রাজনৈতিক দল হিসেবে বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এসেছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বা কৌশলগত যোগাযোগ ও সবশেষ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় গার্ড অব অনার দেয়া থেকে নারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরত রাখার প্রস্তাব সংক্রান্ত ইস্যুতে নতুন করে সমালোচনায় পড়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগ তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে যাচ্ছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ ও সমালোচনা দেখা দিচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগ কখনই তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে যায়নি।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দেওয়ায় নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিকল্প চেয়ে সম্প্রতি সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ কমিটির প্রধান আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ এবং সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। বাকি সদস্যরাও অধিকাংশই আওয়ামী লীগের।
সংসদীয় কমিটি কী করে নারী-পুরুষ বৈষম্যমূলক ও জেন্ডার স্পর্শকাতর একটি সুপারিশ করল, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। পরদিনই জাসদ নেতারা এটির তীব্র সমালোচনা করে সংসদে বক্তব্য রাখেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার এই পরামর্শ আমলে নেয়নি।
এর আগেও, ইসলামপন্থি উগ্র সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের পরও নমনীয় আচরণ করায় সমালোচনা পড়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অবশ্য হেফাজত, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করলে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় মুখ খোলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর ওই সড়কদ্বীপে ভাস্কর্য স্থাপন থেকে সরকার সরে এসেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থিদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে নমনীয় অবস্থান নিতে দেখা যায় সরকারকে।
ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনার উপলক্ষ তৈরি হয় ২০০৬ সালের নির্ধারিত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থি দল খেলাফত মজলিসের সঙ্গে পাঁচ দফা চুক্তি করে। তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সে চুক্তি থেকে দলটি সরে আসে। তখন থেকেই ভোটের রাজনীতিতে এটি স্পষ্ট হয় যে, দেশে ইসলামপন্থি দলগুলোর যে ভোট ব্যাংক রয়েছে, সেটির একটি অংশ পেতে আওয়ামী লীগ আগ্রহী।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে শরিক হিসেবে একটি ইসলামি দল রয়েছে, যেটির নাম বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (নজিবুল বশর)। এছাড়া মহাজোটে আছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (বাহাদুর শাহ)।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে ইসলামী ঐক্যজোট (নেজামী), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (হাবিবুর রহমান) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মান্নান) ও জাকের পার্টির (মোস্তফা আমীর) সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমঝোতা হয়।
এইসব প্রবণতার কারণে মনে করা হয়, ভোটের রাজনীতির সমীকরণের কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ তার ধর্মনিরপক্ষতার নীতিতে কিছু পরিমাণে হলেও আপস করছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্রে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি অধ্যায়ের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি (পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত) বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, সকল ধর্ম, বর্ণ ও নৃ-গোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য।’
তবে আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণও ঐতিহাসিকভাবে একটি ভোটের রাজনীতির সমীকরণ ছিল বলে মনে করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ হিসেবে এ দলের জন্ম হয়, তখন শুধু মুসলমানরাই এর সদস্য হতে পারতেন। ১৯৫৪ সালে যখন যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন হয়, তখন সেটা ছিল পৃথক নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘এর মানে হলো মুসলমানরা মুসলমানদের ভোট দেবে আর অমুসলমানদের আলাদা প্রার্থী থাকবে। আওয়ামী লীগ একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করবে এবং সব ধর্মের দল নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করবে। এটা যুক্তফ্রন্টের ম্যানিফেস্টোতে ছিল।
‘এ কারণে অমুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি বড় সমর্থন আওয়ামী লীগ ৯৫৪ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল। এর ফলাফল হচ্ছে ১৯৫৫ সালে যে কাউন্সিল হয়, সেখানে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে ম্যানিফেস্টো এবং তখন সব দলের সভাপতিরা রেডিও-টিভিতে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের যে ভাষণ, দুই জায়গাতেই বলা আছে, কুরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন আওয়ামী লীগ করবে না। এটা একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই প্রতিশ্রুতিটা আওয়ামী লীগ এই ২০২১ সাল পর্যন্ত ধরে রেখেছে।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি সমালোচনা ছিল, এরা বোধ হয় ইসলামবিরোধী। সুতরাং এই সমালোচনা কাটাতে শেখ মুজিব এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
অবশ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলটি বরাবর অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই তার ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে আসেনি। দল সব সময় বিশ্বাস করে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। প্রত্যেকের ধর্মের প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে শ্রদ্ধা করি। কোনো ধর্মের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এটা আমাদের দলের নীতি বিরুদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘ধর্ম দিয়ে কখনও রাষ্ট্র পরিচালিত হয় না। কোনো ধর্মের উপর অন্য কোনো মতাদর্শও চাপিয়ে দেয়া যায় না। এ নীতি থেকে আওয়ামী লীগ কখনোই বিচ্যুত হয়নি।’
তবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে আওয়ামী লীগ সরে এসেছে বলে মনে করেন
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে গঠনতন্ত্রে আছে। কিন্তু বিভিন্ন উগ্রবাদী দলগুলো অথবা সাম্প্রদায়িক দলগুলোর সাথে বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে যে মেলবন্ধন আমরা লক্ষ্য করি, তা এই গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। একই সাথে মনে হয়, যে আদর্শ নিয়ে আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল, সেই আদর্শকে ধারণ করতে যে কোনো কারণেই হোক তারা তা পারছে না।
‘এটার কারণে আমি মনে করি, তাদের কাছে এখন আদর্শের রাজনীতির চেয়ে ভোটের রাজনীতি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এই ভোটের রাজনীতি সত্তরেও ছিল, বঙ্গবন্ধুর সময়, কিন্তু সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সাম্প্রদায়িক বা ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলের কাছে আপোস করেননি, আত্মসমর্পণও করেননি। এখানেই সত্তরের আওয়ামী লীগ ও এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যতিক্রম।’
অবশ্য আওয়ামী লীগ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি নমনীয় এ কথার সাথে দ্বিমত রয়েছে ধর্মভিত্তিক দল ও আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটসঙ্গী তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক দল। স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।
‘আমার যেটা মনে হয়, বিভিন্ন ইসলামী দল বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী দল, জঙ্গিবাদের বিষয়ে যাদের অবস্থান আছে, অনেকে যারা জাতীয় পতাকাও তোলে না বা জাতীয় সংগীতকে অস্বীকার করে – এ ধরনের দলগুলো যেন দেশবিরোধী অবস্থানে বা জঙ্গিবাদের দিকে চলে না যায় এ জন্য আওয়ামী লীগ বলবে না সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটের জন্য ইসলামপন্থি উগ্রবাদী দলগুলোর প্রতি নমনীয় এটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে যারা (ইসলামী দল) আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের যারা এখনও নেই তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো রাজনৈতিক দলেরই নিবন্ধন থাকা উচিত না।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।
বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।
এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।
প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'
উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।
মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য