বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপী তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটি।
এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর নাম দেয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনার চার দশক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’।
রোববার বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রদর্শনী শেষ হবে সোমবার।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণ পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম। জানতে পারবে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাস প্রসঙ্গে।
এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণ পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. মশিউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু ভবন প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মামুন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করার সময় স্বামীর সঙ্গে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানাও।
ওই ঘটনার পর দেশে ফিরতে পারছিলেন না তারা। তাদের প্রত্যাবর্তনে অনুমতি দিচ্ছিল না ১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকারগুলো। বেলজিয়াম, জার্মানি ঘুরে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় নেন ভারতে। সেখান থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি। হাল ধরেন আওয়ামী লীগের।
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হবে। ওই দিনই বেলা তিনটায় মহানগর নাট্য মঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হবে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘ইদানীং ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। আমার মতামত হলো, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে শুক্রবার ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো, প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। বিদেশে চলা সব মিশনেই একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কী অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।’
বৈঠকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি আছেন এবং তাদের মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কী করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে সম্প্রতি মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা প্রবেশ করে বহিরাগতদের জনসমাগম ঘটিয়েছেন অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের একাংশ।
ক্যাম্পাসে আবারও রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর এই ঘটনার কারণে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত দাবি করে এর প্রতিবাদে টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি মধ্যরাতে এই রাজনৈতিক সমাগম ঘটিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করে তার সঙ্গে বুয়েটের যেসব শিক্ষার্থী এই সমাগমে জড়িত ছিলেন তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার দাবি করেন।
শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে এই দুই দাবি বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় তারা আরও দুটি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, তারা কেন আর কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেলেন এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব বুয়েট প্রশাসনের কাছ থেকে আসতে হবে। আর আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় তারা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘পলিটিক্সে যুক্ত যারা হল থেকে করব ছাড়া’, ‘কাপুরুষ আসে অন্ধকারে হাজিরা চায় কে কার কাছে’, ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’সহ বিভিন্ন স্লোগান এবং প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
পরে রাত ৮টায় আগে ঘোষিত দুটি দাবিতে সংশোধনী এনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে এদিনের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সংবাদকর্মীদের সামনে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিকেলে আমাদের দাবি ছিলো, আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৯টার মধ্যে এক ও দুই নম্বর দাবি মানা না হলে ডিএসডব্লিউ স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের বর্তমান দাবি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ডিএসডব্লিউ স্যারের অতি দ্রুত পদত্যাগ।
‘আর বিকেলে আমাদের কর্মসূচি ছিলো শনিবার ও রোববার অ্যাকাডেমিক কর্মসূচি বর্জনের। বর্তমানে আমরা এই শনিবার ও রোববারসহ দাবি না মানা পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘একটু আগে উপাাচার্য স্যার (সত্য প্রসাদ মজুমদার) আমাদের সঙ্গে দেখা করে আমাদের ছয় দাবির আংশিক মেনে নেয়ার ব্যাপারে আমাদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু আমাদের দাবি ছিলো সব দাবি বাস্তবানের।
‘এছাড়া, আমাদের ডিএসডব্লিউ স্যার (অধ্যাপক মিজানুর রহমান) শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেননি; উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে উগ্র আচরণ করেছেন তিনি। অভিভাবকতুল্য আমাদের এই শিক্ষকের উগ্র আচরণে আমরা মর্মাহত।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৮টায় বুয়েটের সব প্রবেশদ্বারে আমরা শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ ভাইয়ের নৃশংস মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে যে নিরাপদ এবং সুন্দর একটি ক্যাম্পাস আমরা উপহার হিসেবে পেয়েছি, তা দেশব্যাপী সবার কাছে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়।
‘দেশের সব মানুষ, নানা প্রান্তের নানা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী দেখেছেন একটি রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের রোল মডেল, তার সুফল, তার সৌন্দর্য, তার উৎকর্ষের যত সমূহ সম্ভাবনা। তবে যে কলুষিত হাতগুলোর কারণে ঝরে গিয়েছিল আমাদেরই নিষ্পাপ মেধাবী প্রাণ, সে কলুষিত হাতগুলো পরবর্তীতে বারে বারে ভিন্ন ভিন্নভাবে পুনরায় সেই অপরাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা ক্যাম্পাসের এই সুন্দরতম ভিত্তিকে পুনরায় ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে।’
তারা বলেন, ‘সবশেষ ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারি, বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ ক’জন শীর্ষস্থানীয় নেতা এসেছেন এবং তারা ক্যাম্পাসের মেইন গেট দিয়েই ভেতরে ঢুকেছেন। মধ্যরাতে বহিরাগত রাজনীত-সংশ্লিষ্টদের এমন দাপটসহ প্রবেশ কর্তৃপক্ষ এবং ডিএসডাব্লিউ-এর দৃষ্টির অগোচরে হওয়া অসম্ভব।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঘটনা ঘটে যাওয়ার দেড় দিন পার হয়ে গেলেও ডিএসডাব্লিউ থেকে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো প্রকার সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা এখন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আসেনি। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে তারা প্রবেশের অনুমতি কিভাবে কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছিল তা এখনও ধোঁয়াশাপূর্ণ। এটা সন্দেহের সঞ্চার করে যে কীভাবে এবং কোন মদদে তারা ক্যাম্পাসে এভাবে প্রবেশ করতে পারলো।
এই ঘটনা ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে বলেও উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি তা ঠিক। তবে সেটি ক্যাম্পাসের বাইরে। আর এটি আমার মৌলিক অধিকারও। তবে আমি ছাত্রলীগের কাউকে ক্যাম্পাসে আনিনি। যেদিনের কথা বলা হচ্ছে সেদিন আমি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করিনি।
‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো, রাত ১০টার পর কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই আমি গেটের বাইরেই ছিলাম। ভেতরে বহিরাগত অনেকেই ছিলো। তবে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ ছিলো কিনা তা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে আমরা এখন মিটিংয়ে আছি। মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
আরও পড়ুন:বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের চর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়া পাকিস্তানের দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচন হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবে সাহায্য করেছে, এমনকি একবেলা খাইয়েছে বা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে জানলেও সেসব পরিবারের ওপর নেমে আসত অকথ্য নির্যাতন। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্রে থাকেন আর তার পরিবার বেগম খালেদা জিয়া দুই সন্তান নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আরাম-আয়েশে থাকেন।
‘এ থেকেই তো পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে, গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এর তো আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। আর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চিঠি লিখেছিলেন, তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট, তোমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করো না। সেই চিঠির কপি আমার কাছেও আছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে- আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার, যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ।
‘এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনও যাননি।’
বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে ২১ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে মানুষের কাছে আড়াল করেছে, বিকৃত করেছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে মানুষ আবার সঠিক ইতিহাস জেনেছে।
‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন ২৬ তারিখ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান কয়েকবার পাঠ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধরত মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে অ্যামবুশ নিয়ে আছেন, নড়লে যুদ্ধের ক্ষতি হবে। তখন এ দেশের মানুষের ওপর হামলার জন্য আসা পাকিস্তানি অস্ত্র সোয়াত জাহাজ থেকে খালাস করতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যাওয়ার পথে জনগণের বাধার মুখে পড়া মেজর জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করানো হয়। প্রথম কয়েকবার তিনি ভুল পড়েন, আওয়ামী লীগ নেতারা ঠিক করে দিলে আবার পাঠ করেন।
‘স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজায় যে দপ্তরি, সে ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় না; টিভি-রেডিওতে যে উপস্থাপক সংবাদ পাঠ করে, সে ওই সংবাদ সৃজনকর্তা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনে, তরুণ সমাজকে বিপথে যাওয়া, জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আগে এ দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছিল, স্বাধীনতার পরও তা চলেছিল। ১৯৭৫ সালের পর তা ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ সব সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্কৃতিমনা মানুষকে সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানাই।’
রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কবি রবীন্দ্র গোপ, জোটের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগকে ভারতীয় পণ্য উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এই দলকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি মিলবে। সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনি তো ভেজাল লাগালেন! বললেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। ভারত পাশে না থাকলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না।
‘এখানে কী বুঝব? আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। তাহলে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ (সরকার), শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। এই সরকারকে বর্জন তো করছেই, এটা ফেলে দিলেই শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চিকিৎসাসহ নানা কারণে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দশ হাজার মানুষ পাসপোর্ট জমা দেন। গড়ে ৮’শ টাকা করে হলেও প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লাগে এ জন্য। একটা মানুষের সীমান্ত অতিক্রম করতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৫ হাজার টাকা। আসার সময় আবার ৫০ হাজার টাকার বাজার করেও আনে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাহলে পণ্য বর্জন কিসের? বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে যে কাল থেকে ভারতে যাব না, তাহলে দিল্লি বলবে- শেখ হাসিনা তোমাকে রাখতে গেলে আমরা বাঁচতে পারব না।’
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও থিংকট্যাংক আগামী এক’শ বছর পর দেশের কী হবে তা নিয়ে হিসাব কষে। তারা দেশের মধ্যে মাতব্বরি করে না। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের (বিরোধী দল) পেছনে লেগে আছে। তারা দেশের জন্য কাজ করতে পারে না।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করেনি অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলটি কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শুক্রবার ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
‘আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।’
বিএনপির সমালোচনা করে করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এ অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না।
নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে? কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে?’
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও ধাক্কা লেগেছে, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।’
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগের একাংশের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
পৌরসভার হলরুমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী বাজারে রাজমহল রেস্তোরায় দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অছাত্র, চাঁদাবাজি, দখলবাজ, অছাত্র, বিভিন্ন মামলার আসামি, টেন্ডারবাজি, নানা বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ নানা অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে। গত বুধবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা পরিচয়দানকারী সংবাদ সম্মেলন করেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ আরও বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। বুধবার তাদের করা সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠা সুখকর নয়। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন:নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদান করেনি বলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবির একদিন পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বাকু ফোরাম একাদশে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিশিয়াল অনুষ্ঠানসূচিতেও অধ্যাপক ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী নৈশভোজে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য মঞ্চে সশরীর উপস্থিত থাকেন।
ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২৩ সালের জুনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।
এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার দেয়নি।”
তিনি বলেন, “আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে ইসরাইলের একজন ভাস্কর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।”
ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য