× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
Some simple recipes of beef
google_news print-icon

গরুর মাংসের কিছু সহজ রেসিপি

গরুর-মাংসের-কিছু-সহজ-রেসিপি

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মানেই নানান পদের গরুর মাংস রান্না। সকাল, দুপুর কিংবা রাত- সব বেলাতেই গরুর কোন না কোন পদ থাকেই। অনেকে সময় স্বল্পতা আর অতিরিক্ত ঝুট ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য এক বা দুই পদের বেশি মাংস রান্না করতে চান না। আবার অনেকে রান্না করতে চাইলেও রেসিপি না জানার কারণে মজাদার গরুর মাংসের খাবার খাওয়া থেকে বঞ্চিত হন।

গরুর মাংস রান্নার কিছু সহজ রেসিপি রয়েছে। যা জানলে আপনিও খেতে পারবেন মজাদার সব গরুর মাংসের খাবার। আসুন জেনে নিই, গরুর মাংসের সহজ কিছু রেসিপি।

গরুর মাংসের শাহী রেজালা: কোরবানির ঈদে গরুর মাংসের শাহী রেজালা ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সহজ এবং সবার প্রিয় এই রেসিপিটি সবার খুব পরিচিত। যেভাবে গরুর মাংসের রেজালা তৈরি করবেন।

যা লাগবে: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ জিরা, ধনিয়া, লবণ, কিশমিশ, আলু বুখারা, টক দই, বাদাম বাটা, চিনি, কাঁচা মরিচ বাটা বা পেস্ট, জয়ফল/ জয়ত্রী/ পুস্তদানা, গরম মসলা (এলাচি/ দারুচিনি) তেজপাতা ও তেল।

যেভাবে রান্না করবেন: মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার সব উপকরণ পরিমাণমতো নিয়ে দই আর অল্প পানি দিয়ে একসাথে মিশিয়ে ঘণ্টাখানেক প্রস্তুত করে রেখে দিন। এরপর মাংসে তেল, কাঁচামরিচ পেস্ট, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, জিরা, ধনিয়া, লবণ, বাদাম বাটা, চিনি, জয়ফল, জয়ত্রী, পুস্তদানা বাটা, তেজপাতা, গরম মসলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে মাংসের মিশ্রণটি চুলায় বসিয়ে দিন।

অল্প আঁচে গরম হতে থাকবে এবং মাংস সিদ্ধ হচ্ছে কিনা কিছুক্ষণ পরে দেখে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে হালকা আঁচে আরও কিছু সময় জ্বাল দিন। তারপর লবণ ঝাল হয়েছে কিনা দেখে নিন। বাগার দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে মজাদার গরুর মাংসের রেজালা।

কড়াই গোস্ত: গরুর কড়াই গোস্ত পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। কোরবানির ঈদের সবচেয়ে পছন্দের মাংস রান্নার মধ্যে গরুর কড়াই গোস্ত অন্যতম।

উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৩/৪ টুকরো, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, টমেটো কিউব ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, তেল ১ কাপ, রসুন কোয়া ২/৩টি, লবণ পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালী: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, টক দই, লবণসহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২০/২৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা হালকা বাদামী করে ভেজে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। কিছু সময় পর মাংস সেদ্ধ হল কিনা দেখে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে ও মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, টমেটো কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে মাংস কড়াইতে দিয়ে ২/৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরুর মাংসের কড়াই গোস্ত।

গার্লিক বিফ: যারা রেস্তোরাতে খেয়ে অভ্যস্ত তারা বাড়িতেও রান্না করে নিতে পারেন মজাদার কিছু রান্না। গার্লিক বিফ এই রকম একটি খাবার আইটেম। ঝাল প্রিয় মানুষের জন্য অনেক পছন্দের মাংসের আইটেম এটি।

উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, রসুনের কোয়া ৬/৭টি, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট সামান্য, তেল আধা কাপ, মাংসের মসলা আধা চা চামচ, টমেটো সস আধা কাপ, টক দই ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ ও লবণ স্বাদ মতো।

প্রস্তুত প্রণালী: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণসহ সব মসলা নিয়ে আধাঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। কষানো হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে টমেটোসস, কাঁচামরিচ ফালি ও রসুনের কোয়া দিয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
Panchayat tradition
সম্প্রীতি ও ঐক্য ধরে রাখতে ফুলবাড়িয়ায়

আড়াইশ বছর ধরে চলছে পঞ্চায়েত প্রথা

আড়াইশ বছর ধরে চলছে পঞ্চায়েত প্রথা

কোরবানির পশু জবাই করার পর তা তিন ভাগের একভাগ গোশত জমা রাখা হয়। আর এ গোশত জমা রাখাকেই বলা হয় 'পঞ্চায়েত'। কালক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পঞ্চায়েত প্রথা হারিয়ে গেলেও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের বৈলাজান গ্রামে আড়াইশ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এলাকাবাসী। বংশপরম্পরায় এই সামাজিক ঐতিহ্য ধরে রেখে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন তারা। এবার ঈদ উল আজহা উপলক্ষে দেশের অন্যতম এ কোরবানির মাঠে ১৫৩টি খাসি ও ৭৬টি গরু কোরবানী করা হয়েছে। কোরবানির মাংসের সামাজিক বন্টন করা হয়েছে ১৬শত ২০টি। কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী কোরবানির মাঠকে দেশের বৃহত্তম কোরবানির মাঠ বলে বলেও দাবী করেন ।

স্থানীয়রা বলছেন, বৈলাজান গ্রামের কোরবানির মাঠটি পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক। সম্প্রীতি ধরে রাখতে দুটি ঈদগাহ ও সাতটি মসজিদ সমাজ নিয়ে এ কোরবানি মাঠ গঠিত। এ কোরবানির সমাজে এ বছর ১৫৩টি খাসি ও ৭৬টি গরুসহ ২২৯ টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৈলাজান কোরবানির মাঠে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পশু জবাই, গোশত প্রসেসিংয়ের কাজ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জমাকৃত তিনের একাংশ গোশত কোরবানি সমাজের ১৬২০টি খানার মধ্যে তা সমহারে বন্টন করে যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ উপলক্ষে মাঠে বিরাজ করে আনন্দ ঘন পরিবেশ। মাঠের এক পাশে বসে দোকান। সেখানে ছোট ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাস করে থাকে।

পঞ্চায়েত সভাপতির দায়িত্ব থাকা ইব্রাহিম মাস্টার বলেন, আমাদের এ কোরবানির মাঠ কবে থেকে শুরু হয়েছে তা আমরা কেউই বলতে পারব না। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই মাঠে কুরবানি করেছেন। আমার দাদা করেছে আমার বাবা করেছে আমরাও কোরবানি করছি।

স্থানীয় হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বলেন, এই কোরবানির মাঠ আমাদের ঐতিহ্য। এটি আমাদের ভাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের বন্ধনকে সুদৃড় করেছে। যুগযুগ ধরে এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা সকলেই বদ্ধপরিকর।

মন্তব্য

অন্যান্য
Global Antrepreneurship Congress Gec Bangladesh won the "Best Country Award" in 2021

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস (GEC) ২০২৫-এ বাংলাদেশ জয় করলো “ বেস্ট কান্ট্রি এওয়ার্ড”

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস (GEC) ২০২৫-এ বাংলাদেশ জয় করলো “ বেস্ট কান্ট্রি এওয়ার্ড”

বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস (GEC) ২০২৫-এ “কান্ট্রি এওয়ার্ড” অর্জন করে এক বিশাল সাফল্যের মাইলফলক অর্জন করেছে। এই সম্মানজনক পুরস্কারটি গত ৩ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫-এর অ্যাওয়ার্ড সেশনে GEN বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, GEN বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, KnowledgeVale এবং অন্যান্য ইকোসিস্টেম পার্টনারদের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী উদ্যোক্তা পরিবেশ গড়ে উঠছে।

জেন ক্যাম্পাস ঢাকা, স্মার্ট এক্সিলারেটর পোগ্রামস, শিমিনসডিজিটাল এবং ন্ট্রেপ্রেনারশিপ ওয়ার্ল্ডকাপ -এ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে।

জেন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, “এই পুরস্কার বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ, নারী উদ্যোক্তা এবং ইকোসিস্টেম নির্মাতাদের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই অর্জন আমাদের সবাইকে আরও অনুপ্রাণিত করবে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে।”

এই সম্মাননা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী শক্তি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রতি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি এবং নতুন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দিক উন্মোচন করবে।

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (GEN) কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস প্রতি বছর বিশ্বের উদ্যোক্তা, নীতি নির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ প্রতিনিধিদের একত্রিত করে

মন্তব্য

অন্যান্য
Global Antrepreneurship Congress is a delegation of Bangladesh led by Dr Sabur Khan in 2021

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫-এ ড. মোঃ সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫-এ ড. মোঃ সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে ২ জুন থেকে শুরু হওয়া গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫ (Global Entrepreneurship Congress 2025)-এ বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (GEN) বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। এই প্রতিনিধিদলের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, এবং অর্থায়ন সহযোগিতা নিশ্চিত করা। এতে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারক, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।

ড. সবুর খান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো স্থানীয় উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা। গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা সরাসরি জানার সুযোগ মেলে। বাংলাদেশকে এই মঞ্চে তুলে ধরা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্যসমূহ হলো উদ্ভাবনভিত্তিক আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব তৈরি, উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি, নীতিনির্ধারণ ও ইকোসিস্টেম উন্নয়নের সেরা চর্চাগুলো শেখা, বাংলাদেশকে উদ্যোক্তা-বান্ধব একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা

গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে GEN বাংলাদেশ চালু করতে যাচ্ছে GEN Campus, যা হবে একটি সম্পূর্ণ উদ্যোক্তা সহায়ক কেন্দ্র যেখানে শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ, ফান্ডিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুবিধা।

বাংলাদেশের এই অংশগ্রহণ বিশ্ব উদ্যোক্তা সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ আরও গভীর করবে এবং উদ্ভাবননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.genglobal.org/bangladesh

মন্তব্য

অন্যান্য
Teknaf gun battle Reduces 3 Yaba weapons detained

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ 
 আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

আটকরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করা হয়।

পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

কোস্ট গার্ড জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় জেলেদের দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আট জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। পরে গোলাগুলির ঘটনায় তাদের একজনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কায় স্বজনরা তুলাতলী ঘাটে ছুটে আসেন।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

মন্তব্য

মধুমাসে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল

মধুমাসে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল ছবি: সংগৃহীত

মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল। এই মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, তালশাঁস, জামরুল, আতাফল, কাউফলসহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি-টক রসালো ফল পাওয়া যায়। এগুলো সবই দেশি ফল। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীসহ দেশের সব জেলায় পৌঁছে যায়।

ফলের সুমধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠ মাস হয়ে উঠেছে মধুময়। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীর ছোট-বড় বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে। আম, কাঁঠাল, লিচু, তালশাঁস, আনারস, জামরুলসহ নানান ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে এইসব ফল তুলনামূলক বেশি দাম হাঁকছেন ক্রেতারা।

এ ছাড়া মৌসুম শেষ হলেও বেল, বাঙ্গি ও তরমুজও পাওয়া যাচ্ছে ফলের দোকান ও আড়তে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আম ও লিচু। বিশেষ করে লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে এ সপ্তাহে। এ ফলটি বেশিদিন পাওয়া যায় না। তবে লিচুর দাম এ মুহূর্তে তুলনামূলক বেশি। একশ লিচু ৪০০ টাকা থেকে লিচুর জাত বুঝে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজশাহী দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার লিচু বাজারে আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে ফলে চাষিরা যে দামে বিক্রি করেন আড়ত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে দামে তারতম্য হয় বলে জানান ক্রেতারা।

বাজারে সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী থেকে আসা বাহারি নামের আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতিটি তাল ৩০-৪০ টাকা, আনারস ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে ভ্যানে করেও মৌসুমি এসব ফল বিক্রি করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, গোবিন্দভোগ ১২০ টাকা, গোপালভোগ ১২০ টাকা, গুটি আম ১০০০ টাকায়। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে।

জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য দেশি ফল তুলনামূলক দাম বেশি। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দাম সহনীয় ও সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে বলে জানান দোকানিরা।

বাজারে এ সময়ে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ কম। কিছুদিনের মধ্যেই বাজার ছেয়ে যাবে কাঁঠালে আশা করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। সবজি হিসেবে রান্না করার জন্য কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। এটি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, আলুসহ পাঁচমিশালী সবজি দিয়ে কাঁঠাল রান্না এখন ভীষণ জনপ্রিয়।

খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ফল বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আম আসছে। আমের দাম তুলনামূলক কম। সব ধরনের আমের বিক্রিই ভালো।

মিরপুর এলাকায় ফল ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, বাজারে যে লিচুগুলো এখন আসছে সেগুলো আকারে কিছুটা ছোট। আগামী সপ্তাহ থেকে বড় লিচু আসবে, দামও কিছুটা কমবে। পাকা কাঁঠালের একটা বড় অংশ আসে গাজীপুর ও সাভার থেকে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ বাড়বে বলে তিনি জানান।

ব্যবসায়ীরা জানান, মধুমাস জ্যৈষ্ঠে আম, লিচু ও দেশি অন্যান্য ফলের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কম থাকে। বনশ্রী এলাকায় ফল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়ে মানুষ আম-কাঁঠাল ও দেশি ফল খাবে। তবে রোগীর জন্য অনেকেই মাল্টা, আপেল, আনার কিনছেন।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেশি বিভিন্ন ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে।

ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ১০০ টাকার ওপরে থাকে। ভরা মৌসুমে কিছুটা কমে। শেষ দিকে আবার বেড়ে যায়।

অনেক ক্রেতা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিদেশি ফল সারা বছর দামের কারণে কিনে খেতে পারেন না। জ্যৈষ্ঠ মাস আসার অপেক্ষায় থাকেন তারা। সাধ্যের মধ্যে দেশি ফল কিনে খাওয়ার অপেক্ষা করেন।

একজন ক্রেতা জানান, আম-লিচুর দাম সহনীয় হলেও দেশি অন্য ফলের দাম কিছুটা বেশি।

বাজার ঘুরে দেখে গেছে, দেশি কালোজাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দাম তুলনামূলক বেশি। বিক্রেতারা বলেন, এসব ফলেরও বাণিজ্যিক চাষাবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ মাসে সামর্থ্যে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও সব শ্রেণি পেশার মানুষই দেশি ফলের স্বাদ নেন। এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য।

মন্তব্য

অন্যান্য
Degree Degree to Chief Advisor to Chittagong University

প্রধান উপদেষ্টাকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রধান উপদেষ্টাকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বুধবার সম্মানসূচক ডক্টরেট অফ লিটারেচার (ডি.লিট) ডিগ্রি প্রদান করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করেছে।

আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চবি উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট ডিগ্রির সনদ তুলে দেন।

এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে