× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

মতামত
Dr Sultan Mahmud Rana reflects peoples wishes in the next election
google_news print-icon

আগামী নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক

আগামী-নির্বাচনে-জনগণের-ইচ্ছার-প্রতিফলন-ঘটুক

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয় হলো নির্বাচন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এমনকি এ তথ্য নিশ্চত হওয়া গেছে যে স্থানীয় সরকার নয়, বরং সংসদ নির্বাচন ঘিরে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক এই সংস্থা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো এবং সরকারের ভেতর নির্বাচন নিয়ে টানাপড়েন কাটছে না। এমনকি বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে- সেটিও অনুমান করা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কেমন হবে এবং নতুন রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে নির্বাচনে যাবে সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা করা যাচ্ছে না। তরুণ এবং ছাত্রদের নেতৃত্বে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শেষ করেছে। তারা কীভাবে মনোয়ন দিবে সে বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনো কিছু না জানালেও কোনো কোনো গণমাধ্যম সূত্রে আমর জেনেছি যে এনসিপি ৩০০ আসনেই প্রার্থীতা দিতে পারে। অবশ্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আসনে অনানুষ্ঠঅনিকভাবে তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করতে দেখো গেছে। আর বিএনপি এবং জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে- সে বিষয়ে স্পষ্ট মনে হচ্ছে।
সাধারণ জনগণ চায় দেশে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। দীর্ঘদিন জনগণ তাদেও অধস্থা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকতে পারেনি। এই মুহূর্তে জনগণের আকাঙ্ক্ষাই হলো একটি গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইতিবাচক থাকলে জনগণের আস্থার মাত্রাও অধিক ইতিবাচক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে জনগণের আস্থা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এবারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি বিষয় পরিষ্কার যে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা না থাকলে নির্বাচনে কোনোভাবেই বিজয়ী হতে পারবে না। কোনো প্রতীক বা দলের মনোয়ন কোনোভাবেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মূল কার্ড হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ দেশে একটি বিরাট জনগোষ্ঠী তরুণ এবং সচেতন। তাদের বেশিরভাগ অংশই এবারই প্রথম ভোট দিতে যাবে।
নির্বাচনের আগেই কোনো রাজনৈতিক দলকে হারিয়ে দেয়ার মানসিকতা থেকেও সকল রাজনৈতিক দলকে বের হয়ে আসতে হবে। একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল মোটামুটি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনমুখী জনসংযোগের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের রোডম্যাপ এমন হওয়া উচিত যাতে দেশে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে সকল সংকটের সুষ্ঠু সমাধান হয়।
ইতোমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক প্রার্থী তাদের প্রচারণায় তৎপর হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সকল পর্যায়ের নেতারা প্রচারণায় মনোযোগ দিয়েছে। আবার জোট গঠনের বিষয়েও যথেষ্ট তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে, দেশের জনগণ সংস্কার প্রশ্নে নির্বাচন আটকে থাকুক এমনটি আর চায় না। নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার আগে- এই প্রশ্নে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের মানুষের যে প্রাণের আকাক্সক্ষা, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে একটি ভোট দেওয়া, সেটা সত্যিকার অর্থে পূরণ হওয়ার চ্যালেঞ্জটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা সত্য যে, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, তাদের কাছে যে শক্তি, সাহস ও দক্ষতা থাকবে তা দিয়ে দেশের বিদ্যমান কাঠামোগত সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার মানসিকতা থাকতে হবে। যেগুলো এ সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, সেগুলো নির্বাচিত সরকার করবে- এমন প্রত্যাশা অনেকেই গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এখন আমরা দেখতে চাই যে, যেসব দল এবং প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে তারা সাধারণ জনগণের জন্য এবং দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে কী ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে। এমনকি কীভাবে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা যায়, কীভাবে দেশের জনগণের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করা যায়- সেসব বিষয়েও পরিষ্কার রোডম্যাপ আসলে ভোটারদের চিন্তা করতে সহজ হবে।
