ই-রিসোর্স ব্যবহার বিষয়ে ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অব ইন্ডিয়ার (এনডিএলআই) সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশন সমঝোতা স্মারক সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ইউজিসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ই-রিসোর্স সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহজে গুণগত মানসম্পন্ন রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবেন। এনডিএলআইর ই-রিসোর্সে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রবেশাধিকার দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
সভায় এনডিএলআই’র প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী বলেন, এনডিএলআই’র প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ই-রিসোর্স রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ই-রিসোর্স উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার লাইসেন্সের অধীনে রয়েছে। এনডিএলআই ই-রিসোর্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ মিলিয়ন।
অধ্যাপক পার্থ প্রতীম মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তাদের ই-রিসোর্স প্লাটফর্মে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর একাধিক ওয়েবিনার আয়োজন করবে বলে সভাকে অবহিত করেন।
সভায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, জয়েন্ট প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক পার্থ প্রতীম দাস, কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. প্লাবন কুমার ভৌমিক, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার নন্দ গোপাল চক্রবর্তী ও চিফ ইন্টারন্যাশনাল আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার অনির্বাণ শর্মা যুক্ত ছিলেন।
সাধারণত মাথা কেটে ফেলার পরও মুরগি কিছুক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তবে ইতিহাসে একবার ঘটেছিল বিরল ঘটনা। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রুইটাতে মাথা ছাড়া ১৮ মাস বেঁচে ছিল একটি মুরগি।
এ ঘটনা সে সময় তোলপাড় তুলেছিল। অনেকে এটিকে অলৌকিক ঘটনা বলেই বিশ্বাস করতেন। তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?
লয়েড ওলসেন নামে এক ব্যক্তি তার পারিবারিক খামারে কাজ করছিলেন। বাজারে নেয়ার জন্য মুরগিটি জবাই করছিলেন তিনি। এর মধ্যে একটি মুরগি আশ্চর্যজনকভাবে মাথা কাটার পরও দৌড়াচ্ছিল।
ওলসেন মুরগিটিকে ধরে একটি বাক্সের মধ্যে রাখেন। তিনি নিজেই এই ঘটনায় কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। বাক্সে রাখা মুরগীটির নাম দেন তিনি ‘মাইক’। আশ্চর্যজনকভাবে পরের দিন সকালেও ওলসেন দেখলেন মুরগিটি বেঁচে আছে।
কীভাবে বেঁচে ছিল?
মুরগির মস্তিষ্কের বেশির ভাগ অংশ মাথা ও চোখের পেছনে থাকে। যখন ওলসেন মাথা কাটার জন্য কোপ দেন তখন মাইকের মাথার সামনের বেশির ভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস, হজম ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের অংশটি অক্ষত রয়ে যায়।
পরবর্তীতে তিনি মুরগিটিকে খাওয়ানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। সেটির খাদ্যনালীতে ড্রপার দিয়ে পানি ও তরল খাবার দিতেন। পাশাপাশি সিরিঞ্জ দিয়ে গলা থেকে শ্লেষ্মা অপসারণ করতেন। এভাবে বেশ সুস্থ সবল শরীর নিয়েই বেঁচে ছিল মাইক।
সে সময় মাইক এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল যে, টাইম ম্যাগাজিনও এটিকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছিল।
এ ঘটনায় ওলসেন বুঝতে পারেন, মাইক বিখ্যাত হতে যাচ্ছে! মানুষ এটিকে টাকা দিয়ে দেখতে আসবে। ঘটনার পরের ১৮ মাস বিভিন্ন মেলা, কার্নিভ্যাল ও অন্যান্য পাবলিক ইভেন্টে এই মস্তকবিহীন মুরগিটি প্রদর্শন করেন ওলসেন। এগুলো করে বেশ অর্থও কামান তিনি।
১৯৪৭ সালের ১৭ মার্চ অ্যারিজোনার ফিনিক্সে প্রদর্শনীর জন্য সফরকালে মাইক মারা যায়। ওলসেন ও তার স্ত্রী ক্লারা তাদের হোটেলের ঘরে মাইকের শ্বাসনালির গড়গড় শব্দে জেগে ওঠেন। মাইককে বাঁচানোর জন্য তারা সিরিঞ্জ খুঁজছিলেন, কিন্তু সিরিঞ্জটি ভুলবশত এটি সাইড শো-তে রেখে এসেছিলেন। ফলে মাইকের গলা থেকে শ্লেষ্মা টেনে বের করা যায়নি। এতে একসময় দম বন্ধ হয়ে মারা যায় মুরগিটি।
এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বহু দশক আগে ঘটলেও, ফ্রুইটারের নাগরিকরা মুরগিটিকে ভুলে যায়নি। এটিকে সেখানকার জনগণ ‘মাইক দ্য হেডলেস চিকেন’ নামে চেনে।
প্রতি বছর ওই শহরে মাইকের স্মরণে একটি উৎসব আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে শত শত মানুষ জমায়েত হয়।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে এক মাস বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রির জন্য বাজারে তুলে এলাকায় চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছেন এক নার।
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
তবে ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানসিক ভারসাম্য না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী তার কোলে থাকা ১ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুকে আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। দর কষাকষির মাধ্যমে ওই শিশুকে ক্রয় করছেন এক বৃদ্ধ। এক পর্যায়ে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিজ কোলে নেন ওই বৃদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার নিজের সন্তানকে বিক্রির জন্য দাম হাঁকান ওই নারী। এরপর শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন শিশুটিকে ২৫ শ’ টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। বিক্রির বেশ কিছু সময় পর শিশুটিকে আবারও অবশ্য ফেরত নিয়ে নেন ওই নারী।
এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবারে বাজার করার সময় দেখি, ওই মেয়েটি তার সন্তাকে বিক্রি করবে বলছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভাগনির জন্য বাচ্চাটি কিনতে চাই। পরে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এরপর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।’
বিষয়টি জানতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তারপরও বিষয়টি দেখতে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
আরও পড়ুন:ছোট ছোট বাচ্চারা ঘিরে ধরেছে, আছে নানা বয়সের মানুষও। দূর থেকে মনে হবে হয়ত টিসিবির পণ্য সংগ্রহের লাইন। তবে কাছে গিয়ে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। ১০ টাকার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে বসেছে এ আয়োজন। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, দামে ১০ টাকার হলেও সেখানে অন্তত ৭০ টাকা মূল্যমানের ইফতার সামগ্রী রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার অটো পার্টস ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান তিন বছর ধরে এই আয়োজন চালিয়ে আসছেন।
ফ্রিতে কেন দিচ্ছেন না?- জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে মানুষ ইফতার করবে নিজের টাকায়- এই অনুভূতিটুকু তাদের হোক। এই ভাবনা থেকেই আমি এইটুকু মূল্য যোগ করেছি। আমার এটা করতে ভাল লাগছে এবং বাকিটা তো উপরে একজন আছেন। তিনি সব জানেন এবং দেখেন।’
আনিসুর রহমানের দুই সন্তান শাহাদাত হোসাইন ও সাজ্জাদ হোসাইন বাবাকে সহয়তা করছিলেন।
তারা জানান, বাবুর্চি দিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। বাবুর্চিও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেন।
বাবার এই কাজ দুই ছেলেরই খুব ভাল লাগে জানিয়ে তারা বলেন, তাই প্রতি বছর এই সময়টার জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটাকে রোজাদারদের সেবা করার একটা সুযোগ হিসেবে দেখছি।
আনিস সাহেব জানান, সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে এটার পরিসর বড় করা যাবে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া যাবে।
ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, সে ১০ টাকা দিয়ে পরিপূর্ণ ইফতার সামগ্রী পাচ্ছে। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসে।
পাশের গ্রাম বাইঙ্গাপাড়া থেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিও এখান থেকে ইফতার সংগ্রহ করার কথা জানান।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে আনিস সাহেবের এমন কাজকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট জার্সি গায়ে চড়িয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনার ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার কাটাছরা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ২১ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম মো. আব্দুর রহিম হৃদয়। জোরারগঞ্জ থানার কাটাছরা ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার সাহাব মিয়ার পুত্র তিনি।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কাছে তার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎ আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে বলেছেন, আবেগতাড়িত হয়ে তিনি হঠাৎ কাজটি করেছেন।’
এর আগে রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাই দুই মিনিটের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে পাকিস্তানের ক্রিকেট জার্সি পরে স্যান্ডেল পায়ে এক যুবককে শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের সঙ্গে থাকা গাছ দিয়ে শহীদ মিনারের লাল বৃত্তে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ভিডিও ধারণ করা ব্যক্তি ঘটনার প্রতিবাদ করে এর কারণ জানতে চান। এতে ওই যুবক পাকিস্তানের জার্সি পরার বিষয়ে নানা যুক্ত দেখানোর চেষ্টা করেন।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে জোরারগঞ্জ থানার বামন সুন্দর এফএ উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে। ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয়রা শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে চলে গেলে শহীদ মিনারে ভাঙচুর চালান ওই যুবক।
রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে
প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা
ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা
বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)
বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)
যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রাণী নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিড়ালের র্যাম্প শো। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানে গুণীজনদের সম্মাননাও দেয়া হয়। ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনে উপস্থিত দর্শক পুলকিত হন।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিড়ালের বাড়ি ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সিপন মিয়া।
বিড়ালের বাড়ির অ্যাডমিন ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশনের কুমিল্লার সভাপতি সাইফ উদ্দিন রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর কৃষকলীগের আহবায়ক খোরশেদ আলম, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মঞ্জুর কাদের মনি, জেলা কালচারার অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন, রোটারিয়ান ফাতেমাতুজ জোহরা প্রমুখ।
উম্মে হাবিবা হেমার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শেখ ইসমাইল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম খান, হাসিবুর রহমান সাফা, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এমদাদুল হক আখন্দসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে ৬ জন পশুপ্রেমী, তিনজন পশু চিকিৎসক, ১৫ গুণীজনকে সম্মাননা দেয়া হয়। প্রাণী উদ্ধারে ভূমিকার জন্য লাকী রহমান, মেহেবুবা মাকসুদ স্মৃতি, উম্মে কুলসুম জেনি, ফাতেহা নুর লাবণ্য, মেশকাত শুভ ভূইয়া ও শায়লা শিলাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মারুফ হাসান ইমরান, সামিসা আফরীন ঐশি ও হাসিবুর রহমান সাফাকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়া রক্তদান ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রক্তবন্ধু ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, সমাজ সেবায় অবদানের জন্য ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন বাবু, ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মামুন, আরকে ফিড অ্যান্ড পোল্ট্রি লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোটারিয়ান রেহান উদ্দিন, নন্দী রিয়েল স্টেট অ্যান্ড ডেভেলাপারস কুমিল্লার চেয়ারম্যান রোটারিয়ান প্রদীপ চন্দ্র নন্দী, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিনুল ইসলাম, নবাব ফয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিড়ালের বাড়ি ও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফ উদ্দিন রনি বলেন, ‘এই আয়োজন পোষা প্রাণীসহ রাস্তার অবহেলিত প্রাণীদের জন্য।’
বিনা কারণে তাদের নির্যাতন না করে তাদের প্রতি সদয় থাকা, রাস্তার কুকুরদের না মেরে ভ্যাকসিনের আওয়ায় আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া অসহায় প্রাণীদের উদ্ধার কাজের জন্য একটা টিম গঠনে বিত্তবানরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রনি।
আরও পড়ুন:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তৃতীয় ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন। বাড়ি বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দগঞ্জের শ্রীপুরে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় আপাদমস্তক সংগ্রামী জীবন তার। তবে মুখের হাসি কোনোদিন মলিন হয়নি কোনো কিছুতেই। অমলিন হাসি নিয়ে ছেলেটি দৌড়ে বেড়িয়েছেন মানুষের জন্য, বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। পাশে থেকেছেন সামর্থের মধ্যে সব ধরনের সামজিক কার্যক্রমে।
ব্যবসায় শিক্ষার স্নাতক-স্নাতকোত্তর হলেও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ততা ছিল না সদালাপী এই ছেলেটির। সংযুক্তি ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। যুক্ত ছিলেন মানুষের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ার কাজে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল লোকমান। অনেকগুলো সংগঠন প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নিভৃত গাঁয়ের এ ছেলেটির হাত ধরেই।
লোকমান ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সাহায্য চেয়েছে তার বন্ধুর জন্য, তার ছোটো ভাইদের জন্য। যেকোনো সমস্যায় যেকোনো সময়ে লোকমানকে পাওয়া যেত পহেলা ডাকেই, যেন ও ডাকের অপক্ষায়ই বসে থাকতো!
কত কত মানুষের জন্য কত কত কাজ! বন্যার ত্রাণ, শীতে দুস্থ মানুষের কাপড়, অসুস্থ-দুস্থ-অসহায় মানুষের জন্য টাকা সংগ্রহ, হাসপাতালের বারান্দায় রাত কাটানো সবই করেছে অভিযোগহীনভাবে, একান্ত নিজের কাজ মনে করে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সেই ছেলেটিই সবার সাহায্যপ্রার্থী। কী সকরুণ প্রকৃতির মনোভাব! লোকমান আজ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। অজান্তেই মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে ৬x৪.৫ সেন্টিমিটার আয়তনের টিউমার। দুই একবার যে মস্তিষ্কের অতিথি লোকমানকে নিজের অবস্থান, বাহাদুরি জানান দিতে চায়নি তা নয়। তবে স্বভাবতই যা হয়! সংগ্রামী লোকমানের কাছে ছোট ছোট অসুস্থতা পাত্তা পায়নি কখনোই। ফলাফল, প্রবল আক্রোশে নিজের অবস্থান এখন জানান দিচ্ছে টিউমার, ছড়াচ্ছে ডালপালা, শেকড়! অস্বাভাবিক দ্রুততায় অবনতি হচ্ছে লোকমানের শারীরিক পরিস্থিতি।
খুব দ্রুততম সময়ে লোকমানকে নিতে হবে অপারেশন টেবিলে, প্রয়োজন ১০ লক্ষ টাকারও বেশি! কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের পক্ষে কী করে সম্ভব এত টাকা এত স্বল্প সময়ে ব্যবস্থা করা! তার ওপর, বড় সন্তান লোকমানের আয়েই চলত সংসারের চাকা।
লোকমান মানুষের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজদের জন্য কাজ করেছে। তবে এখন সময় এসেছে লোকমানের পাশে দাঁড়ানোর।
লোকমান অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত না হোক, কুসুমিত প্রাণ বেঁচে থাক! সুস্থ হয়ে আবার মানুষের জন্য কাজ করুক লোকমান। পৃথিবীর সকল বাংলাভাষীর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, লোকমানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন! আপনার অংশগ্রহণে বেঁচে যেতে পারে এক সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ।
লোকমানকে আর্থিক সহযোগিতার করতে নিচের মাধ্যমগুলোতে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
জহিরুল ইসলাম (লোকমান ভাইয়ের ছোট ভাই)
01810-381463 (বিকাশ/নগদ/রকেট)
Md Lokman Hossain
2201030018207
(Dutch bangla Bangla Bank)
3640-101-066895
(Pubali Bank)
বিকল্প নাম্বার হিসেবে লোকমানের বন্ধু মিরাজ
+8801740061262 (বিকাশ /নগদ/রকেট)
সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য যোগাযোগ:
শাহেদ সবুজ
মোবাইল: 01712227025
রবিউল ইসলাম (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়)
যোগাযোগ-01732581789
মন্তব্য