× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
খালেদার স্বাস্থ্যেই আটকে আছে বিএনপির রাজনীতি
google_news print-icon

‘খালেদার স্বাস্থ্যেই আটকে আছে বিএনপির রাজনীতি’

খালেদার-স্বাস্থ্যেই-আটকে-আছে-বিএনপির-রাজনীতি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিটা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই সীমাবদ্ধ, এর বাইরে তারা যেতে পারছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে না, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ইস্যুতেই দলটির রাজনীতি আটকে আছে বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিএনপি এখন দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিটা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই সীমাবদ্ধ, এর বাইরে তারা যেতে পারছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে না, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবে।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। গত ১১ এপ্রিল তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর শুরুতে গুলশানে বাসভবন ফিরোজাতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে ২৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

৩ মে খালেদা জিয়ার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে খালেদা করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন।

পরে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে আসেন শামীম ইস্কান্দার। চিঠিটি পর্যালোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনো বিধি নেই।

উল্টোটা বলছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছে না।

খোঁড়া যুক্তিতে সরকার খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসার’ জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে (খালেদা জিয়াকে) বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা তৎপর হয়ে ওঠেন এবং সরকার আইনগত ব্যাখ্যা দিয়ে যখন বলল যে, তাকে বিদেশ পাঠানো সুযোগ নেই, তখন তারা যেভাবে সমালোচনা করছেন, হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, তা শুনে অনেকে মুচকি হেসেছে।’

রাজনীতিকে খালেদার স্বাস্থ্যে আটকে না রেখে, জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে আপনাদের রাজনীতিটা শুধুমাত্র বেগম জিয়ার মামলা, শাস্তি, তার হাঁটু এবং কোমরের ব্যথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, এই জন্য আপনারা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছেন।’

বিপরীতে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের জন্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের পক্ষ থেকে খাদ্য এবং ঈদ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপিসহ তার মিত্রদের রাজনীতি হচ্ছে সরকারের কাজের সমালোচনা করা, ভুল না হলেও সমালোচনা করা। এই অহেতুক সমালোচনা করা উচিত নয়।’

সাংবাদিকদের বিমা সুবিধা থাকা দরকার

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দেয়া ১০ কোটি টাকার চেক ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তার কথায় উঠে আসে সাংবাদিকদের দুঃখ দুর্দশার জীবন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতনভাতা, চাকরি একটি শৃঙ্খলায় আনা দরকার, যাতে করে যে কেউ যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত না হয়।’

সংবাদমাধ্যম প্রকাশের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের বেতনভাতা না দেয়ার চর্চা কোনোভাবেই ঠিক নয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই পত্রিকা বের করেন পাঁচশ কপি, ঘোষণা করেন পাঁচ হাজার বা পঞ্চাশ হাজার। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। আমি শুরু থেকেই চেষ্টা করছি, শৃঙ্খলা আনতে গিয়ে বহু বাধার সম্মুখীন আমি হয়েছি।

‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে কার প্রচার সংখ্যা কত সেটা আমরা নির্ধারণ করেছি। এই প্রচার সংখ্যাকে বাস্তবসম্মত করার জন্য আমি আপনাদের সহায়তা চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার চেয়েও বেশি মেধাবী অনেক সাংবাদিক, যারা ভালো চাকরি করেন, সমাজের জন্য অনেক অবদান রাখেন, তাদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে না এটা হতে পারে না।’

পত্রিকায় সাংবাদিকদের জন্য বিমা সুবিধা থাকা দরকার জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কারণে কখনও পত্রিকা থেকে বেতন না পেলেও যেন ইন্স্যুরেন্স থেকে পায়। যে সমস্ত হাউজ থেকে সাংবাদিকদের ঠিকভাবে বেতনভাতা দেয়া হয় না, কিংবা চাকরিচ্যুত করা হয়, সেসব হাউজ সরকারের যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পায়, সেগুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব খাজা মিয়া।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

অনুষ্ঠানে ২২১ সাংবাদিকের মাঝে চেক বিতরণ করেন অতিথিরা।

আরও পড়ুন:
‘খালেদাকে বিদেশ নিতে চাওয়ার উদ্দেশ্য ভিন্ন’
খালেদার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
খালেদার ‘আসল’ জন্মদিন মৃত্যুভয়ে: কাদের
‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আবেদন রাজনৈতিক’
খালেদার সামনে পথ ‘আদালত বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
The government of one eleven was dishonestly motivated Tareq Rahman

এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তারেক রহমান

বিএনপির সময় সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না * ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে জনগণের বিরাগভাজন হলে বিএনপির কিছু করার নেই * সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু শুনলে বা দেখলেই ঝাঁপিয়ে না পড়তে পরামর্শ
এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তারেক রহমান

এক–এগারোর সরকারকে ‘অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সে সময়কার সরকার সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এবং বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তারেক রহমানের কাছে বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিল, পেছন থেকেই তো শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোতে হয়। তো পেছনের একটা বিষয়, সেটা হচ্ছে, এক–এগারোর সরকার বা সেনাসমর্থিত সরকারের সেই সময়টা নিয়ে রাজনীতিতে অনেক আলোচনা আছে। সে সময়কে ঘিরে আপনার মূল্যায়নটা কী?
এর উত্তরে তারেক রহমান বলেন, ‘এক বাক্যে বা সংক্ষেপে যদি বলতে হয়, এক–এগারোর সরকার তো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সরকার ছিল।’
এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দেশে রাজনীতি গড়ে উঠেছিল, ভুলত্রুটি সবকিছুর ভেতর দিয়ে গণতান্ত্রিক ভিত্তি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল, বলেন তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখেছি যে কীভাবে তারা (এক–এগারো সরকার) সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। দেশকে একটি অন্ধকার দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে দেখেছি যে খুব সম্ভবত তাদেরই ভিন্ন আরেকটি রূপ; অন্যভাবে দেখেছি আমরা ‘ইন দ্য নেম অব ডেমোক্র্যাসি’।’
সাক্ষাৎকারে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিএনপি সামনের দিকে যেতে চায়। দেশকে সামনে নিতে হবে।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই প্রথম কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে শেষ পর্ব গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। এর আগে সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
এই পর্বে তারেক রহমান সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়াল ইলেভেন এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয় তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান। বিবিসি বাংলার তরফে প্রশ্ন ছিল, পাঁচ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং আপনিও জানেন যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেছেন এবং সেখানে আছেন। ভারতের সঙ্গে একটা সম্পর্কের শীতলতা দেখা গেছে, গত এক বছর ধরে। যেমন ধরুন সেটি যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা রকম, সেই ক্ষেত্রে কি কোনো পরিবর্তন আপনার সরকারে আসলে হবে বা পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন, এমন কোনো চিন্তা কি আপনাদের আছে?
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। তো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের নীতি কী হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে।
তার ভাষ্যে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ। এখানে তো আপনি পার্টিকুলার (সুনির্দিষ্ট) একটি দেশের কথা বলেছেন। এখানে ওই দেশ বা অন্য দেশ তো বিষয় না। বিষয় তো হচ্ছে, ভাই, বাংলাদেশ আমার কাছে আমার স্বার্থ; আমি আগে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখব, আমার দেশের স্বার্থ দেখব। ওটাকে আমি রেখে, আপহোল্ড করে, যা যা করতে পারব, আমি তা-ই করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার পানির হিস্যা চাই। অবশ্যই আমি দেখতে চাইনা না যে, আরেক ফেলানী ঝুলে আছে। অবশ্যই আমরা এটা মেনে নেব না।’
বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের স্বার্থের প্রসঙ্গে আপনি বলছেন যে, পানির হিস্যা চাওয়া এবং সীমান্ত হত্যার বিষয়টি নিয়ে আপনারা সোচ্চার থাকবেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘না না, আমি উদাহরণ দিয়ে বললাম। দুটো উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম আপনাকে যে, আমাদের স্ট্যান্ডটা কী হবে। আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই। অর্থাৎ আমার দেশের হিস্যা, মানুষের হিস্যা আমি চাই, হিসাব আমি চাই। আমার যেটা ন্যায্য সেটা আমি চাই। অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার মানুষের ওপরে আঘাত আসলে অবশ্যই সেই আঘাতকে এভাবে আমি মেনে নেব না।’
বিএনপি সরকারের সময় সাংবাদিকদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, ‘গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বিএনপির অতীত সরকারের সময় যে রকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি, সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়নি, সাংবাদিকদের দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি—ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।’
প্রশ্ন ছিল—বিগত সরকারের আমলে একটা বড় সমালোচনা ছিল যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন সে ক্ষেত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ বা সংবাদমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়গুলো যে আর হবে না, সেই নিশ্চয়তা কি আপনি দিতে পারেন?
জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জি, ইয়েস, পারি। একদম দিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আপনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্রপত্রিকা খুলুন। আমি কারও নাম উল্লেখ করব না, কোনো পত্রিকার কথা উল্লেখ করব না। শুধু খুলে দেখুন কীভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল, যার সত্যতা কিন্তু ছিল না, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু অপপ্রচারটা সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তারেক রহমান দাবি করেন, বিএনপির সময়ে সাংবাদিকদের ওপর কোনো দমন-পীড়ন বা নির্যাতন হয়নি। তিনি বলেন, ‘আপনি কি শুনেছেন, আপনি কি আমাকে প্রমাণ দিতে পারবেন, বলতে পারবেন যে বিএনপির সময়—আমি কিন্তু বলতে পারব অনেক অনেক সাংবাদিকের নাম, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্বৈরাচারের সময় এবং পরবর্তী সময়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইভেন, এখনো অনেকে প্রবাসজীবনে আছেন, এ রকম বহু সাংবাদিক।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বলতে পারব, স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন-ধমক দেওয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি। কারণ, তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে, যদি ওই রকম (নির্যাতন) হতো তাহলে কিন্তু ও রকম খবর প্রকাশিত হতো না।’
তারেক রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করে, এমন আইনগুলো বিএনপি বাতিল করবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সকলে মিলে বসব, আলোচনা করব। আপনাদের মতো সাংবাদিকসহ যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আলোচনা করে সেগুলোকে আমরা এ রকম কালো আইন যা যা আছে, আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করব।’
তবে তারেক রহমান আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলেন, ‘দেখুন, এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে তো অবশ্যই সংবাদ হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়, তাই না? আমাদের কাছে আপনাদের যে রকম চাওয়া থাকবে, ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি, অপপ্রচার সংবাদ হিসেবে যেন প্রচারিত না হয়, এ বিষয়টিকে একটু সবাইকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বলা, লেখা বা সেসব বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত বলেন, কোনো মন্তব্য করার আগে এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা ভাবতে হবে। পাশাপাশি কোনো কিছু দেখলেই বা শুনলেই তা বিশ্বাস না করে যাচাই–বাছাই করে দেখার কথা বলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মানুষের বাক্‌ ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে, তার মতামত প্রকাশ করার। তবে আমরা যদি সকলে এতটুকু সচেতন হই যে আমি আমার মত প্রকাশ করলাম, কিন্তু এই মতপ্রকাশের ফলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে যদি আমরা বিবেচনায় রাখি, একটি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হলো কি না, ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? এই বিষয়টিকে বোধ হয় আমাদের বিবেচনায় রাখা উচিত; এটি এক নম্বর।’
দ্বিতীয়ত, তারেক রহমান যাচাই-বাছাই করে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাক্ট হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ার বহুল ব্যবহারের ফলে ডিসইনফরমেশন বা মিসইনফরমেশন, এই বিষয়ও চলে এসেছে সামনে। এ কথাও চলে এসেছে। একটি জিনিস আমি দেখলাম বা শুনলাম, সাথে সাথেই আমি সেটিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম, তা না করে আমার মনে হয়, ফ্যাক্ট চেক বলে যেই কথাটি আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, এটা সব জায়গায় আছে। এ ব্যাপারেও যদি আমরা একটু অ্যালার্ট থাকি সবাই, এ ব্যাপারে যদি একটু সচেতন থাকি যে ঠিক আছে, এটি একটু যাচাই–বাছাই করে নিই।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যদি সত্য হয়, অবশ্যই আমার সেখানে মতামত থাকবে, কিন্তু যদি মিথ্যা হয় বিষয়টি, কেন আমি এখানে মতামত দেব। একটি মিথ্যার সাথে আমি কেন নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। একটি খারাপ কিছুর সাথে কেন আমি নিজেকে সংশ্লিষ্ট করব। এটি আমি আমার মতামতটা প্রকাশ করলাম।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে নিয়ে তৈরি মিম বা কার্টুনকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এনজয় করি বেশ, বেশ এনজয় করি।’
তারেক রহমান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া তিনিও কমবেশি আছেন। এখানে বহু বহু মানুষ আছেন, লাখো কোটি মানুষ আছেন। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ করা যায়।
এর নেতিবাচক ব্যবহারের দিক তুলে ধরতে গিয়ে তারেক রহমান ডিনামাইটের উদাহরণ টেনে বলেন, পাহাড় ভেঙে কীভাবে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট তৈরি করা যায়, কীভাবে চাষের জমি চাষ করা যায়, সে জন্য ডিনামাইট আবিষ্কৃত হয়েছিল। পরে দেখা গেলে, এটি মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Shapala will participate in the NCP elections with Shapala symbol Sargis Alam in Naogaon

