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।’

বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করেনি অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলটি কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শুক্রবার ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।

‘আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।’
বিএনপির সমালোচনা করে করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এ অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না।

নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে? কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে?’

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও ধাক্কা লেগেছে, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।’

বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন:
বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল
বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক: কাদের 
পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: কাদের
সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না: মঈন খান

মন্তব্য

রাজনীতি
Chhatra Leagues counter press conference in Sonaimuri

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন 

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  ছাত্রলীগের লোগো। ফাইল ছবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে।’

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগের একাংশের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

পৌরসভার হলরুমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী বাজারে রাজমহল রেস্তোরায় দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অছাত্র, চাঁদাবাজি, দখলবাজ, অছাত্র, বিভিন্ন মামলার আসামি, টেন্ডারবাজি, নানা বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ নানা অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে। গত বুধবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা পরিচয়দানকারী সংবাদ সম্মেলন করেছে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ আরও বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। বুধবার তাদের করা সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠা সুখকর নয়। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

আরও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
প্রায় ১১ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
রাজধানীতে সেহরি বিতরণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের
মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ছাত্রলীগ

মন্তব্য

রাজনীতি
What the Yunus Center said about the Tree of Peace award

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার ছবি: সংগৃহীত
ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদান করেনি বলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবির একদিন পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বাকু ফোরাম একাদশে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিশিয়াল অনুষ্ঠানসূচিতেও অধ্যাপক ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী নৈশভোজে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য মঞ্চে সশরীর উপস্থিত থাকেন।

ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২৩ সালের জুনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার দেয়নি।”

তিনি বলেন, “আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে ইসরাইলের একজন ভাস্কর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।”

ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

রাজনীতি
Awami League cannot retain power without repression Fakhrul

দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল

দমন-নির্যাতন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্যাতন ও জনগণকে দমন করা ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী এই ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার বা একদলীয় শাসন বা এক নারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন শুরু করলে নেতা-কর্মীদের ওপর তারা দমন-পীড়ন শুরু করে।

‘তারা এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না, লিখতেও পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাবা-মা, ছেলে, মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও রেহাই পায়নি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে নখ উপড়ে ফেলা, পা ভাঙাসহ নানা অমানবিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগীরা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, তারা কোনো চিকিৎসা পাননি। পরিবারও তাদের চিকিৎসা করাতে পারেনি।’

সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছি।

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালের মতো ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সে সময় জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এবারও আমাদেরকে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল
বাংলাদেশের মানুষ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না: বিএনপি
আইনের শাসন না থাকলে বিপর্যয় ঘটতেই থাকে: ফখরুল
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর আন্দোলন চলবে: ফখরুল

মন্তব্য

রাজনীতি
1 crore 26 lakh rupees were spent in the election

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’ মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ছবি: নিউজবাংলা
বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন এ সংসদ সদস্য।

তার বক্তব্যের অংশবিশেষের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রকাশিত ওই ভিডিওতে আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচটা বছর (২০১৪-২০১৮) বেতন ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না; আগামীতেও থাকবে না। এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলব। যেভাবেই হোক তুলবই। এতটুক অনিয়ম আমি করবই। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’

প্রকাশ্যে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্য উনি বলেছেন, এখানে আমার কোনো কথা নেই।’

বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের ল‌ংঘন, অন্যদিকে নির্বাচনি বিধিরও লংঘন।

‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারকাজে একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না।’

সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

মন্তব্য

রাজনীতি
Dr Yunus favors genocide with Israeli reward Foreign Minister

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি। ‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন?’

শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ থেকে এবং একজন ইসরায়েলির দেয়া পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন। আর ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার উল্লেখ করে মিথ্যাচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিষ্মিত, হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ইসরায়েলি ভাস্বর ড. ইউনুসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল না।

‘এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। আর ইউনূস সেন্টার সেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি, প্রতিবাদ করেননি।

‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন? এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

সীমান্ত হত্যায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরেও এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে গুরুত্বসহ আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হন; কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা।’

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজটিকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাদ্য সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাহাজটিতে খাদ্য সংকট নেই। এর আগে তিন মাস ধরে জলদস্যুদের কবলে থাকা অন্য জাহাজেও খাদ্য সংকট ছিল না।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে