বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে চিকিৎসকদের নমুনা সংগ্রহের পর তার করোনা পরীক্ষার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তা নাকচ করেছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার বিকালে বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. মামুন রহমান এই বাসায় যাওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার সংবাদ প্রচার হয়।
এতে বলা হয়, ডা. মামুন ওই বাসায় যাওয়ার আগে ল্যাবএইড হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট মো. সবুজ বিএনপি নেত্রীর করোনা পরীক্ষার নমুনা নেন।
তবে চিকিৎসক মামুন রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান নিউজবাংলাকে বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া আর কেউ বাসায় যাননি।
শায়রুল কবীর খান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। এ সময় তার ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নেয়া হয়।’
চিকিৎসক মামুন বলেন, ‘ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কিছু নয়।’
তিনি বলেন, বেগম জিয়া অসুস্থ। প্রায় নিয়মিতই ওনাকে অবজারভেশনে রাখতে হয় এবং বিভিন্ন চেকআপ করতে হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বিকালে ওনার বাসায় গিয়েছিলাম।’
২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর বিএনপি নেত্রী কারাগারে যান। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
হাঁটু প্রতিষ্ঠাপন করা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিক ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।
আরও পড়ুন:ভোলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজ ছেলের হাতে খুন হয়েছেন দারুল হাদীস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। বাবাকে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে রেদোয়ানকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গেম ও মোবাইলে আসক্ত রেদোয়ানকে প্রায়ই শাসন করতেন নোমানী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে ইন্টারনেটে ‘সাইকো’ ধরনের সিনেমা দেখে হত্যার কৌশল শেখে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে একটি ছুরি অর্ডার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ শেষে ঘরে ফেরার পর বাবাকে ছুরিকাঘাত করে রেদোয়ান। এ সময় নোমানী জীবন ভিক্ষা চাইলেও ছেলে থেমে যায়নি। মুভির কৌশল নকল করে পেটে ও ঘাড়ে আঘাত করে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায় সে। হত্যার পর আলামত নষ্ট করতে ছুরিটি পাশের খালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার হওয়া আলামতের সূত্র ধরে পুলিশ রেদোয়ানকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেদোয়ান জানায়, বাবার শাসন-শোষণের আক্রোশ থেকেই সে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার জন্য আগে থেকেই কালো পোশাক ও ক্যাপ জোগাড় করে রাখে। ঘটনার দিন রাতেই মামার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, গেল ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভোলার চরনোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি টি-শার্ট, মাস্ক ও ঘড়ি উদ্ধার করে। এসব আলামতের ভিত্তিতেই রেদোয়ানকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাব্বি হোসেন নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে।
রাব্বি হোসেন গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র।
ভবানিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ রবিবার সকালের দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাব্বি হোসেনের মামা আব্দুস সালাম জানান৷ সকালের দিকে নিজ ঘরের দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয় রাব্বি।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে র্যাবের অভিযানে ৯৬ গ্রাম হেরোইনসহ মোস্তফা হাওলাদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব-১০।
গ্রেফতারকৃত মোস্তফা হাওলাদার (৪৫) বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মোবারক হাওলাদারের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৬ গ্রাম হেরোইন ও ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, মোস্তফা হাওলাদার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জেলার সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ কাজল (৩৫) এবং আবির আহম্মেদ (২৭) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বৈখর এলাকা থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত কাজল সদর উপজেলার বৈখর গ্রামের আবু তালেব শিকদারের পুত্র এবং আবির আহম্মেদ নয়াকান্দি গ্রামের শাহীন মাঝির পুত্র।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম সাইফুল আলম জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় সদর উপজেলার বৈখর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ মাদক ক্রয় বিক্রির সাথে জড়িত কাজল এবং আবির আহম্মেদকে ১৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় তারা এসব ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করতো।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কাজলের নামে মাদক আইনে আগে থেকেই মামলা আছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ ছুটি পাবেন তারা।
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১ অক্টোবর (বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। আর ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাধারণ ছুটি।
পরের দুদিন ৩ ও ৪ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে সরকারি কর্মচারীদের।
উল্লেখ্য, সাধারণত সরকারি কর্মচারীদের ঈদে তিন দিন করে ও দুর্গাপূজায় একদিন ছুটি থাকে। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে তা বাড়ানো হয়েছিল।
তবে ২০২৫ সালের দুই ঈদ মিলিয়ে মোট ১১ দিন ছুটি এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। সে অনুযায়ী ছুটির তালিকা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ১১ বছরে দেশে সড়কে ৬২ হাজার ৬১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন।
গতকাল শনিবার যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, শুধু ঢাকায় প্রতিদিন যানজটে নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি অপচয় ১১ হাজার কোটি টাকা, আর যানজটের কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই সড়কে প্রতি বছর হাজারও প্রাণহানি রোধ ও ভয়াবহ যানজট নিরসনে নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নত গণপরিবহন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত এক দশকের বেশি সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজট ও দূষণে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামো মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিবহন খাতে দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত ১১ বছরে দেশে সড়কে ৬২ হাজার ৬১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন। শুধু ঢাকায় প্রতিদিন যানজটে নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা, জ্বালানি অপচয় ১১ হাজার কোটি টাকা, আর যানজটের কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির এই মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ যানজট শুধু সময় ও অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না; নাগরিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বিপন্ন করছে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা রোগ বাড়ছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ ও পারিবারিক অশান্তি দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে এবং টিনএজদের বিপথগামিতার অন্যতম কারণও যানজট ও বেকারত্ব।
দেশের অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই জানিয়ে আলোচনা সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরিফ রফিকুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সহীন ও মাদকাসক্ত চালকরা যাতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করে সড়ক সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না।
রফিকুজ্জামান আরও বলেন, বাসভাড়ার সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে ইন্স্যুরেন্সের টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা কোনোদিন এই সুবিধা পান না। ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা আদায়ে যাত্রীসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।
গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক খান বলেন, তারা চান, যাত্রী কল্যাণ সমিতি শক্তিশালী হয়ে সব সিদ্ধান্ত প্রণয়নে অংশগ্রহণ করবে, যাতে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়। কোনো দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের পক্ষের কথা তারা বলতে চান। তাদের লক্ষ্য হলো- যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, সৎ ও ন্যায়সংগতভাবে দাবি পূরণ করা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রয়, যাত্রীকল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার। প্রতি তিনজন বেকারের একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। আর দুই বছরের বেশি বেকার এমন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী সবচেয়ে বেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪–এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি এবং বেশ সময় ধরে বেকার থাকার প্রবণতা দেখা গেছে।
দেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার বসে আছেন। তারা একেবারে চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা পছন্দমতো চাকরি পাচ্ছেন না। মেস করে থাকেন, মানবেতর জীবনযাপন করেন, আর একটি সম্মানজনক চাকরির জন্য দিন গোনেন। মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে যারা পরিবারের সঙ্গে থাকেন, নানা টানাপোড়েন তাদের অসহায় করে তোলে, মানসিক চাপে থাকেন সবসময়।
গত বছর শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেওয়ার পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। মূলত চাকরি পাওয়া নিয়ে হতাশা থেকেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ওই আন্দোলন গড়ে তোলেন।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশের চলমান সংস্কার আলোচনায় রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারকেও প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বিশেষ তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে কী কী করা উচিত, আলোচনায় থাকা দরকার।
প্রতি ৩ জনে ১ জন বেকার উচ্চশিক্ষিত
বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে এখন বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৫ হাজার।
সার্বিকভাবে কয়েক বছর ধরে দেশে বেকারের মোট সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত। কিন্তু খারাপ খবর হলো, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে এখন প্রতি তিনজন বেকারের মধ্য একজন উচ্চশিক্ষিত। তারা বিএ কিংবা এমএ ডিগ্রি নিয়েও শোভন চাকরি পাচ্ছেন না।
২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, ওই বছর চার লাখের মতো স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার ছিলেন। আট বছর পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ লাখ। এর মানে আট বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষিত বেকার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
উচ্চশিক্ষিত তরুণেরা বেশি দিন বেকার থাকেন
১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই বয়সসীমার মধ্যে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ২ বছরের বেশি সময় ধরে বেকার থাকেন ১৭ শতাংশের বেশি তরুণ বেকার। এই হার অন্য ডিগ্রিধারীর চেয়ে বেশি। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২ বছরের বেশি সময় বেকার থাকেন ৮ শতাংশের বেশি বেকার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন তরুণদের মধ্যে বেকারের হার ১ শতাংশের মতো।
মন্তব্য