× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজনীতি
খালেদার চেয়ে গরিব কেউ নেই
google_news print-icon

খালেদার চেয়ে ‘গরিব কেউ নেই’

খালেদার-চেয়ে-গরিব-কেউ-নেই
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপকার হলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু তার আজকে কিছুই নাই। তিনি কিছু রেখে যান নাই। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরিব কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই নোটিশ দেয় ভাড়া পরিশোধ করার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘গরিব’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দাবি করেছেন, তার নেত্রী এখন বাসা ভাড়াও পরিশোধ করতে পারেন না। তাই বাড়িওয়ালা নোটিশ দেয়।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার পরিবারের জন্য কিছুই রেখে যাননি দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, নিজের বাড়ি নেই বলে তাদের নেত্রীকে এখন অন্যের বাড়িতে থাকতে হয়।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের এক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছিলেন গয়েশ্বর। পুরান ঢাকার বংশালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে করা স্কুলের নাম পাল্টানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপকার হলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু তার আজকে কিছুই নাই। তিনি কিছু রেখে যান নাই। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরিব কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নেই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই নোটিশ দেয় ভাড়া পরিশোধ করার।’

বিএনপি দাবি করে আসছে, দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে তার বাড়ি ভাড়া বকেয়া পড়েছে।

বিএনপি নেত্রী গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে থাকছেন, যার নাম ফিরোজা। ২০১০ সালে মাসিক ১০ লাখ টাকায় বাড়িটি ভাড়ায় ব্যবহার করছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব। ২০১১ সালে তিন বছরের জন্য বাড়িটি ভাড়া নেন বিএনপি নেতা মোছাদ্দেক আলী ফালু। যার ভাড়া ঠিক হয় তির লাখ টাকা। ভাড়া বাড়ি হিসেবে প্রথম দফায় তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এরপর কয়েক দফায় নবায়ন করা হয় বাড়িটির চুক্তি।

খালেদার চেয়ে ‘গরিব কেউ নেই’
গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িতে থাকছেন খালেদা জিয়া, যার নাম ফিরোজা

খালেদা জিয়ার নিজের নামেও একটি বাড়ি আছে। সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ১৯৬ গুলশান এভিনিউয়ে দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়ি বরাদ্দ দেন বিএনপি নেত্রীকে। সেটি তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

বিএনপি নেত্রীর আরও একটি বাড়ি ছিল, যেটির দখল তিনি হারিয়েছেন। ১৯৮১ সালের ১৩ জুন এরশাদ সেনাপ্রধান থাকাকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রায় ৯ বিঘা (২ দশমিক ৭২ একর) জমির ওপর নির্মিত বাড়ি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে আইনি লড়াইয়ে হেরে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হন বিএনপি নেত্রী। তখন তিনি গিয়ে ফিরোজায় উঠেন।

খালেদার চেয়ে ‘গরিব কেউ নেই’
বংলাশে স্কুল থেকে জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়ার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (চেক পাঞ্জাবি পরা)

গয়েশ্বর জানান, বিশেষ বিবেচনায় মুক্ত তার নেত্রী মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি ব্যাংক থেকে তুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে একটি দলের নেত্রী খলেদা জিয়ার মত মানুষ কি ৫০ হাজার টাকায় চলতে পারে? তার চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা সম্পত্তি আছে তা বৈধ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাইলে তার একাউন্ট কেন সিজ করা হয়? কেনো তিনি একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি উঠাতে পারেন না?’

দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, ইকবাল হোসেন টিপু, নজরুল ইসলাম খান, কামাল ইউসুফসহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তিনি নিজেও ভীত।

তার পরেও রাজপথে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘এই শেখ হাসিনার জন্য ঘরে থাকা যায় না। রাজপথে নেমে আসতে হয়। করোনার চেয়ে মারাত্মক ভয়ংকর আজকের সরকার।’

তিনি বলেন, ‘করোনা দল মত জাতি ধর্ম বোঝে না। কিন্তু হাসিনা নামক করোনা এদেশে দল মত জাতি ধর্ম বোঝে। তার যাকে ইচ্ছা তাকে খুশি আক্রমণ করে। এই ভয়াবহ করোনার হাত থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।’

খালেদার চেয়ে ‘গরিব কেউ নেই’
২০০৬ সালে এই স্কুলটি করা হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নামে। এটির নাম পাল্টে পুরান মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়েছে

জিয়ার নামে স্কুলের নাম পাল্টানোর সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তার নাম মোছা ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা। এই কাজ করে জনগণের হৃদয়ে যে আঘাত করছেন, এই আঘাতের পাল্টা আঘাত পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও একটা বিশাল মাঠ আছে সিলেটের মৌলভীবাজারে; গান্ধী মাঠ, নোয়াখালীতে আশ্রম আছে তার নামে। জিন্নাহর নামে রাস্তা আছে। পাকিস্তানীরা যে এত বর্বর তারাও কিন্তু গান্ধীর নাম মুছে নাই।’

মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো মানুষকে সম্মান করে না। তারা মওলানা হামিদ খান ভাসানীকে সম্মান দেয়নি, কামাল হোসেনকে দেয়নি। তারা দিয়েছে একজনকেই। তিনি হলেন তাদের ঘরজামাই এরশাদ। এরশাদের চিন্তা-চেতনাতে তাদের সঙ্গে খুব মিল ছিল। আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের কথা শুনেই চলেছেন।’

সোহেল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামে কালি দিলে আপনাদের কাউকে ছাড়া হবে না। খুঁজে বের করে আমরা কালি দিয়ে দেব আপনাদের মুখে।’

আরও পড়ুন:
টুইটার ভুলেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় পেছাল নাইকো মামলার শুনানি
খালেদা নাকি তারেক?
খালেদা রাজনীতিতে আছেন, থাকবেন: ফখরুল
খালেদা জিয়া আর আপসহীন নন: জাতীয় পার্টি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজনীতি
It is recommended to bring all social media including Facebook under registration

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিবন্ধনে আনার সুপারিশ

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিবন্ধনে আনার সুপারিশ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফেসবুক-টুইটারসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির ১২তম বৈঠকে এমন সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সদস্য বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী অংশ নেন।

কমিটির ১১তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিডিও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন/আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

‘The Censorship of Films Act, 1963 (Amended 2006)’ যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।

এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রাম (পদ সৃজন) ফাইলটি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সোশ্যাল মিডিয়া মরে গেছে
ফেসবুকের কল্যাণে ৩১ বছর পর জালালের দেশে ফেরা
সব ফিরে পেলেন জাকারবার্গ
আমাদের ক্ষমা করে দেন: ফেসবুক
জাকারবার্গ: ছিলেন সম্রাট, হলেন হতদরিদ্র

মন্তব্য

রাজনীতি
Expel those involved in misdeeds from Chhatra League Who

অপকর্মে জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে বের করে দাও: কাদের

অপকর্মে জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে বের করে দাও: কাদের বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ছাত্রলীগের নামে কেউ অপকর্ম করলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর তা তুলেও নেয়া হয়। এদের শাস্তি হতে হবে স্থায়ী। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলে দিতে হবে।’

ছাত্রলীগের যারা খারাপ ও কুকর্মে জড়িত তাদের সংগঠন থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘যারা খারাপ তাদের সংশোধন না করে বের করে দাও। যে কমিটি চাঁদাবাজি করে ওই কমিটির কোনো প্রয়োজন নেই।’

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের নামে কেউ অপকর্ম করলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর তা তুলেও নেয়া হয়। এদের শাস্তি হতে হবে স্থায়ী। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলে দিতে হবে।

‘অনেক দিনের পচা গলিত জিনিস এখনও রয়ে গেছে। এই অংশকে বাদ দিতে হবে। তাতে ছাত্রলীগের কোনো ক্ষতি হবে না। ভালো ছেলেমেয়ে থাকলে আরও অনেক ভালো ছেলেমেয়ে ছাত্রলীগে আকৃষ্ট হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোথাও কোথাও অনেকে লাগামছাড়া হয়ে গেছে। এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। অপকর্মকারী স্মার্ট কর্মীর দরকার নেই। ভালো কাজের স্মার্টনেস দরকার। আবেগের নয় চেতনার সৈনিক হতে হবে।’

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী অনেক আশা করে অনেক যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছেন। তোমরা তাকে হতাশ করো না। আমাদের আশার প্রদীপ যেন নিভে না যায়।’

পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমি আশা করি অনতিবিলম্বে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে খারাপ ছেলেমেয়েদের আমাদের দরকার নেই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক আর সিট বাণিজ্যের মানসিকতা যাদের আছে তারা যেই হোক পরিহার করতে হবে। অপকর্মে জড়িত কাউকে নেতা বানানো যাবে না।’

কাদের আরও বলেন, তোমাদের এই আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হলে ভালো হয়। একবার স্টেজ ভাঙছে দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেছে। ভয় পাওয়ার দরকার নেই। স্টেজ ভেঙে আমার দুই পা রক্তাক্ত। তখনও কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে পুনরায় বক্তব্য দিয়েছি। কাউকে বুঝতে দেয়নি যে আমার কোনো ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি। পাঁচবার আমার ড্রেসিং করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধানমণ্ডি পার্টি অফিসে কেন ঘুরে বেড়াতে হবে? ছাত্রলীগের অফিস কি সভাপতির কার্যালয়ে? ছাত্রলীগের জায়গা ২৩ নম্বর আর মধুর ক্যান্টিনে।’

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শাওন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

আরও পড়ুন:
‘ফখরুল বিএনপির অবৈধ মহাসচিব’
ভোট চুরির অপবাদ যুক্তরাষ্ট্রেও আছে : কাদের
বজ্রপাতে মৃত্যুর দায়ও সরকারের ওপর চাপায় বিএনপি: কাদের
ড. ইউনূসকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই: কাদের
বিএনপি ভোট চোরের মহারাজা: ওবায়দুল কাদের

মন্তব্য

রাজনীতি
Chhatra League leader broke the students ear in Jabi

জাবিতে শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা

জাবিতে শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল। ফাইল ছবি
বহিরাগতদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের মঙ্গলবার রাতে মীর মশাররফ হোসেন হলের গেস্টরুমে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতারা। সেখানে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদের কানে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ ফরিদ। এতে সজীবের কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে অতিথি এক শিক্ষার্থীকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ ফরিদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সজিব আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বহিরাগতদের সঙ্গে মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা হয়। বহিরাগতদের একজন ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য দিব্য। তাকে মীর মশাররফ হোসেন হলে নিয়ে যান হলের শিক্ষার্থীরা। অনিন্দ্য দিব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পূর্বপরিচিত।

বাগবিতণ্ডার ওই ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের হলের গেস্টরুমে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতারা। তারা দিব্য ও অন্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সজীবের কানে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারতে থাকেন হাসান মাহমুদ ফরিদ। এতে সজীবের কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।

আহত সজীবকে তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইমরান বাধা দেন। পরে সজীবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হয়। পরে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অতিথি কক্ষে আমাদের পাঁচজনকে সামনে দাঁড় করিয়ে কানে থাপ্পড় মারতে থাকেন ভাইয়েরা। সজিবের কানে একটু আগে থেকেই সমস্যা ছিল। থাপ্পড়ের কারণে তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’

অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইমরান বলেন, ‘আমরা হলে প্রতি সপ্তাহে গেস্টরুম করি। সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজকর্ম করার জন্য সেখানে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়। গতকালও (মঙ্গলবার) তেমনটিই হয়েছিল।’

তবে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাকে তো মারা হয়নি। তার কানে আগে থেকেই একটু সমস্যা ছিল। ডাক্তার তাকে পানি লাগাতে নিষেধ করেছে। গেস্টরুমে একটু চিৎকার হয়েছিল, তাতেই তার কানে সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য আমরাই দায়িত্ব নিয়ে মেডিক্যালে পাঠিয়েছিলাম। সে আমাদের ছোট ভাই। তাকে কেন আটকে রাখব?’

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ ফরিদ বলেন, ‘কাল (মঙ্গলবার) রাতে গেস্টরুম হয়েছিল। সেখানে স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছে। কাউকে কানে থাপ্পড় দেয়া বা মারা হয়নি। ওই ছেলে গেস্টরুমে অসুস্থ বোধ করছিল। তাই তাকে আমরা তার বন্ধুদের সঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

অতিথি কক্ষে এ ঘটনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও শাহ পরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আল রাজি সরকার প্রমুখ।

তারা সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘অতিথি কক্ষে নির্যাতন কিংবা মারধর হয়ে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। স্বপ্রণোদিত হয়ে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন:
জাবির অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে ৭ দিনের মধ্যে
৮ বছর পর সমাবর্তন, উচ্ছ্বসিত জাবি শিক্ষার্থীরা
নেশাগ্রস্ত করে জাবিতে এনে টাকা আদায়
জাবির অ্যাম্বুলেন্সে কেরুর মদ, দুই ছাত্র আটক
ফুটবল নিয়ে জাবির দুই হলের সংঘর্ষ, আহত ২৫

মন্তব্য

রাজনীতি
A League delegation at lunch at the US Ambassadors residence

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় মধ্যাহ্নভোজে আ.লীগের প্রতিনিধি দল

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় মধ্যাহ্নভোজে আ.লীগের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় মধ্যাহ্নভোজে আ.লীগের প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ এ আরাফাত।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে তার বাসভবনে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতারা এতে অংশ নেন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ এ আরাফাত।

এ সময় দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় ছিলেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাউন্সিলর স্কট ব্রেন্ডন, রাজনৈতিক শাখা প্রধান আর্তুরো হাইনস, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির সুশাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে টিম লিডার মেধাউই গিরি এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মেথিউ বেহ।

