× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি
google_news print-icon

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

জামায়াত-ছাড়ার-সিদ্ধান্ত-পাল্টাল-বিএনপি
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সে সময়ের চারদলীয় জোটের নেতারা এক মঞ্চে। ফাইল ছবি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোনেন, পলিটিক্স হলো এমন একটা জিনিস, যার মাইন্ড যত বেশি ডার্টি, সে তত বড় পলিটিশিয়ান। একটি দলের মধ্যে যখনই কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি সেই দলের জন্য একটা বিরাট ইস্যু। তাই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নানান রকম বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এখন আমাদের অবস্থা আসলে এমন যে, গলায় কাঁটা নিয়েই থাকতে হবে কিছুদিন।’

নানা সমালোচনার মুখে প্রায় দুই যুগের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নিয়েও ঘোষণা ঝুলিয়ে রেখেছে বিএনপি। জোট ত্যাগের চিঠি তৈরি করেও তা দেয়া হয়নি। দলটির নেতারা এখন বলছেন উল্টো কথা।

জামায়াতকে চিঠি দিতে যে নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তিনি বলছেন, তারা সে সময় সিদ্ধান্ত নিলেও এখন ‘সময় চাইছে’ অন্য কিছু। তাই আপাতত সেই চিঠি দেয়া হচ্ছে না।

জামায়াতের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয় চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চিঠি প্রস্তুত করার কথাও জানান নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা ফেব্রুয়ারিতে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে জানান, তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই জামায়াতকে তা লিখিত আকারে জানানো হবে। সেখানে ব্যাখাও দেয়া হবে, কী কী কারণে জোট ভাঙা হচ্ছে।

তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘বারবার স্থায়ী কমিটি থেকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের প্রস্তাব করা হচ্ছিল। সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছিল…জামায়াতকে নিয়ে আমরা আর এগোচ্ছি না। তারা তো শুধু ব্যবসা বোঝে, মুনাফা খোঁজে।’

চার মাস পর সেই একই নেতাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘আপনারা সময়, অসময় বোঝেন না। এখন কি এমন প্রশ্ন করার সময়? এখন সবার দরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতাকে রুখে দেয়া। এখন নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটির সময় নয়।’

‘কিন্তু আপনারা তো জামায়াতকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চিঠি প্রস্তুতের দাবিও জানিয়েছিলেন?

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের জন্য দরকার যেটা সেটা একরকম। আর সময় কী চায় সেটা আরেক রকম। এটা তো আপনাকে বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে দলের দরকারের থেকেও সময় কী চায় সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে যে চারদলীয় জোট গঠন করে তাতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও। পরে তিনি জোট ছেড়ে গেলে তার দলে ভাঙন ধরে এবং একাংশ এই জোটে থেকে যায়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালে জোটবদ্ধ হয় জামায়াত ও বিএনপি। সঙ্গে ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ও আজিজুল হকের ইসলামী ঐক্যজোট।

এর মধ্যে বিএনপির জামায়াত ছাড়ার প্রসঙ্গ নানা সময়ই এসেছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সময় এলে তারা জামায়াতকে ছেড়ে দেবেন।

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি ও জামায়াত জোটবদ্ধভাবেই করে। কিন্তু এরপর নানা ঘটনায় দুই পক্ষের দূরত্বও দেখা যায়।

সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনের তিন ধাপ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পাশে ছিল না জামায়াত। এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে জামায়াত আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল।

২০২০ সালের শুরুতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এক সভায় জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে লাভ-লোকসান নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। সেখানে বিএনপির তিন নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বারবার জামায়াতের সঙ্গে জোট ত্যাগের পরামর্শ দেন। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পরই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়।

এই কমিটির একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি।

তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে এমন কিছু হয়নি। আর এখন দেশের যে পরিস্থিতি সেখানে মনোযোগ দেয়াই ভালো।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনিও একজন সাংবাদিক। রোজিনা ইসলামও। আমার আসলে মনটাই ভালো নেই। আপনি আরেক দিন ফোন দিয়েন।’

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধী নেতা প্রয়াত গোলাম আযমের সঙ্গে এক ইফতার মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোনেন, পলিটিক্স হলো এমন একটা জিনিস, যার মাইন্ড যত বেশি ডার্টি, সে তত বড় পলিটিশিয়ান। একটি দলের মধ্যে যখনই কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি সেই দলের জন্য একটা বিরাট ইস্যু। তাই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নানান রকম বিষয় মাথায় রাখতে হয়।’

‘এখন আমাদের অবস্থা আসলে এমন যে গলায় কাঁটা নিয়েই থাকতে হবে কিছুদিন’, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন এই নেতা।

ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা ভোটের সঙ্গী হিসেবে তাদের (জামায়াত) সঙ্গে নিয়েছিলাম। পর্যালোচনা করে দেখা গেল, তাদের দিয়ে উল্টো বিএনপি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের যে নেতিবাচক ভাবনা আছে, সেটার দায়ভারও আল্টিমেটলি বিএনপিকে নিতে হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সামনে তাদের সঙ্গে নির্বাচনি জোটেও আর থাকবে না বিএনপি। তাদের নিয়ে রাজনীতির মাঠে আর থাকারই প্রশ্ন আসে না।’

জামায়াত-বিএনপির রসায়ন

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি জোটের আলোচনা হয়েছিল ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেই। জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানের লেখা একটি বইয়ে উল্লেখ আছে, তারা সে সময় ১০০টি আসন চেয়েছিলেন বিএনপির কাছে। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় জোট আর হয়নি। পরে অঘোষিতভাবে ৩৫টি আসনে জামায়াতকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিনিময়ে তারাও দেশের বাকি আসনগুলোতে বিএনপির হয়ে কাজ করেছে।

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

১৯৯৬ সালে বিএনপি ও জামায়াত পুরোপুরি আলাদা নির্বাচন করে। তখন ভরাডুবি হয় জামায়াতের। তারা জেতে মাত্র তিনটি আসনে। এরপর বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

১৯৯৯ সালে জোট করার দুই বছর পর যে জাতীয় নির্বাচন হয়, তাতে ভূমিধস জয়ের পেছনে দুই দলের ভোট যোগ হওয়াই ছিল প্রধান কারণ।

তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আবার জামায়াতসঙ্গ বিএনপির জন্য নেতিবাচক হিসেবেই ধরা দেয়। ওই নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি বড় হয়ে ওঠার পর বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবি হয়। স্বাধীনতাবিরোধী দলটিকে সঙ্গী করে ভোটে নেমে দীর্ঘদিনের শক্তিশালী অবস্থানেও বড় ব্যবধানে হেরে যায় বিএনপি।

ওই নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে ১০টি কমিটি গঠন করা হয় বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনায়। এর মধ্যে ৯টি কমিটিই জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধতাকে দায়ী করে, যা ছিল বিএনপির তৃণমূল নেতাদের অভিমত।

নির্বাচনের পর বিএনপির তরুণ নেতারাও প্রকাশ্যেই দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দাবি তোলেন।

তবে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে এবং নির্বাচনের পর সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে জামায়াতকে নিয়েই যোগ দেয় বিএনপি। আর ব্যাপক সহিংসতার পর বিএনপি নেতারা নানাভাবে জামায়াতকে দায় দেন।

ওই নির্বাচনের পর একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া বলেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের জোট কৌশলগত। সময় এলেই তিনি জামায়াতকে ত্যাগ করবেন।

এসব ঘটনায় আবার জামায়াত মনঃক্ষুণ্ন হয় বিএনপির প্রতি। যদিও তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য আসেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোট গড়ে তোলার পরও জামায়াতের সঙ্গে জোট আর থাকবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হয়ে ওঠা ড. কামাল হোসেন প্রকাশ্যেই বলেন, জামায়াত আছে জানলে তারা জোটেই যেতেন না।

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোট গড়ে তোলে বিএনপি, যার প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন ড. কামাল হোসেন। তবে এই জোট এখন নিষ্ক্রিয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরেক নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার। এই অবস্থায় সাংগঠনিক অবস্থাও ভেঙে পড়েছে জামায়াতের।

দলের নেতাদের এই বিচারের সময় বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতাও পায়নি জামায়াত। এ নিয়েও খেদ আছে দলের নেতাদের মধ্যে।

আবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার যোগ্যতাও হারিয়েছে জামায়াত।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ থেকে শিখুন: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
করোনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকেও ৫০ লাখ টাকা দিন: নজরুল
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: বিএনপি নেতার সিলেটের বাড়িতে হামলা
করোনা: ১৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দাবি বিএনপির
মহাদুর্যোগেও ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
The chief adviser welcomed the Emirates investment proposal in various sectors

বিভিন্ন খাতে আমিরাতের বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বিভিন্ন খাতে আমিরাতের বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময়ে বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহনশীলতা ও সহাবস্থানবিষয়ক মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ানের নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।

এ সময়ে নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। নাহিয়ান বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে এবং আমাদের বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করতে।’

‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দুই সরকার যে বর্ধিত সংলাপের আয়োজন করেছে, তার আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে চাই,’ বলেন তিনি।

এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সম্পৃক্ততা এবং সমর্থনকে স্বাগত জানাই, আমরা বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগকেও স্বাগত জানাই।’

ভিসা ব্যবস্থা শিথিল করার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে, আশা করি, আমরা সম্পৃক্ত থাকব এবং এই সমস্যাগুলি সমাধান করব।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের জন্য বাল্ক ভিসাও ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এছাড়াও, দক্ষ কর্মসংস্থান ভিসার অনলাইন ব্যবস্থা পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
RAB officer suicide

চট্টগ্রামে ক্যাম্পের অফিসে র‍্যাব কর্মকর্তার আত্মহত্যা

চট্টগ্রামে ক্যাম্পের অফিসে র‍্যাব কর্মকর্তার আত্মহত্যা

চট্টগ্রামের র‍্যাব-৭ এর বহদ্দারহাট ক্যাম্পের অফিস কক্ষে র‍্যাব কর্মকর্তা নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার(৭ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত পলাশ সাহা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি র‍্যাব-৭ ব্যাটালিয়নের অধীনে বহদ্দারহাট ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এএসপি পলাশ যখন অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ঘটনাটি ঘটে। তিনি তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়ে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন।

র‍্যাব-৭ এআরএমের সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) মোজাফফর হোসাইন জানান, কক্ষে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরে র‍্যাব সদস্যরা গুলির শব্দ শুনতে পান এবং তাকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তার সার্ভিস পিস্তলটি মেঝেতে পাওয়া যায় এবং টেবিলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

তাকে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Tareq Rahman expressed his gratitude to everyone for the welcome of Khaleda Zia

খালেদা জিয়াকে প্রাণঢালা অভ্যর্থনার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়াকে প্রাণঢালা অভ্যর্থনার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা এবং পারিবারিক আবহে দীর্ঘ চার মাস অবস্থান শেষে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা সাধারণ মানুষ এবং দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গতকাল সকাল ১০ টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে দুপুরে গুলশানে তাঁর নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফেরার পথে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কের দুই পাশে জড়ো হন লাখো মানুষ।

দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকায় প্রবেশের প্রায় প্রতিটি মোড়ে দেখা যায় হাতে ব্যানার ও ফুল নিয়ে দলীয় কর্মীদের ভিড়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বিবৃতিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনকে স্বাগত জানাতে আসা দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারেক রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, র‌্যাবসহ অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যেভাবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Election without wasting time in the name of reform Farooq

সংস্কারের নামে সময় নষ্ট না করে নির্বাচন দিন: ফারুক

সংস্কারের নামে সময় নষ্ট না করে নির্বাচন দিন: ফারুক ছবি: সংগৃহীত

সংস্কারের নামে সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক।

বুধবার (৭ মে) রাজধানীতে এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনই নির্বাচন চায়। নির্বাচন আয়োজনে আর দেরি করা উচিত নয়, কারণ এখনই এটি প্রয়োজন।’

তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং জনগণের উপর অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারী আওয়ামী মাফিয়া শাসকদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের আগে তাদের বিচারের দাবিও জানান।

সংসদে বিরোধী দলের সাবেক প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন কোনো সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ না করার আহ্বান জানান, যা ১/১১-এর মতো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বিত করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূসকে একজন সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপির নেতা। তিনি তাকে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ‘দয়া করে এর ব্যবস্থা করুন।’

তিনি বলেন, দেশের জনগণ একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে।

ফারুক বলেন, জনগণ যদি তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে তবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাব পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ‘কোথাও, একটি দাবার খেলা চলছে এবং সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে আপনাকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনার উপদেষ্টাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, সংস্কার এবং সংস্কার কমিশনের জন্যই সময় ব্যয় করা হচ্ছে। ‘নির্বাচনের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত করা হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বাংলাদেশপন্থী শক্তিগুলোকে ক্ষমতায় আনবে, যারা দেশের সমস্যা সমাধান করবে।’

মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য একটি মানবিক করিডোর দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টাকে তার অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ও সরকার গঠনকারী দলের উপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

মন্তব্য

রাজনীতি
July Murder Case Songs were arrested with tapas in Bengal

জুলাই হত্যা মামলা: গান বাংলার তাপসসহ গ্রেপ্তার ৪

জুলাই হত্যা মামলা: গান বাংলার তাপসসহ গ্রেপ্তার ৪ ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর দুই থানায় হওয়া পৃথক তিনটি মামলায় গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসসহ চারজনকে ঢাকার আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন— নিয়ন ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম, দৈনিক সরেজমিন বার্তার সাংবাদিক সিকদার লিটন ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী আশা আক্তার।

বুধবার (৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা রাজধানীর তিন হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

তাপসের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলশানের শাহজাদপুরের কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।

আব্দুস সালামের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমণ্ডির সাইন্সল্যাব থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এছাড়া আশা ও সিকদার লিটনের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে গত ২০ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. জাহাঙ্গীর। এদিন দুপুর ১২টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর ২১ জুলাই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

মন্তব্য

রাজনীতি
Indo Pakistan Tension Bangladesh calls for peace and restraint

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শান্তি ও সংযমের আহ্বান বাংলাদেশের

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শান্তি ও সংযমের আহ্বান বাংলাদেশের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৭ এপ্রিল) এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

এতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ আশাবাদী যে এই উত্তেজনা কূটনৈতিকভাবে নিরসন হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পে‌হেলগা‌মে সন্ত্রাসী হামল‌ার প্রতি‌ক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটি একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’

অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’

এমন বাস্তবতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারতের হামলার মধ্য দিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশ।

মন্তব্য

রাজনীতি
Twenty two people travel to Saudi Arabia today for Hajj

হজের উদ্দেশে আজ ২,২৪৮ জনের সৌদি আরব যাত্রা

হজের উদ্দেশে আজ ২,২৪৮ জনের সৌদি আরব যাত্রা ছবি: সংগৃহীত

হজের উদ্দেশে আজ বুধবার ২ হাজার ২৪৮ জন সৌদি আরব যাত্রা করেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে রওনা হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৬ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সে ৮০২ জন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. লোকমান হোসেন এ তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যায়। এর আগে ২৭ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

হজযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব এবং উন্নত সেবা দিতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন এবং এ সংক্রান্ত একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স সমানভাবে ৫০ শতাংশ করে যাত্রী বহন করবে (৪৩ হাজার ৫৫০ জন করে)। এ ছাড়া ফ্লাইন্যাস এয়ারলাইন্স ১৫ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে। ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী মদিনায় যাবে ২০ শতাংশ এবং মক্কায় যাবে ৮০ শতাংশ হজযাত্রী।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। হজ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ৯৪১টি হজ এজেন্সি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজ ১-এর খরচ ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং প্যাকেজ ২-এর খরচ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজে সর্বনিম্ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে