× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
সহিংসতা ২ মৃত্যু বর্জনের মধ্যে শেষ হলো ইউপি ভোট
google_news print-icon

সহিংসতা, ২ মৃত্যু, বর্জনের মধ্যে শেষ হলো ইউপি ভোট

সহিংসতা-২-মৃত্যু-বর্জনের-মধ্যে-শেষ-হলো-ইউপি-ভোট
ভোলা ও বরিশালে নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। এর বাইরে আরও কয়েক জেলায় হয়েছে সংঘর্ষ। পাঁচ ইউপিতে ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটেছে।

দুই জেলায় ভোটে সহিংসতায় দুইজন নিহত, পাঁচ জেলায় প্রার্থীদের বর্জন ও কয়েক জেলায় সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

ভোট হয়েছে লক্ষ্মীপুর-২ আসন এবং দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও ঝালকাঠি পৌরসভাতেও।

সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয় ১৩ জেলার ৪১ উপজেলার ২০৪টি ইউনিয়নে। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এসব জেলায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে নিউজবাংলার প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ভোটার উপস্থিতি সকাল থেকেই ছিল চোখে পড়ার মতো। বরিশাল বিভাগের কয়েক জেলায় সকালে বৃষ্টি নামলেও ভোটার উপস্থিতি কমেনি।

বরিশাল জেলায় তিন ইউনিয়নে ভোটের সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের পর ককটেল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। আহত হন দুইজন।

হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারের জেরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও ৮টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সহিংসতার কারণে ঘণ্টাখানেক ভোট বন্ধ থাকে।

একই উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে এক আনসার সদস্য ও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানেও ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। এখানেও কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ ব্যাহত হয়।

সহিংসতা, ২ মৃত্যু, বর্জনের মধ্যে শেষ হলো ইউপি ভোট
গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন

বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের আবুল কালার ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় দেড় ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে। নষ্ট হয় ২০ থেকে ২৫টি ব্যালট।

এই জেলার মুলাদী উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন গাছুয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকসেদ মীর ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মালেক শিকদার।

উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উর্মিলা বাড়ৈ অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেন।

ভোলায় চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকিরা কোয়াইড প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য পদ প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন দুইজন।

তজুমদ্দিনের চাচরা ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াদ হোসেন হান্নান। তিনি সেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবিও করেন।

সম্ভুপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তাবিষয়ক উপসচিব আশহাফুল রহমান তিন পোলিং এজেন্টকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আরও কিছু কেন্দ্রে বিক্ষিপ্তভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সহিংসতা, ২ মৃত্যু, বর্জনের মধ্যে শেষ হলো ইউপি ভোট
ভোলায় চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের সংঘর্ষে নিহত হন একজন

পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পাঁচজন। কনকদিয়া ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।

ঝালকাঠিতে ভোটার উপস্থিতি বিভাগের অন্য জেলার তুলনায় ছিল কম। এই জেলার নলছিটি উপজেলার সুজিতপুর ইউনিয়নে সদস্য পদ প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফাঁকা গুলি করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়নি।

ভোট হয়েছে ঝালকাঠি পৌরসভারও। অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আফজাল হোসেন।

ভোট হয়েছে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভাতেও। ভোটারদের মধ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।

সহিংসতা, ২ মৃত্যু, বর্জনের মধ্যে শেষ হলো ইউপি ভোট

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

লক্ষ্মীপুরে রামগতি ও কমলনগরে ৬টি ইউনিয়নে হয়েছে ভোট। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর-২ আসনে হয়েছে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

এর মধ্যে কমলনগরের তারাবগঞ্জের উত্তর চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন ও নৌকার প্রার্থী মির্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কুর গাড়িসহ পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তোরাবগঞ্জ ইসলাম পাড়া আনসার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

রামগতির বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অন্যান্য জেলায় ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন বরিশাল থেকে তন্ময় তপু, ভোলা থেকে আদিল তপু, পটুয়াখালী থেকে জাকারিয়া হৃদয়, ঝালকাঠি থেকে হাসনাইন তালুকদার দিবস, দিনাজপুর থেকে কুরবান আলী এবং লক্ষ্মীপুর থেকে আনিস কবির।

আরও পড়ুন:
গৌরনদীতে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ, নিহত ১
তজুমদ্দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
মুলাদীতে নির্বাচন বর্জন, দেহেরগতিতে ব্যালট ছিনতাইচেষ্টা
ভোলায় নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত ১
‘দেখতে পারি না করিয়া কিতা ভোট দিতাম না’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
The whole family got lost while bringing relief tins
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৪

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরে। পথে দুর্ঘটনায় স্ত্রী, দুই শিশু পুত্রসহ চিরতরে হারিয়ে গেলেন তিনি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার সন্তান রাকিবুল ইসলাম মিলন চাকরি করতেন ঢাকায় সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে।

সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু ত্রাণের সেই টিন আর আনা হলো না মিলনের।

পথিমধ্যে বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিলন ছাড়াও তার স্ত্রী সুমি বেগম, দুই শিশু সন্তান আবু রায়হান ও আবু সিনান রুহানসহ ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলনের মা খুড়িয়া বেগম। এ দুর্ঘটনায় মিলনের নানী শাশুড়ি মর্জিনা বেগমও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আনা হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বোয়ালমারীর ছত্রকান্দা গ্রামটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। তাদের ডাকঘর এই আলফাডাঙ্গাই। এ তথ্য জানিয়ে রাকিবুল ইসলাম মিলনের মামাতো ভাই নুরুজ্জামান খসরু বলেন, ‘কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের জন্য ত্রাণের টিনের ব্যবস্থা করে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে মিলন। সকালে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। তার আগে গত রাতে সবশেষ কথা হয়েছিল তার সাথে। বলেছিল, ত্রাণের টিনগুলো বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই চলে যাবে ঢাকা। কিন্তু এটিই তার শেষ যাওয়া হয়ে গেল।’

খসরু জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ছিলেন মেঝো। তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম একজন স্কুল শিক্ষক। আর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মাস্টার্স পাস করে আলফাডাঙ্গা সদরে ফোন-ফ্লেক্সির দোকান করেন।

আট বছর আগে আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের রোকায়েশ মোল্লার মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন মিলন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

রাজনীতি
In the three days of the Eid holiday more than 200 accidents were caused by motorcycles
ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য

ঈদ ছুটির তিনদিনে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা, শীর্ষে মোটরসাইকেল

ঈদ ছুটির তিনদিনে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা, শীর্ষে মোটরসাইকেল
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১২ জন তরুণ ও যুবক। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। আর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি।

ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত তিন দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুই শাতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ঈদের ছুটির এই তিন দিনে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১২ জন তরুণ ও যুবক। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। বাকিদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালান। ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে ছুটির তিন দিনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। তাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ ও যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক অশোক কুমার জানান, ‘ঈদের আগের দিন ২৩৪ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৪০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ৫১ জন।

এছাড়া ঈদের দিন ২৫০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৭৬ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৫৪ জন। আর ঈদের পরদিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেন ৪০ জন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।

ডা. অশোক আরও জানান, সাধারণত ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Action will be taken to close unregistered news portals Minister of State for Information

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত মঙ্গলবার সচিবালয়ে ওনাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এগিয়ে নিতে নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেয়ার প্রয়োজন আছে।’

অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশসহ (ওনাব) অন্যান্য পেশাদার সাংবাদিকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ওনাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

আরাফাত বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে সাংবাদিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি যে একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার।

‘নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেয়ার প্রয়োজন আছে।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরাই বলছেন যে শৃঙ্খলার জন্য নজরদারি দরকার। গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত ও স্বাধীন যে নিবন্ধন ছাড়াও তারা চলছে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন। এটা প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে অবাধ স্বাধীনতার কারণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাবও হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর অপতথ্যের বিস্তার হয়। এই অপতথ্যের বিস্তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ছাড়াও বিভিন্ন পেশাদার সাংবাদিকদের পীড়া দেয় বলে বিভিন্ন সময় তারা জানিয়েছেন।

‘এটি খুব ভালো দিক যে আমাদের সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ চাচ্ছেন। এখানে সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে একমত।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্বচ্ছতায় স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে। নজরদারিতে নয় বরং দায়িত্বশীলতায় বিশ্বাস করে। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। অপতথ্যের বিস্তৃতি, গুজব ও অপপ্রচার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গণতন্ত্র সবকিছুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সবার স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের একটি অংশীদারত্ব দরকার।’

গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে
থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

রাজনীতি
8 arrested with weapons in special army operation in Bilaichhari

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮ ছবি: আইএসপিআর
আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদিন সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটককৃতদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই কেএনএফ সদস্য আটক
পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চলবে: র‌্যাব
মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ফরিদপুরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণী উদ্ধারের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় সপ্তাহব্যাপী সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনী

মন্তব্য

রাজনীতি
The causes of the Faridpur accident were known

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল অতিরিক্ত গতি থাকায় সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানবাহন দুটির সামনের অংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের কানাইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেঁতুলতলায় ঢাকা থেকে মাগুরা অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে সড়কেই ঝরে পড়ে ১১ প্রাণ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তবে সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয়দের দাবি অন্তত তা-ই।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিল। আর পিকআপচালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসেন। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলেন কি না, পিকআপটির চালকের লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি (বাস) ওভার স্পিডে (অতিরিক্ত গতি) চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই শেখ লিমনের বাড়ি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিট ও তার পাশে গর্ত আছে, রাস্তাও এবড়ো থেবড়ো। ঈদের আগেও এখানে বিশ-বাইশটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

রাজনীতি
Kumargaon power station is the reason for repeated fire

কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কারণে বার বার অগ্নিকাণ্ড

কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কারণে বার বার অগ্নিকাণ্ড সিলেটের কুমারগাঁওয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে সোমবার সকালে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
কেপিআইভুক্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় এ নিয়ে চার বছরে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। আগেরবার অগ্নিকাণ্ডেরর পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি আজও। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিও দূর হয়নি।

আবার‌ও আগুনে পুড়লো সিলেটের কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র। সোমবার সকালে লাগা এই আগুনে সিলেট নগর ও আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক গ্রাহককে প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়েছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ নিয়ে গত চার বছরে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। কেপিআইভুক্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় কেন বার বার আগুনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে এই উপকেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ওই সময় সিলেট নগরীসহ আশপাশের এলাকায় টানা ৩১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তারও আগে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে।

প্রথমবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ১৯৬৭ সালে স্থাপিত উপকেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন না করা এবং কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করা হয়। একইসঙ্গে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশগুলো আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রহমত উল্লাহ্ মো. দস্তগীরকে আহ্বায়ক করে গঠিত সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশে বলা হয়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ইকুইপমেন্টসের কন্ট্রোল ও প্রটেকশনের জন্য ডিসি সিস্টেম (ডিসি সোর্স ব্যাটারি, চার্জার ও ডিস্ট্রিবিউশন প্যানেল) এবং বিউবোর নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৩ কেভি বাস ও ইকুইপমেন্টসের কন্ট্রোল ও প্রটেকশনের জন্য ডিসি সিস্টেম জরুরিভিত্তিতে সম্পূর্ণ পৃথক করা প্রয়োজন।

এছাড়া ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন, জরুরিভিত্তিতে গ্রাউন্ডিং সিস্টেম বৃদ্ধিপূর্বক যথাযথ মানে উন্নয়ন/সম্প্রসারণ করা, ভূগর্ভস্থ কন্ট্রোল ক্যাবলিং সিস্টেম জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা, ফল্ট লেভেল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৩২ কেভি ও ৩৩ কেভিতে প্যারালালে সংযুক্ত পাওয়ার ট্রান্সফরমারগুলো জরুরিভিত্তিতে পৃথক করা এবং পাওয়ার ট্রান্সফরমার, কারেন্ট ট্রান্সফরমার, পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্টগুলো উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ওই কমিটি আরও সুপারিশ করে- তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দক্ষ কারিগরি জনবল দ্বারা দেশের সব গ্রিড উপকেন্দ্র ইন্সপেকশনের ব্যবস্থা করা, উপকেন্দ্রের সংরক্ষণ কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তদারকি আরও জোরদার করা, উপকেন্দ্রের পরিচালন ও সংরক্ষণ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পিজিসিবি ও বিউবোর আলাদাভাবে জনবল পদায়ন করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির ব্যবস্থা করা দরকার।

এছাড়া গ্রিড উপকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্টগুলো নিয়মিত পরীক্ষা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং এসব যন্ত্রপাতির জন্য হিস্ট্রি বুক সংরক্ষণ করা, জরুরিভিত্তিতে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স তৈরির সুপারিশ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘প্রতিটি গ্রিড বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইবার সিকিউরিটি ও ফিজিক্যাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করা প্রয়োজন। লোকবল স্বল্পতার দোহাই দেয়া হয়। কিন্তু নিজেদের আপগ্রেড করার বিষয়ে কাউকেই ততটা আন্তরিক মনে হয় না। রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের দায়িত্বহীনতা এই দুর্ঘটনার জন্য অনেকটাই দায়ী। সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য জনগণের যে অবর্ণনীয় কষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার দায়ও এরা এড়াতে পারে না।’

তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা প্রসঙ্গে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। জেআইএস নির্মাণের কাজ চলমান। এটি বাজেটের অভাবে কিছুদিন বন্ধ ছিলো। এখন আবার শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নিরাপত্তা অবস্থা আরও জোরদার হবে।’

তিনি বলেন, মূল সমস্যা হলো সমন্বয়হীনতা। এখানে পিজিসিবি ও পিডিবিসহ বেসরকারি আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানির যন্ত্রপাতি রয়েছে। সবার মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন। আমরা সবাইকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দিচ্ছি।

‘এটি পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ায় অনেক যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে গেছে। নতুন গ্রিড সাবস্টেশন হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৯টার দিকে কুমারগাঁও উপকেন্দ্রের ভেতরের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৩ কেভি লাইনের নিচে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয়। ওই সময় নিচে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘এয়ার ফিল্টারগুলো সেখানে রাখা ঠিক হয়নি। সেগুলো দাহ্য হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’

কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন জানান, সোমবারের অগ্নিকাণ্ডের পর দুটি ফিডারের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে অন্য ফিডার থেকে কিছু এলাকায় ওই সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করার পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন:
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত

মন্তব্য

রাজনীতি
13 more members of Myanmar Army and BGP are in Bangladesh

মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে

মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে প্রতীকী ছবি
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন এবং দুপুরে আরও একজন পালিয়ে আসেন।

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমারের সেনা ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মিয়ানমার থেকে মোট ২৯ জন বাংলাদেশে এসেছেন।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন এবং দুপুরে আরও একজন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে একজন, রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

এই ১৩ জনের সবাই দেশটির বিজিপি ও সেনা সদস্য, তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য, তা নিশ্চিত করতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো জমা নিয়ে বিজিবি নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। পরে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য বাংলাদেশে আসেন। এছাড়া রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আসেন বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য।

১১ বিজিবি হেফাজতে আগে থেকেই ১৮০ জন আশ্রিত রয়েছে। এ নিয়ে আশ্রিতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৯ জনে।

ওই ১৮০ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে এদেশে আসেন। তার আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এ ছাড়াও কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এবার বাংলাদেশে আশ্রয় মিয়ানমারের ২৯ সীমান্তরক্ষীর

মন্তব্য

p
উপরে