× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
Vivo Y3 without a credit card in Momo installment
google_news print-icon

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই ভিভো ওয়াই৪০০

মোমো-কিস্তিতে-ক্রেডিট-কার্ড-ছাড়াই-ভিভো-ওয়াই৪০০

ক্রেডিট কার্ডের কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই, সহজেই মোমো কিস্তিতে ভিভো ওয়াই৪০০ কেনার সুযোগ দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড ভিভো । ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি এই কিস্তিতে ফোনের ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইএমআই সুবিধায় ক্রেতারা সহজেই ফোনটি কিনতে পারবেন। সাশ্রয়ী কিস্তি এবং আধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে ভিভো ওয়াই৪০০ হাতে পাওয়া এখন আরও সহজ।

৬০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারির কারণে ভিভো ওয়াই৪০০ সারাদিনের পাওয়ার ব্যাকআপ দেবে নিশ্চিন্তে। ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জে দ্রুত চার্জ হয়ে যাবে, আর একবার চার্জে টানা ৬১ ঘণ্টা পর্যন্ত গান শোনা যাবে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রযুক্তির ফলে ৪ বছর পরও ব্যাটারির ক্ষমতা থাকবে প্রায় ৮০% অক্ষত।

আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি স্পেশালিস্ট ভিভো ওয়াই৪০০ এ থাকছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ রেটিংস। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভিন্ন স্টোরেজ অপশনে। যার, ৮ জিবি র্যামের সাথে ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯,৯৯৯ টাকা। সাথে থাকছে ৮ জিবি র্যাম এক্সটেন্ড করার অপশন। ফোনটিতে ফান টাচ ওএস১৫ ভার্সন থাকায় ৫০ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করবে স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স। তাই, যেকোনো অ্যাপ চালানো কিংবা ফাইল সংরক্ষণ করা যায় খুব সহজেই। ভিভোর ওয়াই সিরিজের নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে প্রসেসর হিসেবে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫। যা, দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে বিনোদনের সব চাহিদা পূরণে সক্ষম।

স্লিক ডিজাইন আর ইউনিক ফিনিশে ভিভো ওয়াই৪০০ দিচ্ছে আরও প্রিমিয়াম ফিল। মাত্র ৭.৯ মিমি পাতলা ফ্ল্যাট-ফ্রেম ইউনিবডি ডিজাইন ফোনটিকে দিয়েছে স্লিক একটি লুক। ইউনিক কুশন-কাট ডায়মন্ড ক্যামেরা ফোনটির লুকে যোগ করেছে এক্সট্রা কমপ্লিমেন্ট। ডাইনামিক গ্রিন ও পার্ল হোয়াইট দুটি ভিন্ন এবং ইউনিক কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। বিশেষ করে ডাইনামিক গ্রিন কালারটি আলোর নিচে ঝলমল করে নানা শেডে, যা ফোনটিকে দেয় একটি স্টাইলিশ গ্ল্যামার। আর পার্ল হোয়াইট কালার ফুটিয়ে তোলে এলিগেন্সকে।

এছাড়াও, আল্ট্রা স্লিম বেজেল এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ফোনটিকে দেয় একটি প্রিমিয়াম ফিনিশ। ৯১.৯% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস থাকায় আরও ব্রাইট ও ক্লিয়ার ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সে সবাইকে মুগ্ধ করছে। এসজিএস ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন থাকায় দীর্ঘসময় স্ক্রিন ব্যবহার করলেও চোখে অস্বস্তি হয় না।

আধুনিক মিনিমালিস্টিক ডিজাইন ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিভো ওয়াই৪০০ ব্যবহারকারীর জন্য দিচ্ছে এক পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। আর সহজ ও সাশ্রয়ী মোমো কিস্তির সুবিধা থাকায় ফোনটি কেনা এখন আরও সহজ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নিয়োগপত্রের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা-স্বীকৃতি নিশ্চিতের উদ্যোগ

নিয়োগপত্রের মাধ্যমে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা-স্বীকৃতি নিশ্চিতের উদ্যোগ

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার ভাসমান বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী সালেহা বেগম। পেশায় গৃহকর্মী সালেহার নেই পরিবার-পরিজন। কোথাও থাকার বন্দোবস্ত নেই বলে দিনে গৃহশ্রমিকের কাজ শেষে রাতে ঘুমান ফুটপাতে। স্বামী ছেড়ে যাবার পর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন প্রায় ১ যুগ আগে। ১২ বছর ধরে গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও কোনো ঘর ভাড়া করে থাকার সামর্থ্য হয়নি সালেহার।

সালেহা বেগম জানান, শুরুতে ঢাকায় এসেই বাসাবাড়ির কাজ পাননি। কয়েক বছর ভিক্ষাবৃত্তিসহ নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করেন। বাসাবাড়িতে গৃহশ্রমিকের কাজ পাওয়ার পর নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হন সালেহা। দেখতে পান এ পেশাতেও আছে প্রতিযোগিতা, তুলনামুলক কম বয়সী তরুণীরাই বেশি কাজ পান। ‍এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সালেহা বেগম খুব বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারছিলেন না। এজন্য দিনে দুই থেকে তিনটি বাড়িতে কাজ করে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।

সালেহা বেগম বলেন, ‘যে ট্যাকা কামাই করি, ওইডা দিয়া ঘরভাড়া কইরা থাকন যায় না। একবার একটা বাসায় বান্ধা কামে ধরছিলাম। ওইখানেই থাকতাম। কিন্তু ওই বাসার ম্যাডাম খাবার লইয়া খোঁটা দিত। বাসায় কিছু হারাইলেই আমারে ধরত। লাগে য্যান আমি চোর। তাই এই রাস্তাতেই থাকন ভালা।’

সালেহা বেগমের মতো শুধু আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা নয়, দেশের প্রায় সব গৃহশ্রমিক শারীরিক নির্যাতনসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।

বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ২৫ লাখ গৃহশ্রমিক আছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এসব গৃহশ্রমিকের প্রায় সবাই প্রতিনিয়ত শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনে মৃত্যুর খবরও নিয়মিত আসছে সংবাদমাধ্যমে।

২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের ৮ তলার বাসা থেকে নিচে পড়ে মারা যায় ১৩ বছর বয়সী গৃহশ্রমিক প্রীতি উরান। সে ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সৈয়দ আশফাক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেলে থাকার পর দুজনই জামিনে ছাড়া পান। হত্যা মামলাটি এখন বিচারাধীন।

একই বছরের ২০ অক্টোবর গৃহশ্রমিক নির্যাতনের আরেক ভয়াবহ চিত্র সামনে আসে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কল্পনা নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে শারিরীক নির্যাতন করে চারটি দাঁত তুলে ফেলেন গৃহকর্ত্রী। কল্পনাকে নির্যাতনের সময় প্রতিনিয়ত গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন তিনি। চিকিৎসা না দেয়ায় কল্পনার শরীরের সেসব জখমে পচনও ধরে। একটি টেলিভিশনের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে কল্পনাকে পরে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। আটক করা হয় গৃহকত্রী দিনাত জাহান আদরকে। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ধারায় হওয়া মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ লেবার স্টাডিজের জরিপ বলছে, দেশের গৃহশ্রমিকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক, ৬১ শতাংশ মৌখিক, ২১ শতাংশ শারীরিক এবং ৪ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তবে নির্যাতিতদের মধ্যে ৯৫-৯৬ শতাংশই কোনো অভিযোগ বা আইনি ব্যবস্থা নেন না। বরং তারা নির্যাতনকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নেন। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার- ওসিসির তথ্য অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মধ্যে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে গৃহশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে।

ঢাকার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসি সেন্টারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিনকি বলেন, ’আমরা গৃহশ্রমিকদের কিছু মামলা পাই ধর্ষণ সংক্রান্ত। আবার এ মামলাগুলো চালিয়ে নেয়াটাও বেশ চ্যালেঞ্জের, কারণ অধিকাংশ সময় ভিকটিমের পরিবার আপস করে ফেলে। এজন্য বিচারের কোনো দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা যায় না।’

একই ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে পুলিশও। ডিএমপির মোহম্মদপুর জোনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভিকটিম বা তার ফ্যামিলি টাকার বিনিময়ে আপস করে ফেলে। তারা নিজেরা মামলা করতেই চায় না্ আবার আমরা নিজেরাই মামলা করলেও ভিকটিমের সাপোর্ট পাই না। তদন্তে গেলে ভিকটিম প্রথমে এক রকম বর্ণনা দেন, পরে আবার তা পাল্টে ফেলে। আদালতে গিয়েও তাদের বক্তব্য পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। ফলে তদন্ত বেশ জটিল হয়ে পড়ে। উল্টো অভিযোগ উঠে পুলিশ টাকা খেয়ে বিবাদির পক্ষে কাজ করছে।’

অন্যদিকে গৃহশ্রমিক পরিচয়ে বাসাবাড়িতে অপরাধ ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে। গৃহশ্রমিকের সম্পৃক্ততায় নিয়োগদাতার বাসায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। এমনকি হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের খবরও এসেছে বেশ কয়েকবার।

এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য গৃহশ্রমিকদের বৈধ নিয়োগপত্র দেয়ার ওপর জোর দিচ্ছে গৃহশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আর্থিক সহযোগিতায় নাগরিক সংগঠনের অংশগ্রহণে জনপরিসর সম্প্রসারণ ও সুশাসন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (এক্সপ্যান্ডিং সিভিক স্পেস থ্রু অ্যাক্টিভ পার্টিসিপেশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেন গভার্নেন্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ- ইসিসেপ) নামে চলছে একটি প্রকল্প। নারী গৃহশ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, তাদের জন্য সম্মানজনক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, শোষণ ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং মর্যাদা ও সামাজিক স্বীকৃতি বাড়াতে সম্মিলিতভাবে প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ক্রিশ্চিয়ান এইড, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এর আওতায় ‘নারী মৈত্রী’ নামের একটি সংগঠন গৃহশ্রমে নিয়োগপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গৃহশ্রমিক ও নিয়োগদাতাদের মাঝে প্রচার চালাচ্ছে। এরই মধ্যে পাঁচজন নারী গৃহশ্রমিক নিয়োগপত্র পেয়ে উদাহরণও সৃষ্টি করেছেন। নিয়োগপত্রটি এমনভাবে তৈরি যেখানে উভয়পক্ষের স্বার্থ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতি মাসের বেতন যায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সেটি সম্ভব না হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন দিতে নিয়োগদাতাদের উৎসাহিত করছে সংগঠনটি।

আমরাই পারি জোটের এই উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মোহম্মদপুর, কল্যাণপুর এবং শের-ই-বাংলা নগর এলাকার সাড়ে তিন হাজার এবং কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আড়াই হাজার গৃহশ্রমিককে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করেছে নারী মৈত্রী ও সহায়ক দুটি সংস্থা। অন্তত এক লাখ মানুষের মাঝে গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও নির্যাতনরোধের পদক্ষেপ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে চায় সংগঠনগুলো। পাশাপাশি গৃহশ্রমিকদের দক্ষতা ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আওতায় গৃহশ্রমিকদের গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজ শেখানোর পাশাপাশি ঘরে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র যেমন ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ইলেক্ট্রিক চুলা, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য হল গৃহশ্রমিকদের মধ্যে একতা তৈরি করা এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তাদের একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। এই উদ্দেশ্যটিকেই প্রকল্পটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করছেন নারী মৈত্রীর ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর নাহিদ সুলতানা। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় আমরা গৃহশ্রমিকদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছি। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে তাদের মধ্যে একজনকে লিডার হিসেবে তৈরি করা এবং কোনো গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে কখন কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কীভাবে থানায় অভিযোগ করতে হবে সবকিছুই আমরা ধাপে ধাপে শেখানোর চেষ্টা করছি। এমনকি স্থানীয় থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই লিডারদের আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। এতে করে সহিংসতার শিকার হলে গৃহশ্রমিকেরা আইনি ব্যবস্থা নিতে উৎসাহী হবেন।’

রাজধানীর একাধিক এলাকার গৃহশ্রমিক এবং নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের একটি বড় অংশই নিয়োগপত্রের বিধান সম্পর্কে জানেন না, আবার আরেকটি বড় অংশের কাছে বিষয়টি জটিল মনে হয়। রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা লুবনা হোসেন বলেন, ‘বাসার বুয়ার জন্য স্ট্যাম্পে লিখে অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার দিতে হবে এটা তো আজকেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টা ইন্টারেস্টিং, তবে এভাবে কতটুকু সুরক্ষা পাওয়া যাবে সেটা এপ্লাই করার আগ পর্যন্ত তো বোঝা যাবে না।

‘আমার মনে হয় এটা জটিল প্রক্রিয়া। অবশ্য সরকার নিয়ম করে দিলে হয়ত আমরা বাধ্য হয়ে অভ্যস্ত হব। কিন্তু আমাকে যদি বলেন, তাহলে আমি নিয়োগপত্রের ঝামেলায় যেতে চাই না। কারণ বুয়াদের কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আজকে ইচ্ছা হলে কাল থেকে আর কাজে আসে না। এমন বাস্তবতায় আমাদের কোনো মাসে দুই থেকে তিনজন বুয়াকে কাজে রাখতে হয়। সেক্ষেতে মাসে দুই-তিনটা করে নিয়োগপত্র দিতে হবে।‘

ধানমন্ডি এলাকায় ৯ বছর ধরে গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন রিজিয়া পারভীন। তিনি তার কর্মদক্ষতার জন্য নিয়োগদাতাদের কাছে বেশ সুপরিচিত। তবে রিজিয়া পারভীনও নিয়োগপত্রের বিষয়টিকে জটিল মনে করেন। তিনি বলেন, ’আমি ঠিক তো ‍দুনিয়া ঠিক। নিজে ঠিক থাকলে কেউ উল্টাপাল্টা করতে পারবে না। এতদিন ধরে ঢাকা শহরে কাজ করি, আজ পর্যন্ত কোনো কাজে অকারণে কামাই দিই নাই, কোনো বাসায় চুরি করি নাই। আমার সাথেও কেউ খারাপ ব্যবহারও করে নাই। যেই বাসায় কোনো বুয়া টেকে না, মালিকের ব্যবহার খারাপ, সেই মালিকও আমারে কখনো একটা ধমকও দিতে পারে নাই। আমার কাজটা আমি ঠিক মতো করি।’

তবে প্রতিবেদক যেসব গৃহশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের অধিকাংশই মনে করেন নিয়োগপত্র বিষয়টি পুরোপুরি স্বাক্ষরতার ওপর নির্ভর করে। নিয়োগপত্রের বিষয়গুলো বুঝতে হলে পড়ালেখা জানতে হবে। সেই সঙ্গে দুই পক্ষের জন্যই বাড়াতে হবে প্রচার কার্যক্রম। তাহলে ধীরে ধীরে বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকতা পাবে। নিয়োগপত্রের পাশাপাশি এই পেশায় কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, সাপ্তাহিক ছুটি এবং মজুরির বৈষম্য দূর করার দাবিও জানান অনেকে।

আমরাই পারি জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক বলেন, ’বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। ফলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন হলেও প্রান্তিক মানুষ সবসময় বঞ্চিত থাকছে। তবে বাস্তবতা হল মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে বাদ দিয়ে বা পিছনে ফেলে রেখে একটি দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না।‘

গৃহশ্রমিকদের উন্নয়নে নেয়া প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের অধীনে আমরা গৃহশ্রমিকদের একটি ছোট অংশকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করছি। কোনো নির্যাতন হলে আইনি ব্যবস্থা কীভাবে নিতে হয় তা জানাচ্ছি। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো তাদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য আমরা গাইড করছি, যেন তারা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকতে পারেন। আশা করছি দুই বছর মেয়াদি এই পাইলট প্রকল্পটির ফলাফল দেখে সরকার এবং অন্য দাতা সংস্থাগুলো আরও বড় পরিসরে আমাদের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।’

মন্তব্য

অন্যান্য
The Walton Monitor of three models is now at a more affordable price

জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্যহ্রাস করলো ওয়ালটন

জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্যহ্রাস করলো ওয়ালটন

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের জনপ্রিয় তিন মডেলের মনিটরের মূল্য কমিয়ে এনেছে। মডেলগুলো হলো এসিসি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডিএফ১৩সি২২আই (অঈঈ ডউঋ১৩ঈ২২ও), সিনেক্সা ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৩৮আই১১ (ঈরঘঊঢঅ ডউ২৩৮ও১১) এবং সিনেডি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৭জিআই০৬ (ঈরঘঊফ ডউ২৭এও০৬)। এরফলে গ্রাহকরা এখন আগের চেয়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত স্পেসিফিকেশনের মনিটরগুলো কিনতে পারবেন। এটি কোনো সীমিত সময়ের অফার নয় বরং এখন থেকেই নতুন সাশ্রয়ী মূল্যে এই মনিটর মডেলগুলো ওয়ালটনের প্লাজা, অনুমোদিত ডিলার আউটলেট এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল, স্টাইলিশ ডিজাইন এবং ব্যবহারবান্ধব ফিচারে সমৃদ্ধ ওয়ালটনের এই মনিটরগুলো অফিসিয়াল কাজ, অনলাইন ক্লাস, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন ও গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য হয়ে উঠতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিসঙ্গী।

এসিসি ব্র্যান্ডের ডব্লিউডিএফ১৩সি২২আই মডেলটি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৮,৯৯৫ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৯,২৫০ টাকা। এই মনিটরে রয়েছে ১০০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৫ এমএস রেসপন্স টাইম, এইচডিআর সাপোর্ট এবং ৮৫% এনটিএসসি কালার গ্যামট। এতে ২টি বিল্ট-ইন ৩ ওয়াট স্পিকার থাকায় আলাদা সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন পড়ে না। লো ব্লু লাইট ও ফ্লিকার ফ্রি টেকনোলজি চোখের আরাম নিশ্চিত করে। এইচডিএমআই, ভিজিএ, ভিইএসএ মাউন্ট এবং ওয়াই বা টি শেইপ স্ট্যান্ডসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের কানেক্টিভিটি ও ফিচার থাকায় এটি একটি পরিপূর্ণ সলিউশন।

সিনেক্সা ব্র্যান্ডের ডব্লিউডি২৩৮আই১১ মডেলটির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫,৭৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ১৭,৭৫০ টাকা। ২৩.৮ ইঞ্চির আইপিএস প্যানেলের এই মনিটরটিতে রয়েছে ৭৫ হার্জ রিফ্রেশ রেট, এইচডিআর ও ফ্রিসিঙ্ক সাপোর্ট, বিল্ট-ইন স্পিকার এবং ইউএসবি ৩.০ সহ একাধিক আধুনিক পোর্ট সুবিধা। ৩ দিকে ফ্রেমলেস ডিজাইন, অ্যাডজাস্টেবল স্ট্যান্ড, পিভট ও হাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট ফিচার এটিকে আরও ব্যবহারবান্ধব করে তুলেছে।

সিনেডি ডব্লিউডি২৭জিআই০৬ মডেলের হাই পারফরমেন্স গেমিং মনিটরটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২,৭৫০ টাকা যা পূর্বে ছিল ৩৩,৭৫০ টাকা। ২৭ ইঞ্চির কিউএইচডি আইপিএস ডিসপ্লে সমৃদ্ধ এই মনিটরটিতে রয়েছে ১৬৫ হার্জ (ডিপি) ও ১৪৪ হার্জ (এইচডিএমআই) রিফ্রেশ রেট, ১ এমএস রেসপন্স টাইম, এইচডিআর সাপোর্ট এবং এনটিএসসি ৯৩% ও অ্যাডব আরজিবি ৯৫% কালার গ্যামট। এতে আছে ২টি ২ ওয়াটের বিল্ট-ইন স্পিকার, ফ্লিকার ফ্রি ও লো ব্লু লাইট টেকনোলজি, তিন দিকে ফ্রেমলেস ডিজাইন এবং ব্যাকলাইটিং সুবিধা। কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে এইচডিএমআই ২.০ ও ডিপি ১.৪ পোর্ট, অডিও আউট এবং ভিইএসএ মাউন্ট সাপোর্ট। অত্যাধুনিক অ্যাডজাস্টেবল স্ট্যান্ডটি হাইট, টিল্ট, সুইভেল ও পিভট সাপোর্ট করে যা গেমার ও প্রফেশনাল ইউজারদের জন্য একে করে তোলে আদর্শ।

প্রতিটি মডেলের সঙ্গে থাকছে নির্ধারিত ওয়ারেন্টি সুবিধা ও দেশব্যাপী দ্রুততম আফটার-সেলস সার্ভিসের নিশ্চয়তা, যা গ্রাহকদের দিচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা।

মন্তব্য

অন্যান্য
Singer Memorandum of Understanding between Singer Bangladesh Limited and BUET

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বুয়েট-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বুয়েট-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প, জ্ঞান বিনিময় ও কর্মশালা, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও রেফারেল এবং চাকরি মেলা আয়োজন ও অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে বুয়েটের উপাচার্যের দপ্তরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ হাসিব চৌধুরী, এবং রিসার্চ এন্ড ইনভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- বুয়েট -এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।

সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ, মানব সম্পদ পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম এবং ফ্যাক্টরি ডিরেক্টর হাকান অলতিনিসিক। এছাড়াও দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতা স্মারক শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে একটি কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) খাতে যৌথ উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পেশাজীবীদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নয়নে সহায়ক হবে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Exclusive savings account of BRAC Bank for housewives

গৃহিণীদের জন্য  ব্র্যাক ব্যাংকের এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট

গৃহিণীদের জন্য  ব্র্যাক ব্যাংকের এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট

ব্র্যাক ব্যাংক গৃহিণীদের জন্য দেশের প্রথম এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট ‘তারা হোমমেকার্স’ চালু করেছে। এই অ্যাকাউন্টে আয়ের প্রমাণপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র সেলফ-ডিক্লারেশনের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

এতে নেই ডেবিট কার্ড ফি, গ্রোসারিতে মিলবে ক্যাশব্যাক, এবং যেকোনো ব্যালেন্সে মিলবে ইন্টারেস্ট।

নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের পরিবারের কথা বিবেচনা করে এই প্রোডাক্টটি ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশিসংখ্যক নারীদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট খোলার যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মাসিক পারিবারিক আয় ২ লাখ টাকার কম, প্রারম্ভিক জমা অনূর্ধ্ব ৫ লাখ টাকা এবং ছয় মাসে মোট জমা ১২ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।

ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাহীয়ুল ইসলাম জানান, গৃহিণীদের জন্য এক্সক্লুসিভ সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালু করতে পেরে তারা গর্বিত। এই অ্যাকাউন্ট গৃহিণীদের ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি নানা সুবিধা দেবে। এটি তাদের অমূল্যায়িত শ্রমের স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি বড় পদক্ষেপ। ‘তারা’ সেবার মাধ্যমে এমন নারীদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে, যারা এতদিন ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ছিলেন।

ব্যাংকটি ২,৫০০-এর বেশি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অ্যাকাউন্ট খোলা ও গ্রাহকসেবা নিয়ে। এই উদ্যোগ গৃহিণীদের আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবায় যুক্ত করার মাধ্যমে নারী আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

মন্তব্য

অন্যান্য
SDG Brand Champion Award Pay Berger Paints

এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল বার্জার পেইন্টস

এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল বার্জার পেইন্টস

বছরের অন্যতম সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডাস্ট্রি, ইনোভেশন ও ইনফ্রাসট্রাকচার’ ক্যাটেগরিতে দেশের প্রথম অ্যান্টি-পল্যুশন পেইন্ট বার্জার ইকো কোটকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং করপোরেট ও ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কোম্পানিটির চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার এ.এস.এম ওবায়দুল্লাহ মাহমুদ। এছাড়াও হেড অব ব্র্যান্ডস এমডি রাশেদুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অন্যান্য
New Director General of Bangladesh Water Development Board

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালক এর যোগদান

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালক এর যোগদান

মোঃ এনায়েত উল্লাহ সোমবার (১৪ জুলাই), ২০২৫ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। বর্তমান পদে যোগদানের পূর্বে তিনি বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ইস্ট রিজিয়ন) পদে কর্মরত ছিলেন। প্রকৌশলী মোঃ এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৯ সালে বর্তমান কযঁষহধ টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঊহমরহববৎরহম ধহফ ঞবপযহড়ষড়মু (কটঊঞ), কযঁষহধ থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন । তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে সুনামের সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পূর্বে তিনি ডিজাইন দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কর্মকালীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। মোঃ এনায়েত উল্লাহ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরিকালীন ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জাপান, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, রাশিয়া ও ইউ এস এ সহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে পাবনা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ওঊই) এর আজীবন সদস্য।

মন্তব্য

অন্যান্য
Search of the sinking city two thousand years ago

দুই হাজার বছর আগে ডুবে যাওয়া শহরের খোঁজ

দুই হাজার বছর আগে ডুবে যাওয়া শহরের খোঁজ

পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল গোটা একটি শহর। রোমান সাম্রাজ্যের ওই শহরের নাম ‘আয়নারিয়া’। সে ১৮০ সালের কথা। প্রায় দুই হাজার বছর পর এসে হারিয়ে যাওয়া শহরটির সন্ধান মিলেছে। বহু পরিশ্রম করে সাগরতলে শহরটি খুঁড়ে বের করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। পর্যটকেরা এখন ডুব দিয়ে দেখে আসতে পারেন শহরটির প্রাচীন সব নিদর্শন।

পানির নিচে খুঁজে পাওয়া শহরটির অবস্থান ইতালির ইসকিয়া দ্বীপের উপকূলে। ডুবসাঁতার ছাড়াও তলদেশে কাচ লাগানো নৌযানে চেপে শহরটির রোমান স্থাপনাগুলোর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাবে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে রোমানদের ব্যবহৃত বড় পাত্র, মোজাইক, মুদ্রা, একসময় সাগরের তীরে গড়ে তোলা বাসাবাড়ির অংশ—এমনকি রোম সাম্রাজ্যের বাসিন্দাদের তৈরি কাঠের একটি নৌকাও।

শহরটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় সত্তরের দশকে। ইসকিয়ার উপকূলে মাটির পাত্রের কিছু অংশ পেয়েছিলেন কয়েকজন ডুবসাঁতারু। তখন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা কিছু অনুসন্ধানও চালিয়েছিলেন। তবে কাজ এগোয়নি। পরে ২০১১ সালে স্থানীয় কয়েকজন নাবিক ও ইতিহাসপ্রেমী আবার অনুসন্ধান শুরু করেন। তাঁদের হাত ধরেই খোঁজ মেলে সাগরের তলদেশের ২ মিটার নিচে থাকা শহরটির।

খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০ শতকের দিকে ইসকিয়া গ্রিক সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ শতকে দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণে নেয় রোমানরা। নাম দেওয়া হয় আয়নারিয়া। ধারণা করা হয়, ১৮০ সালে আগ্নেয়গিরির লাভায় তলিয়ে গিয়েছিল শহরটি। এরপর ধীরে ধীরে কালের গর্ভে হারিয়ে যায়।

এর আগে ৭৯ সালে অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়েছিল রোমান সাম্রাজ্যের পম্পেও নগরী। এই শহর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলেও আয়নারিয়ার ধ্বংসের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

মন্তব্য

p
উপরে