মন্তব্য

রাজনীতি
In case of irregularities the EC will cancel the vote of the Parliament like Gaibandha

অনিয়ম হলে গাইবান্ধার মতো সংসদের ভোট বাতিল করবে ইসি

অনিয়ম হলে গাইবান্ধার মতো সংসদের ভোট বাতিল করবে ইসি নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আর অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করার হুশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ প্রসঙ্গে তিনি অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

‘ভোটাররা কোনো ধরনের বাধা ছাড়া পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা বর্তমান কমিশন দিচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনিয়মের কারণে গত বছরের ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কমিশন। পাশাপাশি ভোটে দায়িত্বরত ১৩৩ জনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’

চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে এই কমিশনার বলেন, ‘ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও রয়েছে। সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারব না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা কমিশন নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কিভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।’

সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কী পদক্ষেপ রয়েছে কমিশনের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা বলেন, ‘আস্থার বিষয়টি তো মানসিক। কে কিভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ কমিশনকে আস্থায় নেবে না। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে আমরা সে প্রমাণ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
ইভিএম মেরামত: ১২৬০ কোটি টাকা চেয়ে ইসির চিঠি
ইভিএম মেরামত: অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাল চিঠি দিতে পারে ইসি
ইসলামি মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
ইসিকে ‘কেউ চাপ দেয়নি’
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম: অর্থছাড়ের অপেক্ষায় ইসি

মন্তব্য

রাজনীতি
Fakhrul is ashamed of the US report on the countrys human rights

মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে লজ্জিত হই: ফখরুল

মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে লজ্জিত হই: ফখরুল রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বুধবার এক স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে লজ্জিত। দেশে এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা নেই। এটি প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো করে বানিয়ে কথা বলছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা লজ্জিত হই।’

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বুধবার এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

দলের সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে লজ্জিত। দেশে এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা নেই। এটি প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো করে বানিয়ে কথা বলছেন।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই আওয়ামী লীগ একক ক্ষমতা, একক নেতৃত্বে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ সচেতনভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পুরনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।

‘আওয়ামী লীগ সবাইকে ছোট করে দেখাতে পছন্দ করে। দলটি কাউকে সম্মান দিতে জানে না। তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামও তারা মুখে নেয় না।’

গোটা দেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সচেতনভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র থেকে সরিয়ে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণে যেসব মানুষ অবদান রেখেছেন আজ তাদের স্মরণ করা হয় না। তাদের নামগুলো পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে বাদ দিয়ে অব্যাহতভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি সৃষ্টি করছে। সংবিধানকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তারা।

‘সংবিধানের কথা বলা আওয়ামী লীগের মুখে শোভা পায় না। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা ভোগ করছে আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যুবকদের এখন লড়াই করার সময়। ছাত্রলীগের নেত্রীরা এখন গরু চোরের সরদার। ক্ষমতা মাটিতে পড়ে থাকবে, তবু আওয়ামী লীগকে থাকতে দেয়া হবে না।

‘এ লড়াই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের লড়াই। গণঅভ্যুত্থান, গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আওয়ামী লীগ প্যাথলজিক্যাল চোর: ফখরুল
নির্বাচনি আতঙ্কে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্রে বিএনপি: কাদের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেন সংলাপ নয়, জানাল বিএনপি
পঞ্চগড়ের ঘটনায় ফায়দা নেয়ার চেষ্টায় সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

রাজনীতি
Mirza Fakhrul Illegal General Secretary of BNP Obaidul Quader

‘ফখরুল বিএনপির অবৈধ মহাসচিব’

‘ফখরুল বিএনপির অবৈধ মহাসচিব’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে। সেখানে কোথায় আছে যে, ১২ বছর ধরে মহাসচিব থাকা যাবে? মির্জা ফখরুল যে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, তার নিজেরইতো পদত্যাগ করা উচিত। কারণ বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি নিজেই অবৈধ।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে। সেখানে কোথায় আছে যে, ১২ বছর ধরে মহাসচিব থাকা যাবে? মির্জা ফখরুল যে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, তার নিজেরইতো পদত্যাগ করা উচিত। কারণ বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি নিজেই অবৈধ।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক-কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শাওন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

আরও পড়ুন:
ভোট চুরির অপবাদ যুক্তরাষ্ট্রেও আছে : কাদের
বজ্রপাতে মৃত্যুর দায়ও সরকারের ওপর চাপায় বিএনপি: কাদের
ড. ইউনূসকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই: কাদের

মন্তব্য

p
উপরে