× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
নেতার ফ্ল্যাটে আ লীগ
google_news print-icon

নেতার ফ্ল্যাটে আ. লীগ

নেতার-ফ্ল্যাটে-আ-লীগ
লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাড়ি। তার দাবি, এটিই দলীয় কার্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা
লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় না থাকায় দল পরিচালনায় নানা সমস্যা। জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজের বাসার কক্ষকে দলীয় কার্যালয় দাবি করছেন।

লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় নেই, দল পরিচালনা করা হয় দুই নেতার আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে।

মাদাম ব্রিজ এলাকায় দলের জেলা শাখার সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর বাসায় একটি ব্যক্তিগত অফিস আছে। তার দাবি, সেটিই দলের কার্যালয়।

সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন একজন আইনজীবী। তার বাসা বাঞ্ছানগর এলাকায়। সেখানেই তার ব্যক্তিগত চেম্বার। তিনি দাবি করেছেন, এটিই দলীয় কার্যালয়।

লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের এই দৈন্যদশা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই আছে নানা জিজ্ঞাসা।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই। আমরা কোথাও বসে যে পরামর্শ করব, তার উপায় নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সবার মত নয়, কয়েকজনের মতেই চলছে দল।’

নেতার ফ্ল্যাটে আ. লীগ
মাদাম ব্রিজ এলাকায় লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর বাসা। ছবি: নিউজবাংলা

কার্যালয় না থাকায় বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা হয়েছে বাঞ্ছানগরের কুটুমবাড়ী রেস্টুরেন্টে। এতে যোগ দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান।

এ সময় দলীয় কার্যালয় না থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা তোলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে জেলা কমিটির সভাপতি বলেন, সাবেক সভাপতি এম এ আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে অফিস নেয়া যায়নি।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিতে দল ’গতিহীন’

চট্টগ্রাম বিভাগের এই জেলাটিতে আওয়ামী লীগ তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় দুর্বল বলেই নানা সময় দেখা গেছে। গত দুটি সংসদ নির্বাচনের আগে এমনকি ২০০৯ সালে যখন সারাদেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার, তখনও জেলায় একটি আসনও পায়নি দল।

অবশ্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব কটি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন জোট, যদিও বিএনপির দাবি, ব্যাপক কারচুপি হয়েছে সেখানে।

টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে জেলায় বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে জনপ্রিয়তা বাড়ার দাবি করছেন নেতারা। তবে সংগঠনের কর্মকাণ্ডে যে গতি আসেনি, তার নানা উদাহরণ আছে।

বর্তমানে যে কমিটি রয়েছে, সেটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। পদ ধরে রাখতে মরিয়া এক পক্ষ, আবার যারা কমিটিতে আসতে চান, তারা উপায় না পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।

২০১৫ সালের ৩ মার্চ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে গোলাম ফারুক পিংকুকে সভাপতি ও নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে পৌনে তিন বছর আগে। কিন্তু নতুন কমিটি গঠন হয়নি।

উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিরও একই দশা।

২০০৪ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর কমিটি, ২০০৫ সালে রামগঞ্জ পৌর কমিটি, ২০১২ সালে রায়পুর পৌর কমিটি এবং ২০১৩ সালে রামগতি পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়েছিল। মেয়াদ শেষ হলেও শাখা কমিটিগুলো পুনর্গঠন করা হয়নি।

২০১৪ সালে চন্দ্রগঞ্জ থানা গঠিত হয়। রীতি অনুযায়ী ২০১৭ সালে করার কথা ছিল আরেকটি কমিটি। কিন্তু সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি।

প্রায় ১৮ বছর ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে রায়পুর ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ। ২০০৩ সালের পর এই দুটি শাখায় আর সম্মেলন হয়নি।

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরি দুলাল ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাওলা চৌধুরীসহ প্রায় ৩৮ জন মারা গেছেন। তার পরেও কেউ উদ্যোগী হয়নি।

মেয়াদ নেই লক্ষ্মীপুর সদর ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, কমিটি না থাকায় ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পদপদবি বণ্টন ও কমিটি বহাল রাখা নিয়ে তারা নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ বলেন, ‘নেতারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চালাচ্ছেন দলীয় কার্যক্রম। এতে করে ত্যাগী সাবেক ছাত্রনেতাদের বেশিরভাগই পদবঞ্চিত রয়ে গেছে। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন দিনদিন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মাস্টার বলেন, ‘সুদিনেও দল গোছাতে ব্যর্থ হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির কর্ণধাররা। উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি তারা। যদি তারা দল ও জেলার প্রতি আন্তরিক হতেন, তাহলে এমন বেহাল দশা হতো না।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিটে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বহাল, পদপদবি ও নমিনেশন বাণিজ্যের বিষয়টি একটি অপপ্রচার।’

আরও পড়ুন:
বগুড়া আ. লীগের কমিটি অনুমোদন
ঢাকা মহানগর উত্তর আ. লীগের ৯২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
৭ উপজেলা ৫ পৌরসভায় আ. লীগের প্রার্থী ঘোষণা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

রাজনীতি
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

রাজনীতি
Jamaats human chain in Sherpur demanding five points including election in PR system 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম গেইটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাও: হাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক নায়েবে আমির মাও: আব্দুল বাতেনসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারা জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

রাজনীতি
Zoom meetings with Hasina are being trapped

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মিটিং এ যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে দেখা গেছে হাসিনাকে।

এদিকে ২০২৪ সালের শেষভাগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত একটি জুম বৈঠককে কেন্দ্র করে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালে ১৯ ডিসেম্বর ওই ভার্চুয়াল সভায় দেশ ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

সিআইডির ফরেনসিক ও গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সভায় অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন বৈধ সরকার উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়ার পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দেন।

এই তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে, ২০২৫ সালের ৪ মার্চ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত ও অভিযোগ দায়েরের অনুমতি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ রমনা থানায় সিআর মামলা নং-২২২/২০২৫ দাখিল হয়, যার ধারাগুলো- বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক)।

পাঁচ মাসেই সিআইডির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচার শুরু হচ্ছে। আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত তিনটি প্রধান এজেন্ডা- সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সম্পর্কিত ধারায় (১২১/১২১ক/১২৪ক) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সংস্থাটি। এ মামলার বিচারকার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১৮, ঢাকায় মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিদের অধিকাংশ অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ প্রদান করেন।

ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশে থাকা সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করে বিভিন্ন জেলা কারাগারে থাকা ৯১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।

গতকালকের শুনানিতে প্রধান আসামিসহ অধিকাংশ অভিযুক্ত আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য সমন ও গণবিজ্ঞপ্তি’ জারি করার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে আসামিদের হাজির হতে আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অনুপস্থিত থাকলে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫১২ ধারার আওতায় অনুপস্থিতিতেই বিচার পরিচালনা করা হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন—রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এজেন্ডার বাস্তব প্রতিফলন, তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার দৃঢ় সঙ্কেতও।

মন্তব্য

রাজনীতি
Tareq Rahmans public relations with Tareq Munshi

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। এ সময় তিনি খলিলপুর বাজার, নূরপুর, ফতেহাবাদ মোকামবাড়ি ও ফতেহাবাদ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এছাড়া খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি হলো জাতির পুনর্জাগরণের নকশা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি পরিবর্তন ও আশার প্রতীক। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহফুজ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম পাঠান, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পূর্ব বিএনপির সভাপতি শাকিল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম শাখার সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব দৌলত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইমরান হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা।

মন্তব্য

রাজনীতি
NCP Sargis Alam can choose from alliance

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

এ সময় তিনি বলেন, এনসিপির শাপলা প্রতীকে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তাই আমরা শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি যেকোনো এলায়েন্সেও যেতে পারে। তবে এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

গত সোমবার রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতা ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করা। আগামীর রাজনীতির লড়াইয়ের জন্য, গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণের জন্য, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সাংগঠনিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় সমন্বয় সভা করছে এনসিপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি কখনো এককভাবে সরকার গঠন করেনি, আবার জামায়াতও কখনো বড় পরিসরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। সে জায়গা থেকে আগামী নির্বাচনে কারা সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। এজন্য আমরা সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে সমন্বয় সভা করছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।

শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজনীতি
NCP is thinking of alliance with outside of Indian domination Sargis Alam 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে। আজ রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এনসিপি’র শাপলা প্রতীকে আইনগত কোন বাঁধা নেই, তাই শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি যেকোন এলায়েন্সে যেতে পারে, তবে সেটা এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

সারজিস আলম বলেন, এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর চায়, নিম্নকক্ষে পিআর চায় না। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এবং উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেখতে পারি কতটুকু কাজ হলো। একইসাথে এটা দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হয় কি না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়াসহ অনেকেই।

মন্তব্য

p
উপরে