প্রায়শ সভা সমাবেশ বা ধর্মীয় আলোচনায় ৯০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বের কথা বলে উত্তেজক বক্তব্য রাখা ধর্মীয় দলগুলো ভোটের মাঠে একেবারেই দুর্বল।
জাতীয় নির্বাচনগুলোতে জোটের প্রার্থী হিসেবে বড় দলের সমর্থনে কখনও কখনও জিতে আসলেও একক শক্তিতে জয়ের উদাহরণ নেই বললেই চলে। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও যে তারা ভালো করে এমন নয়।
গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে নয়টিতে প্রার্থী ছিল ইসলামী আন্দোলনের। এর মধ্যে বরিশালের একটি পৌরসভায় বহু ব্যবধানে দ্বিতীয় হলেও বাকি কোনোটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেননি কেউ।
আর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর প্রার্থী পাওয়া গেছে একটিতে। জামানত হারিয়েছেন তিনিও। বাকি দলগুলোর প্রার্থীই ছিল না।
আগামী ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যে ৬১ পৌরসভায় ভোট হচ্ছে, সেখানেও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে কেবল ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে। তাও অর্ধেকের কম, ২৯টি পৌরসভায় আছে হাতপাখার প্রার্থী।
ভোটের মাঠে দুর্বল হলেও ইদানীং প্রায়ই ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র চরিত্র পাল্টে দেয়ার কথা বলছেন নেতারা। হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফতে মজলিসের নেতা মামুনুল হক সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে এমনও বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে তারা সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলবেন। কিন্তু তারা ভোটে ক্ষমতায় আসার মতো শক্তি অর্জন করতে পারবেন, এমন বিশ্বাস নেই খোদ দলটির নেতাদের মধ্যেই।
বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটি এখন দলীয় প্রতীকে ভোটের অধিকার হারিয়েছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায়।
নিবন্ধিত ১২টি দলের মধ্যে এই মুহূর্তে ভোটে ভালো করছে ইসলামী আন্দোলন, যদিও তারা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে আসার ক্ষেত্রে অনেক দূরে।
বাকি ১১টি দলের মধ্যে চারটি আছে আওয়ামী লীগের জোটে। পাঁচটি দল আছে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটে, যদিও এক সময় তারা নারী নেতৃত্বকে হারাম বলত।
দুটি দল ২০ দল থেকে বেরিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে চারটি কোনো জোটে নেই।
ধর্মভিত্তিক সবচেয়ে প্রাচীন দুই দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাকিদের অবস্থাও একই রকম।
পৌর নির্বাচনে কেমন ভোট পড়ল?
গত ২৮ ডিসেম্বরের পৌর নির্বাচনে দলের নয় জন প্রার্থীর মধ্যে একজন সাড়ে চার হাজারের মতো ভোট পেয়েছেন। বাকিদের বাক্সে পড়েছে নগণ্য সংখ্যক ভোট।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রার্থী হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১৪৩ ভোট। রংপুরের বদরগঞ্জ সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ৩২৭ ভোট, কুড়িগ্রামে আব্দুল মজিদ পেয়েছেন চার হাজার ৮৫, সিরাজগঞ্জের জেলার শাহজাদপুরে খন্দকার ইমরান হোসেন পান এক হাজার ৮৭ ভোট পান।
দলটির ঘাঁটি বরিশালের উজিরপুরে কাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভোট পান ৬১০ ও বাকেরগঞ্জে মাওলানা খলিলুর রহমান পান দুই হাজার ৪১১ ভোট। তিনি এই পৌরসভায় দ্বিতীয় হয়েছেন।
ঢাকার ধামরাইয়ে শওকত আলী পান ২৭২ ভোট, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নূরুল ইসলাম পান ৫৭০ ভোট।
সবচেয়ে বেশি ভোট পান চুয়াডাঙ্গার তুষার ইমরান সরকার। তার বাক্সে পড়ে চার হাজার ৫৯৭ ভোট।
ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম নিউজবাংলাকে জানান, তারা ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ৬১ পৌরসভার মধ্যে ২৯ জন ও তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি ৬৪ পৌরসভায় ৩৩ জন প্রার্থী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আশাবাদী বলেই তো আমরা প্রার্থী দিয়েছি। এখন মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পরিবর্তন চায়। আমরা মনে করছি মানুষ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করবে।
‘আমরা তো মনে করি আমরা যেহেতু ইসলামী দলের মধ্যে একমাত্র প্রার্থী দিয়েছি। শুধুমাত্র আমাদের শক্তি দিয়ে নয়, মুসলমানদের ভোট আমরা পাব।’
কিন্তু আপনারা যেভাবে বলেন, সেভাবে ভোট তো পান না- এমন প্রশ্নে এই নেতা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনেও কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের বল প্রয়োগ করে হুমকি দেয়া হয়েছে।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভায় প্রার্থী দিয়ে আলোচনাতে আসতে পারেনি। দলের প্রার্থী লোকমান আহমদ ৪৩৩ ভোট পেয়েছেন। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিচ্ছি। এ বিষয়ে আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আছে। তবে কয়টিতে প্রার্থী দেয়া হয়েছে আমি বলতে পারছি না।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর একাংশের নেতা মুফতি ওয়াক্কাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পৌর নির্বাচনে প্রার্থী দেইনি।’
কী কারণে দেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব দল তো পৌর নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। আমরাও তাই দেইনি।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে আলোচনায় আসা হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের রাজনৈতিক দল খেলাফত মজলিস কোনো পৌরসভায় প্রার্থী দেয়নি।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত যে, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন করব না।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ নেই। এ কারণে আমরা প্রার্থী দেইনি।
২০ দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে খেলাফত মজলিস। দলটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পৌরসভা নির্বাচন বয়কট করছি এমন ঘোষণা দেইনি। তবে মেয়র পদে প্রার্থী দেইনি। কিন্তু অন্য পদে আমাদের প্রার্থী রয়েছে।‘
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন লোক রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা এমন আশঙ্কা রয়েছে।’
তাহলে মেয়র বাদে অন্য পদে কেন নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রার্থী নাই বিষয়টি এমন নয়।’
আওয়ামী লীগের সমর্থনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের এক জন সংসদ সদস্য রয়েছে। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি তারাও।
চলমান পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে দলটির সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী নিউজবাংলাকে জানান, ‘পৌরসভা নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছি। মেয়র হিসেবে আমরা কোন প্রার্থী দেইনি।’
তিনি বলেন, ‘এই মূহুর্তে তরিকত ফেডারেশ মনে করে ১৪ দলকে শক্তিশালী করা দরকার।’
গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নেয় জাকের পার্টি। দলটির একটি সমর্থক গোষ্ঠী থাকলেও ভোটের মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারে নি দলটি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৯০টি আসনে প্রার্থী দেয় জাকের পার্টি। কিন্তু কেউ বলার মতো ভোট পায়নি।
গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে কতটুকু সন্তুষ্ট- জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব এজাজুর রসুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের আসন পাইতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আমাদের কেউ যদি আসন না পায় আমাদের তাতে দুঃখ নেই।’
দলের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে, এমন দাবিও করেন এই নেতা।
তাহলে ভোটে প্রতিফলন নেই কেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট পাইল কি না, সেটা আমাদের হিসাব না। আমাদের উদ্দেশ্য হইলো নির্বাচনী প্রসেসকে সংহত করা।’
জাতীয় নির্বাচনে বড় দলের সমর্থন পেতে তোড়জোর
২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে জোট করে ইসলামী ঐক্যজোট চারটি আসনে জয়ের পর থেকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো বড় দুই দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নানা চেষ্টা করে আসছে।
দলগুলো এমন সব সংখ্যায় আসন দাবি করে, তা নিয়ে তাদের শরিকরা নানা সময় বিরক্তিও প্রকাশ করেছে।
২০০৭ সালের বাতিল হওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জোটে যোগ দিয়ে খেলাফত মজলিস ছয়টি আসন চেয়েছিল।
গত নির্বাচনে বিএনপির কাছে ২০টির বেশি আসন দাবি করে জামায়াত ছাড়া ধর্মভিত্তিক বাকি দলগুলো।
আওয়ামী লীগের কাছেও ২০টির বেশি আসন দাবি করে তার ধর্মভিত্তিক দলের শরিকরা।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনকে প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আহত আলী হোসেন বলেন, ‘কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর নির্দেশে সাইদুল, মুহিব, সোহেলদের নেতৃত্বে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। এ সময় আমাকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়।’
ভাইরাল হওয়া অপর এক ভিডিওতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করার দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনসহ আরও তিনজন ঘোড়া প্রতীক চেয়েছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন বিষয়টি নিয়ে অনেক হট্টগোল হয়। একাধিক প্রার্থী হওয়ায় লটারির মাধ্যমে আলী হোসেন ঘোড়া প্রতীক পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর নির্দেশে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, হামলার এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার সকালে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’
তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।
গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফর বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ পর্যালোচনার সুযোগ তৈরি করবে।
সফরকালে হাছান বলেন, আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়টি ঢাকা জোরালোভাবে উত্থাপন করবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রতি তার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করবে।
তিনি বলেন, যেহেতু থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার উভয়ই আসিয়ানভুক্ত, তাই রোহিঙ্গা ইস্যুটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
হাছান বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সফরে বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট কর্মসূচি প্রচারের পাশাপাশি ভ্রমণ ও অবকাশ শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা বিনিময় করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতা উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন স্বাগত জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন, নথিতে স্বাক্ষরে উপস্থিত থাকবেন, একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং এরপর সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০ তম অধিবেশনে যোগদান করবেন এবং সেখানে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮০তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২৩ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের ‘অবিচার ও নৃশংসতা’ ফাঁস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধাসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিবেদনে গুম, গুপ্তহত্যা ও নির্যাতনসহ বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়েছে।’
অবিচার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্যমান ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির আসল রূপ তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবার্ট এস গিলক্রিস্ট মানবাধিকার প্রতিবেদনটি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
‘গিলক্রিস্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কারসাজির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দেয়া হয়েছে আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছিল মাত্র চারটি মামলা।
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা প্রত্যাহার করিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেকবার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এবার তা যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টেই উঠে এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার খালেদা জিয়া। এবার গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা তুলে ধরেছে।’
সোমবার ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন (এইচআরআর) প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। একে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি ‘বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ’ রেকর্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
১৯৮টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি (এইচআরআর) তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অংশে বলা হয়, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেক খবর পাওয়া গেছে।’
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করতে ও শাস্তি দিতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিপীড়ন, নৃশংসতা, গুম, খুনসহ নানা অপকর্মের কথা বলে আসছে।
‘এখন আর লুকানোর কিছু নেই। শেখ হাসিনার সরকারের অবিচার, রক্তপাত ও নানা অপকর্মের ঘটনা ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বেরিয়ে আসছে। গোটা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।’
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৭ মে। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে ও আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে।
এই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। এর মধ্যে দুটি উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচনে ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে এবং বাছাই ১২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে ও প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ৫ জুন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।
তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসির তথ্য অনুযায়ী বালিয়াডাঙ্গি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়ায় (পাবনা) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন পড়বে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এসব পদে একক প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে দেড়শ’ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।
মন্তব্য