জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বাদ যোহর জনতা ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের নামাজ ঘরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নামাজ ঘরে এক আলোচনা সভায় ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ও উপমহাব্যবস্থাপকরা, জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি ও জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃরাসহ সব স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ সৌদি রিয়াল লুটের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ।
বুধবার (০২ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন।
ওসি আসলাম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) রাতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে তারা তৎপরতা শুরু করেন। রাতভর অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীও আছেন। অভিযানে ২ লাখ ৬৯ হাজার সৌদি রিয়াল উদ্ধার হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ বলছে, অভিযোগে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী ৫ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে প্রাইভেটকারে করে পল্টন থেকে উত্তরায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আসেন। তখন ছিনতাইকারীরা প্রাইভেট কারটি ঘিরে ফেলেন। অস্ত্রের মুখে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর কাছ থেকে ৫ লাখ সৌদি রিয়াল লুটে নেন ছিনতাইকারীরা।
অভিযোগ পেয়েই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেন বলে জানান ওসি আসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল একটি সাজানো ঘটনা। গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির ওই কর্মীও আছেন। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
নগর ভবনের প্রশাসক মহোদয়ের সভাকক্ষে নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অব্যাহত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে ডিএসসিসির ও পার্টনার এনজিওর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয় এবং নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেন সুবিধায় ঢাকা ব্যাংকের বুথ উদ্বোধন করা হয়।
নগরবাসীর বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নততর অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে "স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসমূহে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দায়িত্ব মোতাবেক ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রজেক্ট-২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৬ টি নগর মাতৃসদন, ৩১ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও ৩১৮ টি স্যাটেলাইট কেন্দ্র ও ১৪৩৬ জন জনবলের মাধ্যমে সকল প্রকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হবে।
নগর বাসীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পটির সাফল্যজনক সমাপ্তি পরবর্তীতে ০১ জুলাই ২০২৫ থেকে SHIMANTIK, Association for Prevention of Septic Abortion, Bangladesh (BAPSA), Dhaka Ahsania Mission(DAM), Population Servies and Trainig Center (PSTC), Association for Development Activity of manifold Social Work (ADMS) পার্টনার এনজিওগুলোর মাধ্যমে সেবা পরিচালিত হবে। যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নাগরিকগণের সার্বজনীন প্রাথমিক ও অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিত হয় ।
এছাড়াও নাগরিকবান্ধব সেবা নিশ্চিতে নগর ভবনের ৭ম তলায় ঢাকা ব্যাংকের বুথ উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা(অতি.দা.) ডা.নিশাত পারভীন সহ আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস প্রকল্পের কর্মকর্তাগন ও সংশ্লিষ্ট এনজিওর কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ২৭ জুন গাজীপুরের দি ফরেষ্ট এজ রিসোর্টে ঢাকা কলেজ এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি ৯৬ ব্যাচের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ডাক্তার মো. আশরাফুল হাসান মানিক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষনা করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদ আলম তুলিত নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষনা করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।
ঢাকা কলেজ এইচএসসি’৯৬ ব্যাচের এর প্রায় দুই শতাধিক সদস্যবৃন্দ সারাদিন প্রাণবন্ত আড্ডা, পুকুরে এবং সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে, ক্রিকেট ম্যাচ খেলে এবং দেশ বরেণ্য শিল্পিদের গান শুনে অনন্য আনন্দ উদযাপন ও উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান বুলবুল ও মোজাম্মেল হক রাজু।
এর আগে ৩১ মে শনিবার ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি-৯৬ ব্যাচের প্রথম দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের ক্যাম্পাসে অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে আয়োজিত নির্বাচনে সভাপতি পদে ডাক্তার মো. আশরাফুল হাসান মানিক ২৩০ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ওয়াহিদ আলম ২২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কামাল হোসেন তালুকদার জীবন পেয়েছেন ১১ ভোট (সভাপতি পদপ্রার্থী) এবং শাহ ফজলে রাব্বি পেয়েছেন ১৬ ভোট (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী)। মোট ৩৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২৪৭ জন।
বিশ্ব এমএসএমই (মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প) দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাত উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘উদ্যোক্তা সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা দেয় ব্যাংকটি।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অংশগ্রহণকারী শতাধিক উদ্যোক্তা গ্রাহকদের উপস্থিতিতে উদ্যোক্তা উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। প্রাইম ব্যাংক ১১ হাজার ৫০০-এরও বেশি সক্রিয় ঋণগ্রহীতার মধ্য থেকে ছয়জন এসএমই উদ্যোক্তা এবং একজন কৃষি খাতের উদ্যোক্তাকে বিশেষ এই সম্মাননা প্রদান করেছে।
উদ্যোক্তার পণ্যের বৈচিত্র্য, বার্ষিক রাজস্ব, নিয়োজিত জনবল, প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক, উদ্যোক্তার ধরন (নারী/পুরুষ), উদ্যোগের ধরনসহ (ম্যানুফ্যাকচারিং, সেবা, ট্রেডিং) বিভিন্ন মানদণ্ড বিবেচনায় এ সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা। কী-নোট বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নাজিম এ চৌধুরী ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ বলেন, ‘এসএমই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তারা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, গ্রামীণ উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এবং আত্মনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলে। এই খাতের বিকাশ মানেই সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও সমান সুযোগের সমাজ গঠন। প্রাইম ব্যাংক অনেকদিন ধরেই এমএসএমই খাতের উন্নয়ন ও অর্থায়নে কাজ করছে। আমাদের ১৫০টিরও বেশি শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পাশে আছি। এই স্বীকৃতি উদ্যোক্তাদের আরও উদ্যমী করে তুলবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’
আবারও ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করল পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে গ্রিন ফ্যাক্টরির মর্যাদা পেয়েছে ওয়ালটন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন এবং উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনায় রেখে ওয়ালটনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুবার গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেল ওয়ালটন।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর আবদুল গণি সড়কের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ডের ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) মো. ইউসুফ আলী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ওই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা ২০২০-এর আওতায় ১৬টি খাতের ৩০টি শিল্পকারখানাকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ নিয়ে দুবার গ্রিন ফ্যাক্টরি স্বীকৃতি পাওয়ায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ওয়ালটনকে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার দেওয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উন্নতমানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিবেশবান্ধব বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ওয়ালটন ফ্যাক্টরিতে পরিবেশবান্ধব রুফটপ সোলার প্রজেক্টসহ এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় মেটাল ও প্লাস্টিক রিসাইকেলে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলছে ওয়ালটন। উচ্চমানসম্পন্ন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা প্রদান এবং দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়ালটন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৮, রাষ্ট্রপতি শিল্প-উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ পদক)-২০২২, গ্রিন ফ্যাক্টরি আওয়ার্ড-২০২৩-সহ নানা পুরস্কার।
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মানেই নানান পদের গরুর মাংস রান্না। সকাল, দুপুর কিংবা রাত- সব বেলাতেই গরুর কোন না কোন পদ থাকেই। অনেকে সময় স্বল্পতা আর অতিরিক্ত ঝুট ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য এক বা দুই পদের বেশি মাংস রান্না করতে চান না। আবার অনেকে রান্না করতে চাইলেও রেসিপি না জানার কারণে মজাদার গরুর মাংসের খাবার খাওয়া থেকে বঞ্চিত হন।
গরুর মাংস রান্নার কিছু সহজ রেসিপি রয়েছে। যা জানলে আপনিও খেতে পারবেন মজাদার সব গরুর মাংসের খাবার। আসুন জেনে নিই, গরুর মাংসের সহজ কিছু রেসিপি।
গরুর মাংসের শাহী রেজালা: কোরবানির ঈদে গরুর মাংসের শাহী রেজালা ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সহজ এবং সবার প্রিয় এই রেসিপিটি সবার খুব পরিচিত। যেভাবে গরুর মাংসের রেজালা তৈরি করবেন।
যা লাগবে: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ জিরা, ধনিয়া, লবণ, কিশমিশ, আলু বুখারা, টক দই, বাদাম বাটা, চিনি, কাঁচা মরিচ বাটা বা পেস্ট, জয়ফল/ জয়ত্রী/ পুস্তদানা, গরম মসলা (এলাচি/ দারুচিনি) তেজপাতা ও তেল।
যেভাবে রান্না করবেন: মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার সব উপকরণ পরিমাণমতো নিয়ে দই আর অল্প পানি দিয়ে একসাথে মিশিয়ে ঘণ্টাখানেক প্রস্তুত করে রেখে দিন। এরপর মাংসে তেল, কাঁচামরিচ পেস্ট, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, জিরা, ধনিয়া, লবণ, বাদাম বাটা, চিনি, জয়ফল, জয়ত্রী, পুস্তদানা বাটা, তেজপাতা, গরম মসলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে মাংসের মিশ্রণটি চুলায় বসিয়ে দিন।
অল্প আঁচে গরম হতে থাকবে এবং মাংস সিদ্ধ হচ্ছে কিনা কিছুক্ষণ পরে দেখে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে হালকা আঁচে আরও কিছু সময় জ্বাল দিন। তারপর লবণ ঝাল হয়েছে কিনা দেখে নিন। বাগার দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে মজাদার গরুর মাংসের রেজালা।
কড়াই গোস্ত: গরুর কড়াই গোস্ত পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। কোরবানির ঈদের সবচেয়ে পছন্দের মাংস রান্নার মধ্যে গরুর কড়াই গোস্ত অন্যতম।
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৩/৪ টুকরো, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, টমেটো কিউব ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, তেল ১ কাপ, রসুন কোয়া ২/৩টি, লবণ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, টক দই, লবণসহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২০/২৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।
হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা হালকা বাদামী করে ভেজে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। কিছু সময় পর মাংস সেদ্ধ হল কিনা দেখে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে ও মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, টমেটো কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে মাংস কড়াইতে দিয়ে ২/৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরুর মাংসের কড়াই গোস্ত।
গার্লিক বিফ: যারা রেস্তোরাতে খেয়ে অভ্যস্ত তারা বাড়িতেও রান্না করে নিতে পারেন মজাদার কিছু রান্না। গার্লিক বিফ এই রকম একটি খাবার আইটেম। ঝাল প্রিয় মানুষের জন্য অনেক পছন্দের মাংসের আইটেম এটি।
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, রসুনের কোয়া ৬/৭টি, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট সামান্য, তেল আধা কাপ, মাংসের মসলা আধা চা চামচ, টমেটো সস আধা কাপ, টক দই ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ ও লবণ স্বাদ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণসহ সব মসলা নিয়ে আধাঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে টমেটোসস, কাঁচামরিচ ফালি ও রসুনের কোয়া দিয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মন্তব্য