এনআরবিসি ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ, ২০২৫ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের সম্মানী অনুমোদন করা হয়। ২১ আগস্ট, ২০২৫, বৃহস্পতিবার, কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বশরীর ও অনলাইন প্লাটফর্মে স্বতন্ত্র পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অংশ নেন।
সভায় স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মো: শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে ৪ টি এজেন্ডা পাস করা হয়। এছাড়া অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত বিনিয়োকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
এজিএমে অংশগ্রহণকারী সকল স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, আমানতকারী ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আমনতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তিনি আরও বলেন, ঋণশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ব্যাংকের গুণগত সম্পদ ও মুনাফা বৃদ্ধি করাই এই পর্ষদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে, তিনি সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, বলেন, ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার কারণে আমানতের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সুবিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে শেয়ারহোল্ডারগণ তাদের বিনিয়োগের কাঙ্খিত সুফল পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, আমানতকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এনআরবিসি ব্যাংকের প্রাণশক্তি। আমরা দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা করা এনআরবিসি ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে সারাদেশে ব্যাংকটির ১০৯টি শাখা এবং ৪১৫টি উপশাখার মাধ্যমে প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে।
গ্রাহকদের জন্য ব্লাইন্ড নচ ‘টাকা পে-কার্ড উদ্বোধন করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি (এমডিবি)। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্ডের উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান-উজ জামান আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা পে-কার্ড উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নাজমুল হুদা সরকার, রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশনের প্রধান মো. রাশেদ আকতার এবং কার্ডস বিভাগের প্রধান মো. আবেদ-উর-রহমান। অনুষ্ঠানে তারা বিশেষভাবে নকশাকৃত টাকা পে-কার্ডের প্ল্যাকার্ড উন্মোচন করেন।
টাকা পে-কার্ড হলো বাংলাদেশের নিজস্ব পেমেন্ট কার্ড, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় চালু করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমানো এবং দেশীয় লেনদেন সহজ করা। এটি মূলত একটি ডেবিট কার্ড এবং শুধু দেশীয় লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
টাকা পে-কার্ডের প্রধান সুবিধা হলো- বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়। টাকা পে-কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ভিসা বা মাস্টারকার্ডের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় বার্ষিক ফি প্রদান করতে হয়, যা দেশের রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের ব্যয় বৃদ্ধি করে। টাকা পে-কার্ড সেই ব্যয় দূর করবে। বর্তমানে এই কার্ড পিওএস এবং এটিএম মেশিনে ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, খুব শিগগিরই ই-কমার্স লেনদেনেও এটি ব্যবহার করা যাবে। এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে লেনদেন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। টাকা পে-কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই নিরাপদ লেনদেন করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক কার্ডের তুলনায় টাকা পে-কার্ড ব্যবহারে লেনদেনের খরচ কম হবে।
সম্প্রতি দেশীয় শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস কম্পানি মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ এবং টিসিএলের মধ্যে একটি ট্রেডমার্ক লাইসেন্স সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে একমাত্র মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপই বাংলাদেশে বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড টিসিএল ব্র্যান্ডের টিভি, ফ্রিজ, এসি, সিলিং ফ্যান, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ও হাউস হোল্ড পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেল। এর ফলে এখন থেকে টিসিএলের পণ্য মিনিস্টার-মাইওয়ানের প্রতিটা শোরুমে পাওয়া যাবে।
মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ্রে পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিলরুবা তনু এবং টিসিএলের পক্ষে মেসার্স শাহনূর ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী নুর-ই-আলম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন দুপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ প্রমুখ।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের পক্ষে দিলরুবা তনু বলেন, আমাদের উৎপাদন দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা টিসিএল ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে বাংলাদেশের বাজারে আরও জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
নুর-ই-আলম বলেন, বাংলাদেশের বাজারে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ যে আস্থা, সুনাম ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে তা সত্যিই অনন্য। তাদের বিশাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের অঙ্গীকার টিসিএল এর কাছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
সিজি রানার বিডি থেকে সম্পূর্ণ নতুন বিওয়াইডি গাড়ি কেনার জন্য ক্রেতাদের অটো লোন দিচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল)। সম্প্রতি ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইবিএল উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম খোরশেদ আনোয়ার এবং সিজি রানার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিদ সাকিফ খান।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর তারাসহ ইবিএল রিটেইল অ্যাসেট বিভাগ প্রধান মো. জাহেদ চৌধুরী, বিওয়াইডি বাংলাদেশের বিক্রয় বিভাগ প্রধান ফাহমিদ ফেরদৌস এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফটোতে দেখা যাচ্ছে।
দেশে প্রথমবারের মতো সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করল দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’। প্রথাগত কেনাকাটায় এটি ক্রেতাবান্ধব ব্যতিক্রমী এক অগ্রণী পদক্ষেপ। এই মাইলফলকটি স্বপ্নর টিমের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন এবং স্বপ্নর তরুণ টেক টিমের উদ্যোগে ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রজেক্টে মাস্টারকার্ড, সানমি এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছেন। বিশেষ এ সেবাটি সম্মানিত ক্রেতাদের জন্য প্রাথমিকভাবে গুলশান-১ আউটলেটে উদ্বোধন করা বুধবার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা , সুনমির কান্ট্রি হেড সানিউল জাদিদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার মিরাজ অনিকসহ আরও অনেকে ।
সেলফ-চেকআউট কাউন্টারের মাধ্যমে, ক্রেতারা এখন নিজের সুবিধামত কেনাকাটা শেষে নিজেরাই পে করতে পারবেন। স্টোরে পণ্যগুলো স্ক্যান করে ভিসা ও মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে এবং ক্যাশ কাউন্টারে লাইনে না দাঁড়িয়ে তাতক্ষণিকভাবে এই সেবা নিতে পারবেন ক্রেতারা। মূল প্রযুক্তিটি স্বপ্নর তরুণ টিম তৈরি করেছে এবং শুরু থেকেই পার্টনার হিসেবে মাস্টারকার্ড এগিয়ে আসে: সুনমির সঙ্গে সংযুক্ত করে উদ্যোগটি সহজ করেন তারা। তা ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ের সমাধান দেয়। উল্লেখ্য, গুলশানের পর সারাদেশে পর্যায়ক্রমে এটির সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে স্বপ্নর।
স্বপ্ন সেলফ-চেকআউট কাউন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে, মাস্টারকার্ড কার্ডহোল্ডারদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গুলশান-১ আউটলেটে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় মাস্টারকার্ড ব্যবহার করলে কার্ডহোল্ডাররা উপহার হিসেবে পাবেন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ।
অনুষ্ঠানে স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা বলেন, ‘রিটেইলে বাংলাদেশের প্রথম সেলফ-চেকআউট সিস্টেম তৈরি করা দলের অংশ হতে পারাটা সম্মানের। এই প্রকল্প প্রমাণ করে যে তরুণ বাংলাদেশি প্রযুক্তবিদরা যেকোনো উন্নত দেশের সমতুল্য উদ্ভাবনে সক্ষম।’
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি বন্ধ হওয়ার সময় তার গ্রাহকদের যে টাকা নগদের নিকট জমা ছিল, তার অধিকাংশই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধ হওয়ার সময় ইভ্যালির পাওনাদার গ্রাহকদের মোট ১৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৭৫ দশমিক ৮৪ টাকা নগদের কাছে জমা ছিল। যার মধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ দশমিক ৬৪ টাকা ২৪ হাজার ৬৩০ জন গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াসম্পন্ন করার মাধ্যমে ২০২৩ সালে নগদ ১ হাজার ৬৩১ জন গ্রাহককে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৪৭৫ দশমিক ৭০ টাকা এবং ২০২৪ সালে ২২ হাজার ৯৯৯ জন গ্রাহককে কয়েক দফায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ৩০৪ দশমিক ৯৪ টাকা ফেরত দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্সবিষয়ক কারিগরি কমিটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে নগদের নিকট জমা অর্থ গ্রাহককে ফেরত প্রদানের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে নগদের নিকট ইভ্যালির গ্রাহকের ৪ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ দশমিক ২০ টাকা জমা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্সবিষয়ক কারিগরি কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক গ্রাহকদের এই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য নগদ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে নগদের চিফ কমার্সিয়াল অফিসার মো. শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা ইভ্যালির পাওনাদার গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছি। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমরা নিশ্চিত করছি, নগদের সিস্টেমে ইভ্যালির গ্রাহকদের যে পরিমাণ টাকা জমা রয়েছে, তা ফেরত দেওয়ার জন্য নগদ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’
ঋতুর রানী শরতের আগমনে দেশের অন্যতম বৃহৎ শপিং ডেস্টিনেশন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আজ থেকে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী “ক্লিয়ারেন্স সেল ও ফ্যাশন ফেস্ট”। উৎসবটি চলবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
বুধবার রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (বিসিডিএল)-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ এহসান রেজা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ এহসান রেজা বলেন—
“বসুন্ধরা সিটি সবসময়ই নতুনতম ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে দর্শনার্থীদের পরিচিত করাতে এবং ক্রেতাদের জন্য ভ্যালু অ্যাডিশন করতে সচেষ্ট। শরতের এই উৎসবে একদিকে নতুন কালেকশন উন্মোচিত হচ্ছে, অন্যদিকে অংশগ্রহণকারী ব্র্যান্ডগুলোর পণ্যে থাকছে বিশেষ ছাড় ও আকর্ষণীয় অফার।”
স্পন্সর ও অংশগ্রহণকারী ব্র্যান্ড
টাইটেল স্পন্সর: আমিন জুয়েলার্স
পাওয়ার্ড বাই: ইনফিনিটি ও মিনিসো
অংশগ্রহণকারী ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে— ক্লাবহাউস, ইরানি বোরকা বাজার, ফ্রিল্যান্ড, মিনিসো, মেন্স ওয়ার্ল্ড, শিশু পরিবহন, বন্ড, বে প্রভৃতি দেশি-বিদেশি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড।
ক্লিয়ারেন্স সেল ও ফ্যাশন ফেস্ট আয়োজনে থাকছে বিশেষ আকর্ষণ:
- নতুন কালেকশনের ফ্যাশন শো
- গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার
- লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট ও ইন-স্টোর অ্যাক্টিভেশন
- আকর্ষণীয় সেলফি কর্নার (ফটোবুথ)
- প্রাণবন্ত ফ্ল্যাশ মোব
এই শরতের অনন্য ফ্যাশন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে আজই চলে আসুন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। তৈরি করুন আপনার বিশেষ মুহূর্ত—একসাথে ফ্যাশন, বিনোদন ও শপিংয়ের অসাধারণ সমন্বয়ে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ সলিম উল্লাহ বলেছেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে বিআইডব্লিউটিসির ক্রুজ জাহাজ ব্যবহার করে সমুদ্র যাত্রা, বিভিন্ন নদ নদী, সুন্দরবন, হাওরাঞ্চল এবং পার্বত্য অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্যের নদী, লেক ও উপত্যকার নৌপথে ওয়াটার বাস, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার ও আধুনিক যাত্রিবাহী জাহাজগুলো পর্যটন বিকাশে ব্যবহার করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এবং নৌপর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত অংশীজনদের বিজনেস এই দুটিকে একত্রিত করে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে একদিকে জাতীয় সম্পদ জাহাজগুলোর ব্যবহার হবে অন্যদিকে নৌ পর্যটনে সংশ্লিষ্টগণও ব্যবসা বাণিজ্যে লাভবান হতে পারবেন। দেশের জনগণকে সেবা দেয়ার সমন্বিত এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সুনাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়ন করা সম্ভব হবে। তিনি আজ ২০ আগস্ট ২০২৫ বিআইডব্লিউটিসির সম্মেলন কক্ষে বিআইডব্লিউটিসির ৩টি কোস্টাল ক্রুজার শিপ পরিচালনার বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় ‘সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত-আলোকিত সমুদ্রযাত্রা’ ট্রপিকে এ কথা বলেন। বিআইডব্লিউটিসি গৃহীত কর্মসূচি বিষয়ে উপস্হিতিদের মধ্যে মতবিনিময় করেন, বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক জনাব এস এম সাজ্জাদুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ. এন. এম মোস্তাদুত দস্তগীর, ট্যুর অপারেটর অব বাংলাদেশের (টুআব) এর প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ রাফিউজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক জনাব মো : বোরহান উদ্দিন,হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ এর ম্যানেজার সেলস জনাব সালমান আহমেদ, রেডিসন ব্লুজের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সেলস জনাব মাসুম ইবনে সাফিজ,গ্রিন হলিডে ট্যুর এর সিইও জনাব বোরহান উদ্দিন, গ্রিন চ্যানেল এর পরিচালক
জনাব জিল্লুর রহমান, নিউ ডিসকভারি ট্যুরর্স এন্ড লজিস্টিকের সিইও জনাব ইফতেখার আজম ভূঁইয়া , সিলভার ওয়েব লিমিটেডের প্রতিনিধি জনাব তানভীর আহমেদ, সাদিয়া ট্রাস্ট কক্সবাজার এর প্রতিনিধি জনাব আজিজুর রহমান, রেডিসন ব্লুজ এর ম্যানেজার জনাব মাসুম ইবনে সাহস, মুরাদ ইকো ট্রাভেল ট্যুর এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডক্টর এম এ মতিন , সোনারগাঁও ট্যুরিজমের এম ডি সঞ্জয় কুমার রায়,কে এস বি এল পরিচালক জনাব সাইমুর নাহিয়ান ইসলাম,রিভার গ্রিন ট্যুর এন্ড ট্রাক এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব ওমর শরিফ, রিভার এন্ড গ্রিন ট্যুর ট্রাভেল এর পরিচালক জনাব সালাউদ্দিন, বিএসএল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জনাব রেজওয়ান মারুফ, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড এর ম্যানেজার জনাব আলী ইমাম হোসেন, এ ওয়ান টুর সলিউশনের সিইও জনাব মো: ইমতিয়াজ, কেয়ারি ট্যুর এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড এর ম্যানেজার সেলস জনাব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন হোসাইন সরাজ,কর্নফুলি ক্রুজ লাইন এর পরিচালক জনাব মো : মিজানুর রহমান মিজান,রুহানি শিপিং লাইন্সের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম,ট্যুরিজম ডেভেলপার অফ বাংলাদেশের উপদেষ্টা সৈয়দ হাবিব আলী,জার্নি প্লাস বাংলাদেশের পরিচালক জনাব তৌফিক রহমান,দি বেঙ্গল লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন,হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডকুমেন্টারী অফিসার জনাব ফয়সাল আহমেদ,দি আটলান্টিক ক্লুজ এর ম্যানেজার জনাব হেদায়েতুর রহমান, ক্রাউন প্লাজা পিয়া এর পরিচালক তৌফিক আহমেদ ও হলিডে ইন ঢাকা এর ডিএমডি জনাব এম এম ইকবাল আহমেদ। মতবিনিময় সভা
পরিচালনা করেন বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক বাণিজ্য জনাব এস এম আশিকুজ্জামান,বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন, পরিচালক অর্থ ও কারিগরি ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী, পরিচালক প্রশাসন জনা শেখ মু নাসিম, চিফ ইন্জিনিয়ার জনাব মোঃ জিয়াউল ইসলাম,প্রেজেন্টেশন করেন এক্সিকিউটিভ ইন্জিনিয়ার জনাব আবুল আহসান শাওন,শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
মন্তব্য