তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহার ৬৮তম জন্মবার্ষিকী আজ।
গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই উদ্যোক্তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের প্রথম নারী চেয়ারম্যান ছিলেন লুনা শামসুদ্দোহা। তিনি বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে স্থানীয় সফটওয়্যার শিল্পে নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনন্যা টপ টেন অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা লাভ করেছেন।
লুনা শামসুদ্দোহার জন্ম ১৯৫৪ সালের ৪ অক্টোবর, ঢাকায়। তার বাবার নাম লুৎফার রহমান এবং মা হাসিনা রহমান। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৮৫ সালে যোগ দেন দ্য এক্সিকিউটিভ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে।
১৯৯২ সালে দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক জীবনের সূচনা ঘটে এবং দেশের একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার প্রতিষ্ঠান সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত, এর মধ্যে ই-জিপি সিস্টেম অন্যতম। ২০০৭-২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এ ছাড়া তার গড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, করপোরেশনের সফটওয়্যার সলিউশন দিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিস ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান।
লুনা শামসুদ্দোহা ২০১৩ সালে প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারণে গ্লোবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনোভেটরস নেটওয়ার্ক (গুইন) সম্মাননা পান।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, সফটওয়্যার উদ্যোক্তা এবং সুইজারল্যান্ডের গ্লোবাল থট লিডার অন ইনক্লুসিভ গ্রোথের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন:থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। আর কয়েকদিন পর পেকে গেলে তা গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা হবে। বাতাসে দোল খাওয়া আঙুর বাগানের এমন দৃশ্য দেখা গেল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন পেশায় কলেজ শিক্ষক। শখ করে করা আঙুর বাগানটি এখন তাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর উৎপাদনের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চারপাশে বিস্তৃর্ণ ধানি জমি। তার মাঝেই উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের মাচা। সেই মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে গাঢ় সবুজ রঙের আঙুর।
বাগানে নিবিষ্ট চিত্তে গাছের পরিচর্যা করছিলেন বিল্লাল হোসেন। এ সংবাদ সগ্রাংহককে দেখে এগিয়ে আসেন তিনি। এরপর আগ্রহ নিয়ে ঘুরিয়ে দেখান তার শখের আঙুর বাগান।
বাগানের প্রতিটি কোণায় যত্নের ছাপ স্পষ্ট। শিক্ষকের হাতের ছোঁয়ায় আঙুর গাছগুলো সজীব ও সতেজ হয়ে বাগানে শোভা ছড়াচ্ছে।
বিল্লাল জানান, বছর দুই আগে শখ করে তার নার্সারিতে দুটি আঙুর চারা রোপণ করেন তিনি। সেবার গাছ দুটি থেকে তিনি প্রায় ১৮ কেজি আঙুর পেয়েছিলেন। তারপর ইউটিউব দেখে আঙুর বাগান করার উদ্যোগ নেন তিনি।
তিনি জানান, এ বছর ১৪ শতক জমিতে আঙুর বাগান করেছেন। মোটামুটি লাখ খানেক টাকা খরচ হয়েছে তার। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বাগান থেকে অন্তত ৫ লাখ টাকার আঙুর তিনি বিক্রি করতে পারবেন।
শখের এ কৃষকের চিন্তা, আগামী বছর তিনি বাগানের পরিসর আরও বড় করবেন।
কুমিল্লা জেলার মাটিতে আঙুর চাষের উপযোগিতা আছে কি না তা এ মুর্হুতে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে এ জেলার মাটি সব ধরনের ফল উৎপাদনে সহায়ক বলে জানান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইয়ুব মাহমুদ।
কৃষি বিভাগের অব্যাহত সহযোগিতা পেলে আঙুর চাষেও সফলতা আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আঙুর চাষে শিক্ষক খোকনের প্রচেষ্টা অন্যদের উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি জেলায় ফলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।’
সাধারণত মাথা কেটে ফেলার পরও মুরগি কিছুক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তবে ইতিহাসে একবার ঘটেছিল বিরল ঘটনা। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রুইটাতে মাথা ছাড়া ১৮ মাস বেঁচে ছিল একটি মুরগি।
এ ঘটনা সে সময় তোলপাড় তুলেছিল। অনেকে এটিকে অলৌকিক ঘটনা বলেই বিশ্বাস করতেন। তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?
লয়েড ওলসেন নামে এক ব্যক্তি তার পারিবারিক খামারে কাজ করছিলেন। বাজারে নেয়ার জন্য মুরগিটি জবাই করছিলেন তিনি। এর মধ্যে একটি মুরগি আশ্চর্যজনকভাবে মাথা কাটার পরও দৌড়াচ্ছিল।
ওলসেন মুরগিটিকে ধরে একটি বাক্সের মধ্যে রাখেন। তিনি নিজেই এই ঘটনায় কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। বাক্সে রাখা মুরগীটির নাম দেন তিনি ‘মাইক’। আশ্চর্যজনকভাবে পরের দিন সকালেও ওলসেন দেখলেন মুরগিটি বেঁচে আছে।
কীভাবে বেঁচে ছিল?
মুরগির মস্তিষ্কের বেশির ভাগ অংশ মাথা ও চোখের পেছনে থাকে। যখন ওলসেন মাথা কাটার জন্য কোপ দেন তখন মাইকের মাথার সামনের বেশির ভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস, হজম ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের অংশটি অক্ষত রয়ে যায়।
পরবর্তীতে তিনি মুরগিটিকে খাওয়ানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। সেটির খাদ্যনালীতে ড্রপার দিয়ে পানি ও তরল খাবার দিতেন। পাশাপাশি সিরিঞ্জ দিয়ে গলা থেকে শ্লেষ্মা অপসারণ করতেন। এভাবে বেশ সুস্থ সবল শরীর নিয়েই বেঁচে ছিল মাইক।
সে সময় মাইক এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল যে, টাইম ম্যাগাজিনও এটিকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছিল।
এ ঘটনায় ওলসেন বুঝতে পারেন, মাইক বিখ্যাত হতে যাচ্ছে! মানুষ এটিকে টাকা দিয়ে দেখতে আসবে। ঘটনার পরের ১৮ মাস বিভিন্ন মেলা, কার্নিভ্যাল ও অন্যান্য পাবলিক ইভেন্টে এই মস্তকবিহীন মুরগিটি প্রদর্শন করেন ওলসেন। এগুলো করে বেশ অর্থও কামান তিনি।
১৯৪৭ সালের ১৭ মার্চ অ্যারিজোনার ফিনিক্সে প্রদর্শনীর জন্য সফরকালে মাইক মারা যায়। ওলসেন ও তার স্ত্রী ক্লারা তাদের হোটেলের ঘরে মাইকের শ্বাসনালির গড়গড় শব্দে জেগে ওঠেন। মাইককে বাঁচানোর জন্য তারা সিরিঞ্জ খুঁজছিলেন, কিন্তু সিরিঞ্জটি ভুলবশত এটি সাইড শো-তে রেখে এসেছিলেন। ফলে মাইকের গলা থেকে শ্লেষ্মা টেনে বের করা যায়নি। এতে একসময় দম বন্ধ হয়ে মারা যায় মুরগিটি।
এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বহু দশক আগে ঘটলেও, ফ্রুইটারের নাগরিকরা মুরগিটিকে ভুলে যায়নি। এটিকে সেখানকার জনগণ ‘মাইক দ্য হেডলেস চিকেন’ নামে চেনে।
প্রতি বছর ওই শহরে মাইকের স্মরণে একটি উৎসব আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে শত শত মানুষ জমায়েত হয়।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে এক মাস বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রির জন্য বাজারে তুলে এলাকায় চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছেন এক নার।
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
তবে ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানসিক ভারসাম্য না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী তার কোলে থাকা ১ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুকে আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। দর কষাকষির মাধ্যমে ওই শিশুকে ক্রয় করছেন এক বৃদ্ধ। এক পর্যায়ে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিজ কোলে নেন ওই বৃদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার নিজের সন্তানকে বিক্রির জন্য দাম হাঁকান ওই নারী। এরপর শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন শিশুটিকে ২৫ শ’ টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। বিক্রির বেশ কিছু সময় পর শিশুটিকে আবারও অবশ্য ফেরত নিয়ে নেন ওই নারী।
এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবারে বাজার করার সময় দেখি, ওই মেয়েটি তার সন্তাকে বিক্রি করবে বলছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভাগনির জন্য বাচ্চাটি কিনতে চাই। পরে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এরপর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।’
বিষয়টি জানতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তারপরও বিষয়টি দেখতে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
আরও পড়ুন:ছোট ছোট বাচ্চারা ঘিরে ধরেছে, আছে নানা বয়সের মানুষও। দূর থেকে মনে হবে হয়ত টিসিবির পণ্য সংগ্রহের লাইন। তবে কাছে গিয়ে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। ১০ টাকার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে বসেছে এ আয়োজন। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, দামে ১০ টাকার হলেও সেখানে অন্তত ৭০ টাকা মূল্যমানের ইফতার সামগ্রী রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার অটো পার্টস ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান তিন বছর ধরে এই আয়োজন চালিয়ে আসছেন।
ফ্রিতে কেন দিচ্ছেন না?- জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে মানুষ ইফতার করবে নিজের টাকায়- এই অনুভূতিটুকু তাদের হোক। এই ভাবনা থেকেই আমি এইটুকু মূল্য যোগ করেছি। আমার এটা করতে ভাল লাগছে এবং বাকিটা তো উপরে একজন আছেন। তিনি সব জানেন এবং দেখেন।’
আনিসুর রহমানের দুই সন্তান শাহাদাত হোসাইন ও সাজ্জাদ হোসাইন বাবাকে সহয়তা করছিলেন।
তারা জানান, বাবুর্চি দিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। বাবুর্চিও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেন।
বাবার এই কাজ দুই ছেলেরই খুব ভাল লাগে জানিয়ে তারা বলেন, তাই প্রতি বছর এই সময়টার জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটাকে রোজাদারদের সেবা করার একটা সুযোগ হিসেবে দেখছি।
আনিস সাহেব জানান, সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে এটার পরিসর বড় করা যাবে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া যাবে।
ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, সে ১০ টাকা দিয়ে পরিপূর্ণ ইফতার সামগ্রী পাচ্ছে। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসে।
পাশের গ্রাম বাইঙ্গাপাড়া থেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিও এখান থেকে ইফতার সংগ্রহ করার কথা জানান।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে আনিস সাহেবের এমন কাজকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট জার্সি গায়ে চড়িয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনার ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার কাটাছরা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ২১ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম মো. আব্দুর রহিম হৃদয়। জোরারগঞ্জ থানার কাটাছরা ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার সাহাব মিয়ার পুত্র তিনি।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কাছে তার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎ আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে বলেছেন, আবেগতাড়িত হয়ে তিনি হঠাৎ কাজটি করেছেন।’
এর আগে রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাই দুই মিনিটের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে পাকিস্তানের ক্রিকেট জার্সি পরে স্যান্ডেল পায়ে এক যুবককে শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের সঙ্গে থাকা গাছ দিয়ে শহীদ মিনারের লাল বৃত্তে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ভিডিও ধারণ করা ব্যক্তি ঘটনার প্রতিবাদ করে এর কারণ জানতে চান। এতে ওই যুবক পাকিস্তানের জার্সি পরার বিষয়ে নানা যুক্ত দেখানোর চেষ্টা করেন।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে জোরারগঞ্জ থানার বামন সুন্দর এফএ উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে। ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয়রা শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে চলে গেলে শহীদ মিনারে ভাঙচুর চালান ওই যুবক।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রাণী নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিড়ালের র্যাম্প শো। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানে গুণীজনদের সম্মাননাও দেয়া হয়। ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনে উপস্থিত দর্শক পুলকিত হন।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিড়ালের বাড়ি ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিপন মিয়া।
বিড়ালের বাড়ির অ্যাডমিন ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশনের কুমিল্লার সভাপতি সাইফ উদ্দিন রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর কৃষকলীগের আহবায়ক খোরশেদ আলম, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মঞ্জুর কাদের মনি, জেলা কালচারার অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন, রোটারিয়ান ফাতেমাতুজ জোহরা প্রমুখ।
উম্মে হাবিবা হেমার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ ইসমাইল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম খান, হাসিবুর রহমান সাফা, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এমদাদুল হক আখন্দসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে ৬ জন পশুপ্রেমী, তিনজন পশু চিকিৎসক, ১৫ গুণীজনকে সম্মাননা দেয়া হয়। প্রাণী উদ্ধারে ভূমিকার জন্য লাকী রহমান, মেহেবুবা মাকসুদ স্মৃতি, উম্মে কুলসুম জেনি, ফাতেহা নুর লাবণ্য, মেশকাত শুভ ভূইয়া ও শায়লা শিলাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মারুফ হাসান ইমরান, সামিসা আফরীন ঐশি ও হাসিবুর রহমান সাফাকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়া রক্তদান ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রক্তবন্ধু ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, সমাজ সেবায় অবদানের জন্য ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন বাবু, ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মামুন, আরকে ফিড অ্যান্ড পোল্ট্রি লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোটারিয়ান রেহান উদ্দিন, নন্দী রিয়েল স্টেট অ্যান্ড ডেভেলাপারস কুমিল্লার চেয়ারম্যান রোটারিয়ান প্রদীপ চন্দ্র নন্দী, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিনুল ইসলাম, নবাব ফয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিড়ালের বাড়ি ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফ উদ্দিন রনি বলেন, ‘এই আয়োজন পোষা প্রাণীসহ রাস্তার অবহেলিত প্রাণীদের জন্য।’
বিনা কারণে তাদের নির্যাতন না করে তাদের প্রতি সদয় থাকা, রাস্তার কুকুরদের না মেরে ভ্যাকসিনের আওয়ায় আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া অসহায় প্রাণীদের উদ্ধার কাজের জন্য একটা টিম গঠনে বিত্তবানরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য