× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Nandail International Disaster Mitigation Day 2021 Celebration Trial and Rally
google_news print-icon

নান্দাইলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপনে - মহড়া ও র‍্যালি

নান্দাইলে-আন্তর্জাতিক-দুর্যোগ-প্রশমন-দিবস-২০২৫-উদযাপনে---মহড়া-ও-র‍্যালি

“সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে "আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫” উপলক্ষে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে মহড়া, র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ) বেলা ১১টায় নান্দাইলের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নান্দাইল, ময়মনসিংহ। সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, নান্দাইল এরিয়া অফিস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেবেকা সুলতানা সাথী, সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম, প্রফেসর কামরুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনোয়ার মাষ্টার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসানউল্লাহ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নান্দাইল স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন নান্দাইল এপির ম্যানেজার সাগর জন কস্তা এবং অরপনা গাগরা।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালি শেষে নান্দাইল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডকালীন সময়ে করণীয় বিষয়ে বাস্তব মহড়া প্রদর্শন করেন। তারা উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে দুর্যোগকালে আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে নিরাপদে আত্মরক্ষা করতে হয়, সে বিষয়ে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সচেতনতা ও প্রস্তুতির বিকল্প নেই। সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার বলেন,
“দুর্যোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা ও প্রস্তুতি। প্রতিটি পরিবার ও প্রতিষ্ঠান যদি নিজেদের প্রস্তুত রাখে, তবে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।”

অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয় ফায়ার সার্ভিসের মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে, যা উপস্থিত সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাস্তব ধারণা প্রদান করবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Six point proposal to form a hunger free world

ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার: ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান

ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার: ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ইতালির রোমে এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষুধা কোনো অভাবের কারণে নয়, এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা। আমাদের এই ব্যবস্থা বদলাতে হবে।’

সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরাম (ডব্লিউএফএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের ছয় দফা প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস প্রথমেই বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, সংলাপ শুরু করুন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন’—এর মাধ্যমে ক্ষুধা ও সংঘাতের দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, জলবায়ুুসংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকে থাকার সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক গঠন করে খাদ্য সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখতে হবে।

চতুর্থ প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে।

পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাণিজ্যনীতিকে খাদ্য নিরাপত্তার সহায়ক হতে হবে, বাঁধা নয়।

ষষ্ঠ প্রস্তাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের তরুণ কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন করেছি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, নৈতিক ব্যর্থতা।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা দূর করতে যেখানে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করা যায়নি, সেখানে অস্ত্র কিনতে বিশ্ব ব্যয় করেছে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। একে কি আমরা অগ্রগতি বলব?’

অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পুরোনো মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা পদ্ধতি কোটি কোটি মানুষকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন এক নতুন ব্যবসা পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে— সামাজিক ব্যবসা, যা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য নয়, বরং সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য।’

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর স্বপ্নের ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ) ধারণা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি কোনো কল্পনা নয়, এটি অপরিহার্য— বিশ্ব বাঁচানোর একমাত্র পথ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার সাফল্য আমরা দেখেছি। গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়েছে, দরিদ্র নারীরাও উদ্যোক্তা হতে পারেন। গ্রামীণ দানোন শিশু অপুষ্টির বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে এমন বহু সামাজিক ব্যবসা মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তরুণ, নারী, কৃষক, কৃষিুউদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠন করতে হবে। এই ধরনের উদ্যোগের জন্য আইনগত ও আর্থিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, বাঁধা নয়।’

তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের তরুণ প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক বেশি সংযুক্ত, সৃজনশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাদের চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না, বরং চাকরি সৃষ্টির ক্ষমতায়ন করুন।’

তিনি বলেন, ‘তরুণদের বিনিয়োগ তহবিল ও সামাজিক ব্যবসা তহবিলের মাধ্যমে মূলধনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কৃষি-উদ্ভাবন কেন্দ্র, কৃষিুপ্রযুক্তি, চক্রাকার খাদ্য ব্যবস্থা ও জলবায়ুুস্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দিতে হবে।’

তিনি যোগ করেন, ‘যুব সমাজের ওপর বিনিয়োগ করলে শুধু বিশ্বকে খাদ্য দিতে পারব না, বিশ্বকেই বদলে দিতে পারব।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্েযর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোটের (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা এফএও ও জি-২০-এর সঙ্গে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, একটি তিন-শূন্য বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ফোরামের তিনটি স্তম্ভ—যুব, বিজ্ঞান ও বিনিয়োগ—শুধু স্লোগান নয়, এটি আমাদের খাদ্যব্যবস্থা ও সমাজ রূপান্তরের প্রধান হাতিয়ার।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সম্পদ ও প্রযুক্তি রয়েছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি আসবে। এখন দরকার সৃজনশীল চিন্তা ও সঠিক ব্যবসা কাঠামো—যার মাধ্যমে আমরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব। আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা তা বাস্তবেও সৃষ্টি করতে পারব।’

বক্তৃতার শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এফএও’র ৮০ বছর পূর্তি শুধু উদযাপন নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির আহ্বান।’

তিনি বলেন, ‘এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘হাত ধরে হাতে, উন্নত খাদ্য ও উন্নত ভবিষ্যতের পথে’—আমাদের মনে করিয়ে দেয়: খাদ্য শুধু ক্যালরির ব্যাপার নয়, এটি মর্যাদার, ন্যায়ের এবং আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করতে চাই তার প্রতিচ্ছবি।’

তিনি এফএওুর নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী খাদ্য নিরাপত্তা ও শান্তি জোটের প্রশংসা করে বলেন, এটি ভবিষ্যতেও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তরুণরা সাহস ও আশায় ভরপুর হয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাদের দাবি ছিল ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া, ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার ভিত্তিতে সমাজ গঠন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এ তরুণরাই এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে—যেখানে জনগণ শাসনের কেন্দ্রে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করছে এবং মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছি ধান, সবজি ও স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে। কৃষকরা ফসলের নিবিড়তা ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন এবং আমরা জলবায়ুুসহনশীল ১৩৩ প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করেছি, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, অপুষ্টি কমিয়েছি, খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য এনেছি এবং কৃষিকে সবুজ করেছি— মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছি।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shapala Shaluk born in the village of Bengal is lost

হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বিলে-ঝিলে জন্মানো শাপলা শালুক

হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বিলে-ঝিলে জন্মানো শাপলা শালুক

একসময় বাংলাদেশের বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবার যা ছিল ভাতের বিকল্প। যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মানুষ এখন সেই খাবারের নাম প্রায় ভুলতেই বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো- শালুক।

বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য।

ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা- এসব ছিল সবার খাবার। শুধু যে মানুষ মজা করে খেতো তাই নয়, অভাবেও মানুষ শালুক খেয়ে জীবন বাঁচাতো।

শালুকেরও ছিল নানা জাত- গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।

প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত- গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, ‘শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।’

কিন্তু এখন বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।

তবুও একেবারে সব শেষ হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যাবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।

তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যাবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of leaflets containing 5 point BNP in Comillas Homona

কুমিল্লার হোমনায় বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

কুমিল্লার হোমনায় বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা দাবিসমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।

সোমবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।

লিফলেট বিতরণকালে আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের এই ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’

অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nurul Islam Nayan distributed sarees among the women of Hindu religion

হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করলেন নুরুল ইসলাম নয়ন

হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করলেন নুরুল ইসলাম নয়ন

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনের পরবর্তী সময়ে সম্প্রীতিরবন্ধন অটুট রাখতে ও সামাজিক সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেছেন।

সোমবার চরফ্যাশন ডাক বাংলোতে শাড়ি বিতরণ করা হয়।

এ সময় নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মাঝে সামান্য এই ভালোবাসার উপহার তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উপজেলা নেতারা নুরুল ইসলাম নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।

এক উপকারভোগী নারী বলেন, ‘পূজার পরবর্তী সময়ে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। নয়ন ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।’

শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির নেতারা, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sarayakandi is a bunch of threats in the Jamuna river erosion in Sariakandi

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা বিলীন, হুমকিতে গুচ্ছগ্রাম

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা বিলীন, হুমকিতে গুচ্ছগ্রাম

বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workers dissatisfaction in the Valuka Shepherd Group demonstrate on highway

ভালুকায় শেফার্ড গ্রুপে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়কে বিক্ষোভ

ভালুকায় শেফার্ড গ্রুপে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়কে বিক্ষোভ

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

উপজেলার কাঠালী এলাকায় সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

শ্রমিকরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ওভারটাইম হার কমানো, টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের কারণে তারা চরম অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি- প্রতি মাসের বেতন সময়মতো প্রদান, ওভারটাইমের হার পূর্বের মতো ৬৮ শতাংশে বহাল রাখা, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং অবসরোত্তর ফান্ড দ্রুত পরিশোধ করা।

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Incoming National Election Ansar VDPs Message in Appointment of Professional and Trained Members

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়োগে আনসার ভিডিপির প্রস্তুতির বার্তা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়োগে আনসার ভিডিপির প্রস্তুতির বার্তা

আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি ও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়োগে আনসার ভিডিপির প্রস্তুতির বার্তা
সভায় উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, “অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের চিত্র হবে ভিন্ন ও অধিক পেশাদার।” তিনি আরও বলেন, “মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের পোশাকের মান, সক্ষমতা ও সুষ্ঠু ডেটাবেসের মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাইপূর্বক দায়িত্বে নিয়োজিত করা হবে। ফলে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা স্বার্থন্বেষী মহলের প্রভাবমুক্ত থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে তারা সফলকাম হবেন।” তিনি আশ্বস্ত করেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ প্রশিক্ষিত আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা দায়িত্ব পালন করবেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হবে নবীন প্রজন্ম বা Gen-Z থেকে।
নির্বাচনী বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিকতার সঙ্গে নির্বাচনী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, কতিপয় সংবাদ মাধ্যমে বাহিনীর নির্বাচন-সংক্রান্ত বাজেট প্রসঙ্গে একটি ভিন্নধর্মী প্রচার ইতোমধ্যে হয়েছে, যা বাহিনী ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। সভায় উপমহাপরিচালক আরও জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী হতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১২ জন কেন্দ্র-নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এর ফলে সম্ভাব্য প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ১৩ জন করে আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্য নিয়োগে আনসার ভিডিপির প্রস্তুতির বার্তা

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বাজেট-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল (উপমহাপরিচালক, অপারেশন্স), মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী (পরিচালক, অপারেশন্স), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (পরিচালক, প্রশাসন-কিউ), মোঃ জাহিদ হোসেন (পরিচালক, সিএইচটি-অপস) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

p
উপরে