এনসিপি নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে: নওগাঁয় সারজিস আলম

এনসিপি নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে: নওগাঁয় সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি সেক্রেটারি ছিল বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোজা, যারা একেক জন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তা-ভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায় তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Election is essential to recover the democratic process in the country Amir Khasru

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে।’

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এ জন্যে সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।’

গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসন্ন নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে আমির খসরু বলেন, ‘বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই’

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোয়েন লুইস সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

মন্তব্য

রাজনীতি
The world has the support of the country through elections Mirza Fakhrul

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।’

গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

আজকে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান বিএনপি মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।

বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে-এটাই তো স্বাভাবিক।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি যে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’

নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’

মন্তব্য

রাজনীতি
Two people nominated the Gopalganj 4 constituency

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আবুল বসার ও কাজী রনি।

আবুল বসার গণঅধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক ও কাজী রনি ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সম্পাদক।

আবুল বসার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কর্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। আবুল বসার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত ধলা দাড়িয়ার ছেলে ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

এর আগে কাজী রনি সংগ্রহ করেন মনোনয়ন ফরম। কাজী রনি কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের মৃত. কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ব্যাংকার। ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।

আবুল বসার বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণমানুষের দল। জনসাধারণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই। গোপালগঞ্জ-৩ একটি ভিআইপি আসন। এ আসনের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্তমান কর্মকান্ড অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদকেই বেছে নিবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনোনয়ন চেয়েছি, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি আশাকরি দলের সম্মান বজায় রাখতে পারব।

বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি বন্ধ করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে যদি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকে রয়েছেন জেলে। এদিকে অন্তর্ন্তীকালীন সরকার আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Mirza Fakhrul told reporters back from the United States

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’

তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই।

এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
Spreading confusion over the selection of a party Mirza Abbas

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে