হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক সহিংসতার পর কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। প্রথম দিকে হেফাজতের নিচের সারির কর্মীরা গ্রেপ্তার হলেও ধীরে ধীরে উপরের সারির নেতারাও গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
হেফাজতের উগ্রতা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলছেন, শীর্ষ পর্যায়ের আরও কয়েক নেতা নজরদারির মধ্যে আছেন, শিগগিরই তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন।
হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সবশেষ গত বুধবার গ্রেপ্তার হন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দুই সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি ও মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেফাজতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। হেফাজত নেতারা মুখে এক রকম বলছেন, কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে আরেক রকম। তাদের কথিত আন্দোলন আবার সহিংস রূপ ধারণ করছে। তারা নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এর সুযোগ নিচ্ছে জামাত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা। হেফাজতের আন্দোলনকে পুঁজি করে উগ্রবাদী জঙ্গিরাও ফায়দা নিচ্ছে।’
ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে গত ২৬ মার্চ সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালান হেফাজত কর্মীরা। এ সময় গুলিতে নিহত হন চারজন।
দুই দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার সময় দুই দিনে ১২ জন নিহত হন।
এরপর ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার পর হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালান।
ওই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা হেফাজতকে সতর্ক করে বক্তব্য রাখতে থাকেন।
অন্যদিকে, সাম্প্রতিক ঘটনার পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর তাণ্ডবের মামলাও আবার সচল করা হয়।
৫ মের মামলায় গত রোববার রাতে পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেপ্তার করে। এর এক দিন পরেই গ্রেপ্তার হন সহপ্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহ্। তাকেও শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
হেফাজতের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি বশির উল্লাহকে ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ হরতাল চলাকালে তাণ্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজত নেতা মামুনুল হককেও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটিয়া, হাটহাজারীকে এক শরও বেশি হেফাজত কর্মীকে গত কয়েক দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামার পর মারা যাওয়া হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ এনে করা মামলায় গত রোববার যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সেখানে হেফাজতের বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শাপলা চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শুধু ঢাকাতেই মামলা হয়েছিল ৫৩টি। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয় সেসব মামলায়। চারটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। আরও দুটি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির অপেক্ষায় আছে।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ডিএমপির মতিঝিল জোনে। মতিঝিল জোনের উপ পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, হেফাজতকে আর ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মামলার গ্রাউন্ড, মামলায় যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রতিটি বিষয় তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে যারা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে। অপরাধী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না।’
হেফাজতের বিরুদ্ধে পুরানো মামলাগুলো সচলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে কখনও অগ্রগতি হয় কখনও হয় না। আবার কিছু সময় আসে যখন এসব মামলাকে মনিটর করা হয় ও তরিৎগতিতে নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলাগুলো তদন্তাধীন ছিল, এখন সেগুলো পুনরায় বিবেচনার সময় এসেছে।’
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের তাণ্ডবের পর হেফাজতের বর্তমান আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তখন তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন, হেফাজত আর কখনও কোনো সহিংস আন্দোলন করবে না।
‘আরও কিছু বিষয়ে তারা নমনীয় হয়েছিল বলেই তখন তাদের ছাড় দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তাদের কথা রাখেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এখন কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে।’
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, হেফাজতকে নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে গত ৭ এপ্রিল সরকারের পক্ষ থেকে আইশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পরিষ্কার নির্দেশনা এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলেও হেফাজত দমনে মাঠপর্যায়ের অভিযানে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র্যাবকে নেতৃত্ব দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক অভিযানগুলোতেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামে জামাত-শিবির ও উগ্রপন্থীদের দুটি আলাদা গ্রুপ আছে। ওই দুটি গ্রুপের হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়া হেফাজতের কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয় না। আমরা ইতিমধ্যেই ওই দুই গ্রুপের নেতাদের তালিকা তৈরি করেছি। এখন যারা গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই তালিকা মিলিয়ে নেয়া হচ্ছে।’
সরকারের কঠোর অবস্থানের মুখে হেফাজতে ভাঙনের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। গেল ১৩ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হেফজতের নায়েবে আমির পদ থেকে সরে দাঁড়ান বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান। হেফাজতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবকেই পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক আজ মঙ্গলবার নগর ভবনে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে কর্পোরেশনের পক্ষে কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের পক্ষে ঢাকা সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক জনাব হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এলাকার বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ, শব্দদূষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ তথা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ল্যান্ডস্কেপ উন্নয়ন ও জলাবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমণে বনায়ন ও সবুজায়নসহ সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জায়গায় কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগর বনায়ন কার্যক্রমে বন অধিদপ্তর কারিগরী পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া, বন অধিদপ্তর বনায়ন পরিচালনা ও তদারকি ম্যানুয়াল প্রস্তুত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে সরবরাহ করবে। চুক্তি আনুযায়ী বনায়ন পরবর্তী পরিচর্যা ও সুরক্ষায় স্থানীয় কমিঊনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৮১.১০ কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৩৫ টি মিডিয়ানের মধ্যে প্রায় ১৬. কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ০৬ টি মিডিয়ানে ঘাস ও গাছ রোপণ করা হবে।
স্মারক স্বাক্ষর আনুস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, “১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন ও জনসংখ্যার চাপে আজ ঢাকা শহর থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে গিয়েছে। আমরা যদি এখনই কার্যকর ববস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে।” ঢাকা শহরকে বাঁচাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিকল্পিত বনায়ন ও সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন আগামী অর্থবছরে বৃক্ষরোপন খাতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া, আজকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য তিনি বন অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের সামাজিক বনায়ন শাখার উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ড. মোঃ জগলুল হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পুলিশের ওসি সেজে ইলেকট্রনিক্স শো-রুম থেকে পণ্য আত্মসাতের ঘটনায় এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রতারক চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপে আনোয়ারা থানার ওসির পোশাক পরা ছবি ব্যবহার করে নিজেকে থানার ওসি পরিচয় দিয়ে উপজেলার বটতলী ও বন্দর সেন্টার মহালখাঁন বাজারের দুটি ইলেকট্রনিক্স দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা দুটি স্মার্ট টিভি, একটি ফ্রিজ ও দুটি ফ্যান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং টাকা বিকাশে পাঠানো হবে অথবা লোক মারফত পরিশোধ করা হবে বলে জানায়।
এরপর গত ২৭ জুন মালামাল পিকআপে তুলে নেওয়ার পর চক্রটি টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীরা তখন আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ার দিঘীর পাড় এলাকার একটি কলোনিতে অভিযান চালিয়ে মো. সুমন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে। তিনি মৃত মো. করিমের ছেলে।
আটকের সময় সুমনের বাসা থেকে একটি ফ্রিজ ও একটি ফ্যান উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পটিয়া এলাকা থেকে একটি স্মার্ট টিভিও উদ্ধার করে পুলিশ।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "ওসি সেজে প্রতারণার ঘটনায় একজনকে আটক এবং তিনটি মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক অন্য প্রতারককে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।"
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৮ হাজার জন নিয়োগের লক্ষ্যে আজ থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রার্থীদের অবশ্যই এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৪ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
গত ২৭ জুন বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন করতে হবে পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে https://pcc.police.gov.bd ।
আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে এবং প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
শারীরিক যোগ্যতা: মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।
মেধা ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।
আবেদন ফি: ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। সেই আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।
আবেদন করার সময়কাল ১ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ২৪ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী জেলাগুলো হতে কনস্টেবল পদে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করা হবে।
মাগুরা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, নাটোর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, নরসিংদী, মেহেরপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও খুলনা জেলায় শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ২৩ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায় নেওয়া হবে ।
সাচিপুর, নওগাঁ, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নেত্রকোণা, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১৩, ১৪ ও ১৭ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ২৫ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায় হবে।
রাজবাড়ী, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, মেহেরপুর, মাটিরাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, শেরপুর, ভোলা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠি, বান্দরবান, নড়াইল, পাবনা ও বরগুনা শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা হবে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়।
শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, চাঁদপুর, ঠাকুরগাঁও, পাবনা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, পিরোজপুর ও চুয়াডাঙ্গা শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ২০, ২১ ও ২২ আগস্ট, সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায়; এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে জবাবদিহিতা, সমন্বয় ও তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পয়:নিষ্কাশন ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প হিসেবে উন্নত প্রযুক্তির মতো নিরাপদ ও ব্যবহারিক সমাধান গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
১ জুলাই বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে শিক্ষা, সামাজিক খাত ও তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে রানা ফ্লাওয়ার্স শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব—যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাহত হওয়া—উল্লেখ করে বলেন, ইউনিসেফ তরুণদের জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভার পরিসর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন এবং নিয়মিতভাবে তরুণদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পরিবেশ সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের পরিবেশবান্ধব বার্তা স্থান পাবে। উপদেষ্টা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
বৈঠকে ইউনিসেফ ও মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরিবেশ শিক্ষাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু উদ্যোগ পরিচালনার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। পরিকল্পনায় পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জরুরি প্রস্তুতির কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব ওয়াশ পিটার জর্জ এল. ম্যাস, চিফ অব ফিল্ড সার্ভিসেস ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া এবং প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (জলবায়ু) ভ্যালেন্টিনা স্পিনেডি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ উভয় পক্ষই জলবায়ুবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ও দেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে।
রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নয় বছর পূর্ণ হল আজ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় একদল সশস্ত্র জঙ্গি। সেখানে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক।
অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার সময় বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন খান এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নব্য জেএমবির’ সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্ট গত ১৭ জুন প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ এর ১ উপধারা (ক) (আ) দফায় বর্ণিত অপরাধে তারা দোষী। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক উপলব্ধি না করে আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যে কারণে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’
এই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যের পর্যালোচনা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে গণ্য করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দণ্ডিতদের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।
এছাড়া হাইকোর্টেন রায়ে বলা হয়, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’
কি ঘটেছিল সেদিন?
২০১৬ সালের ১ জুলাই, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। ‘নব্য জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।
পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস হামলার ঘটনা।
সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘নব্য জেএমবি’র আরো আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।
সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।
মন্তব্য