× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
Forestry wins SDG Brand Champion Awards in Climate and Environment category
google_news print-icon

জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী ‘বনায়ন’

জলবায়ু-ও-পরিবেশ-বিভাগে-এসডিজি-ব্র্যান্ড-চ্যাম্পিয়ন-অ্যাওয়ার্ডস-বিজয়ী-বনায়ন
র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ আয়োজন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখায় জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ অর্জন করেছে বনায়ন।

র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।

এ সময় তার সঙ্গে বনায়নের প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোর্হে লুইস মাসেদো, আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সরকারের বন অধিদপ্তরের ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে বনায়ন প্রকল্প।

সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) অর্জনে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ প্রকল্প।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এসডিজি-১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) ও এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে বনায়ন প্রকল্প।

বনায়নের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিবছর বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ ফল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

দেশের ২২টি জেলায় এ উদ্যোগের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৫টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১২ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।

গত বছরগুলোতে ফলপ্রসূ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বনায়ন দেশজুড়ে কয়েকটি ইমপ্যাক্ট জোন তৈরি করে।

বনায়নের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুষ্টিয়া বাইপাস রোড, যমুনা সেতু সড়ক সবুজায়ন।

বনায়ন প্রকল্প এ পর্যন্ত পাঁচবার সম্মানজনক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার পুরস্কার পায়।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করে এ উদ্যোগ। এর মধ্যে গ্রিন লিডারশিপের জন্য এন্টারপ্রাইজ এশিয়া থেকে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্টারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনে বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টরা পেলেন পুরস্কার
উপায় ঈদ ক্যাম্পেইনের পুরস্কার পেলো বিজয়ীরা
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান
যারা পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
A 293 crore dream embankment is floating in the ocean

সাগরে মিশে যাচ্ছে ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ

সাগরে মিশে যাচ্ছে ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ চট্টগ্রামের পশ্চিম বাঁশখালীর বেড়িবাঁধ ভেঙে সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।  বিআইডব্লিউটিএ পরিদর্শক দল খুব তাড়াতাড়ি পরিদর্শনে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এরপর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেলে বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধ করা যাবে।’

চট্টগ্রামের পশ্চিম বাঁশখালীর মানুষের প্রাণের দাবি একটি টেকসই বেড়িবাঁধ। কিন্তু তাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না কোনোভাবেই। বিদ্যমান বাঁধটুকুও অস্তিত্ব হারাচ্ছে। কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে ২৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধটি সাগরের বুকে হারিয়ে যেতে বসেছে।

বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকায় সাগর বুকে দিনে দিনে মিলিয়ে যাচ্ছে বেড়িবাঁধ। প্রকল্প কাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী এর বড় কারণ বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেড়িবাঁধ না থাকার কারণেই ১৯৯১ সালের ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে এই জনপদে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরপর ঘূর্ণিঝড় আয়লা, সিডর, কোমেন, রোয়ানুর কবলে পড়ে প্লাবিত হয়ে শত শত একর ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি ও লুটপাট-দুর্নীতি বেড়িবাঁধ টেকসই না হওয়ার অন্যতম কারণ। উপকূলীয় এই বেড়িবাঁধ নিমাণ কাজের বাজেট যা ছিল তা কেবল ছোট থেকে ছোট হয়ে এসেছে। এসব ঢাকতে অপরিকল্পিত নকশা প্রণয়ন ও যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কারণে মাত্র এক বছরের মাথায় তা হারিয়ে যাচ্ছে সাগর বুকে।

অনেকের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। আর নতুন গতিপথে স্রোত এখন সরাসরি আঘাত হানছে বেড়িবাঁধে। প্রবল স্রোতের ধাক্কায় বাঁধের কিনারাতে তৈরী হচ্ছে গভীর খাড়ি (কূপ)। তা ক্রমশ বেড়িবাঁধের ভিত নড়েবড়ে করে দিয়ে ভাঙন ত্বরান্বিত করছে।

সাগরে মিশে যাচ্ছে ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ

স্থানীয়রা বলছেন, স্রোতের গতিপথ বদল, চর জেগে ওঠা- এসব বিষয় দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগের। তারা এটার সম্ভাব্যতা যাচাই না করে ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ টাইপের কাজ কেন করবে? আর তার খেসারত কেন উপকূলবাসী দেবে?

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৭ বছর আগে ২৫১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৯ মে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) তা পাস হয়। বঙ্গোপসাগর ও সাঙ্গু নদীর পাড়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই বাঁধ নির্মাণে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় এতে ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ, ভাঙন রোধ ও পুনরাকৃতিকরণের পাশাপাশি ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাঁধ পুনরাকৃতিকরণের কথা রয়েছে। ২০২২ সালে প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার মধ্যবর্তী দুটি স্থান ধসে গিয়ে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ সাগরে মিলিয়ে গেছে। সিসি ব্লক বেষ্টিত বাঁধের যেটুকু টিকে আছে তাতে বিশালাকার ফাটল সৃষ্টি হয়ে নিচের দিকে ক্রমশ দেবে যাচ্ছে।

ভারী কোনো জোয়ার এলেই পুরোপুরি মিশে যাবে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে তড়িঘড়ি করে জিও ব্যাগ ফেলে বিষয়টি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে পাউবো। অধিকন্তু জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে বাঁধের খুব কাছ থেকে বালু নিয়ে। আবার কোথাও ২০০ মিটার দূরত্বে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে জিও ব্যাগ পূর্ণ করার জন্য।

সম্প্রতি সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সৃষ্ট বন্যার পানি সাঙ্গু হয়ে নেমে এসেছে বঙ্গোপসাগরে। বলতে গেলে এরপর থেকে এই বাঁধে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

তবে, এই জিও ব্যাগ ভাঙন কতটা ঠেকাতে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান এলাকার সচেতন মহল।

পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন কফিল বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি একটি টেকসই বেড়িবাঁধ। কোনো বড় জোয়ার এলে বা আবহাওয়ার ভারি পূর্বাভাস পেলে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি বেড়ে যায় আমাদের মধ্যে। এই আতংক আমাদের সারাজীবনের সঙ্গী।

'ভেবেছিলাম স্থায়ী বেড়িবাঁধ হলে আমাদের সেই দুঃখটা ঘুচবে। কিন্তু বছর না যেতেই বেড়িবাঁধের এই হাল কেন, তার জবাব সংশ্লিষ্টরাই দিতে পারবেন। আমি কারও দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে চাই না। যেটা চাই তা হলো এটির যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে স্থায়ী একটা সমাধান।’

সাগরে মিশে যাচ্ছে ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ
জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি: নিউজবাংলা

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যডভোকেট মাইনুল হোসেন সোহেল বলেন, ‘খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল ও প্রেমাশিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। বড় জোয়ার এলেই প্লাবিত হবে গোটা ইউনিয়ন। এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ভীতি কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাতকানিয়া, লোহাগাড়ায় যে ভয়াবহ বন্যা ও প্রাণহানি হল সে বিষয়টা ইউনিয়নবাসীকে ভাবাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতে লবণাক্ত পানি ঢুকে ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ ধানি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে গেছে। উপকূলের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর। দীর্ঘদিন এই বেড়িবাঁধ অরক্ষিত ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল একটি টেকসই বেড়িবাঁধ হবে। উল্লেখযোগ্য বরাদ্দও আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু যে কাজ দেখছি তাতে মনে হয় না কাঙ্ক্ষিত মান অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। আশা করি সংশ্লিষ্ট পক্ষ এসব অভিযোগের সুরাহা করবে এবং দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম হায়দার বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড আপদকালীন অবস্থা ঠেকাতে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধের অবশিষ্ট অংশ ঠেকাতে কাজ করছে। সাঙ্গু নদীর মোহনায় যে চর জেগে উঠেছে তা অপসারণ করা না হলে এই বাঁধের ভাঙন রোধ করা যাবে না। যেকোনো মুহূর্তে আমরা পুরো ইউনিয়নের সবাই বিলীন হয়ে যাব।’

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ পরিদর্শক দল খুব তাড়াতাড়ি পরিদর্শনে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এরপর এটি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেলে বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধ করা যাবে।’

পাউবোর চট্টগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া মেলেনি।

তবে ওই দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ সাঙ্গু নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ওই চর। এটা ড্রেজিং করা না হলে এই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরাই ভাল বলতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
কপোতাক্ষের বাঁধ মেরামতের স্বেচ্ছাশ্রমে হাজারো মানুষ 
খোলপেটুয়ার ভাঙনে ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ
স্বেচ্ছাশ্রমে ২ কিমি বেড়িবাঁধ
সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, ২০০ ফুট বিলীন

মন্তব্য

অন্যান্য
Natore rescues Guisap and frees him

নাটোরে গুইসাপ উদ্ধার করে অবমুক্ত

নাটোরে গুইসাপ উদ্ধার করে অবমুক্ত নাটোরে উদ্ধার করা গুইসাপ হাতে পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী। ছবি: নিউজবাংলা
গুইসাপটি উদ্ধার করা পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ধানের জমির পাশে মাছ ধরার জালে একটি গুইসাপ আটকে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে গুইসাপটিকে উদ্ধার করি এবং পাশেই নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়।’

নাটোরে একটি গুইসাপ উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে পরিবেশকর্মীরা।

জেলার সদরের হাফরাস্তা এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে গুইসাপটি উদ্ধার করা হয়।

গুইসাপটি উদ্ধার করা পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘ধানের জমির পাশে মাছ ধরার জালে একটি গুইসাপ আটকে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে গুইসাপটিকে উদ্ধার করি এবং পাশেই নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসময় উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে পরিবেশের জন্য বন্যপ্রাণীর ইতিবাচক দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে গুইসাপ কোনো সাপই নয়। এর কোনো বিষ নেই, মানুষকে দংশনও করে না।’

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী গুইসাপ সংরক্ষিত; তাই এটি হত্যা, শিকার বা এর কোনো ক্ষতিসাধন করা একেবারেই নিষিদ্ধ বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

অন্যান্য
90 percent of Sylhets hotel motel bookings are over
তিন দিনের ছুটিতে ঢল নামবে পর্যটকের

সিলেটের হোটেল-মোটেলে ৯০ শতাংশ বুকিং শেষ

সিলেটের হোটেল-মোটেলে ৯০ শতাংশ বুকিং শেষ সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে পর্যটকের ভিড়। ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

স্বাভাবিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই সিলেটে ঢল নামে পর্যটকের। বাড়তি ছুটি পেলে তো কথাই নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকে ভিড়ে ভিড়াক্কার চিত্র। তিনদিনের টানা ছুটি মিলে যাওয়ায় ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জনপদ সিলেট। এখানকার হাওর, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী দেখতে সারাবছরই ভিড় করেন পর্যটকরা। আর কোনো উৎসব বা দীর্ঘ ছুটিতে রীতিমতো পর্যটকের ঢল নামে। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে কক্ষ খালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। জাফলং, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লালাখাল, সাদপাথর এলাকা পর্যটকের পদভারে হয়ে ওঠে মুখর।

বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। কক্ষ ফাঁকা না থাকায় মঙ্গলবার অনেক পর্যটক ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের দুটি রিসোর্টের সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটকনির্ভর। এখানকার প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। জাফলংকে বলা হয় প্রকৃতি-কন্যা। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়, ঝর্ণা ও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী, খাসিয়া পল্লী দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পর্যটকরা।

জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম এলাকার গ্রিন ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার আমাদের রিসোর্ট খালি থাকে না। এবার একদিন বাড়তি ছুটি থাকায় সপ্তাহখানেক আগেই সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ফলে এখন অনেকে ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’

নগরের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্ঠু দত্ত বলেন, সারাবছরই আমরা এরকম বাড়তি ছুটি এবং উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এরকম সুযোগে পর্যটকরা বেশি আসেন। তাছাড়া এখন সিলেটের আবাহাওয়াও অনুকুলে আছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই এখন সিলেট ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। আগামী তিনদিন সিলেটে প্রচুর পর্যটক থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে লাখখানেক পর্যটক সমাগমের আশা প্রকাশ করেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল। তিনি বলেন, ‘পর্যটকের ভিড় বাড়লে সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হন। গাড়িচালক, নৌকার মাঝি, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মুদি দোকানি সবাই। ফলে আমাদের সবাইকে পর্যটকদের সমাদর করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আগামী তিনদিন সিলেটের হোটেল-মোটেলে ভালো ব্যবসা হলেও এবার পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক সমাগমের আশা কম। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নির্বাচনী ডামাডোল ও রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো বেড়াতে বের হতে উৎসাহিত হবেন না।’

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিওনের এসপি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটির সময় সিলেটে পর্যটকের ভিড় থাকে। এসব দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখানে বিশেষভাবে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগামী তিন দিনও এর ব্যতিক্রম হবে না।

‘স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট থাকব। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে।’

সিলেটের সবচেয়ে বেশি পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলায়। জাফলং ছাড়াও দেশের দুর্লভ জলার বন রাতারগুল, পাথরের বিছানা বিছানো বিছনাকান্দি, স্বচ্ছ জলের লালাখাল, পাহাড়ি ঝর্ণার পাংথুমাইয়ের অবস্থান এই উপজেলায়ই। অবশ্য এখানকার খরস্রোতা নদীগুলোতে দুর্ঘটনায় পর্যটকের প্রাণহানি ঘটনাও ঘটে সবচেয়ে বেশি।

তবে পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসন তৎপর থাকবে জানিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাঁতার না জানা কেউ যাতে পানিতে না নামেন এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার চালাবে।’

মন্তব্য

অন্যান্য
Thousands of people are trapped in the water after the dam of Atrai broke

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ বাঁধ ভাঙা পানিতে ভাসছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের গ্রাম। ছবি: নিউজবাংলা
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কমপক্ষে ৭টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত।

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। তলিয়ে গেছে এক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত।

এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে বাঁধে ফেলছেন স্থানীয়রা।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আত্রাই নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁধভাঙা পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এই ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।

উপজেলার পারনুরুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের পুরনো বেড়িবাঁধটি সংস্কার না করায় প্রতিবছর বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে করে পরিবারের লোকজনসহ গরু-ছাগল নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। তাই আমরা বেড়িবাঁধটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

প্রসাদপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ‘সোমবার রাত ২টার দিকে বাইবুল্যা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারও মানুষ

বিষ্ণুপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান এস এম গোলাম আজম বলেন, ‘কয়লাবাড়ী বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানটি মেরামত না করায় সেখান দিয়ে পানি বিনা বাধায় গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। একইসঙ্গে তলিয়ে গেছে অন্তত ৩০০ বিঘা জমির আমন ধানের ক্ষেত।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘নদী-তীরবর্তী ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকা ঘুরে ক্ষতির তালিকা তৈরি করছেন। দু-একদিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পুরো তথ্য জানা যাবে।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ‘ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। প্লাবিত এলাকা সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।’

আরও পড়ুন:
আর কত ভাঙলে হবে স্থায়ী বাঁধ?
গ্রাম রক্ষায় নিকলীতে হচ্ছে ৫২ কোটি টাকার বাঁধ
যমুনার স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান
ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩১ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ
কাজিপুর স্পার বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পুরো এলাকা

মন্তব্য

অন্যান্য
In Rajshahi Ashad Shravan flowed in Ashwin

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে রাজশাহী নগরীতে রোববার বিকেলের বর্ষণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

আষাঢ়-শ্রাবণে যে বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ তার মিললো আশ্বিনে এসে। প্রতি বছর আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর গত কয়েক মাস ধরেই প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়নি রাজশাহীতে। অবশেষে সেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

রোববার বিকেলের ঝুম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। মাঝারি মাত্রার এই বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ ড্রেন উপচে পানি চলে আসে রাস্তায়। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। অবশ্য সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ এলাকার জলাবদ্ধতা কমে আসে।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, রোববার রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সকালে হয়েছে ৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার। বাকিটা হয়েছে বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কমে গেলেও আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, রাজশাহীতে সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে রোববার বিকেলে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ছোট ড্রেন রয়েছে সেগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

এছাড়া নগরীজুড়ে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতায় দেখা দেয় জনদুর্ভোগ।

আরও পড়ুন:
এখনও থইথই নিউ মার্কেট এলাকা
ঢাকায় জলমগ্ন সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

মন্তব্য

অন্যান্য
The capital suffers from waterlogging due to continuous rains

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণিতে জলাবদ্ধতা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পরই পুরো আকাশ ঢেকে রাজধানীতে নেমে আসে মুষলধারার বৃষ্টি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় নগরীতে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মুষলধারার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। টানা ৬ ঘণ্টার বর্ষণে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পরই পুরো আকাশ ঢেকে রাজধানীতে নেমে আসে মুষলধারার বৃষ্টি। তা বিরামহীন চলে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে পানি জমে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণিসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট। নীলক্ষেত, কাঁটাবন, হাতিরপুল এলাকার সড়কেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্য অনেক গাড়ি পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। রাত পৌনে ১১টার দিকেও রাজপথের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লেগে থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও পড়ুন:
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

মন্তব্য

অন্যান্য
Thunderstorm forecast in 16 districts including Dhaka

ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস প্রতীকী ছবি
মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।পূর্বাভাসে এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলায় ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে দেশের আট বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেয়া ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ভোলা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে, আগামী দুই দিনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই সময়ে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে, ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে