যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে ২ জুন থেকে শুরু হওয়া গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫ (Global Entrepreneurship Congress 2025)-এ বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (GEN) বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। এই প্রতিনিধিদলের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, এবং অর্থায়ন সহযোগিতা নিশ্চিত করা। এতে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারক, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।
ড. সবুর খান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো স্থানীয় উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা। গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা সরাসরি জানার সুযোগ মেলে। বাংলাদেশকে এই মঞ্চে তুলে ধরা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ কংগ্রেস ২০২৫ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্যসমূহ হলো উদ্ভাবনভিত্তিক আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব তৈরি, উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি, নীতিনির্ধারণ ও ইকোসিস্টেম উন্নয়নের সেরা চর্চাগুলো শেখা, বাংলাদেশকে উদ্যোক্তা-বান্ধব একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা
গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে GEN বাংলাদেশ চালু করতে যাচ্ছে GEN Campus, যা হবে একটি সম্পূর্ণ উদ্যোক্তা সহায়ক কেন্দ্র যেখানে শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ, ফান্ডিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুবিধা।
বাংলাদেশের এই অংশগ্রহণ বিশ্ব উদ্যোক্তা সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ আরও গভীর করবে এবং উদ্ভাবননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.genglobal.org/bangladesh
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
আটকরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করা হয়।
পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে স্থানীয় জেলেদের দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আট জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। পরে গোলাগুলির ঘটনায় তাদের একজনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কায় স্বজনরা তুলাতলী ঘাটে ছুটে আসেন।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল। এই মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, তালশাঁস, জামরুল, আতাফল, কাউফলসহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি-টক রসালো ফল পাওয়া যায়। এগুলো সবই দেশি ফল। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীসহ দেশের সব জেলায় পৌঁছে যায়।
ফলের সুমধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠ মাস হয়ে উঠেছে মধুময়। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীর ছোট-বড় বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে। আম, কাঁঠাল, লিচু, তালশাঁস, আনারস, জামরুলসহ নানান ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে এইসব ফল তুলনামূলক বেশি দাম হাঁকছেন ক্রেতারা।
এ ছাড়া মৌসুম শেষ হলেও বেল, বাঙ্গি ও তরমুজও পাওয়া যাচ্ছে ফলের দোকান ও আড়তে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আম ও লিচু। বিশেষ করে লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে এ সপ্তাহে। এ ফলটি বেশিদিন পাওয়া যায় না। তবে লিচুর দাম এ মুহূর্তে তুলনামূলক বেশি। একশ লিচু ৪০০ টাকা থেকে লিচুর জাত বুঝে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজশাহী দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার লিচু বাজারে আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তবে ফলে চাষিরা যে দামে বিক্রি করেন আড়ত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে দামে তারতম্য হয় বলে জানান ক্রেতারা।
বাজারে সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী থেকে আসা বাহারি নামের আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতিটি তাল ৩০-৪০ টাকা, আনারস ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে ভ্যানে করেও মৌসুমি এসব ফল বিক্রি করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, গোবিন্দভোগ ১২০ টাকা, গোপালভোগ ১২০ টাকা, গুটি আম ১০০০ টাকায়। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে।
জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য দেশি ফল তুলনামূলক দাম বেশি। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দাম সহনীয় ও সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে বলে জানান দোকানিরা।
বাজারে এ সময়ে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ কম। কিছুদিনের মধ্যেই বাজার ছেয়ে যাবে কাঁঠালে আশা করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। সবজি হিসেবে রান্না করার জন্য কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। এটি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, আলুসহ পাঁচমিশালী সবজি দিয়ে কাঁঠাল রান্না এখন ভীষণ জনপ্রিয়।
খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ফল বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আম আসছে। আমের দাম তুলনামূলক কম। সব ধরনের আমের বিক্রিই ভালো।
মিরপুর এলাকায় ফল ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, বাজারে যে লিচুগুলো এখন আসছে সেগুলো আকারে কিছুটা ছোট। আগামী সপ্তাহ থেকে বড় লিচু আসবে, দামও কিছুটা কমবে। পাকা কাঁঠালের একটা বড় অংশ আসে গাজীপুর ও সাভার থেকে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ বাড়বে বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ীরা জানান, মধুমাস জ্যৈষ্ঠে আম, লিচু ও দেশি অন্যান্য ফলের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কম থাকে। বনশ্রী এলাকায় ফল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়ে মানুষ আম-কাঁঠাল ও দেশি ফল খাবে। তবে রোগীর জন্য অনেকেই মাল্টা, আপেল, আনার কিনছেন।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেশি বিভিন্ন ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে।
ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ১০০ টাকার ওপরে থাকে। ভরা মৌসুমে কিছুটা কমে। শেষ দিকে আবার বেড়ে যায়।
অনেক ক্রেতা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিদেশি ফল সারা বছর দামের কারণে কিনে খেতে পারেন না। জ্যৈষ্ঠ মাস আসার অপেক্ষায় থাকেন তারা। সাধ্যের মধ্যে দেশি ফল কিনে খাওয়ার অপেক্ষা করেন।
একজন ক্রেতা জানান, আম-লিচুর দাম সহনীয় হলেও দেশি অন্য ফলের দাম কিছুটা বেশি।
বাজার ঘুরে দেখে গেছে, দেশি কালোজাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দাম তুলনামূলক বেশি। বিক্রেতারা বলেন, এসব ফলেরও বাণিজ্যিক চাষাবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।
জ্যৈষ্ঠ মাসে সামর্থ্যে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও সব শ্রেণি পেশার মানুষই দেশি ফলের স্বাদ নেন। এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য।
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করেছে।
আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চবি উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট ডিগ্রির সনদ তুলে দেন।
এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও কূটনৈতিক উত্তেজনা এখনো থামেনি। এবার পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় এক কূটনীতিককে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ। কূটনীতির ভাষায় ‘পারসোনা নন গ্রাটা’র অর্থ হচ্ছে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’। ওই কূটনীতিককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
এদিকে বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে ওই কূটনীতিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধিবহির্ভূত কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত জানাতে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল।
এর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই কর্মকর্তা ভারতে তাঁর সরকারি অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। তাই তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চার দিনের সামরিক সংঘাতের পর চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই দুই প্রতিবেশী দেশ আবারও পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিল।
আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সেগুনবাগিচার কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাঁদানে গ্যাসে আহত শিক্ষার্থী সামিউল রহমান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। আমার উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
এর আগে, আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। সোয়া ১২টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যান।
তার আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এক প্লাটফর্ম থেকে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে তিনি আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম পৌঁছান। চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি আজ সারাদিন বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল ৮টা ৪৫ থেকে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।
এছাড়া, প্রতি ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে এই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাকে বজ্রপাতের এলাকা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এ সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে।
তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য