যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লাল মাংসের বাণিজ্য সীমিত করতে পারেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল গত সপ্তাহে। এমন কোনো পরিকল্পনা যে আসলে বাইডেন সরকারের নেই, তা পরে জানা গেলেও এর মধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা।
বাইডেনের উদ্দেশে কলোরাডোর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা লরেন বোয়েবার্ট বলেই বসেছিলেন, ‘আমার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকুন আপনি।’
টুইটারে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট লিখেছিলেন, ‘বাইডেন এবার আপনাদের গ্রিল বানাবেন।’
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনের এমন কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের ডানপন্থি রাজনীতিকদের তীব্র মাথাব্যথার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমবার তারা দেশটিতে লাল মাংসের জনপ্রিয়তাকে রাজনীতির ময়দানে নিয়ে এসেছেন।
কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে লাল মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে তৎপর ডেমোক্র্যাটরা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের খাদ্যাভ্যাস ও তাদের জীবনাচরণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে। ফলে রাজনীতিতে খাদ্যাভ্যাস ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার প্রশ্নে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃষি ও খামারভিত্তিক রাজ্যগুলোর মাংস খাওয়ার অধিকারের দাবি।
রিপাবলিকান পার্টির উপদেষ্টা মাইক মার্ফি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে মাংসের ওপর যুদ্ধ ঘোষণার কৌশলটি সাধুবাদ জানানোর মতো। বুদ্ধিবৃত্তিক বা নৈতিক প্রশ্নে এটি যদি অপকৌশলও হয়, রাজনৈতিকভাবে এটি নিঃসন্দেহে কার্যকর।’
সম্প্রতি নেব্রাস্কার রিপাবলিকান গভর্নর পিট রিকেটস বলেন, ‘এ রাজ্যের জন্য সরাসরি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর আঘাত এই পদক্ষেপ।’
কয়েক মাস আগে রাজনীতিতে ইস্যুটি নিয়ে প্রথম সোচ্চার হন রিকেটস। মার্চে তার রাজ্য নেব্রাস্কার গবাদি পশুপালন ও মাংস বিক্রি থেকে আয় ছিল এক হাজার ২০০ কোটি ডলার।
কলোরাডোর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গভর্নর জ্যারেড পলিস নিজ রাজ্যে রেড মিট জাতীয় মাংস খাওয়ার বিষয়ে জনগণকে অনুৎসাহিত করলে তার নিন্দা জানান রিকেটস।
গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে রেড মিট খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন জ্যারেড পলিস।
রিকেটসের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান আইওয়ার রিপাবলিকান গভর্নর কিম রেনল্ডসও।
তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট আর উদারপন্থি সুবিধাবাদীরা আমাদের মাংস শিল্পকে বাতিলের তালিকায় নেয়ার পরিকল্পনা করছে।’
তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় রাজনীতি পর্যন্ত গড়ায় গত সপ্তাহে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইন থেকে সরিয়ে নেয়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকানোর লক্ষ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে আমেরিকানদের খাদ্যাভ্যাসে মাংসের পরিমাণ নির্ধারিত করে দিতে পারে বাইডেন সরকার।
খবরটি প্রকাশিত হতেই সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসও বাইডেন প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন রক্ষণশীল নেতারা।
খবরটি মিথ্যা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে গবাদি পশুপালন শিল্পের প্রভাব কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে জনমনে।
২০১৯ সালে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ১০ শতাংশের জন্য দায়ী কৃষিকাজ। এর মাত্র চার ভাগের এক ভাগের জন্য দায়ী মাংস বিক্রির উদ্দেশে গবাদি পশুপালন শিল্প।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের কারণে অনেক আমেরিকান খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ সমর্থন করেন।
২০১৯ সালে গ্যালাপের জরিপে উঠে আসে, এক-চতুর্থাংশ আমেরিকান এক বছর আগের তুলনায় কম মাংস খাচ্ছেন। মূলত নিজেদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিলেও পরিবেশগত উদ্বেগও অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অনেক আমেরিকান।
মাংস খাওয়া কমানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট আর ১২ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থক।
আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষিবিষয়ক অর্থনীতিবিদ শ্যাড হার্ট বলেন, গরুর মাংস না খাওয়ার কথা অনেক আমেরিকান চিন্তাই করতে পারে না। তাদের জন্য বিষয়টি কেবল রাজনীতির অংশ।
গরুর মাংস আমেরিকানদের আবেগের যে স্থানে আছে, মুরগী কিংবা শূকর নিয়ে তাদের ততটা মাথাব্যথা নেই বলেও জানান হার্ট।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের টেবিলের কেন্দ্রে থাকে গরুর মাংস। তারপর অন্যকিছু। অনেকের কাছে তাদের প্রতি বেলার খাদ্যতালিকা একদম জাতীয় পরিচয়ের মতো।’
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের রাজনীতিতে খাদ্য নতুন বিষয় নয়।
সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আমেরিকানদের ব্যক্তিগত জীবনে অনধিকার চর্চা করছেন বলে রক্ষণশীলদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থায়নে দেয়া খাবারে পুষ্টিগুণ নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছিলেন মিশেল।
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকাকালীন বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও খাদ্য নিয়ে আভিজাত্য ও শ্রেণিবৈষম্যের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আইওয়াতে একদল কৃষককে আরুগুলা শাকের দাম নিয়ে প্রশ্ন করে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও রাজ্যটিতে দলীয় মনোনয়নের বাছাইপর্বে সে সময় উৎরে গিয়েছিলেন তিনি।
অতীদে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের বিচ্ছিন্নতা প্রদর্শনে খাদ্যকে হাতিয়ার করার প্রবণতা ছিল রিপাবলিকানদের। কালে কালে সে প্রশ্ন এসে ঠেকেছে জলবায়ু আর অর্থনীতিতে।
মাংস খাওয়াকে অনুৎসাহিত করার আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রে জোরদার হচ্ছে সাম্প্রতিককালে। মাংসের বিকল্প পণ্যের বাজারও তৈরি হচ্ছে দেশটিতে।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জরুরি কর্মপরিকল্পনার কথা বললেও এখনও এতে অনুমোদন দেয়া বা এর বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তাও মাংসের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের যুদ্ধের কথিত পরিকল্পনা ঠেকাতে নানারকম পদক্ষেপ নিচ্ছে রিপাবলিকানরা।
এপ্রিলে আইওয়ার পার্লামেন্টে একটি বিল উপস্থাপন করে রিপাবলিকানরা। সরকারি কর্মীদের মাংস বরাদ্দ নিষিদ্ধে বাইডেন প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিলে অঙ্গরাজ্যে সেটির প্রয়োগ ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে বিলটিতে।
মার্চে নেব্রাস্কায় ‘খাদ্যতালিকায় মাংস দিবস’ ঘোষণা করেন রিকেটস। এ ছাড়া গত বুধবারই মে মাসকে ঘোষণা করেন ‘মাংসের মাস’ হিসেবে।
তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের গবাদি পশুপালন শিল্পে জড়িতদের।
দেশটির ন্যাশনাল ক্যাটলমেন’স বিফ অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিবিএ) অভিযোগ, শিল্পের অভ্যন্তরীণ সংকট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না রাজনীতিকরা। মহামারি, খরা, পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কীভাবে পাল্লা দিচ্ছে কসাইখানাগুলো, তা নিয়ে কোনো নেতা কিছু ভাবছেন না।
এনসিবিএর মুখপাত্র সাইগ্রিড জোহানেস বলেন, ‘মানুষের আবেগ আর বাগযুদ্ধ নিয়েই দুই পক্ষের রাজনীতিকরা ব্যস্ত। আমরা ব্যস্ত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে। খাদ্য নিয়ে লড়াই থেকে তাই দূরেই থাকছি।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল গোটা একটি শহর। রোমান সাম্রাজ্যের ওই শহরের নাম ‘আয়নারিয়া’। সে ১৮০ সালের কথা। প্রায় দুই হাজার বছর পর এসে হারিয়ে যাওয়া শহরটির সন্ধান মিলেছে। বহু পরিশ্রম করে সাগরতলে শহরটি খুঁড়ে বের করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। পর্যটকেরা এখন ডুব দিয়ে দেখে আসতে পারেন শহরটির প্রাচীন সব নিদর্শন।
পানির নিচে খুঁজে পাওয়া শহরটির অবস্থান ইতালির ইসকিয়া দ্বীপের উপকূলে। ডুবসাঁতার ছাড়াও তলদেশে কাচ লাগানো নৌযানে চেপে শহরটির রোমান স্থাপনাগুলোর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাবে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে রোমানদের ব্যবহৃত বড় পাত্র, মোজাইক, মুদ্রা, একসময় সাগরের তীরে গড়ে তোলা বাসাবাড়ির অংশ—এমনকি রোম সাম্রাজ্যের বাসিন্দাদের তৈরি কাঠের একটি নৌকাও।
শহরটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় সত্তরের দশকে। ইসকিয়ার উপকূলে মাটির পাত্রের কিছু অংশ পেয়েছিলেন কয়েকজন ডুবসাঁতারু। তখন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা কিছু অনুসন্ধানও চালিয়েছিলেন। তবে কাজ এগোয়নি। পরে ২০১১ সালে স্থানীয় কয়েকজন নাবিক ও ইতিহাসপ্রেমী আবার অনুসন্ধান শুরু করেন। তাঁদের হাত ধরেই খোঁজ মেলে সাগরের তলদেশের ২ মিটার নিচে থাকা শহরটির।
খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০ শতকের দিকে ইসকিয়া গ্রিক সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ শতকে দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণে নেয় রোমানরা। নাম দেওয়া হয় আয়নারিয়া। ধারণা করা হয়, ১৮০ সালে আগ্নেয়গিরির লাভায় তলিয়ে গিয়েছিল শহরটি। এরপর ধীরে ধীরে কালের গর্ভে হারিয়ে যায়।
এর আগে ৭৯ সালে অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়েছিল রোমান সাম্রাজ্যের পম্পেও নগরী। এই শহর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলেও আয়নারিয়ার ধ্বংসের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ভারতের বিহারে ‘ডাইনি বিদ্যা চর্চার’ অভিযোগে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর দেহগুলো পুড়িয়েও দেওয়া হয়। তবে তাদের কাউকে জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ। গত রোববার রাতে পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামটি মূলত ওরাঁও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতি। সদর পূর্ণিয়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি পাঁচজনকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত অবস্থায় পুড়েছিলেন, নাকি মৃত্যুর পর আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, নিহত পরিবারের ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর সেদিন বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। সে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। পরে সে পুলিশকে খবর দেয় এবং চারজন প্রধান অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসডিপিও শর্মা বলেন, চারজনের নাম এফআইআরে রয়েছে। তিনজনকে ধরা হয়েছে। তবে আমরা মনে করছি, পুরো গ্রামই হয়তো এ ঘটনায় জড়িত। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, ‘ঝাড়ফুঁক’ বা লোকজ চিকিৎসা নিয়ে বিরোধ থেকেই এ হামলা হয়েছে। নিহত বাবুলাল ওরাঁও এসব চর্চা করতেন বলে জানা গেছে।
কয়েকদিন আগে একই গ্রামের রামদেব ওরাঁওয়ের পরিবারে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং আরেকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই বাবুলালের পরিবারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনার বিষয়ে বিরোধীদল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিহারে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজধানীতে কেউ জবাবদিহির দায়িত্ব নিচ্ছে না। পূর্ণিয়া থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রাজেশ রঞ্জন বলেন, আমরা যখন মঙ্গলে যাচ্ছি, তখন এখানকার মানুষ ডাইনি সন্দেহে গণহত্যা চালাচ্ছে- এটা লজ্জার।
বিহার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার বলেন, বিহারে গরিব, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কেউই নিরাপদ নয়। এটি স্পষ্টত জঙ্গলরাজ।
পাকিস্তানের লাহোরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে দেওয়াল টপকে এক নারী ও দুটি শিশুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে একটি পোষা সিংহ। পরে সেটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচ ও সাত বছর বয়সী শিশু দুটিসহ আক্রান্ত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জোহান শহরের একটি গ্রামের খামারবাড়ি থেকে সিংহটি পালিয়ে যায়। এরপর একটি গলির মোড়ে ওই নারী ও শিশুদের আক্রমণ করে।
শহরের নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লাফ দিয়ে একটি কংক্রিটের দেওয়াল পার হচ্ছে সিংহটি। এরপর পেছন থেকে এক নারীর ওপর আক্রমণ করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে সেটি। তখন ওই খামারবাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে লাঠি হাতে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
তিনি সিংহটির কবল থেকে ওই নারীকে রক্ষা করেন। লোকটির তাড়া খেয়ে ছুটে সামনের সড়কে গিয়ে শিশুদুটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি।
