নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আগামী ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে নতুন এই দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
এর আগে, হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত নারী কমিশনের সুপারিশ বাতিলসহ ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
মহাসমাবেশে বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো নীতি বাস্তবায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেবো না। এই বিতর্কিত কমিশন ও কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার আলেম-ওলামার পরামর্শ নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করুন।
পাশাপাশি শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তারা। বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।
বক্তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কমিশন হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার জন্য কমিশন হয়েছে, কিন্তু মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের জন্য কেন তদন্ত কমিশন গঠন হবে না?
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হলেও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এসব মামলা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান তারা।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্পর্কে সমালোচনা করে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, নারীবিষয়ক যে সংস্কার কমিশন, তাতে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা কুরআন-সুন্নাহবিরোধী। তাদের সংস্কার প্রতিবেদন যদি পাস করা হয় তাহলে জীবন দিয়ে তা রুখে দেওয়া হবে। মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে হেফাজতে ইসলাম।
মহাসমাবেশ থেকে ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের চার ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারের স্বাক্ষরে এই চিঠি দেওয়া হয়।
আবদুস সাত্তার চিঠি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা শেষে আগামী সোমবার দেশে ফিরবেন। ডা. জোবাইদা রহমান তার সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে আসবেন এবং ধানমন্ডির তার বাবার বাসায় অবস্থান করবেন। জিয়া পরিবারের সদস্য এবং তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে তার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সে কারণে তার ঢাকার বাসায় অবস্থানকালীন এবং যাতায়াতের সময় একজন স্বশস্ত্র গানম্যান, গাড়িসহ পুলিশ প্রটেক্টশন, বাসায় পুলিশ পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপনের মধ্যদিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ মে সকালে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ (তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান) থাকবেন।
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবাইদা রহমান ২০০৭ সালে স্বামী তারেক রহমানকে উন্নত চিকিৎসার লন্ডনে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে, তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, যা ৫ আগস্টে হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সেখানে এ দেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপরে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কি হবে, সেটাই বিষয়। এ বিষয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারি সে পথ আমাদের বের করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতি দ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাবো।
জেলার বেদানা লিচু জিআই পণ্যের তালিকায় এবার যুক্ত করা হয়েছে। অপূর্ব স্বাদ, পাতলা খোসা, রসালো শাঁস ও ছোট বীজের জন্য খ্যাত এই লিচু এবার পেল সরকারি স্বীকৃতি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরে আলম এই তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলার পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম জিআই সনদ গ্রহণ করেছেন।
তিনি জানান,ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সেখানে আরও জানানো হয়, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে এবার একসঙ্গে নতুন ২৪টি পণ্য যুক্ত করা হলো।
জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার কৃষকরা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি দেশের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতে এই বেদানা লিচু নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলে এই জেলার সংশ্লিষ্ট সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এবারে জিআই তালিকা ভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, সুন্দরবনের মধু, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, ভোলার মহিষের দুধের দই, সিলেটের মণিপুরি শাড়ি, সিরাজগঞ্জের গামছা, এবং আরও কয়েকটি পণ্য।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাফর ইকবাল বলেন,নতুন করে জেলায় বেদানা লিচুর উৎপাদন বাড়াতে লিচু চাষীদের উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করবেন কৃষি বিভাগ। যে পরিমাণ বেদানা লিচু এই জেলায় উৎপাদন হয়, এখন বাইরের দেশে রপ্তানির জন্য তিন গুণ লিচু চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে তিনি ব্যক্ত করেন।
রাজধানী ঢাকাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যৌথভাবে রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর, সৈয়দপুর ও রাজারহাটে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত যৌথভাবে রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর ও তেঁতুলিয়ায় ৪১ মিলিমিটার বা মিমি।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৬ মিনিটে।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে সংস্কার করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে বিএনপি বদ্ধপরিকর। শুধু ঢাকায় নয়, দলের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করছে বিএনপি।
বিএনপি মানুষের আস্থা ধরে রাখতে দীর্ঘ ত্যাগ স্বীকার করেছে উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবে যেন এ দেশের মানুষের ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণের ভোটের আর রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলগুলোর ত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দলের ৩১ দফা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছতে পারলেই দলের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে।
রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে জনগণ ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, আমরা জুলুম করব না, প্রতিশোধ নেব না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা দেশের জনগণের কাছে রাষ্ট্রের আগামী কাঠামো তুলে ধরব। জনগণ যাতে আগামী দিনে বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারে। তাই জনগণের আস্থা ধরে রাখতে প্রতিটি বিএনপি নেতা-কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া কৃষিকে আধুনিকায়ন, কৃষকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ভোট যদি আপনার পক্ষে আনতে হয় তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে, আপনার সংস্কার যদি চলমান রাখতে হয়, সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ ছাড়া আপনাদের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বাংলাদেশে যেকোনো মূলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বিগত সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে দেশের বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়েছে। বিষয়টি অনেকটাই ডায়াবেটিসের মতো।
আনন্দমুখর পরিবেশে ও বর্ণিল সাজে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈশাখী পার্বণ ১৪৩২’। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী এ উৎসবে ছিলো নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বাঙালি খাবার, বৈচিত্র্যময় স্টল, বাংলার লোকজ ও সাজসজ্জার উপকরণ। এতে ফুটে ওঠে বাঙালির সংস্কৃতির রঙ ও সৌন্দর্য। ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ইউনিভার্সিটির এনেক্স ভবনের সামনে খেলার মাঠে এই উৎসবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী। রঙিন ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায়, আনন্দঘন পরিবেশে মেতে উঠেছিল পুরো ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণ।
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বাহারি ধরণের স্টল স্থাপন করেন। সেখানে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি শোভা পায় বৈশাখী মিষ্টি-মন্ডা, বাতাসা, মুড়ি, চিড়া ও মোয়া ইত্যাদি।
বাঙালি জীবনধারার নানা দিক তুলে ধরতেই এবারের আয়োজনে ছিলো নাগরদোলা ও বায়োস্কোপ। গ্রামীণ পরিবেশে সাজানো হয় প্রবেশপথ ও রং তুলির আঁচড়ে সেজেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়াল। উৎসবের প্রথম পর্বে ফ্ল্যাশ মব অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও অভিনয় উপভোগ করেন উপস্থিত সকলে।
উপাচার্য ড. ইয়াসমীন আরা বলেন, বৈশাখের এই আয়োজন কেবল একটি অনুষ্ঠান নয় বরং এটা আমাদের শেকড়কে ছুঁয়ে দেখার মূল উপলক্ষ। যেখানে জড়িত থাকে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, এই উৎসব ছিল শুধুমাত্র আনন্দের নয় বরং একতা, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মিলনমেলা।
দিবসটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন ব্যান্ড দল ‘আকাশ গায়েন’। নবর্বষের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন স্টুডেন্ট ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসেবে ছিলো এক্সিম ব্যাংক ও কো-স্পন্সর হিসেবে ছিলো হক কনসালটেন্সি।
মন্তব্য