তাছাড়া দেশের মানুষ বিভিন্ন অনলাইন জরিপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকাশিত জনগণের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজনীতির বাস্তব চিত্র যাচাই করতে পারে। আর এসব চিত্র বাস্তবতার প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়। এখন মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে কিংবা তথ্যে রাজনীতিতে লাভবান হওয়া কঠিন। এক কথায় বলা যায়, ধোঁকাবাজির রাজনীতি এখন আর নেই। একথা আমরা সবাই জানি, রাজনীতিতে আস্থা-অনাস্থা এবং বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নটি অনেক বেশি। পাশাপাশি সন্দেহ-সংশয় তো আছেই। সাম্প্রতিককালে রাজনীতিবিদদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় রাজনীতিতে আস্থা এবং বিশ্বাস বলতে কিছু নেই। সকালে এক ধরনের বক্তব্য বিকেলে আবার আরেক ধরনের বক্তব্য দেখা যায়। দিন না ঘুরতেই যদি বক্তব্য এবং মতামত পরিবর্তন ঘটে, তাহলে মাস এবং বছর গেলে তাদের অবস্থান কেমন হবে বা হতে পারে - সেটি অনুমান করা কঠিন কিছু না।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সংকট ও অনাস্থার পরিবেশ নতুন নয়। অনাস্থার বেড়াজাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই বের হতে পারেনি। গণতন্ত্রের নামে এবং গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকারে রাজনৈতিক দলগুলো বারবারই রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিককালে এমনই এক অনিশ্চিয়তার দোলাচলে ঘুরপাক খাচ্ছে বিদ্যমান রাজনীতি।
ধারণা করা যাচ্ছে যে, দেশে আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রিক সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি না হলে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি ব্যাপকতর হতে পারে। এ জন্য একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বর্তমানে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দলই নিজস্ব কৌশল প্রয়োগে ব্যস্ত থাকবে- সেটি স্বাভাবিক। কৌশল প্রয়োগের দিক সকল দলই নিজ নিজ জায়গা থেকে সামনে এগিয়ে যাবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুকরণ ঘটবে- এটি অস্বাভাবিক কিছু না। মূলত নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য রাজনৈতিক মেরুকরণে পরিবর্তন হতে পারে। তবে কোনো দল যদি রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজ নির্বাচনী আয়োজনের পক্ষে কাজে লাগানোর সুযোগ পায় অথবা কাজে লাগায় তাহলে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সামনে আসবে। আর নির্বাচন কমিশনও প্রভাবিত না হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন ও রাজনীতি দুটিই গ্রহণযোগ্য মাত্রা পাবে। আর এ কারণেই সকল পক্ষকে সমান সুযোগের আওতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারীদের প্রয়োজন হইবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সেইরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।’ কাজেই নির্বাচন কমিশনই প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে। মূলত নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের ভূমিকার ওপরই সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্পর্ক রয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনটির তিনটি চ্যালেঞ্জ দৃশ্যমান হতে পারে। প্রথমত: নির্বাচনে বেশিরভাগ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; দ্বিতীয়ত: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, তৃতীয়ত: ভবিষ্যতে সাধারণ জনগণের ভোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ এবং আস্থা সৃষ্টি করা। কারণ নির্বাচন যদি ভালো হয়, তাহলে নির্বাচনী রাজনীতিতে জনগণের আস্থা তৈরি হবে, আর ভালো না হলে তৈরি হবে স্থায়ী অনাস্থা।
তবে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই নিজেদের পথের কাঁটা হওয়া থেকে দূরে সরে আসতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়ন করতে হলে রাষ্ট্রক্ষমতার চাবি হাতে থাকা যেহেতু জরুরি সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর মূল লক্ষ্য থাকে ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় যেতে অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে রাজনৈতিক দলগুলো এখন মরিয়া হয়ে উঠবে- এমনটাই স্বাভাবিক। তবে শিষ্টাচারসম্মত রাজনীতির জন্য জনপ্রতিনিধিদের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি। আমাদের নিজেদের বিবেক এবং চিন্তা যদি পরিশীলিত বা মার্জিত না হয় তাহলে কোনোভাবেই ইতিবাচক প্রত্যাশা সফল হবে না। আমরা বাংলাদেশে যে কাঠামেই চয়েস করি না কেন কিংবা যেমন আইনই তৈরি করি না কেন, অথবা যেমন সংস্কারই হোক না কেন, এগুলো বাস্তবায়নের মূলে রয়েছে নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন। মানসিকতা পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই একটি গ্রহণযোগ্যমানের উদার নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পেতে পারে। দেশের সাধারণ জনগণ দেশের রাজনীতির একটি গুণগত পরিবর্তন প্রত্যাশা করে। আর এ কারণে নতুন রাজনৈতিক দলসহ দেশে বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বলব আপনারা যদি দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চান, তাহলে মনে রাখবেন, রাজনীতি মানে উগ্রতা, প্রতিহিংসা নয়, রাজনীতি মানে শালীনতা, ভদ্রতা এবং সহনশীলতা। আর এসব গুণাবলির মধ্য দিয়ে জনগণের মনে স্থান করে নিতে হবে। রাগ, হিংস্রতা কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ দিয়ে রাজনীতি করলে কখনোই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে না। আমরা সাধারণ জনগণ ভালো এবং নতুন কিছু প্রত্যাশা করি। আর এ জন্য পরিবর্তন শুধু মুখে নয় আচরণে এবং কার্যক্রমে প্রমাণ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

