× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি
google_news print-icon

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

জামায়াত-ছাড়ার-সিদ্ধান্ত-পাল্টাল-বিএনপি
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সে সময়ের চারদলীয় জোটের নেতারা এক মঞ্চে। ফাইল ছবি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোনেন, পলিটিক্স হলো এমন একটা জিনিস, যার মাইন্ড যত বেশি ডার্টি, সে তত বড় পলিটিশিয়ান। একটি দলের মধ্যে যখনই কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি সেই দলের জন্য একটা বিরাট ইস্যু। তাই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নানান রকম বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এখন আমাদের অবস্থা আসলে এমন যে, গলায় কাঁটা নিয়েই থাকতে হবে কিছুদিন।’

নানা সমালোচনার মুখে প্রায় দুই যুগের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নিয়েও ঘোষণা ঝুলিয়ে রেখেছে বিএনপি। জোট ত্যাগের চিঠি তৈরি করেও তা দেয়া হয়নি। দলটির নেতারা এখন বলছেন উল্টো কথা।

জামায়াতকে চিঠি দিতে যে নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তিনি বলছেন, তারা সে সময় সিদ্ধান্ত নিলেও এখন ‘সময় চাইছে’ অন্য কিছু। তাই আপাতত সেই চিঠি দেয়া হচ্ছে না।

জামায়াতের সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয় চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চিঠি প্রস্তুত করার কথাও জানান নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা ফেব্রুয়ারিতে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে জানান, তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই জামায়াতকে তা লিখিত আকারে জানানো হবে। সেখানে ব্যাখাও দেয়া হবে, কী কী কারণে জোট ভাঙা হচ্ছে।

তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘বারবার স্থায়ী কমিটি থেকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের প্রস্তাব করা হচ্ছিল। সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছিল…জামায়াতকে নিয়ে আমরা আর এগোচ্ছি না। তারা তো শুধু ব্যবসা বোঝে, মুনাফা খোঁজে।’

চার মাস পর সেই একই নেতাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘আপনারা সময়, অসময় বোঝেন না। এখন কি এমন প্রশ্ন করার সময়? এখন সবার দরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতাকে রুখে দেয়া। এখন নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটির সময় নয়।’

‘কিন্তু আপনারা তো জামায়াতকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চিঠি প্রস্তুতের দাবিও জানিয়েছিলেন?

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের জন্য দরকার যেটা সেটা একরকম। আর সময় কী চায় সেটা আরেক রকম। এটা তো আপনাকে বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে দলের দরকারের থেকেও সময় কী চায় সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে যে চারদলীয় জোট গঠন করে তাতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও। পরে তিনি জোট ছেড়ে গেলে তার দলে ভাঙন ধরে এবং একাংশ এই জোটে থেকে যায়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালে জোটবদ্ধ হয় জামায়াত ও বিএনপি। সঙ্গে ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ও আজিজুল হকের ইসলামী ঐক্যজোট।

এর মধ্যে বিএনপির জামায়াত ছাড়ার প্রসঙ্গ নানা সময়ই এসেছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সময় এলে তারা জামায়াতকে ছেড়ে দেবেন।

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি ও জামায়াত জোটবদ্ধভাবেই করে। কিন্তু এরপর নানা ঘটনায় দুই পক্ষের দূরত্বও দেখা যায়।

সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনের তিন ধাপ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পাশে ছিল না জামায়াত। এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে জামায়াত আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল।

২০২০ সালের শুরুতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এক সভায় জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে লাভ-লোকসান নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। সেখানে বিএনপির তিন নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বারবার জামায়াতের সঙ্গে জোট ত্যাগের পরামর্শ দেন। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পরই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়।

এই কমিটির একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি।

তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে এমন কিছু হয়নি। আর এখন দেশের যে পরিস্থিতি সেখানে মনোযোগ দেয়াই ভালো।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনিও একজন সাংবাদিক। রোজিনা ইসলামও। আমার আসলে মনটাই ভালো নেই। আপনি আরেক দিন ফোন দিয়েন।’

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধী নেতা প্রয়াত গোলাম আযমের সঙ্গে এক ইফতার মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোনেন, পলিটিক্স হলো এমন একটা জিনিস, যার মাইন্ড যত বেশি ডার্টি, সে তত বড় পলিটিশিয়ান। একটি দলের মধ্যে যখনই কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি সেই দলের জন্য একটা বিরাট ইস্যু। তাই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নানান রকম বিষয় মাথায় রাখতে হয়।’

‘এখন আমাদের অবস্থা আসলে এমন যে গলায় কাঁটা নিয়েই থাকতে হবে কিছুদিন’, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন এই নেতা।

ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা ভোটের সঙ্গী হিসেবে তাদের (জামায়াত) সঙ্গে নিয়েছিলাম। পর্যালোচনা করে দেখা গেল, তাদের দিয়ে উল্টো বিএনপি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের যে নেতিবাচক ভাবনা আছে, সেটার দায়ভারও আল্টিমেটলি বিএনপিকে নিতে হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সামনে তাদের সঙ্গে নির্বাচনি জোটেও আর থাকবে না বিএনপি। তাদের নিয়ে রাজনীতির মাঠে আর থাকারই প্রশ্ন আসে না।’

জামায়াত-বিএনপির রসায়ন

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি জোটের আলোচনা হয়েছিল ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেই। জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানের লেখা একটি বইয়ে উল্লেখ আছে, তারা সে সময় ১০০টি আসন চেয়েছিলেন বিএনপির কাছে। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় জোট আর হয়নি। পরে অঘোষিতভাবে ৩৫টি আসনে জামায়াতকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিনিময়ে তারাও দেশের বাকি আসনগুলোতে বিএনপির হয়ে কাজ করেছে।

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

১৯৯৬ সালে বিএনপি ও জামায়াত পুরোপুরি আলাদা নির্বাচন করে। তখন ভরাডুবি হয় জামায়াতের। তারা জেতে মাত্র তিনটি আসনে। এরপর বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

১৯৯৯ সালে জোট করার দুই বছর পর যে জাতীয় নির্বাচন হয়, তাতে ভূমিধস জয়ের পেছনে দুই দলের ভোট যোগ হওয়াই ছিল প্রধান কারণ।

তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আবার জামায়াতসঙ্গ বিএনপির জন্য নেতিবাচক হিসেবেই ধরা দেয়। ওই নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি বড় হয়ে ওঠার পর বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবি হয়। স্বাধীনতাবিরোধী দলটিকে সঙ্গী করে ভোটে নেমে দীর্ঘদিনের শক্তিশালী অবস্থানেও বড় ব্যবধানে হেরে যায় বিএনপি।

ওই নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে ১০টি কমিটি গঠন করা হয় বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনায়। এর মধ্যে ৯টি কমিটিই জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধতাকে দায়ী করে, যা ছিল বিএনপির তৃণমূল নেতাদের অভিমত।

নির্বাচনের পর বিএনপির তরুণ নেতারাও প্রকাশ্যেই দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দাবি তোলেন।

তবে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে এবং নির্বাচনের পর সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনে জামায়াতকে নিয়েই যোগ দেয় বিএনপি। আর ব্যাপক সহিংসতার পর বিএনপি নেতারা নানাভাবে জামায়াতকে দায় দেন।

ওই নির্বাচনের পর একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া বলেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের জোট কৌশলগত। সময় এলেই তিনি জামায়াতকে ত্যাগ করবেন।

এসব ঘটনায় আবার জামায়াত মনঃক্ষুণ্ন হয় বিএনপির প্রতি। যদিও তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য আসেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোট গড়ে তোলার পরও জামায়াতের সঙ্গে জোট আর থাকবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হয়ে ওঠা ড. কামাল হোসেন প্রকাশ্যেই বলেন, জামায়াত আছে জানলে তারা জোটেই যেতেন না।

জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাল বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন জোট গড়ে তোলে বিএনপি, যার প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন ড. কামাল হোসেন। তবে এই জোট এখন নিষ্ক্রিয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরেক নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার। এই অবস্থায় সাংগঠনিক অবস্থাও ভেঙে পড়েছে জামায়াতের।

দলের নেতাদের এই বিচারের সময় বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতাও পায়নি জামায়াত। এ নিয়েও খেদ আছে দলের নেতাদের মধ্যে।

আবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার যোগ্যতাও হারিয়েছে জামায়াত।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ থেকে শিখুন: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
করোনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকেও ৫০ লাখ টাকা দিন: নজরুল
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: বিএনপি নেতার সিলেটের বাড়িতে হামলা
করোনা: ১৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দাবি বিএনপির
মহাদুর্যোগেও ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Asifs call for strengthening the leadership of Bangladesh and Morocco in the Muslim world

মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশ ও মরক্কোর নেতৃত্বমূলক ভূমিকা জোরদারে উপদেষ্টা আসিফের আহ্বান

মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশ ও মরক্কোর নেতৃত্বমূলক ভূমিকা জোরদারে উপদেষ্টা আসিফের আহ্বান মরক্কো সফররত যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মরক্কোর জাতীয় শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সাদ বেরাদা-র মধ্যে বুধবার এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজ

মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ও মরক্কোর নেতৃত্বমূলক ভূমিকা জোরদারে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা বলা হয়েছে।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, 'মরক্কো সফররত বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মরক্কোর জাতীয় শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সাদ বেরাদা-র মধ্যে গতকাল মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।'

'বৈঠকের শুরুতে মরক্কোর মন্ত্রী মোহাম্মদ সাদ বেরাদা দেশটির সমন্বিত শিক্ষা ও ক্রীড়া কাঠামো তুলে ধরেন।

তিনি বিশেষভাবে মরক্কোর "স্টাডি অ্যান্ড স্পোর্টস" মডেলের উল্লেখ করেন, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝরে পড়ার হার কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারে নেওয়া নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।'

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মেদ ষষ্ঠ-এর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং মরক্কোর শিক্ষা ও ক্রীড়াক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “মরক্কোর শিক্ষা ও ক্রীড়ার সমন্বিত মডেল একটি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।”