সিংহের আক্রমণে শিশুরা মুখমণ্ডল ও বাহুতে আঘাত পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)। তারা বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে লাহোর পুলিশ জানিয়েছে, খামারবাড়িতে একটি উন্মুক্ত খাঁচা থেকে সিংহটি পালিয়ে যায়। পরে এটিকে ধরে নিয়ে আসেন এর মালিক। বন্য প্রাণীটিকে একটি গাড়িতে তুলে অন্য একটি জেলায় পালিয়ে যান তিনি।
লাহোর পুলিশ অপারেশনসের উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ফয়সাল কামরান বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সিংহটিকেও ধরে এনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিংহ পোষার বৈধ অনুমোদন ছিল না ওই ব্যক্তির। পাকিস্তানের বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে তার বিচার করা হবে। এতে তার সাত বছরের কারাদণ্ড কিংবা সাড়ে সতেরো হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
পাঞ্জাবের বন্যপ্রাণী ও পার্ক বিভাগের প্রধান রেঞ্জার সৈয়দ কামরান বুখারি বলেন, ‘আটক তিনজনকেই কঠিন সাজার মুখোমুখি হতে হবে। এভাবে বন্যপ্রাণী আটকে রাখা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।’
পাকিস্তানে বন্যপ্রাণী পোষা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে বন্যপ্রাণী পোষা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়, তবে তার জন্য অনুমোদন নিতে হয়। আর সিংহের মতো বড় কোনো বন্যপ্রাণী পুষতে হলে তা শহরের বাইরে করতে হবে বলে নিয়ম রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনিদের একজনের চামড়ায় বাঁধানো একটি বইয়ের সন্ধান মিলেছে একটি জাদুঘরের কার্যালয়ে। ১৮২৭ সালে ইংল্যান্ডে সাফোকের পোলস্টিডে রেড বার্ন গুদামঘরে প্রেমিকা মারিয়া মার্টেনকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন উইলিয়াম কর্ডার নামের এক ব্যক্তি। তার চামড়া দিয়েই বইটি বাঁধানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাফোকের ময়সেস হল মিউজিয়ামে এই বই একইরকম অন্য আরেকটি বইয়ের সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হেরিটেজ কর্মকতা ড্যান ক্লার্ক বলেছেন, এই বইগুলোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মূল্য আছে। তাছাড়া, মানুষের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইটি জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রেখে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।
‘হরিবল হিস্টোরিজ’ রচনা সমগ্রের লেখক টেরি ডেয়ারি অবশ্য এই প্রত্নবস্তুগুলো বীভৎস বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এমন দুটো বই-ই তিনি পুড়িয়ে ফেলতে চান।
সাফোকের পোলস্টিডে ১৮২৭ সালের ওই খুনের ঘটনা জর্জিয়ান ব্রিটেনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। তখন থেকেই ঘটনাটি বহু সিনেমা, বই, নাটক এবং লোকগীতির বিষয়বস্তু হয়ে আছে।
সবচেয়ে বেশি চাউর হয়েছে কর্ডারের সঙ্গে মার্টেনের প্রেমকাহিনীর সংস্করণ। এই কাহিনীতে বলা আছে, কর্ডার রেড বার্ন -এ দেখা করার জন্য আসতে বলেছিলেন প্রেমিকা মার্টেনকে।
সেখান থেকে পালিয়ে একটি শহরে গিয়ে তারা বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন কর্ডার। কিন্তু সেই রেড বার্নেই মার্টনকে গুলি করে খুন করেন কর্ডার এবং খড়ের গাদায় পুঁতে দেন লাশ।
১৮২৮ সালের ১১ আগস্ট কর্ডার ধরা পড়েন এবং প্রকাশ্যেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় বই। সেই বইয়ে লিপিবদ্ধ ছিল কর্ডারের বিচারের কাহিনি।
১৯৩৩ সালে বইটি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়করা ক্যাটালগ দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেখানে আরেকটি বই রয়েছে যেটি এত দিন চোখে পড়েনি।
সেই বইটি জাদুঘরে দান করেছিল একটি পরিবার, যাদের সঙ্গে কর্ডারের দেহ কাটাছেঁড়া করার সার্জনের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বইটি জাদুঘরের গুদামে ছিল না, বরং ছিল কার্যালয়ের বইয়ের শেলফে অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে।
কিন্তু বইটি বাঁধাই করা ছিল অনেক বেশি সনাতনী উপাদান দিয়ে। হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলেন, জাদুঘরে হারানো বই আমরা খুঁজে পেয়েছি। যেটি দশকের পর দশক ধরে দেখা হয়নি।
কর্ডারের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইয়েরর সঙ্গে দ্বিতীয়টির কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রথম বইয়ের চামড়ার মলাট অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ। আর দ্বিতীয় বইয়ের কেবল বাঁধাইয়ের জায়গা এবং কোনাগুলোতে চামড়া লাগানো আছে।
মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাই করা ‘এনথ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’ নামে পরিচিত। ‘হরিবল হিস্টোরিজ’-এর লেখক টেরি ডেয়ারির মতে, একজন মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার চেয়েও জঘন্য কাজ হচ্ছে মৃত্যুর পর তার দেহ ছিন্নভিন্ন করা। চামড়া দিয়ে বই বাধাঁনো আরও বাড়াবাড়ি।
তবে হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলছেন, ‘দেশজুড়ে প্রতিটি জাদুঘরেই আমরা মানুষের দেহাবশেষ দেখতে পাই।’
সূত্র: বিডিনিউজ
প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে তিনশ’ বছরেরও বেশি পুরনো প্রবালটি খুঁজে পান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ১০৪ ফুট প্রবালটির আকার একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বড়।
ধারণা করা হচ্ছে, এক বিলিয়নের বেশি ক্ষুদ্র প্রাণী ও জলজ অণুজীবের উপস্থিতি রয়েছে প্রবালটিতে। এর মাধ্যমে জলজ প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তিনশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল এই বিশাল প্রবাল। সদ্য আবিষ্কৃত এই জলজ বিস্ময়টি এখন পর্যন্ত জানা বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক প্রবাল বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
কোরাল বা প্রবাল এক ধরনের সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী। বছরের পর বছর ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে, পুঞ্জিভূত হয়ে গঠিত হয় বিশাল প্রবাল প্রাচীর। সঙ্গে যুক্ত হয় শৈবাল, মৃত জলজ প্রাণীর দেহাবশেষ ও পলিপ। সব মিলিয়ে জীবন্ত প্রাণীর তৈরি এক আশ্চর্য স্থাপনা এই প্রবাল।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্য। আজারবাইজানের বাকুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এর মধ্যেই, সমুদ্র তলদেশের অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈজ্ঞানিক অভিযান চালায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
অনেকটা দৈবক্রমেই প্রবালটি আবিষ্কার করেন ন্যাট জিও’র ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে স্বচ্ছ পানিতে ছেলেকে নিয়ে ডুব দেন তিনি। প্রথমে এটিকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মনে করে এগিয়ে গেলেও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বুঝতে পারেন জীবন্ত প্রাণীদের তৈরি অসামান্য সৌন্দর্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি।
গবেষকদের ধারণা, বিশ্বের বৃহত্তম জলজ প্রাণী নীল তিমির চেয়েও আকারে অনেকটা বড় এই প্রবাল।
এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়াতে থাকা ‘বিগ মামা’ প্রবালটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছিল। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া প্রবালটি ‘বিগ মামা’র চেয়েও প্রায় তিন গুণ বড়। ৩৪ মিটার দীর্ঘ প্রবালটি এতটাই বিশাল যে ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে এটি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে একজনের দান করা দুটি ড্রাগন ফল ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রির হয়েছে।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে লিপু সুলতানা চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি দুটি ড্রাগন ফল মাদ্রাসায় দান করেন। মধ্যরাতে মাহফিলের শেষ বক্তা শায়খুল হাদিস মুফতি মুশাহিদ আলী ক্বাসেমী ড্রাগন ফল দুটি প্রকাশ্যে নিলামে তোলেন। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ফল দুটি কিনে নেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলহাজ আলমগীর চৌধুরী।
ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ নেয়া শ্রোতারা জানান, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ড্রাগন ফল দুটি নিলামে তোলা হয়। দুই হাজার টাকা থেকে নিলাম শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা।
পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী টিপু সুলতান চৌধুরী দুটি ড্রাগন ফল দান করেন। পরে এই দুটি ফল নিলামে তোলা হলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
‘মূলত এই ফল এত দামে বিক্রি হওয়ার কারণ হলো মাদ্রাসায় সহযোগিতা করা। যিনি ফল কিনেছেন, তিনি হলেন আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য