× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
যুব সমাজের কণ্ঠস্বর বাড়েনি দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
google_news print-icon

যুবসমাজের কণ্ঠস্বর বাড়েনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

যুবসমাজের-কণ্ঠস্বর-বাড়েনি-দেবপ্রিয়-ভট্টাচার্য
‘যুব কণ্ঠস্বরকে জোরালো করার জন্য কাজ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে যুবকদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তথ্য ও উপাত্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে। দেশে যুবদের সংখ্যা বাড়ালেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নে তাদের অংশগ্রহণ এখনও সেভাবে বাড়ানো যায়নি।’

দেশে যুবসমাজের সংখ্যা বাড়লেও কণ্ঠস্বর বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

রোববার এক সংলাপে এ কথা বলেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘যুব কণ্ঠস্বরকে জোরালো করার জন্য কাজ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে যুবকদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তথ্য ও উপাত্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে। দেশে যুবদের সংখ্যা বাড়ালেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নে তাদের অংশগ্রহণ এখনও সেভাবে বাড়ানো যায়নি।

‘অর্থাৎ দেশে যুবসমাজের সংখ্যা বাড়লেও কণ্ঠস্বর বাড়েনি।’

‘এসডিজি বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা: স্থানীয় প্রেক্ষিত ও যুবসমাজ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে এমন হতাশার কথা বলেন তিনি।

সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের গবেষক নাজীবা আলতাফ।

তিনি বলেন, শুধু কর্মভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ না করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যুবভিত্তিক প্রশিক্ষণ, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং যুবদের অধিকার-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিরও উদ্যোগ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু পরোক্ষভাবে পরামর্শ গ্রহণ-প্রক্রিয়া নয়, যুবদের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এসডিজি জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত করতে হবে। সুনির্দিষ্ট এসডিজি-সম্পর্কিত এবং যুবভিত্তিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এসডিজির জবাবদিহি এবং যুবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, যুব প্রশিক্ষণগুলোর যথাযথ প্রতিবেদন এবং প্রভাব বিশ্লেষণের অভাব রয়েছে। অ্যাকশনএইড এবং নাগরিক প্ল্যাটফর্মের মতো অন্যান্য সংস্থাকে সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ২০১৭ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় পর্যালোচনায় (ভিএনআর) এসডিজি বাস্তবায়নের প্রগতি তুলে ধরলেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও যুবসমাজকে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অতিমারির কারণে পিছিয়ে পড়া যুবদের এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এই সংলাপের আয়োজন করে।

আরও পড়ুন:
‘তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Today is the historic 6 point day

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস আজ
পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

আজ বুধবার ৭ জুন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলি চালায়।

ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। শহীদের রক্তে ৬ দফা আন্দোলন স্ফূলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র; রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনতা। ১৯৬৬ সালের এই দিনে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ওই সম্মেলন।

পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।

বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।

৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার জনগণ। সূচনা হয় গণআন্দোলনের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এদিন হরতাল পালিত হয়। সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১ জন শহীদ হলে দিনটি ৬ দফা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ৬ দফা ভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। সর্বোপরি ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে একচেটিয়া রায় প্রদান করে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী সরকার গঠনে নির্বাচিত বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গড়িমসি শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-এর ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালন করবে জাতি। দিবসটি স্মরণে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাসক দল আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল দিনটি পালনে যথাযোগ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যথাযথভাবে ৬ দফা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর বর্ণনায় ৬ দফা-পরবর্তী ঘটনাবলী
৬ দফা দিয়েই বাঙালির ‘একক নেতা’ বঙ্গবন্ধু

মন্তব্য

রাজনীতি
10 leaders of Jamaat Shibir arrested in Banani

বনানী থানা জামায়াতের আমির ও সম্পাদকসহ আটক ১০

বনানী থানা জামায়াতের আমির ও সম্পাদকসহ আটক ১০
বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বনানীতে নবাবী রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার রাতে বৈঠক করছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাফিসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

রাজধানীতে জামায়াতের ইসলামীর ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বনানী ওয়ারলেস গেট নবাবী রেস্টুরেন্ট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

গোপনে মিটিং করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বনানীতে নবাবী রেস্টুরেন্টে মঙ্গলবার রাতে গোপনে বৈঠক করছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাফিসহ জামাত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
জামায়াতের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট, তল্লাশি
জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে ককটেল সদৃশ বস্তু, সরাতে গিয়ে বিস্ফোরণ
পুলিশ ধরল কেন, ছাড়ল কেন?
জামায়াতের ৪ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
ডিএমপি কার্যালয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক

মন্তব্য

রাজনীতি
Hour long meeting between US Ambassador and Fakhrul

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস। বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন তিনি।

সূত্র বলছে, বিএনপি মহাসচিব পিটার হাসের আমন্ত্রণে দূতাবাসে যান। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিব একাই অংশ নেন।

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস। বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বৈঠক ও আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’

বিএনপি মহাসচিব এর আগে ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের আরও দুই নেতা উপস্থিত ছিলেন।

তবে বিএনপির অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে যান। সেখানে বৈঠক শেষে দুপুর ২টার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।

এর আগে রোববার পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। জানা যায়, ওই বৈঠকে পিটার হাস আগামী নির্বাচন নিয়ে জাপার পরিকল্পনা জানতে চান।

আরও পড়ুন:
আন্দোলনে জনতার সমর্থন দেখে সরকার ভয় পেয়েছে: ফখরুল
বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অনড়: কিরবি
বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত অসহনীয় দুর্যোগ বয়ে আনবে: চীন
জনতার লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে: ফখরুল

মন্তব্য

রাজনীতি
A meeting with BNP may be held through UN mediation Amu

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে: আমু

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে: আমু রাজধানীতে মঙ্গলবার ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনা রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা।’

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বতীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার দরজা সবসময় খোলা আছে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপি ও জামায়াতের দেশবিরোধী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনা রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যে কোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্ততায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।’

এসময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া যায়। মার্কিন ভিসা নীতির কারনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলবো-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।’

সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত চলছে: ফখরুল

মন্তব্য

রাজনীতি
Khaleks 40 point manifesto to build Smart Khulna

স্মার্ট খুলনা গড়তে খালেকের ৪০ দফা ইশতেহার

স্মার্ট খুলনা গড়তে খালেকের ৪০ দফা ইশতেহার মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। ছবি: নিউজবাংলা
স্মার্ট খুলনা গড়ার ব্যাপারে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বাস স্টপেজসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্য ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগরিক সমস্যা জানানো, সেবা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সকল সেবাসমূহকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল করা হবে এবং ই-সেবা চালু করা হবে।’

খুলনাকে পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে ৪০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

৪০ দফা ইশতেহারের প্রথমেই রয়েছে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব খুলনা গড়ার প্রত্যয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি নির্মাণ ও নগর পরিকল্পনায় সবুজকে প্রাধান্য দেয়া হবে। সবুজ খুলনা গড়ে তুলতে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন করা হবে। বাড়িভিত্তিক সবুজায়নে উৎসাহিত করা হবে। নগর পরিকল্পনায় পরিবেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। নগরায়ন হবে পরিবেশবান্ধব। জমি, বায়ু, শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া হবে।’

ইশতেহারে দ্বিতীয় দফায় নগরীতে পার্ক-উদ্যান নির্মাণ ও বনায়ন সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খালেক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নগরীতে বিদ্যমান পার্ক ও উদ্যানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া উন্মুক্ত সুবিধাজনক স্থানে একটি বড় পার্ক, লেডিস পার্ক ও ২টি শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। নদী-সংলগ্ন স্থানে ভ্রমণের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।’

স্মার্ট খুলনা গড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বাস স্টপেজসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্য ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগরিক সমস্যা জানানো, সেবা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সকল সেবাসমূহকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল করা হবে এবং ই-সেবা চালু করা হবে।’

খালেকের ৪০ দফার মধ্যে আরও রয়েছে- জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ড্রেন পরিষ্কার, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ পরিচর্যা ও সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপদ স্বাস্থ্যকর খুলনা সিটি গড়ে তোলা, সুলভ মূল্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, সূর্যোদয়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন, মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা, সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পথচারী-বান্ধব ফুটপাত, মানবিক উন্নয়নের খুলনা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী, সিভিক সেন্টার গড়ে তোলা, অনুদান তহবিল চালু, মিডিয়া সেন্টার চালু ও সেরা সংবাদ পুরস্কার প্রবর্তন, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রতিযোগিতার আয়োজন, স্মার্ট ডিজিটাল খুলনা, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানচিত্র প্রদর্শন, অংশগ্রহণমূলক ও সুশাসিত খুলনা, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস মিটিগেশন সেল স্থাপন, হটলাইন নগর তথ্য কেন্দ্র চালু, পরিকল্পনা প্রণয়নে পরামর্শক কমিটি গঠন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন ও বিকাশ, জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ, শিশুদের সাঁতার শেখানোর বিশেষ উদ্যোগ, নগরীর বাজারগুলোর আধুনিকায়ন, হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে সেবার মান বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রাস্তার নামকরণ, বধ্যভূমিগুলোর স্মৃতি সংরক্ষণ, যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, ওয়াসা, কেডিএ, রেলওয়ে, টেলিকমিউনিকেশন ও বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়ন, কেসিসিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে বুলেটিন প্রকাশ এবং খুলনা মহানগরী সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ।

ইশতেহার ঘোষণার আগে গত পাঁচ বছরে বাস্তবায়ন করা উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ণনা দেন সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এসময় তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে-যা প্রায় ৩ বছর স্থায়ী ছিল। সে কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে নগরবাসীকে হয়ত কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।’

অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্খিত এ বিলম্বের জন্য নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তবে চলমান উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে খুলনা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সদ্য বিদায়ী এ মেয়র।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জাহান কল্পনা, কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাজী আমিনুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এম ডি এ বাবুল রানা, অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
লোডশেডিংয়ে খুলনায় ভোট কমার ভয় আ.লীগের
ভোটে ইসলামকে ব্যবহার করা উচিৎ নয়: ইসি হাবিব
নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুলনা বিএনপির ৯ নেতা আজীবন বহিষ্কার

মন্তব্য

রাজনীতি
US visa policy due to BNPs apathy Information Minister

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে। অন্য কোনো দেশের সমর্থনও তারা পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো’ এগুলো বলার সুযোগ নেই।”

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

সমসাময়িক বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে। অন্য কোনো দেশের সমর্থনও তারা পায়নি। ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো ‘নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো’ এগুলো বলার সুযোগ নেই।

“যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।’

ড. হাছান বলেন, ‘শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাব, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।’

‘বিএনপি-জামায়াত আবার এক হচ্ছে’

জামায়াত ১০ জুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাত তো সবসময় এক। তারা কোনো সময়‌ই বিচ্ছিন্ন হয়নি। মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে। নির্বাচন সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করবে। ‘গণ্ডগোলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তবে সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।’

‘গুজব প্রতিরোধ করবে সরকার ও গণমাধ্যম’

নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি ক’দিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম। সেখানে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামাতের পেইড এজেন্ট যারা খুন ও দুর্নীতির দায়ে পলাতকম তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।’

তিনি বলেন, ‘গুজব প্রতিরোধে সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে। আমাদের মন্ত্রণালয়ও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা ও টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আশা করব, নির্বাচন সামনে রেখে হোক বা যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’

আরও পড়ুন:
ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ: তথ্যমন্ত্রী
বালিতে এশিয়া মিডিয়া সামিট সমাপ্ত
গণমাধ্যমের বিকাশ ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে বাংলাদেশ অনন্য উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি বিএনপির অপরাজনীতির ফসল: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

রাজনীতি
Jamaats rally in Dhaka has not been decided by the police

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ, সিদ্ধান্ত জানায়নি পুলিশ

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ, সিদ্ধান্ত জানায়নি পুলিশ জামায়াতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি কার্যালয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১০ জুন সমাবেশ ও মিছিল করতে চায়। এ জন্য অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জামায়াতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে যান।

তবে আবেদনটি গ্রহণ করে অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানোর কথা বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি সদর দপ্তরের যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াতের প্রতিনিধি দল ডিএমপি সদর দপ্তরে এসেছিলেন। তারা ১০ জুন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি চান। কমিশনারের কার্যালয় থেকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনুমতি দেয়া হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’

বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমানসহ বন্দীদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে গত ৫ জুন সমাবেশ ও মিছিল করতে চেয়ে তারা আবেদন করেন।

ওই সময় কর্মদিবসের কথা বলে ডিএমপি কমিশনার আবেদনটি নাকচ করে দেন। তাই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা আবারও আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুন:
ডিএমপি কার্যালয়ে জামায়াতের ৪ নেতা আটক
মাদারীপুর জেলা জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান: আইনমন্ত্রী
দিনাজপুরে জামায়াতের আমিরসহ ৭ জন গ্রেপ্তার
ডিএমপিতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে বিক্ষোভের অনুমতি চাইল জামায়াত

মন্তব্য

p
উপরে