পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।
তবে রবিবার (১১ মে) ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও জম্মুতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির দাবি, ‘পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা হামলা চালিয়েছে, পরে ভারতীয় সেনারা তার জবাব দিয়েছে।’
নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চুক্তি লঙ্ঘনের এই কার্যকলাপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও পরিস্থিতির মোকাবেলায় যথাযথ গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করার জন্য আমরা পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাই।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ‘পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় চিরবৈরি এই দুই প্রতিবেশি দেশ।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে দুপক্ষই একে অপরের কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এরপরই গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে অন্তত ৩৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির সরকার। আবার পাকিস্তানও পাল্টা অভিযান ঘোষণা করে। পাকিস্তানের হামলায় ২১ ভারতীয় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
শনিবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান।’
পরে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। প্রায় তিন ডজন দেশের কূটনৈতিক সহায়তায় এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই শত্রুতা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও একে বৃহত্তর স্থিতিশীলতার পথে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, নিরপেক্ষ জায়গা থেকে এক গুচ্ছ বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফসহ দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল ৪৮ ঘণ্টা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও মার্কো রুবিও।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, এটি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকবে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিআরটিসির দরজা সবসময় খোলা। কর্পোরেশনের ডিপো বা প্রধান কার্যালয় এ কোনো কাজে আসলে তাদেরকে বিনা কারণে হয়রানি করা যাবে না। তাদের যে কোনো কাজ আগে করে দিতে হবে, তাদের খোঁজ-খবর নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল লতিফ মোল্লা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয় “পরিবহন ভবন” এর সভাকক্ষে আয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়নের অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, অবসরপ্রাপ্তদের যে কোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধা দেখার দায়িত্ব বিআরটিসি পরিবারের।
অনুষ্ঠানে ৩২২ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ মোট ২ কোটি ৯০ লাখ ৩৫ হাজার ২৩২ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সুবিধা ভোগীদের নিজস্ব একাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জন কর্মচারী (সম্পুর্ণ ১৮ জন ও আংশিক ৪৩ জন) সিপিএফ বাবদ প্রায় ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা, ১৬ জন কর্মচারী (সম্পুর্ণ ০১ জন ও আংশিক ১৫ জন) ছুটি নগদায়ন বাবদ ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২৪৫ জন কর্মচারী গ্র্যাচুইটি বাবদ ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছে।
বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ড. অনুপম সাহা, প্রশাসন ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক মোঃ রাহেনুল ইসলাম, কারিগরী বিভাগের পরিচালক কর্নেল কাজী আইয়ুব আলী, কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের জিএমগণ, ঢাকাস্থ ডিপো ম্যানেজারগণ এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম এখন থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সম্প্রতি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) এর অধীন বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) থেকে প্রোগ্রামটি স্বীকৃতি পেয়েছে।
এই স্বীকৃতি ওয়াশিংটন অ্যাকর্ড অনুমোদিত হওয়ায়, এখানকার স্নাতকেরা বৈশ্বিক পরিসরে পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে বিবেচিত হবেন। এর ফলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তারা আইইবির সদস্য হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
এ অর্জন উপলক্ষে বুধবার (৯ জুলাই) ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একটি শুভেচ্ছা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ ওয়াসিফ রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মো. নাইমুল হক ও বিভাগের অন্য শিক্ষকরা অতিথিদের স্বাগত জানান। তাদের মতে, এই স্বীকৃতি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিকে বিশ্বমানের প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
ভারতের বিহারে ‘ডাইনি বিদ্যা চর্চার’ অভিযোগে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর দেহগুলো পুড়িয়েও দেওয়া হয়। তবে তাদের কাউকে জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ। গত রোববার রাতে পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ণিয়া জেলার তেতগামা গ্রামটি মূলত ওরাঁও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতি। সদর পূর্ণিয়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি পাঁচজনকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত অবস্থায় পুড়েছিলেন, নাকি মৃত্যুর পর আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, নিহত পরিবারের ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর সেদিন বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। সে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। পরে সে পুলিশকে খবর দেয় এবং চারজন প্রধান অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসডিপিও শর্মা বলেন, চারজনের নাম এফআইআরে রয়েছে। তিনজনকে ধরা হয়েছে। তবে আমরা মনে করছি, পুরো গ্রামই হয়তো এ ঘটনায় জড়িত। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, ‘ঝাড়ফুঁক’ বা লোকজ চিকিৎসা নিয়ে বিরোধ থেকেই এ হামলা হয়েছে। নিহত বাবুলাল ওরাঁও এসব চর্চা করতেন বলে জানা গেছে।
কয়েকদিন আগে একই গ্রামের রামদেব ওরাঁওয়ের পরিবারে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং আরেকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই বাবুলালের পরিবারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনার বিষয়ে বিরোধীদল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিহারে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজধানীতে কেউ জবাবদিহির দায়িত্ব নিচ্ছে না। পূর্ণিয়া থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রাজেশ রঞ্জন বলেন, আমরা যখন মঙ্গলে যাচ্ছি, তখন এখানকার মানুষ ডাইনি সন্দেহে গণহত্যা চালাচ্ছে- এটা লজ্জার।
বিহার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার বলেন, বিহারে গরিব, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কেউই নিরাপদ নয়। এটি স্পষ্টত জঙ্গলরাজ।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইনডিপেনডেন্ট আইএফআরএস ‘এস-১’ ও ‘এস-২’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্স বোর্ডের (আইএসএসবি) তৈরি জলবায়ু ও টেকসই ঝুঁকি প্রকাশের বৈশ্বিক ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম ইনডিপেনডেন্ট রিপোর্ট প্রকাশের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে নতুন প্রবর্তিত এই স্ট্যান্ডার্ড গ্রহণ করেছে। শুধু বাংলাদেশেই প্রথম নয়, বিশ্বব্যাপী হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ব্র্যাক ব্যাংক একটি, যারা এই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্র্যাক ব্যাংকের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, করপোরেট সুশাসন ও ক্লাইমেট গভর্ন্যান্সের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
২০২৩ সালে এই ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (আইএফআরএস) এস-১ ও এস-২ স্ট্যান্ডার্স প্রবর্তিত হয়, যা সাসটেইনেবিলিটি ও জলবায়ু-সম্পর্কিত আর্থিক তথ্য প্রকাশে একটি সমন্বিত ও বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক কাঠামো প্রদান করে। ব্র্যাক ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাংকটির ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এই কাঠামোগুলো অনুসরণ করার অগ্রণী পদক্ষেপ নিয়েছে, যা উদীয়মান অর্থনীতির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
এই প্রতিবেদনে টেকসই ও জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ও সুযোগে কীভাবে ব্র্যাক ব্যাংক এক্সপোজার শনাক্ত, পরিচালনা ও প্রকাশ করে থাকে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বোর্ড লেভেলের ইএসজি ওভারসাইট, ব্যবসায়িক কৌশলে টেকসই অন্তর্ভুক্তিকরণ, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি এবং স্কোপ-১, স্কোপ-২ ও স্কোপ-৩ নির্গমনসহ ব্যাংকটির পূর্ণাঙ্গ গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমনের বিস্তারিত ম্যাট্রিক্স উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য দিক হলো,- এটি বৈশ্বিক পিসিএএফ (পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফিন্যান্সিয়াল) পদ্ধতি প্রয়োগ করে ফিন্যান্সড নির্গমন রিপোর্ট প্রকাশ করে। এটি জলবায়ু প্রভাব পরিমাপের এমন একটি উন্নত পদ্ধতি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোয় খুব একটা অনুসরণ করা হয় না।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় এটি রেগুলেটর, বিনিয়োগকারী, উন্নয়ন অংশীদার ও যারা দায়িত্বশীল ও ভবিষ্যৎমুখী আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন, এমন সব গ্রাহককে ব্যাংকটি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা দিচ্ছে। এটি সুশাসন, কৌশল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যাট্রিক্স-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
বাংলাদেশ যখন তীব্র পরিবেশগত ঝুঁকির সম্মুখীন, তখন এই উদ্যোগ কীভাবে একটি স্থানীয় ব্যাংক নিজেদের ঝুঁকি কাঠামো, ঋণদান পোর্টফোলিও ও কৌশলগত দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে পারে, সেটি আমাদের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক এরই মধ্যে সেক্টরভিত্তিক কার্বন নিঃসরণ রোধের কৌশলগুলো নিয়ে এগিয়ে গেছে এবং ক্লাইমেট স্ট্রেস পরীক্ষার পদ্ধতিগুলো আরও শক্তিশালীকরণে কাজ করছে।
এই যুগান্তকারী প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ক্লাইমেট গভর্ন্যান্সে ব্যাংকটির অগ্রণী ভূমিকা ও নেতৃত্ব স্থানকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং ইএসজি রেটিং এজেন্সিগুলোর বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে। নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবেদনটি এক উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। জলবায়ু-সম্পর্কিত ফিন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজারকে কীভাবে স্থানীয়করণ, পরিচালনা ও ব্যাংকিং খাতে বিস্তৃত করা যেতে পারে, তার একটি উল্লেখযোগ্য মডেল হিসেবে এই প্রতিবেদন ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন হলো- ব্র্যাক ব্যাংকের দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের মূল ভিত্তি। ব্র্যাক ব্যাংক যে শুধু মুনাফা অর্জনের বিষয়েই নয়; বরং পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ অন্য অনেক বিষয় নিয়েও কাজ করে, এ প্রতিবেদনটি সেটিরই এক পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রতিবেদনটি শুধু ব্যাংকিং খাতেই নয়; বরং বাংলাদেশের করপোরেট খাতেও অনুকরণীয় বেঞ্চমার্ক স্থাপন করবে, যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করবে।’ ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনটি পেতে ক্লিক করুন: https://www.bracbank.com
পাকিস্তানের লাহোরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে দেওয়াল টপকে এক নারী ও দুটি শিশুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে একটি পোষা সিংহ। পরে সেটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচ ও সাত বছর বয়সী শিশু দুটিসহ আক্রান্ত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জোহান শহরের একটি গ্রামের খামারবাড়ি থেকে সিংহটি পালিয়ে যায়। এরপর একটি গলির মোড়ে ওই নারী ও শিশুদের আক্রমণ করে।
শহরের নিরাপত্তা ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লাফ দিয়ে একটি কংক্রিটের দেওয়াল পার হচ্ছে সিংহটি। এরপর পেছন থেকে এক নারীর ওপর আক্রমণ করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে সেটি। তখন ওই খামারবাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে লাঠি হাতে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
তিনি সিংহটির কবল থেকে ওই নারীকে রক্ষা করেন। লোকটির তাড়া খেয়ে ছুটে সামনের সড়কে গিয়ে শিশুদুটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি।
সিংহের আক্রমণে শিশুরা মুখমণ্ডল ও বাহুতে আঘাত পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)। তারা বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে লাহোর পুলিশ জানিয়েছে, খামারবাড়িতে একটি উন্মুক্ত খাঁচা থেকে সিংহটি পালিয়ে যায়। পরে এটিকে ধরে নিয়ে আসেন এর মালিক। বন্য প্রাণীটিকে একটি গাড়িতে তুলে অন্য একটি জেলায় পালিয়ে যান তিনি।
লাহোর পুলিশ অপারেশনসের উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ফয়সাল কামরান বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সিংহটিকেও ধরে এনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিংহ পোষার বৈধ অনুমোদন ছিল না ওই ব্যক্তির। পাকিস্তানের বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে তার বিচার করা হবে। এতে তার সাত বছরের কারাদণ্ড কিংবা সাড়ে সতেরো হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
পাঞ্জাবের বন্যপ্রাণী ও পার্ক বিভাগের প্রধান রেঞ্জার সৈয়দ কামরান বুখারি বলেন, ‘আটক তিনজনকেই কঠিন সাজার মুখোমুখি হতে হবে। এভাবে বন্যপ্রাণী আটকে রাখা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।’
পাকিস্তানে বন্যপ্রাণী পোষা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে বন্যপ্রাণী পোষা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়, তবে তার জন্য অনুমোদন নিতে হয়। আর সিংহের মতো বড় কোনো বন্যপ্রাণী পুষতে হলে তা শহরের বাইরে করতে হবে বলে নিয়ম রয়েছে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশায় (সিএনজি) ব্যবহার উপযোগী গ্রাভিটন সিরিজের নতুন সাত মডেলের কার ব্যাটারি বাজারে এনেছে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন। জাপানিজ স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি সিলড মেইনটেনেন্স ফ্রি ওয়ালটনের কার ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। যা উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার পাশাপাশি গাড়ি ব্যবহারকারীদের দেবে রাস্তায় নিরাপদে অবিরাম চলার শক্তি।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের কার ব্যাটারিগুলো উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক জাকিয়া সুলতানা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ওয়ালটন ব্যাটারির শতাধিক ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর উপস্থিত ছিলেন।
বাজারে নিয়ে আসা ওয়ালটনের কার ব্যাটারির নতুন মডেলগুলো হলো- গ্রাভিটন এন৫০জেড, গ্রাভিটন এন৫০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৪০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৬০এল, গ্রাভিটন এনএস৭০, গ্রাভিটন এএক্স১২০-৭ এবং গ্রাভিটন এনএক্স১২০-৭ এল। প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ওয়ালটনের এসব গাড়ির ব্যাটারি ৮ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। সারাদেশে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে এসব ব্যাটারি।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটন এখন শুধু একটি নাম নয়; এটি একটি জাতীয় ব্র্যান্ড। একটি প্রতিশ্রতি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সাফল্যের প্রতীক। স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ সব ক্ষেত্রেই ওয়ালটন এখন দেশের গর্ব। নিজস্ব কারখানায় তৈরি সিলড মেইনটেন্যান্স ফ্রি কার ব্যাটারি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওয়ালটনের নিরন্তর এই অগ্রযাত্রায় আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হলো। এটি আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং সক্ষমতা, গবেষণা দক্ষতা, এবং গ্রাহকের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতারও প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে লো-মেইনটেন্যান্স কার ও কমার্শিয়াল ভেহিকেল ব্যাটারি, সোলার ও আইপিএস ব্যাটারি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি জানান, দেশে গাড়ির ব্যাটারির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৫ লাখ ইউনিট এবং বাজারের আকার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। সম্ভাবনাময় এই বাজার চাহিদা পূরণে কয়েক বছর ধরে কার ব্যাটারি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের আরঅ্যান্ডআই টিম।
অনুষ্ঠানে ব্যাটারির উৎপাদন প্রক্রিয়া, গ্রাভিটন ব্যাটারির ফিচার, গুণগত মান ও প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেকের সিইওর বিজনেস কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল আসিফ এবং ওয়ালটন ব্যাটারির রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নাহিদ আল মাহমুদ।
রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের রূপায়ণ সিটিতে ক্যামব্রিজের একটি পাঠ্যক্রম প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের (ডিআইএস) নবনির্মিত ক্যাম্পাস ২-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত ৩০ জুন এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাস ভবনটি হস্তান্তর করেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক নেতা, উভয় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং কেমব্রিজ, পিয়ারসন এডেক্সেল, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও অক্সফোর্ডএকিউএয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শাহানা খান এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজাহ্ সালাওয়াতের নেতৃত্বে ডিআইএস টিম নতুন ক্যাম্পাসটিকে একাডেমিক উৎকর্ষতার অত্যাধুনিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি সুরক্ষা, সুস্থতা, কোডিং, স্টিম এবং জীবন দক্ষতার ওপর দৃঢ় মনোযোগ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন এ ক্যাম্পাসে একটি মন্টেসরি ল্যাব, অ্যাক্টিভিটি রুম, জীবন দক্ষতা একাডেমি, জুনিয়র সায়েন্স ল্যাব এবং জুনিয়র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি লাইব্রেরি রয়েছে।
এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিআইএস তার লক্ষ্যকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষতার মাধ্যমে মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্ব নাগরিকদের লালন করার প্রত্যয় ঘোষণা করছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েব সাইট: www.dis.edu.bd
ই-মেইল: [email protected]
মন্তব্য