× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের লাল মাংসের রাজনীতি
google_news print-icon

যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের ‘লাল মাংসের রাজনীতি’

যুক্তরাষ্ট্রে-রিপাবলিকানদের-লাল-মাংসের-রাজনীতি
কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে লাল মাংস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে তৎপর ডেমোক্র্যাটরা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের খাদ্যাভ্যাস ও তাদের জীবনাচরণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লাল মাংসের বাণিজ্য সীমিত করতে পারেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল গত সপ্তাহে। এমন কোনো পরিকল্পনা যে আসলে বাইডেন সরকারের নেই, তা পরে জানা গেলেও এর মধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা।

বাইডেনের উদ্দেশে কলোরাডোর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা লরেন বোয়েবার্ট বলেই বসেছিলেন, ‘আমার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকুন আপনি।’

টুইটারে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট লিখেছিলেন, ‘বাইডেন এবার আপনাদের গ্রিল বানাবেন।’

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনের এমন কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের ডানপন্থি রাজনীতিকদের তীব্র মাথাব্যথার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমবার তারা দেশটিতে লাল মাংসের জনপ্রিয়তাকে রাজনীতির ময়দানে নিয়ে এসেছেন।

কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে লাল মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে তৎপর ডেমোক্র্যাটরা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের খাদ্যাভ্যাস ও তাদের জীবনাচরণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে। ফলে রাজনীতিতে খাদ্যাভ্যাস ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার প্রশ্নে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কৃষি ও খামারভিত্তিক রাজ্যগুলোর মাংস খাওয়ার অধিকারের দাবি।

রিপাবলিকান পার্টির উপদেষ্টা মাইক মার্ফি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে মাংসের ওপর যুদ্ধ ঘোষণার কৌশলটি সাধুবাদ জানানোর মতো। বুদ্ধিবৃত্তিক বা নৈতিক প্রশ্নে এটি যদি অপকৌশলও হয়, রাজনৈতিকভাবে এটি নিঃসন্দেহে কার্যকর।’

সম্প্রতি নেব্রাস্কার রিপাবলিকান গভর্নর পিট রিকেটস বলেন, ‘এ রাজ্যের জন্য সরাসরি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর আঘাত এই পদক্ষেপ।’

কয়েক মাস আগে রাজনীতিতে ইস্যুটি নিয়ে প্রথম সোচ্চার হন রিকেটস। মার্চে তার রাজ্য নেব্রাস্কার গবাদি পশুপালন ও মাংস বিক্রি থেকে আয় ছিল এক হাজার ২০০ কোটি ডলার।

কলোরাডোর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গভর্নর জ্যারেড পলিস নিজ রাজ্যে রেড মিট জাতীয় মাংস খাওয়ার বিষয়ে জনগণকে অনুৎসাহিত করলে তার নিন্দা জানান রিকেটস।

গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে রেড মিট খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন জ্যারেড পলিস।

রিকেটসের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান আইওয়ার রিপাবলিকান গভর্নর কিম রেনল্ডসও।

তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট আর উদারপন্থি সুবিধাবাদীরা আমাদের মাংস শিল্পকে বাতিলের তালিকায় নেয়ার পরিকল্পনা করছে।’

তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় রাজনীতি পর্যন্ত গড়ায় গত সপ্তাহে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইন থেকে সরিয়ে নেয়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকানোর লক্ষ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে আমেরিকানদের খাদ্যাভ্যাসে মাংসের পরিমাণ নির্ধারিত করে দিতে পারে বাইডেন সরকার।

খবরটি প্রকাশিত হতেই সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসও বাইডেন প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন রক্ষণশীল নেতারা।

খবরটি মিথ্যা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে গবাদি পশুপালন শিল্পের প্রভাব কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে জনমনে।

২০১৯ সালে এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ১০ শতাংশের জন্য দায়ী কৃষিকাজ। এর মাত্র চার ভাগের এক ভাগের জন্য দায়ী মাংস বিক্রির উদ্দেশে গবাদি পশুপালন শিল্প।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের কারণে অনেক আমেরিকান খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ সমর্থন করেন।

২০১৯ সালে গ্যালাপের জরিপে উঠে আসে, এক-চতুর্থাংশ আমেরিকান এক বছর আগের তুলনায় কম মাংস খাচ্ছেন। মূলত নিজেদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিলেও পরিবেশগত উদ্বেগও অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন অনেক আমেরিকান।

মাংস খাওয়া কমানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট আর ১২ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থক।

আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষিবিষয়ক অর্থনীতিবিদ শ্যাড হার্ট বলেন, গরুর মাংস না খাওয়ার কথা অনেক আমেরিকান চিন্তাই করতে পারে না। তাদের জন্য বিষয়টি কেবল রাজনীতির অংশ।

গরুর মাংস আমেরিকানদের আবেগের যে স্থানে আছে, মুরগী কিংবা শূকর নিয়ে তাদের ততটা মাথাব্যথা নেই বলেও জানান হার্ট।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের টেবিলের কেন্দ্রে থাকে গরুর মাংস। তারপর অন্যকিছু। অনেকের কাছে তাদের প্রতি বেলার খাদ্যতালিকা একদম জাতীয় পরিচয়ের মতো।’

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের রাজনীতিতে খাদ্য নতুন বিষয় নয়।

সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আমেরিকানদের ব্যক্তিগত জীবনে অনধিকার চর্চা করছেন বলে রক্ষণশীলদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থায়নে দেয়া খাবারে পুষ্টিগুণ নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছিলেন মিশেল।

২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকাকালীন বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও খাদ্য নিয়ে আভিজাত্য ও শ্রেণিবৈষম্যের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আইওয়াতে একদল কৃষককে আরুগুলা শাকের দাম নিয়ে প্রশ্ন করে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও রাজ্যটিতে দলীয় মনোনয়নের বাছাইপর্বে সে সময় উৎরে গিয়েছিলেন তিনি।

অতীদে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের বিচ্ছিন্নতা প্রদর্শনে খাদ্যকে হাতিয়ার করার প্রবণতা ছিল রিপাবলিকানদের। কালে কালে সে প্রশ্ন এসে ঠেকেছে জলবায়ু আর অর্থনীতিতে।

মাংস খাওয়াকে অনুৎসাহিত করার আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রে জোরদার হচ্ছে সাম্প্রতিককালে। মাংসের বিকল্প পণ্যের বাজারও তৈরি হচ্ছে দেশটিতে।

এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জরুরি কর্মপরিকল্পনার কথা বললেও এখনও এতে অনুমোদন দেয়া বা এর বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তাও মাংসের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের যুদ্ধের কথিত পরিকল্পনা ঠেকাতে নানারকম পদক্ষেপ নিচ্ছে রিপাবলিকানরা।

এপ্রিলে আইওয়ার পার্লামেন্টে একটি বিল উপস্থাপন করে রিপাবলিকানরা। সরকারি কর্মীদের মাংস বরাদ্দ নিষিদ্ধে বাইডেন প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিলে অঙ্গরাজ্যে সেটির প্রয়োগ ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে বিলটিতে।

মার্চে নেব্রাস্কায় ‘খাদ্যতালিকায় মাংস দিবস’ ঘোষণা করেন রিকেটস। এ ছাড়া গত বুধবারই মে মাসকে ঘোষণা করেন ‘মাংসের মাস’ হিসেবে।

তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের গবাদি পশুপালন শিল্পে জড়িতদের।

দেশটির ন্যাশনাল ক্যাটলমেন’স বিফ অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিবিএ) অভিযোগ, শিল্পের অভ্যন্তরীণ সংকট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না রাজনীতিকরা। মহামারি, খরা, পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কীভাবে পাল্লা দিচ্ছে কসাইখানাগুলো, তা নিয়ে কোনো নেতা কিছু ভাবছেন না।

এনসিবিএর মুখপাত্র সাইগ্রিড জোহানেস বলেন, ‘মানুষের আবেগ আর বাগযুদ্ধ নিয়েই দুই পক্ষের রাজনীতিকরা ব্যস্ত। আমরা ব্যস্ত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে। খাদ্য নিয়ে লড়াই থেকে তাই দূরেই থাকছি।’

আরও পড়ুন:
কমলার সঙ্গে বিমান ভ্রমণ করেছেন বাইডেন?
বাইডেনের ২ ট্রিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন পরিকল্পনা
কামড়ে চলছে বাইডেনের কুকুর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনিদের একজনের চামড়ায় বাঁধানো একটি বইয়ের সন্ধান মিলেছে একটি জাদুঘরের কার্যালয়ে। ১৮২৭ সালে ইংল্যান্ডে সাফোকের পোলস্টিডে রেড বার্ন গুদামঘরে প্রেমিকা মারিয়া মার্টেনকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন উইলিয়াম কর্ডার নামের এক ব্যক্তি। তার চামড়া দিয়েই বইটি বাঁধানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাফোকের ময়সেস হল মিউজিয়ামে এই বই একইরকম অন্য আরেকটি বইয়ের সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হেরিটেজ কর্মকতা ড্যান ক্লার্ক বলেছেন, এই বইগুলোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মূল্য আছে। তাছাড়া, মানুষের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইটি জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রেখে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।

‘হরিবল হিস্টোরিজ’ রচনা সমগ্রের লেখক টেরি ডেয়ারি অবশ্য এই প্রত্নবস্তুগুলো বীভৎস বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এমন দুটো বই-ই তিনি পুড়িয়ে ফেলতে চান।

সাফোকের পোলস্টিডে ১৮২৭ সালের ওই খুনের ঘটনা জর্জিয়ান ব্রিটেনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। তখন থেকেই ঘটনাটি বহু সিনেমা, বই, নাটক এবং লোকগীতির বিষয়বস্তু হয়ে আছে।

সবচেয়ে বেশি চাউর হয়েছে কর্ডারের সঙ্গে মার্টেনের প্রেমকাহিনীর সংস্করণ। এই কাহিনীতে বলা আছে, কর্ডার রেড বার্ন -এ দেখা করার জন্য আসতে বলেছিলেন প্রেমিকা মার্টেনকে।

সেখান থেকে পালিয়ে একটি শহরে গিয়ে তারা বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন কর্ডার। কিন্তু সেই রেড বার্নেই মার্টনকে গুলি করে খুন করেন কর্ডার এবং খড়ের গাদায় পুঁতে দেন লাশ।

১৮২৮ সালের ১১ আগস্ট কর্ডার ধরা পড়েন এবং প্রকাশ্যেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় বই। সেই বইয়ে লিপিবদ্ধ ছিল কর্ডারের বিচারের কাহিনি।

১৯৩৩ সালে বইটি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়করা ক্যাটালগ দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেখানে আরেকটি বই রয়েছে যেটি এত দিন চোখে পড়েনি।

সেই বইটি জাদুঘরে দান করেছিল একটি পরিবার, যাদের সঙ্গে কর্ডারের দেহ কাটাছেঁড়া করার সার্জনের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বইটি জাদুঘরের গুদামে ছিল না, বরং ছিল কার্যালয়ের বইয়ের শেলফে অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে।

কিন্তু বইটি বাঁধাই করা ছিল অনেক বেশি সনাতনী উপাদান দিয়ে। হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলেন, জাদুঘরে হারানো বই আমরা খুঁজে পেয়েছি। যেটি দশকের পর দশক ধরে দেখা হয়নি।

কর্ডারের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইয়েরর সঙ্গে দ্বিতীয়টির কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রথম বইয়ের চামড়ার মলাট অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ। আর দ্বিতীয় বইয়ের কেবল বাঁধাইয়ের জায়গা এবং কোনাগুলোতে চামড়া লাগানো আছে।

মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাই করা ‘এনথ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’ নামে পরিচিত। ‘হরিবল হিস্টোরিজ’-এর লেখক টেরি ডেয়ারির মতে, একজন মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার চেয়েও জঘন্য কাজ হচ্ছে মৃত্যুর পর তার দেহ ছিন্নভিন্ন করা। চামড়া দিয়ে বই বাধাঁনো আরও বাড়াবাড়ি।

তবে হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলছেন, ‘দেশজুড়ে প্রতিটি জাদুঘরেই আমরা মানুষের দেহাবশেষ দেখতে পাই।’

সূত্র: বিডিনিউজ

মন্তব্য

রাজনীতি
Worlds largest coral discovery

বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিষ্কার

বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিষ্কার
প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে তিনশ’ বছরেরও বেশি পুরনো প্রবালটি খুঁজে পান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ১০৪ ফুট প্রবালটির আকার একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বড়।

প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে তিনশ’ বছরেরও বেশি পুরনো প্রবালটি খুঁজে পান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। দৈর্ঘ্যে ১১১ ফুট ও প্রস্থে ১০৪ ফুট প্রবালটির আকার একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বড়।

ধারণা করা হচ্ছে, এক বিলিয়নের বেশি ক্ষুদ্র প্রাণী ও জলজ অণুজীবের উপস্থিতি রয়েছে প্রবালটিতে। এর মাধ্যমে জলজ প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

তিনশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল এই বিশাল প্রবাল। সদ্য আবিষ্কৃত এই জলজ বিস্ময়টি এখন পর্যন্ত জানা বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক প্রবাল বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

কোরাল বা প্রবাল এক ধরনের সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী। বছরের পর বছর ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে, পুঞ্জিভূত হয়ে গঠিত হয় বিশাল প্রবাল প্রাচীর। সঙ্গে যুক্ত হয় শৈবাল, মৃত জলজ প্রাণীর দেহাবশেষ ও পলিপ। সব মিলিয়ে জীবন্ত প্রাণীর তৈরি এক আশ্চর্য স্থাপনা এই প্রবাল।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্য। আজারবাইজানের বাকুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এর মধ্যেই, সমুদ্র তলদেশের অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈজ্ঞানিক অভিযান চালায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

অনেকটা দৈবক্রমেই প্রবালটি আবিষ্কার করেন ন্যাট জিও’র ভিডিওগ্রাফার মানু সান ফেলিক্স। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে স্বচ্ছ পানিতে ছেলেকে নিয়ে ডুব দেন তিনি। প্রথমে এটিকে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ মনে করে এগিয়ে গেলেও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বুঝতে পারেন জীবন্ত প্রাণীদের তৈরি অসামান্য সৌন্দর্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি।

গবেষকদের ধারণা, বিশ্বের বৃহত্তম জলজ প্রাণী নীল তিমির চেয়েও আকারে অনেকটা বড় এই প্রবাল।

এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়াতে থাকা ‘বিগ মামা’ প্রবালটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছিল। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া প্রবালটি ‘বিগ মামা’র চেয়েও প্রায় তিন গুণ বড়। ৩৪ মিটার দীর্ঘ প্রবালটি এতটাই বিশাল যে ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে এটি।

মন্তব্য

রাজনীতি
Two dragon fruits were sold for 45 thousand

৪৫ হাজারে বিক্রি হলো দুটি ড্রাগন ফল

৪৫ হাজারে বিক্রি হলো দুটি ড্রাগন ফল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মাহফিলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া দুটি ড্রাগন ফল। ছবি: নিউজবাংলা
পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল হাফিজ বলেন, ‘মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী টিপু সুলতান চৌধুরী দুটি ড্রাগন ফল দান করেন। পরে এই দুটি ফল নিলামে তোলা হলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মূলত এই ফল এত দামে বিক্রি হওয়ার কারণ হলো মাদ্রাসায় সহযোগিতা করা। যিনি ফল কিনেছেন, তিনি হলেন আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।’ 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে একজনের দান করা দুটি ড্রাগন ফল ৪৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রির হয়েছে।

উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে লিপু সুলতানা চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি দুটি ড্রাগন ফল মাদ্রাসায় দান করেন। মধ্যরাতে মাহফিলের শেষ বক্তা শায়খুল হাদিস মুফতি মুশাহিদ আলী ক্বাসেমী ড্রাগন ফল দুটি প্রকাশ্যে নিলামে তোলেন। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ফল দুটি কিনে নেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আলহাজ আলমগীর চৌধুরী।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ নেয়া শ্রোতারা জানান, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ড্রাগন ফল দুটি নিলামে তোলা হয়। দুই হাজার টাকা থেকে নিলাম শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা।

পতনঊষার ইসলামিয়া মালিকিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী টিপু সুলতান চৌধুরী দুটি ড্রাগন ফল দান করেন। পরে এই দুটি ফল নিলামে তোলা হলে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

‘মূলত এই ফল এত দামে বিক্রি হওয়ার কারণ হলো মাদ্রাসায় সহযোগিতা করা। যিনি ফল কিনেছেন, তিনি হলেন আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী।’

আরও পড়ুন:
মেয়ে হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাবা গ্রেপ্তার
সুফিয়ার নৌকায় চলে সাতজনের সংসার
ধলাই নদীর বাঁধে দুটি স্থানে ভাঙন, ডুবেছে ৪০ গ্রাম
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডি দিবসে ১৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি
ফেসবুক লাইভে হত্যার হুমকির অভিযোগে জিডি কুলাউড়ার মেয়রের