উপদেষ্টা প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ভিত্তিক ক্রীড়া সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে দুই দেশের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা জোরদারে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ ও মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব করেন এবং ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় "গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট"-এ মোহাম্মদ সাদ বেরাদাকে আমন্ত্রণ জানান।

মরক্কোর মন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা ও যুব উন্নয়নে সাম্প্রতিক অর্জনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মরক্কো প্রি-স্কুল কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ক্লাসরুমকে আরও আনন্দদায়ক ও শিক্ষণ উপযোগী করে তুলতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক তথ্য একটি ডেটাবেইজে সংরক্ষিত হচ্ছে, যা দেশটির নীতিনির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

উভয়পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই বৈঠক শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মরক্কো সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও ফলপ্রসূ হবে।

মন্তব্য

রাজনীতি
The wind of Dhaka is still medium today

ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।

তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।

আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

রাজনীতি
ACC cases against 3 persons including S Alam and PK Haldar
ঋণের ২৭১ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এস আলম ও পিকে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এস আলম ও পিকে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণের প্রায় ২৭১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও আলোচিত পিকে হালদারসহ ১৫ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে বলে এতে জানানো হয়।

দুদক জানায়, প্রতিটি মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলায় মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও আলোচিত পিকে হালদারসহ অধিকাংশকে কমন আসামি করা হয়েছে।

প্রথম মামলায় ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহারে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (বর্তমানে আভিভা ফাইন্যান্স) থেকে জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোম্পানির নামে ৩২.৫০ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। পরে সেই টাকা কয়েক ধাপে স্থানান্তর হয়ে এস আলম গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডে চলে যায়।

এই মামলার আসামিরা হলেন—এস আলম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, এম আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ইভিপি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান রাশেদুল হক, একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ প্রধান নাহিদা রুনাই, এসভিপি ও মেম্বার, ক্রেডিট কমিটি, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স কাজী আহমেদ জামাল, সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার, জুমারাতুল বান্না এবং মারিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ, পরিচালক টিপু সুলতান, মো. ইসহাক ও মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. গোলাম মোস্তাফা।

দ্বিতীয় মামলায় নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ ও ৩৪ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণপ্রস্তাব প্রস্তুত এবং ঋণ অনুমোদন, ঋণ প্রদান এবং ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ ও ৩৪ কোটি টাকা এস আলম সুপার এডিবল অয়েল নামে প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর/রূপান্তর/হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই মামলার আসামিরা হলেন—এস আলম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, এম আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ইভিপি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান রাশেদুল হক, একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ প্রধান নাহিদা রুনাই, এসভিপি ও মেম্বার, ক্রেডিট কমিটি, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স কাজী আহমেদ জামাল, সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার, জুমারাতুল বান্না এবং মারিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ, পরিচালক টিপু সুলতান, মো. ইসহাক ও মেসার্স মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের মালিক আলহাজ্ব কবির আহম্মদ।

এদিকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানির নামে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ টাকার ঋণ ও ২৪ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ওই মামলার এজাহার বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের কর্মকর্তা এবং মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানির মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর তারিখে মেয়াদি ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণের ২৪ কোটি টাকা ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, দিলকুশা শাখা থেকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, খাতুনগঞ্জ শাখার মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানি হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে একই দিনে মারিন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড হয়ে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের হিসাবে স্থানান্তর হয়। প্রতিটি ধাপেই জালিয়াতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনা সংঘটিত হয় বলে দুদক মনে করে।

এই মামলার আসামিরা হলেন—এস আলম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, এম আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, আব্দুস সামাদ, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ইভিপি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান রাশেদুল হক, একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ প্রধান নাহিদা রুনাই, এসভিপি ও মেম্বার, ক্রেডিট কমিটি, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স কাজী আহমেদ জামাল, সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার, জুমারাতুল বান্না এবং মারিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ, পরিচালক টিপু সুলতান, মো. ইসহাক ও মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানির মালিক সাইফুল ইসলাম।

মন্তব্য

রাজনীতি
That magistrate Urmi is deprived

সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি চাকরিচ্যুত

সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি চাকরিচ্যুত

ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে ওএসডি সহকারী সচিব, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বিভাগীয় মামলায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড দিয়ে বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ৬ অক্টোবর তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। পরের দিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তাপসী তাবাসসুমকে চাকরিচ্যুতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর তিনি নিজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেন। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, পারিপার্শ্বিকতা এবং বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিধিমালা অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনও গুরুদণ্ড দিতে কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে পরামর্শ দেয়। রাষ্ট্রপতিও তাকে চাকরিচ্যুতির গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Cookie Chin Commander killed in an army operation in Bandarban 2

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিন কমান্ডারসহ নিহত ২

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিন কমান্ডারসহ নিহত ২

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, অভিযানে তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।

অভিযানের বিষয়ে আজ দুপরে রুমা জোনে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য

ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

মানবদেহের স্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি
ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।

তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।

পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।

পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে