২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আসন্ন নির্বাচনে বিরত রাখা হবে। তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা আজ দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা পুনর্নিধারণকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণসহ একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন,সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গ্রুপকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাতে কোন আইন বহির্ভূত কাজ না করে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন
না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে। আপনারা জানেন, এ প্রশিক্ষণ চলছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ২৮টি ব্যাচে তিনদিন মেয়াদী প্রশিক্ষণ সারাদেশে (জেলা, মহানগর ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান) ১৩০ টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য পুলিশের চূড়ান্ত (৪র্থ পর্যাযের) প্রশিক্ষণ গত ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৬ এ সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আনসার ভিডিপি সদস্যদের জন্য 'প্রাক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ' শিরোনামে প্রতি কেন্দ্রে ১৩ জন হারে আনুমানিক ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার জনকে অস্ত্রসহ ও ৪ লাখ ৫০ হাজার জনকে অস্ত্রবিহীন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচনে বিজিবির ১১শ’ প্লাটুনে ৩৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে ৬০% নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজিবি'র প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
লুকানো নয়, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চান উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের চুক্তিতে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের শতকোটি টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ছয় মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়।
দুদক জানায়, সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয় বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় চুক্তি পায়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি টাকা হয়। ফলে সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস
সম্প্রতি, ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতা সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে বাংলালিংক। চুক্তিটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশজুড়ে বাংলালিংকের টেলিকম নেটওয়ার্কে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী ফ্লোসোলার ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারেরা এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির যথাযথ উন্নয়ন, অর্থায়ন ও পরিচালনায় কাজ করবে। অন্যদিকে, বাংলালিংক দীর্ঘমেয়াদী ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ (সিপিপিএ) -এর আওতায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলালিংকের লক্ষ্য দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি বিটিএস সাইট, ডেটা সেন্টার ও স্পেশাল পারচেজ ভেহিকল (এসপিভি) সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালনা করা। অপারেটরটি মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৬০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে, এ প্রকল্পটি প্রচলিত জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে দেশে বছরে প্রায় ৭৬ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবস্থার অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে এবং বাংলালিংকের কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
এ চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন টার্কার বলেন, “বাংলালিংকে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্লোসোলারের সাথে অংশীদারিত্বে এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতের বড় আকারের নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলোর জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও দূরদর্শিতার সঠিক সমন্বয়ে আমরা কম কার্বন নিঃসরণ ও নিরাপদ জ্বালানির ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।”
ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান বলেন, “আমরা দেশের টেলিকম অপারেটরদের পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহারে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলালিংকের সাথে আমাদের এ অংশীদারিত্ব এ প্রতিশ্রুতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। উদ্ভাবনী প্রকল্প কাঠামো ও দীর্ঘমেয়াদি কর্পোরেট ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে আমরা একটি পরিমাপযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সমাধান প্রদান করতে চাই, যা কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতীয় লক্ষ্যপূরণে অবদান রাখবে।”
প্রতিরক্ষা কাজে ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবন করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয়ী বাংলাদেশের গৌরব চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জিহাদ। তার সাফল্যের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
জিহাদের মেধাভিত্তিক উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান। গত শনিবার দুপুরে জিহাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার পরানপুরে আসেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার সদরের পরানপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও নাসিমা খাতুনের ছেলে জাহিদ হাসান জিহাদ।
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জাহিদ হাসান জিহাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তরুণ উদ্ভাবক জিহাদের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন আতিকুর রহমান রুমন। একই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তার হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন তিনি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম ও ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন ও মুস্তাকিম বিল্লাহ প্রমুখ।
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবা ‘-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, গণমাধ্যমে জিহাদের কৃতিত্বের খবর প্রচার হয়েছে। খবরের ফটোকার্ডটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। মেধাভিত্তিক উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে তার পাশে দাঁড়াতে আমাদের পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিমকেও সহযোগিতা করেছিলাম। আমরা জিহাদের পাশে আছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জিহাদের পাশে থাকবেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করব। জিহাদের উপস্থাপনা বিচারকদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রোববার আরেকটি মদের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এ সময় প্রায় ৮ হাজার চোলাই মদ উদ্ধার করে বিনষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া একটি দেশীয় অস্ত্রসহ মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে গেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে যৌথবাহিনীর এমন অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত বুধবার কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া এলাকায় একটি মদের আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫ হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে এবং পরে জনসম্মুখে সে মদ বিনষ্ট করা হয়। ওই সময় মদের আস্তানায় জড়িত থাকায় ছয়জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় আটককৃত চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও আটককৃত অপর দুই শিশুকে মোচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার চারদিন পর রোববার সকালে ওই এলাকায় আবারো আরেকটি মদের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। ওই এলাকার শ্রীধাম চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে মদের আস্তানায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ যৌথ অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযান চালিয়ে ওই আস্তানা থেকে প্রায় ৮ হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে জনসম্মুখে সে মদ বিনষ্ট করে যৌথবাহিনী। এছাড়াও একটি দেশীয় অস্ত্রসহ মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী শ্রীধাম, অনিল ও শ্যামল মিলে দীর্ঘদিন ধরে ওই মদের আস্তানা চালিয়ে আসছিলেন। যৌথবাহিনীর অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে গেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করে যৌথবাহিনীর এমন অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক ব্যতিক্রম উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। উপজেলার বালিয়াদহ গ্রামে দারুল আরকাম ফুরকানীয়া নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে এ উচ্ছ্বাস দেখা যায়। গত শনিবার দিনভর তারা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ৮ নং মাগুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জি এম শাহীন আলম, সাহাবাজ বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাহিনুর বিশ্বাস, শেখ আশরাফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ মোড়ল প্রমুখ।
সকালে মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাফ, মোরগ লড়াই, উচ্চ লাফ, হাড়ি ভাঙা, ১০০ মিটার দৌড়, বিস্কুট খেলা, বালিশ খেলাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে বিকেলে আকাশি দল এবং সবুজ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ট্রাইব্রেকারে সবুজ দলকে পরাজিত করে আকাশি দল। ইভেন্টে ১২৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ সহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। ইভেন্ট এবং প্রীতি ফুটবল খেলা পরিচালনা করেন স্থানীয় রেফারি সাহানাজ বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন, অর্থ মন্ত্রালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মনিরুজ্জামানের ছেলে শেখ মাহিমুজ্জামান। শেখ মাহিমুজ্জামান মৃত. প্রফেসর শেখ ছানার উদ্দীনের প্রপৌত্র। তিনি ২০১৪ সালে ২৭শে জানুয়ারি মৃত্যু বরণ করেণ।
দারুল আরকাম ফুরকানীয়া নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাইম গল্দার, মনিরা খাতুন ও আমেনা খাতুন বলেন, সকালে আমাদেরকে পটেটো চিপস, এবং কেক খেতে দেওয়া হয়। দুপুরের খাবারে ছিল সবজি, চিংড়ি মাছ, মাংস এবং দই। দিনভর খেলা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
প্রধান শিক্ষক মাসুদুর জামান বলেন, দিনভর আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা উচ্ছ্বসিত। সাধারণত এ ধরনের খেলাধুলায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারে না। যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে বিত্তবানদের কাছে এ সকল নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহম্মেদ বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে শতভাগ ভাল হবে। গত শনিবার দুপুরে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের আয়োজনে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টার মিলনায়তনে ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিভিল সার্জন এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী দেরি করলে স্টেজ পার হতে হতে এই হার ২২% চলে আসে। তাই আমাদেরকে সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া স্তন ক্যান্সারের কোনো রোগী যদি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারে তাহলে তাকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে দুই দশক ধরে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হলেও প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্রিনিংসেবা এখনো যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রতিবছর কত নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কতজন মারা যাচ্ছেন এর সঠিক তথ্য সরকারের কাছে নেই। ফলে বাংলাদেশকে এখনও আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যানে নির্ভর করতে হচ্ছে। এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রমা সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা মো. জহিরুল ইসলাম। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট ডা. কাজী ইশরাত জাহান, ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. কামরুল ইসলাম মামুন এবং কুমিল্লা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস এর পরিচালক ডা. এম.এম. আরিফ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. সফিউল আজম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. জয়দীপ দত্ত গুপ্ত, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. সফি উল্লাসহ হসপিটালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য