মন্তব্য

রাজনীতি
Dolphins in Patuakhali reservoir

পটুয়াখালীর জলাশয়ে ডলফিন

পটুয়াখালীর জলাশয়ে ডলফিন বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডল‌ফিন‌টি‌কে ব‌ঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন আন্ধারমা‌রিক নদী‌র মোহনায় অবমুক্ত করা হ‌য়। ছবি: নিউজবাংলা
কলাপাড়া উপ‌জেলার জালালপুর গ্রা‌মে আন্ধারমা‌নিক নদী-সংলগ্ন জলাশ‌য়ে বোটলনোজ প্রজাতির একটি জীবিত ডলফিনটি পাওয়া যায়। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট।

কুয়াকাটা সৈক‌তে মৃত ডল‌ফিন ভে‌সে আসার পর এবার পটুয়াখালীর এক‌টি জলাশয় পাওয়া গেল জী‌বিত ডল‌ফিন।

কলাপাড়া উপ‌জেলার জালালপুর গ্রা‌মে আন্ধারমা‌নিক নদী-সংলগ্ন জলাশ‌য়ে বোটলনোজ প্রজাতির একটি জীবিত ডলফিনটি পাওয়া যায়। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট।

বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডল‌ফিন‌টি‌কে ব‌ঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন আন্ধারমা‌রিক নদী‌র মোহনায় অবমুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে নিশ্চিত ক‌রেন কলাপাড়া উপ‌জেলা জ্যেষ্ঠ মৎস‌্য কর্মকর্তা অনুপ কুমার সাহা।

এসময় ডলফিনটিকে এক নজর দেখতে জলাশ‌য়ের দুপা‌ড়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

মৎস‌্য কর্মকর্তা অনুপ কুমার সাহা জানান, শেষ বিকেলে আন্ধারমা‌নিক নদী থে‌কে ডল‌ফিন‌টি ভাসতে ভাসতে ওই জলাশ‌য়ে প্রবেশ ক‌রে। প‌রে খবর পে‌য়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিশ-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতির পরামর্শ অনুযায়ী ডলফিনটিকে উদ্ধার করে নিবিড় পর্যক্ষণে রেখে খাবার দিয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা হয়।

এক পর্যা‌য়ে স্থানীয় প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন অ্যানিম্যাল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্য ও মো. সুজন বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যা ৬টার দি‌কে ডলফিনটিকে অবমুক্ত করেন।

আল মুনজির বলেন, ‘জেলেদের জালে আটকে ডলফিনটি আহত হয়। আমাদের ধারণা, পরে পথভ্রষ্ট হয়ে এটি আন্ধারমানিক নদী হয়ে জলাশ‌য়ে ঢুকে পড়ে।’

এর আগে কখনও দক্ষিণাঞ্চলে জী‌বিত ডলফিন ভেসে আসার খবর পাওয়া যায়নি ব‌লে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
কুয়াকাটা সৈকতে অর্ধগলিত ডলফিন
হালদায় এক সপ্তাহে ৩ ডলফিনের মৃত্যুর কারণ কী
৭ দিনের ব্যবধানে হালদায় আরও দুটি মৃত ডলফিন
হালদার বুকে আরও একটি মৃত ডলফিন
এবার কুয়াকাটা সৈকতে ‘সদ্যোমৃত’ ডলফিন

মন্তব্য

রাজনীতি
Hard stone Vishnu idol recovered from the bottom of the pond in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে পুকুরের তলদেশ থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে পুকুরের তলদেশ থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর বেতকা গ্রামের এক পুকুর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মূর্তিটি উচ্চতায় ৩৭ ইঞ্চি ও প্রস্তে ১৭ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে পাঠানো হবে বলে টঙ্গীবাড়ি জানান ইউএনও আসলাম হোসাইন।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে পুকুরের তলদেশের মাটি খননকালে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর বেতকা গ্রামের সোহেল শেখের বাড়ির পুকুরের মাটি খননকালে ওই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইউএনও জানান, সকালে উত্তর বেতকা গ্রামের সোহেল শেখের একটি পুকুরের মাটি খনন করছিলেন শ্রমিকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবারক শেখ ও মিতুল হোসেন নামের দুই শ্রমিক মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে মূর্তিটি দেখতে পান। পরে তারা বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামান শিকদার রিগ্যানকে বিষয়টি জানান। এরপর ওই জনপ্রতিনিধি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউএনওকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।

মূর্তিটি উচ্চতায় ৩৭ ইঞ্চি ও প্রস্তে ১৭ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে পাঠানো হবে বলে জানান ইউএনও আসলাম হোসাইন।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

মন্তব্য

রাজনীতি
Buds on the mango bud

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার ছবি: নিউজবাংলা
বাগানের মালিক দুলাল হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমের বোঁটার মুখে আবার নতুন করে মুকুল আসতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আল্লাহ চাইলে সবই পারেন, এটি দেখে তাই প্রমাণ হলো আবার। এটি আমার কাছে আল্লাহর একটি নিদর্শন মনে হয়েছে।’

আম গাছে মুকুল আসে, সেই মুকুল থেকেই হয় আম। তবে ফরিদপুরের একটি আম বাগানে দেখা মিলেছে ভিন্ন চিত্র। আম গাছের ডালে নয় বরং গাছের আমের বোঁটার গোড়া থেকে বের হয়েছে অসংখ্য আমের মুকুল। আর সেই মুকুল থেকে এরইমধ্যে ধরেছে আমের গুটি।

এমন বিস্ময়কর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ফরিদপুরের ধলার মোড়ের কাছে একটি আম বাগানে। আর এ খবর জানতে পেরে তা দেখতে ছুটে আসছেন অনেকে।

পদ্মার পারে চরের খাঁ খাঁ বিরান জমিতে সবুজের দেখা পাওয়া ভার। চোখ মেললে চারদিকে শুধু ধু ধু বালির চর। এমনই এক পরিবেশে চার বছর আগে স্থানীয় যুবক দুলাল হোসেন রুবেল তার খামার বাড়িতে শখের বসে গড়ে তোলেন ফলজ বাগান। প্রায় শতাধিক আম গাছের সঙ্গে এখানে তিনি আরও বেশ কিছু ফলের চারা রোপন করেন। এরইমধ্যে তার এই আমবাগানের গাছগুলো বড় হয়ে ফলবতী হয়ে উঠেছে। এবার তার আমবাগানে ধরেছে প্রচুর আম। তবে সব আমের ভিড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে আমেরিকান রেড পালমার জাতের একটি আম গাছ। এই গাছের একটি আম বড় হওয়ার পরে সেই আমের বোটার মুখ থেকে নতুন করে বের হয়েছে আবার নতুন মুকুল।

বাগানের মালিক দুলাল হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমের বোঁটার মুখে আবার নতুন করে মুকুল আসতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আল্লাহ চাইলে সবই পারেন, এটি দেখে তাই প্রমাণ হলো আবার। এটি আমার কাছে আল্লাহর একটি নিদর্শন মনে হয়েছে।’

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

রুবেল বলেন, ‘চার বছর আগে রেড পালমার জাতের এই আম গাছটি আমি বৃক্ষমেলা থেকে কিনি। পরের বছরই ফল আসে। আর এবার এলো আম থেকে আসা এই অবাক করা আমের মুকুল।’

তিনি বলেন, ‘ধলার মোড়ের এই এলাকায় আগে আশেপাশে কোনো সবুজ ছিল না। এই জায়গটি ছিল ২০ ফুট গভীর। চার বছর লেগেছে আমার এই বাগানটি দাঁড় করাতে। এখন বাগানটি সবুজে ভরে গেছে। আমাদের এই ধলার মোড়ে আমার এই বাগানটি ছাড়া আশপাশে আর কোনো সবুজ চোখে পড়ে না।’

মূলতঃ পরিবেশের কথা বিবেচনা করেই ৬৯ শতাংশ জমির ওপর এই খামার বাড়ি গড়ে তোলেন বলে জানান রুবেল। বলেন, ‘সেখানে আম, কলা, লিচু, চালতা, সফেদাসহ নানা ফলমূলের গাছ লাগিয়েছি। এখানে রেড পালমার ছাড়াও মিয়াজাকি, বানানা ম্যাঙ্গো, দেশীয় হাড়িভাঙা, বারি ফোরসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৯০টি আম গাছ রয়েছে।

‘সামনের অংশে এবার ড্রাগন ফলের চাষ করছি। এছাড়া কবুতর ও খরগোশ পালছি। আগে কিছু গাড়ল ছিল, সেগুলো এখন চরে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

রুবেলের স্ত্রী সৈয়দা সানজিদা মিশু বলেন, ‘আমের বোঁটা থেকে এভাবে আবার আমের মুকুল ধরতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। মুকুল থেকে আবার নতুন করে আমের গুটিও এসেছে। এখন দেখার পালা, এই আমের গুটি কত বড় হতে পারে। যদি সেগুলো পরিপূর্ণ আম হয়ে উঠে তাহলে সেটি হবে আরেকটি বিস্ময়কর ব্যাপার।’

আমের বোঁটায় মুকুলের বাহার

জহুরুল আলম শোভন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘আমি এই আমের ওপর মুকুল ধরার খবর জেনে দেখতে এসেছি। এখন মনে হচ্ছে, আমি একটি বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলাম।’

সৈয়দ মোস্তফা আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বয়স ৭৬ বছর। আমার এই দীর্ঘজীবনে আমি ফলের গায়ে এভাবে মুকুল চোখে দেখিনি বা শুনিনি। গতকাল সন্ধ্যায় আমি খবরটি শুনতে পেয়ে নিজ চোখে দেখার জন্য এসেছি। আমের বোঁটার উপরে মুকুল ধরেছে, আবার সেই মুকুল থেকে ছোট ছোট আমের গুটি বের হচ্ছে। এটি আল্লাহরই একটা নেয়ামত।’

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক দেব নারায়ণ রায় বলেন, ‘উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয় এমব্রায়োজেনোসিস (embryogenesis), যাকে বাংলায় বলা হয় বহুভ্রুনিতা। এটি একটি ভ্রূণজনিত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভ্রূণের গঠন ও বিকাশ হয়। অনেকসময় অতিরিক্ত ফলনের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় হরমোন প্রয়োগ করা হলে এমনটি ঘটে থাকে।’

মন্তব্য

রাজনীতি
Crowded to see 35 gourds at one end

এক ডগায় ৩৫ লাউ দেখতে ভিড়

এক ডগায় ৩৫ লাউ দেখতে ভিড় ৩৫টি লাউ ধরেছে একটি ডগায়। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, এক ডগায় অসংখ্য লাউ ধরা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। বিভিন্ন কারণে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে।

কামাল হোসেন এবং লাভলী আকতার দম্পতির বাড়িতে লাউয়ের গাছে হঠাৎ করেই একটি গিঁট (গাছের শাখার সংযোগস্থল) থেকে অসংখ্য লাউয়ের ফুল বের হতে থাকে। সেই ফুল থেকে এক এক করে ধরেছে ৩৫টি লাউ। এ খবর পেয়ে অনেকেই এসে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন লাউ দেখতে।

জনপ্রিয় কিছু সবজির মধ্যে অন্যতম হলো লাউ। এ সবজি বেশ সহজলভ্য। পুষ্টিগুণে ভরা লাউ উপাদেয় খাবার। লাউ সাধারণত একটি ডগায় একটি হয়ে থাকে। তাই এক ডাগায় ৩৫টি লাউ ধরা কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক বিষয়।

ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের জোতনছর গ্রামে।

ওই দম্পতি জানান, তারা দুই মাস পূর্বে দেশি লাউগাছের বীজ এনে লাগিয়েছিলেন। বীজ থেকে চারটি গাছ বড় হয়ে মাচায় ওঠে। তিনটি গাছ স্বাভাবিক থাকলেও একটি গাছে হঠাৎ করেই একটি গিঁট থেকে অসংখ্য ফুল বের হতে থাকে। সেই ফুল থেকে ওই ডগায় ৩৫টি লাউ ধরেছে। লাউগুলো আস্তে আস্তে বড়ও হচ্ছে।

প্রতিবেশী বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘এক ডগায় ৩৫টি লাউ গুনে দেখেছি। এর আগে এমন দৃশ্য দেখিনি। গ্রামের উৎসুক অনেকেই লাউগাছটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, এক ডগায় অসংখ্য লাউ ধরা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। বিভিন্ন কারণে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে, তবে গাছটি না দেখে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।

আরও পড়ুন:
সড়ক বিভাজকে শাকসবজি চাষ
শীতকালীন আগাম সবজিতে অধিক দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের
কুমিল্লা থেকে বছরে ২৫ কোটি টাকার সবজির চারা ছড়ায় সারা দেশে
‘আকাশ ছুঁয়েছে’ সবজির দাম
‘সবজির দাম শুনলে চোখে পানি চলে আসে’

মন্তব্য

p
উপরে