লেখক: ড. সুলতান মাহমুদ রানা, অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মতামত
Vivo Y3 without a credit card in Momo installment

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই ভিভো ওয়াই৪০০

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই ভিভো ওয়াই৪০০

ক্রেডিট কার্ডের কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই, সহজেই মোমো কিস্তিতে ভিভো ওয়াই৪০০ কেনার সুযোগ দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড ভিভো । ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি এই কিস্তিতে ফোনের ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইএমআই সুবিধায় ক্রেতারা সহজেই ফোনটি কিনতে পারবেন। সাশ্রয়ী কিস্তি এবং আধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে ভিভো ওয়াই৪০০ হাতে পাওয়া এখন আরও সহজ।

৬০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারির কারণে ভিভো ওয়াই৪০০ সারাদিনের পাওয়ার ব্যাকআপ দেবে নিশ্চিন্তে। ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জে দ্রুত চার্জ হয়ে যাবে, আর একবার চার্জে টানা ৬১ ঘণ্টা পর্যন্ত গান শোনা যাবে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রযুক্তির ফলে ৪ বছর পরও ব্যাটারির ক্ষমতা থাকবে প্রায় ৮০% অক্ষত।

আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি স্পেশালিস্ট ভিভো ওয়াই৪০০ এ থাকছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ রেটিংস। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভিন্ন স্টোরেজ অপশনে। যার, ৮ জিবি র্যামের সাথে ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯,৯৯৯ টাকা। সাথে থাকছে ৮ জিবি র্যাম এক্সটেন্ড করার অপশন। ফোনটিতে ফান টাচ ওএস১৫ ভার্সন থাকায় ৫০ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করবে স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স। তাই, যেকোনো অ্যাপ চালানো কিংবা ফাইল সংরক্ষণ করা যায় খুব সহজেই। ভিভোর ওয়াই সিরিজের নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে প্রসেসর হিসেবে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫। যা, দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে বিনোদনের সব চাহিদা পূরণে সক্ষম।

স্লিক ডিজাইন আর ইউনিক ফিনিশে ভিভো ওয়াই৪০০ দিচ্ছে আরও প্রিমিয়াম ফিল। মাত্র ৭.৯ মিমি পাতলা ফ্ল্যাট-ফ্রেম ইউনিবডি ডিজাইন ফোনটিকে দিয়েছে স্লিক একটি লুক। ইউনিক কুশন-কাট ডায়মন্ড ক্যামেরা ফোনটির লুকে যোগ করেছে এক্সট্রা কমপ্লিমেন্ট। ডাইনামিক গ্রিন ও পার্ল হোয়াইট দুটি ভিন্ন এবং ইউনিক কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। বিশেষ করে ডাইনামিক গ্রিন কালারটি আলোর নিচে ঝলমল করে নানা শেডে, যা ফোনটিকে দেয় একটি স্টাইলিশ গ্ল্যামার। আর পার্ল হোয়াইট কালার ফুটিয়ে তোলে এলিগেন্সকে।

এছাড়াও, আল্ট্রা স্লিম বেজেল এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ফোনটিকে দেয় একটি প্রিমিয়াম ফিনিশ। ৯১.৯% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস থাকায় আরও ব্রাইট ও ক্লিয়ার ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সে সবাইকে মুগ্ধ করছে। এসজিএস ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন থাকায় দীর্ঘসময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখে অস্বস্তি হয় না।

আধুনিক মিনিমালিস্টিক ডিজাইন ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিভো ওয়াই৪০০ ব্যবহারকারীর জন্য দিচ্ছে এক পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। আর সহজ ও সাশ্রয়ী মোমো কিস্তির সুবিধা থাকায় ফোনটি কেনা এখন আরও সহজ।

মন্তব্য

মতামত
Unveil the new logo of Magnolia Properties

ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজের নতুন লোগো উন্মোচন

ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজের নতুন লোগো উন্মোচন

আবাসন খাতে নির্ভরযোগ্য নাম ম্যাগনোলিয়া প্রপার্টিজ লিমিটেড রাজধানী ঢাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাদের নতুন লোগো উন্মোচন করেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রিয়েল এস্টেট খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

নতুন লোগোটি কেবল একটি চিত্র নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্র্যান্ড পরিচয়ের প্রতিফলন। গত কয়েক বছরে একাধিক সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং গ্রাহকদের আস্থার জায়গা হয়ে ওঠার ধারাবাহিকতায় সময়োপযোগী এক আধুনিক ব্র্যান্ড রূপ প্রয়োজন ছিল, যার ফলাফল এই রিব্র্যান্ডিং।

অনুষ্ঠানে ম্যাগনোলিয়া প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, ‘একটি অ্যাপার্টমেন্ট শুধু বসবাসের জায়গা নয়, এটি আমাদের স্বস্তি ও প্রশান্তির জায়গা। আমরা চাই প্রতিটি গ্রাহক যেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত নির্মাণের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ ঠিকানা খুঁজে পান।’

যারা ঢাকায় হাই ভ্যালু অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজছে তাদের জন্য একটি আদর্শ নাম ম্যাগনোলিয়া প্রোপারটিস। বর্তমানে ম্যাগনোলিয়ার বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জলসিঁড়ি আবাসন, উত্তরা এবং আফতাব নগরের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব প্রকল্পে নাগরিক জীবনের প্রয়োজনীয় সব আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন: ধানমন্ডি, মিরপুর সহ সাভারে, নতুন এপার্টমেন্ট প্রকল্প তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও আধুনিক, টেকসই ও হাই ভ্যালু অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজ।

নতুন লোগোর মাধ্যমে ম্যাগনোলিয়া প্রোপার্টিজ আবারও জানিয়ে দিয়েছে তাদের প্রতিশ্রুতি—আস্থা, গুণমান ও স্বপ্ন পূরণের নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে প্রতিটি গ্রাহককে উপহার দিতে চায় একটি পরিপূর্ণ আবাসন।

মন্তব্য

মতামত
The annual general meeting of the National Bank held

ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংকে অতীতে অনেক কিছুই হয়েছে, তবে আগামীতে এই ব্যাংকে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ব্যাংকটির সুনাম ও অবস্থানকে পুনরুদ্ধার করতে।’

এ ছাড়া আগামী বছরের মধ্যে ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা বর্তমান থেকে ভালো হবে বলে শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা উন্নত করার জন্য আমরা সব কর্মীরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সব উদ্যোগ কেবলমাত্র ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, কর্মীবাহিনী এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা ও আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতেই নিবেদিত। আমি বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের কোম্পানি সচিব ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কায়সার রশীদের সঞ্চালনায় সভায় ২০২৪ সমাপনী বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক নিয়োগসহ নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুমোদিত হয়।

মন্তব্য

মতামত
BDBLs 5th Annual General Meeting

বিডিবিএলের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা

বিডিবিএলের ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির (বিডিবিএল) ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহমেদ ইসমেতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জসিম উদ্দিন; পরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম, মো. আব্দুল মজিদ, মো. শাহ আলম, সুলতান মাহমুদ বিন জুলফিকার, মো. শাহ আলম মিয়া, মাহবুবুন নাহার, মো. চয়নূল হক এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শচীন্দ্র নাথ সমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

মন্তব্য

জনবান্ধব ভূমি সেবার দাঁড় উন্মোচন

জনবান্ধব ভূমি সেবার দাঁড় উন্মোচন এএসএম সালেহ আহমেদ ,সিনিয়র সচিব

ভূমি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সকল কর্মকান্ডেরই মূল উৎস। জম্ম থেকে মৃত্যু সবই এ ভূমিতে, তাই মানুষের জীবন জীবিকার জন্য জমির বিকল্প কিছুই নেই। মানুষের জীবন ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও নির্ভর করে ভূমির উপযুক্ত ব্যবহারের ওপর। ভূমি মানুষের জন্মগত অধিকার হলেও ভূমির ওপর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থাপনা কখনই স্বচ্ছ ছিল না। অন্যদিকে ভূমির ব্যবস্থাপনা সুদীর্ঘকাল ধরে এতদঞ্চলের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের মুখ্য ভিত্তি হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং এর ইতিহাসও বেশ প্রাচীন।

সময়ের পরিক্রমায় ভূমিসেবা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ,হয়রানী মুক্ত এবং আধুনিক হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করে জনবান্ধব করা হয়েছে। হয়রানি, ভোগান্তি, দুর্নীতি ইত্যাদি বন্ধে ভূমির ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম আর্শিবাদ স্বরুপ। ভূমিসেবা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে। মন্ত্রণালয় এখন ল্যান্ড সিঙ্গেল গেটওয়ে তৈরি করেছে যার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস গুলো এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে।

সরকার নাগরিকদের হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ভুল ভূমি রেকর্ড প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করে জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্বে ভূমি সংক্রান্ত জনগণের কাঙ্খিত সেবা তেমন নিশ্চিত হয়নি। ভূমি জঠিলতা নিরসনে প্রত্যেকটি জমির জিপিএস এবং জিও ফেন্সিং ব্যবহারের ফলে ভূমির মালিক তার জমির সব ধরনের তথ্য গুগোল আর্থে প্লট করে দেখতে পারবে। পরবর্তী স্টেজে এই জরিপের সাথে ভূমির মালিকানার একটা ম্যাপিং করা হবে। তার বিপরীতে রাজস্ব আদায়ের তথ্য ,নামজারি প্রক্রিয়া এবং কোন মামলা আছে কিনা থাকলে মামলার বর্তমান অবস্থা এই সব বিষয়ে গুলো সংযুক্ত করা হবে। অর্থাৎ একটা সিঙ্গেল গেটওয়েতে বসে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপের সাথে তার মালিকানাসহ বর্তমান অবস্থা দেখা যাবে।

বিদ্যমান সফটওয়্যার গুলোর আপডেট করাসহ জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গত ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে পরিক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত (লইভ) করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ইন্টারনেট সেবা সংক্রান্ত দপ্তরসমুহে ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তে কৃত্তিমভাবে প্রস্তুত একটি বন্ধুরপথ অতিক্রম করে আজ ভূমিসেবায় আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

ভূমিসেবা নেওয়ার জন্য এখন আর ভূমি অফিসে সশরীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে আবেদন পরবর্তী জমির নামজারি হলেই ভূমি মালিক ঘরে বসেই পর্চা বা খতিয়ান সংগ্রহের পাশাপাশি অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবে। অনলাইনে ভূমির খাজনা দেওয়া, নামজারি, জমাখারিজ,খতিয়ান বা পর্চা সার্টিফাইড কপি ও মৌজা ম্যাপ বা ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে হচ্ছে। ফলে সহজেই অনলাইনে এসব সেবা গ্রহণ করতে পারছে সেবাগ্রহীতাগণ। এতে সময়, শ্রম এবং খরচ সবই সাশ্রয় হচ্ছে।

ভূমিসেবা পুরোপুরি হয়রানি,ভোগান্তিমুক্ত ও জনবান্ধব করতেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ। দেশে বিদেশে যেকোনো স্থান থেকে ঘরে বসে বা কলসেন্টারের মাধ্যমে এসব সেবা গ্রহণ করা যাচ্ছে। ভূমি সেবা ডিজিটালি হওয়াতে কেউ ইচ্ছে করলেই ভূমি মালিকদের হয়রানি করার সুযোগ নেই। সরকার চাচ্ছে জনগণের মূল্যবান সময় ও অর্থকড়ি বাচিয়ে তাদের ঘরে সেবা পৌঁছে দেওয়া।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সরাসরি 09612316122 নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল অথবা "ই-খতিয়ান" মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি নিজ নিজ ঠিকানায় জনগণ পেয়ে যাচ্ছেন। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন সময় (২৪/৭) যেকোন নাগরিক এখন ভূমি অফিসে না এসেই নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা গ্রহণ করতে পারছেন কলসেন্টার ও নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় স্থাপিত ভূমি ভবনের নিচতলায় নাগরিক ভূমি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভূমি ভবন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল land.gov.bd অথবা “ভূমি উন্নয়ন কর” মোবাইল অ্যাপ-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। কর পরিশোধের সাথে-সাথে নাগরিকগণ তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে কিউআর কোড-সমৃদ্ধ একটি দাখিলা প্রাপ্ত হচ্ছেন যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির দাখিলার সমমানের এবং সর্বত্র গ্রহণযোগ্য।

যাদের জমি জমা নিয়ে জটিল সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিবছর মে মাসে ভূমি সেবা সপ্তাহে বা ভূমি মেলায় ও ভূমি অফিসেগুলো আগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের সেবা দেয়া হয়। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সব ভূমি অফিস প্রতি বছর মে মাসে ভূমি সেবা সপ্তাহ বা মেলায় শুধু সেবা প্রদান করবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ উঠে আসবে।

মেলার মাধ্যমে জনসাধারণ সরাসরি ভূমি সেবাসমূহের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। পাশাপাশি ভূমি আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ এবং দুর্নীতি হ্রাসে ভূমি মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলাগুলো দ্রুত সমাধানের নিমিত্ত এবং ভূমিসেবাকে সহজীকরণের লক্ষ্যে (১) ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩, (২) ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২৩, (৩) ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩, (৪) হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩, (৫) State Acquisition & Tenancy (Amendment) Act, 2023, (৬) বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সকল জলমহালের সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৪, হাট ও বাজার বিধিমালা-২০২৫, ভূমি অধিগ্রহণ বিধিমালা-২০২৫ ও ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ভূমিসেবার সাথে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) তথা পেমেন্ট গেটওয়েসহ অর্থ বিভাগের এ-চালান সিস্টেম, এর ফলে নাগরিকের অনলাইন সিস্টেমে পরিশোধিত ফি-সমূহ তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। অনলাইন ভূমিসেবার ফলে ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া আগের মত এখন বিড়ম্বনা নেই। আদায় হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে;ফলে ভূমিসেবা হতে রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশের ভূমিসেবাসমূহ থেকে অনলাইনে আদায়কৃত ফিসসমূহ সরাসরি ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন সরকারি কোষাগারে ভূমিসেবা ফি থেকে সরকারি কোষাগারে জমার পরিমাণ প্রায় ১০-১২ কোটি টাকা ।

হয়রানি রোধে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমিসেবায় নতুনভাবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। নুতন ভা‌বে সব কিছু প‌রিবর্তন ক‌রে আপ‌লোড হ‌চ্ছে। ভূমি উন্নয়ন কর,নামজারি, পর্চা বা খতিয়ান ও নকশা এগুলো জনগণের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। হয়রা‌নি ব‌্যাতীত ভূমিসেবাসমূহ স্বল্প মূ‌ল্যে ও সহজলভ‌্য করার হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর শুধু সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করেনা, যারা ভূমি উন্নয়ন কর দেন তারা একটা দাখিলা পান এবং এটি মালিকানার জন্য প্রয়োজন যা এক প্রকার দ‌লিল ও ভূমির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

কোনো প্রকার দালাল বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয়, জনগণ যেন সরাসরি অফিসে এসে সেবা গ্রহণ করবে। কোনো ধরণের হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতি ছাড়াই জনগণের কাঙ্খিত ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। ভূমিসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে কেউ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে স্বচ্চতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার মন মান‌সিকা অপরিহার্য। সকল ক্ষে‌ত্রে জবাব‌দিহীতার স্তর রাখা হয়েছে। ২৮ দিনের উর্ধেব কোন নামজারি বিশেষ কারণছাড়া পেন্ডিং রাখা যাবে না। একই সাথে সকল পেন্ডিং ডিসিআরের জন্য এক্সেল তালিকা হতে নাগরিককে ফোন করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করতে হবে। কোন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কোন নাগরিকের আবেদন পেন্ডিং রাখবেন না। এ বিষয়ে সকল মনিটরিং কর্মকর্তা নিয়োমিত মনিটরিং করবেন।

ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার। ভূমির বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় জেলা প্রশাসকদের ওপর। সেজন্য সরকারের নীতি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিব মহোদয়। মন্ত্রণালয় স্থানীয়ভাবে সরাসরি পরিদর্শনের মাধ্যমে নজরদারি করছে। এছাড়া ইউএনও ও এসিল্যান্ডরাও সরাসরি ভূমিসেবার সাথে যুক্ত রয়েছেন। জনগণের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হবে।

২০২৬ সাল নাগাদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকগণকে খুব প্রয়োজন ছাড়া যেনো ভূমি অফিসে যেতে না হয়। এনআইডি দিয়েই যাতে ভূমির সকল তথ্য পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা। আইবাসের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভূমি ডাটা ব্যাংক থেকে স্বয়ংক্রিয় তথ্যের মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তাদের সরকারি স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন রহিতকরণ । খতিয়ান ও ম্যাপ অটো কারেকশনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করা হবে। ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ের (এলএসজি) মাধ্যমে নাগরিকের প্রোফাইল তৈরি। লীজ ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা। রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনাসহ সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা। সর্বপরি জনবান্ধব ভূমিসেবা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অঙ্গিকার।

মন্তব্য

মতামত
Initiatives

নিয়োগপত্রের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা-স্বীকৃতি নিশ্চিতের উদ্যোগ

নিয়োগপত্রের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা-স্বীকৃতি নিশ্চিতের উদ্যোগ

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার ভাসমান বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী সালেহা বেগম। পেশায় গৃহকর্মী সালেহার নেই পরিবার-পরিজন। কোথাও থাকার বন্দোবস্ত নেই বলে দিনে গৃহশ্রমিকের কাজ শেষে রাতে ঘুমান ফুটপাতে। স্বামী ছেড়ে যাবার পর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন প্রায় ১ যুগ আগে। ১২ বছর ধরে গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও কোনো ঘর ভাড়া করে থাকার সামর্থ্য হয়নি সালেহার।

সালেহা বেগম জানান, শুরুতে ঢাকায় এসেই বাসাবাড়ির কাজ পাননি। কয়েক বছর ভিক্ষাবৃত্তিসহ নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করেন। বাসাবাড়িতে গৃহশ্রমিকের কাজ পাওয়ার পর নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হন সালেহা। দেখতে পান এ পেশাতেও আছে প্রতিযোগিতা, তুলনামুলক কম বয়সী তরুণীরাই বেশি কাজ পান। ‍এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সালেহা বেগম খুব বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারছিলেন না। এজন্য দিনে দুই থেকে তিনটি বাড়িতে কাজ করে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।

সালেহা বেগম বলেন, ‘যে ট্যাকা কামাই করি, ওইডা দিয়া ঘরভাড়া কইরা থাকন যায় না। একবার একটা বাসায় বান্ধা কামে ধরছিলাম। ওইখানেই থাকতাম। কিন্তু ওই বাসার ম্যাডাম খাবার লইয়া খোঁটা দিত। বাসায় কিছু হারাইলেই আমারে ধরত। লাগে য্যান আমি চোর। তাই এই রাস্তাতেই থাকন ভালা।’

সালেহা বেগমের মতো শুধু আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা নয়, দেশের প্রায় সব গৃহশ্রমিক শারীরিক নির্যাতনসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।

বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ২৫ লাখ গৃহশ্রমিক আছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এসব গৃহশ্রমিকের প্রায় সবাই প্রতিনিয়ত শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনে মৃত্যুর খবরও নিয়মিত আসছে সংবাদমাধ্যমে।

২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের ৮ তলার বাসা থেকে নিচে পড়ে মারা যায় ১৩ বছর বয়সী গৃহশ্রমিক প্রীতি উরান। সে ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সৈয়দ আশফাক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেলে থাকার পর দুজনই জামিনে ছাড়া পান। হত্যা মামলাটি এখন বিচারাধীন।

একই বছরের ২০ অক্টোবর গৃহশ্রমিক নির্যাতনের আরেক ভয়াবহ চিত্র সামনে আসে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কল্পনা নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে শারিরীক নির্যাতন করে চারটি দাঁত তুলে ফেলেন গৃহকর্ত্রী। কল্পনাকে নির্যাতনের সময় প্রতিনিয়ত গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন তিনি। চিকিৎসা না দেয়ায় কল্পনার শরীরের সেসব জখমে পচনও ধরে। একটি টেলিভিশনের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে কল্পনাকে পরে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। আটক করা হয় গৃহকত্রী দিনাত জাহান আদরকে। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ধারায় হওয়া মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ লেবার স্টাডিজের জরিপ বলছে, দেশের গৃহশ্রমিকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক, ৬১ শতাংশ মৌখিক, ২১ শতাংশ শারীরিক এবং ৪ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তবে নির্যাতিতদের মধ্যে ৯৫-৯৬ শতাংশই কোনো অভিযোগ বা আইনি ব্যবস্থা নেন না। বরং তারা নির্যাতনকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেন। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার- ওসিসির তথ্য অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মধ্যে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে গৃহশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে।

ঢাকার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসি সেন্টারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিনকি বলেন, ’আমরা গৃহশ্রমিকদের কিছু মামলা পাই ধর্ষণ সংক্রান্ত। আবার এ মামলাগুলো চালিয়ে নেয়াটাও বেশ চ্যালেঞ্জের, কারণ অধিকাংশ সময় ভিকটিমের পরিবার আপস করে ফেলে। এজন্য বিচারের কোনো দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা যায় না।’

একই ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে পুলিশও। ডিএমপির মোহম্মদপুর জোনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভিকটিম বা তার ফ্যামিলি টাকার বিনিময়ে আপস করে ফেলে। তারা নিজেরা মামলা করতেই চায় না্ আবার আমরা নিজেরাই মামলা করলেও ভিকটিমের সাপোর্ট পাই না। তদন্তে গেলে ভিকটিম প্রথমে এক রকম বর্ণনা দেন, পরে আবার তা পাল্টে ফেলে। আদালতে গিয়েও তাদের বক্তব্য পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। ফলে তদন্ত বেশ জটিল হয়ে পড়ে। উল্টো অভিযোগ উঠে পুলিশ টাকা খেয়ে বিবাদির পক্ষে কাজ করছে।’

অন্যদিকে গৃহশ্রমিক পরিচয়ে বাসাবাড়িতে অপরাধ ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে। গৃহশ্রমিকের সম্পৃক্ততায় নিয়োগদাতার বাসায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। এমনকি হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের খবরও এসেছে বেশ কয়েকবার।

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য গৃহশ্রমিকদের বৈধ নিয়োগপত্র দেয়ার ওপর জোর দিচ্ছে গৃহশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আর্থিক সহযোগিতায় নাগরিক সংগঠনের অংশগ্রহণে জনপরিসর সম্প্রসারণ ও সুশাসন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (এক্সপ্যান্ডিং সিভিক স্পেস থ্রু অ্যাক্টিভ পার্টিসিপেশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেন গভার্নেন্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ- ইসিসেপ) নামে চলছে একটি প্রকল্প। নারী গৃহশ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, তাদের জন্য সম্মানজনক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, শোষণ ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং মর্যাদা ও সামাজিক স্বীকৃতি বাড়াতে সম্মিলিতভাবে প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ক্রিশ্চিয়ান এইড, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এর আওতায় ‘নারী মৈত্রী’ নামের একটি সংগঠন গৃহশ্রমে নিয়োগপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গৃহশ্রমিক ও নিয়োগদাতাদের মাঝে প্রচার চালাচ্ছে। এরই মধ্যে পাঁচজন নারী গৃহশ্রমিক নিয়োগপত্র পেয়ে উদাহরণও সৃষ্টি করেছেন। নিয়োগপত্রটি এমনভাবে তৈরি যেখানে উভয়পক্ষের স্বার্থ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতি মাসের বেতন যায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সেটি সম্ভব না হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন দিতে নিয়োগদাতাদের উৎসাহিত করছে সংগঠনটি।

আমরাই পারি জোটের এই উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মোহম্মদপুর, কল্যাণপুর এবং শের-ই-বাংলা নগর এলাকার সাড়ে তিন হাজার এবং কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আড়াই হাজার গৃহশ্রমিককে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করেছে নারী মৈত্রী ও সহায়ক দুটি সংস্থা। অন্তত এক লাখ মানুষের মাঝে গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও নির্যাতনরোধের পদক্ষেপ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চায় সংগঠনগুলো। পাশাপাশি গৃহশ্রমিকদের দক্ষতা ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আওতায় গৃহশ্রমিকদের গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজ শেখানোর পাশাপাশি ঘরে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র যেমন ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ইলেক্ট্রিক চুলা, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য হল গৃহশ্রমিকদের মধ্যে একতা তৈরি করা এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তাদের একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। এই উদ্দেশ্যটিকেই প্রকল্পটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করছেন নারী মৈত্রীর ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর নাহিদ সুলতানা। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় আমরা গৃহশ্রমিকদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছি। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে তাদের মধ্যে একজনকে লিডার হিসেবে তৈরি করা এবং কোনো গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে কখন কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কীভাবে থানায় অভিযোগ করতে হবে সবকিছুই আমরা ধাপে ধাপে শেখানোর চেষ্টা করছি। এমনকি স্থানীয় থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই লিডারদের আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এতে করে সহিংসতার শিকার হলে গৃহশ্রমিকেরা আইনি ব্যবস্থা নিতে উৎসাহী হবেন।’

রাজধানীর একাধিক এলাকার গৃহশ্রমিক এবং নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের একটি বড় অংশই নিয়োগপত্রের বিধান সম্পর্কে জানেন না, আবার আরেকটি বড় অংশের কাছে বিষয়টি জটিল মনে হয়। রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা লুবনা হোসেন বলেন, ‘বাসার বুয়ার জন্য স্ট্যাম্পে লিখে অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার দিতে হবে এটা তো আজকেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টা ইন্টারেস্টিং, তবে এভাবে কতটুকু সুরক্ষা পাওয়া যাবে সেটা এপ্লাই করার আগ পর্যন্ত তো বোঝা যাবে না।

‘আমার মনে হয় এটা জটিল প্রক্রিয়া। অবশ্য সরকার নিয়ম করে দিলে হয়ত আমরা বাধ্য হয়ে অভ্যস্ত হব। কিন্তু আমাকে যদি বলেন, তাহলে আমি নিয়োগপত্রের ঝামেলায় যেতে চাই না। কারণ বুয়াদের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আজকে ইচ্ছা হলে কাল থেকে আর কাজে আসে না। এমন বাস্তবতায় আমাদের কোনো মাসে দুই থেকে তিনজন বুয়াকে কাজে রাখতে হয়। সেক্ষেতে মাসে দুই-তিনটা করে নিয়োগপত্র দিতে হবে।‘

ধানমন্ডি এলাকায় ৯ বছর ধরে গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন রিজিয়া পারভীন। তিনি তার কর্মদক্ষতার জন্য নিয়োগদাতাদের কাছে বেশ সুপরিচিত। তবে রিজিয়া পারভীনও নিয়োগপত্রের বিষয়টিকে জটিল মনে করেন। তিনি বলেন, ’আমি ঠিক তো ‍দুনিয়া ঠিক। নিজে ঠিক থাকলে কেউ উল্টাপাল্টা করতে পারবে না। এতদিন ধরে ঢাকা শহরে কাজ করি, আজ পর্যন্ত কোনো কাজে অকারণে কামাই দিই নাই, কোনো বাসায় চুরি করি নাই। আমার সাথেও কেউ খারাপ ব্যবহারও করে নাই। যেই বাসায় কোনো বুয়া টেকে না, মালিকের ব্যবহার খারাপ, সেই মালিকও আমারে কখনো একটা ধমকও দিতে পারে নাই। আমার কাজটা আমি ঠিক মতো করি।’

তবে প্রতিবেদক যেসব গৃহশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের অধিকাংশই মনে করেন নিয়োগপত্র বিষয়টি পুরোপুরি স্বাক্ষরতার ওপর নির্ভর করে। নিয়োগপত্রের বিষয়গুলো বুঝতে হলে পড়ালেখা জানতে হবে। সেই সঙ্গে দুই পক্ষের জন্যই বাড়াতে হবে প্রচার কার্যক্রম। তাহলে ধীরে ধীরে বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকতা পাবে। নিয়োগপত্রের পাশাপাশি এই পেশায় কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, সাপ্তাহিক ছুটি এবং মজুরির বৈষম্য দূর করার দাবিও জানান অনেকে।

আমরাই পারি জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক বলেন, ’বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। ফলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন হলেও প্রান্তিক মানুষ সবসময় বঞ্চিত থাকছে। তবে বাস্তবতা হল মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে বাদ দিয়ে বা পিছনে ফেলে রেখে একটি দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না।‘

গৃহশ্রমিকদের উন্নয়নে নেয়া প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের অধীনে আমরা গৃহশ্রমিকদের একটি ছোট অংশকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করছি। কোনো নির্যাতন হলে আইনি ব্যবস্থা কীভাবে নিতে হয় তা জানাচ্ছি। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো তাদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য আমরা গাইড করছি, যেন তারা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকতে পারেন। আশা করছি দুই বছর মেয়াদি এই পাইলট প্রকল্পটির ফলাফল দেখে সরকার এবং অন্য দাতা সংস্থাগুলো আরও বড় পরিসরে আমাদের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।’

মন্তব্য

মতামত
The Walton Monitor of three models is now at a more affordable price

জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্যহ্রাস করলো ওয়ালটন

জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্যহ্রাস করলো ওয়ালটন

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্য কমিয়ে এনেছে। মডেলগুলো হলো এসিসি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডিএফ১৩সি২২আই (অঈঈ ডউঋ১৩ঈ২২ও), সিনেক্সা ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৩৮আই১১ (ঈরঘঊঢঅ ডউ২৩৮ও১১) এবং সিনেডি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৭জিআই০৬ (ঈরঘঊফ ডউ২৭এও০৬)। এরফলে গ্রাহকরা এখন আগের চেয়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত স্পেসিফিকেশনের মনিটরগুলো কিনতে পারবেন। এটি কোনো সীমিত সময়ের অফার নয় বরং এখন থেকেই নতুন সাশ্রয়ী মূল্যে এই মনিটর মডেলগুলো ওয়ালটনের প্লাজা, অনুমোদিত ডিলার আউটলেট এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল, স্টাইলিশ ডিজাইন এবং ব্যবহারবান্ধব ফিচারে সমৃদ্ধ ওয়ালটনের এই মনিটরগুলো অফিসিয়াল কাজ, অনলাইন ক্লাস, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন ও গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য হয়ে উঠতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিসঙ্গী।

এসিসি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডিএফ১৩সি২২আই মডেলটি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৮,৯৯৫ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৯,২৫০ টাকা। এই মনিটরে রয়েছে ১০০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৫ এমএস রেসপন্স টাইম, এইচডিআর সাপোর্ট এবং ৮৫% এনটিএসসি কালার গ্যামট। এতে ২টি বিল্ট-ইন ৩ ওয়াট স্পিকার থাকায় আলাদা সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন পড়ে না। লো ব্লু লাইট ও ফ্লিকার ফ্রি টেকনোলজি চোখের আরাম নিশ্চিত করে। এইচডিএমআই, ভিজিএ, ভিইএসএ মাউন্ট এবং ওয়াই বা টি শেইপ স্ট্যান্ডসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের কানেক্টিভিটি ও ফিচার থাকায় এটি একটি পরিপূর্ণ সলিউশন।

সিনেক্সা ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৩৮আই১১ মডেলটির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫,৭৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ১৭,৭৫০ টাকা। ২৩.৮ ইঞ্চির আইপিএস প্যানেলের এই মনিটরটিতে রয়েছে ৭৫ হার্জ রিফ্রেশ রেট, এইচডিআর ও ফ্রিসিঙ্ক সাপোর্ট, বিল্ট-ইন স্পিকার এবং ইউএসবি ৩.০ সহ একাধিক আধুনিক পোর্ট সুবিধা। ৩ দিকে ফ্রেমলেস ডিজাইন, অ্যাডজাস্টেবল স্ট্যান্ড, পিভট ও হাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট ফিচার এটিকে আরও ব্যবহারবান্ধব করে তুলেছে।

সিনেডি ডব্লিউডি২৭জিআই০৬ মডেলের হাই পারফরমেন্স গেমিং মনিটরটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২,৭৫০ টাকা যা পূর্বে ছিল ৩৩,৭৫০ টাকা। ২৭ ইঞ্চির কিউএইচডি আইপিএস ডিসপ্লে সমৃদ্ধ এই মনিটরটিতে রয়েছে ১৬৫ হার্জ (ডিপি) ও ১৪৪ হার্জ (এইচডিএমআই) রিফ্রেশ রেট, ১ এমএস রেসপন্স টাইম, এইচডিআর সাপোর্ট এবং এনটিএসসি ৯৩% ও অ্যাডব আরজিবি ৯৫% কালার গ্যামট। এতে আছে ২টি ২ ওয়াটের বিল্ট-ইন স্পিকার, ফ্লিকার ফ্রি ও লো ব্লু লাইট টেকনোলজি, তিন দিকে ফ্রেমলেস ডিজাইন এবং ব্যাকলাইটিং সুবিধা। কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে এইচডিএমআই ২.০ ও ডিপি ১.৪ পোর্ট, অডিও আউট এবং ভিইএসএ মাউন্ট সাপোর্ট। অত্যাধুনিক অ্যাডজাস্টেবল স্ট্যান্ডটি হাইট, টিল্ট, সুইভেল ও পিভট সাপোর্ট করে যা গেমার ও প্রফেশনাল ইউজারদের জন্য একে করে তোলে আদর্শ।

প্রতিটি মডেলের সঙ্গে থাকছে নির্ধারিত ওয়ারেন্টি সুবিধা ও দেশব্যাপী দ্রুততম আফটার-সেলস সার্ভিসের নিশ্চয়তা, যা গ্রাহকদের দিচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা।

মন্তব্য

p
উপরে