× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Ismail of Naogaon in a new life after 20 years of imprisonment
google_news print-icon

২৩ বছর কারাভোগের পর নতুন জীবনে নওগাঁর ইসমাইল

২৩-বছর-কারাভোগের-পর নতুন-জীবনে-নওগাঁর-ইসমাইল
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সাথে ইসমাইল।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন। ইসমাইলের বাবা ছিলেন একজন গ্রাম পুলিশ। গরিব পরিবারের সন্তান ইসমাইল হোসেন কলমুডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। নিজের শরিকানদের সঙ্গে সামান্য জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল ইসমাইলের পরিবারের। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে শরিকানরা ইসমাইলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ে মিথ্যে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার আসামি হিসেবে ইসমাইলকে আটক করে ২০০০ সালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

ইসমাইলের গরিব পরিবার অর্থের অভাবে তার জন্য একজন উকিল নিযুক্ত করতে পারেনি। ফলে ২০০৩ সালে আদালত ইসমাইলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। এরপর থেকে জেলখানার চার দেওয়ালের মাঝে বন্দি থাকার ২৩ বছর ৩ মাস ৭ দিন পর গত বছরের ডিসেম্বরের ১৫ মুক্ত হয় ইসমাইল। এই দীর্ঘ সময়ে ইসমাইল তার বাবাসহ পরিবারের অনেককেই হারিয়ে ফেললেও নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের জেলখানা পরিদর্শনে পাল্টে যায় জীবনের সবকিছু। জেলখানার মাঝে ইসমাইলকে দেওয়া জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতি একজন সব হারানো কয়েদী ইসমাইলকে নতুন করে বেঁচে থাকার রঙিন স্বপ্ন দেখার সাহস জোগায়। মুক্তির দিনে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পুর্নবাসনের উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ভ্যানগাড়িও জীবন সংসারের চালিকা শক্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইসমাইল নতুন জীবন সঙ্গিকে সাথে নিয়ে সংসার সাজানো আর গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সম্প্রতি সেই ইসমাইলকে নিয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আবেগঘন অনুভূতির কথা লেখেন। সেই লেখাটি হচ্ছে- জীবন বড় বিচিত্র। ছবিতে যাদের সঙ্গে কথা বলছি, ছবি তুলছি তারা ইসমাইল দম্পতি। এই সেই ইসমাইল যার ২৬ বছর জেল হয়েছিল। নওগাঁতে দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলখানা পরিদর্শনের প্রথম দিন সাহস করে সে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার পুনর্বাসনের আবদার করে। সেদিন কথা দিয়েছিলাম তার মুক্ত হওয়ার দিন পর্যন্ত আমি যদি নওগাঁতে অবস্থান করি তবে অবশ্যই তার আবদার বিবেচনা করব। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির দিনে ইসমাইল আর কোথাও যায়নি, যাবেই বা কোথায়? সেদিন সে সোজা চলে এসেছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। তার আবদার বৃথা যায়নি। তার সকল কিছু পর্যালোচনা করে নতুন জীবনে ফিরে আনার চেষ্টা করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সফল হয়েছে কি না, বলা মুশকিল। তবে ইসমাইল নতুন জীবনে ফিরেছে। বিয়ে করেছে ইসমাইল। দাপ্তরিক চাপে, তার বিয়েতে যেতে পারিনি। তাই সে সস্ত্রীক জেলা প্রশাসনকে তার নববধূকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আজ এসেছিল। তাকে এবং নববধূকে যখন মিষ্টিমুখ করাচ্ছিলাম, যখন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করছিলাম তখন দেখলাম তার চোখে মুখে কৃতজ্ঞতার এমন ভাষা যা সে প্রকাশ করতে পারল না। হয়তো আরও কিছু দাবি ছিল আমার কাছে কিন্তু কৃতজ্ঞতার ভাষায় তার মনের কথা অব্যক্তই থেকে গেল। কিন্তু আমি বুঝে নিয়েছি তার মনের কথা, সে আমার আজন্ম সাথী হয়ে থাকতে চায়। তার স্ত্রীকে শুধু বললাম আশীর্বাদ, দোয়া, ভালোবাসা এগুলো দেখানোর জিনিস না। যে ইসমাইল তার যৌবনের পুরোটা সময় চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দি রেখেছিল সেই ইসমাইল তার বাকি জীবন তার প্রিয় সঙ্গিণীর সঙ্গে হেসে খেলে আনন্দে কাটাক এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। ইসমাইলকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছি যাতে ভবিষ্যতে বিপদের সময় আর কারও কাছে তার মুখাপেক্ষী হতে না হয়। আমাদের ইসমাইলের জন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। ইসমাইলের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আমাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ইসমাইল আমার প্রতি যে কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছে, তার চোখে-মুখে যে অস্ফুট উচ্চারণ তার ভাগীদার আমার প্রিয় সহকর্মীরা। ভালো থাকুক ইসমাইল, ভালো থাকুক আমাদের প্রিয় মানুষগুলো। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সম্পর্কে ইসমাইল হোসেন তার অনুভতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্না জড়ানো কণ্ঠে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল স্যার ভালো মনের একজন মানুষ। স্যার তাকে সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মোড়ে ছয়শতক জমি দিয়েছেন বলেও জানান। তবে, সামর্থ না থাকার কারণে সেখানে এখনো ঘর নির্মাণ করতে পারেননি বললেন ইসমাইল। বর্তমানে ইসমাইল সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ভেলাকুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়িতে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস করছেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
There is no plan to issue arrest warrant against any other armed forces official Press Secretary

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।

শনিবার বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, দআমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।’

তিনি জনগণকে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।’

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The death of 4 daughters of the same family while bathing in Magura

মাগুরায় গোসল করতে গিয়ে একই পরিবারের ৩ কন্যা শিশুর মৃত্যু

মাগুরায় গোসল করতে গিয়ে একই পরিবারের ৩ কন্যা শিশুর মৃত্যু

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের খালের পানিতে গোসলের সময় এক সাথে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এলাকায় শোকের মাতম চলছে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো মহম্মদপুর চাপাতলা গ্রামের তিন সহোদর আনারুলের মেয়ে তারিন (৯), সাজ্জাদের মেয়ে সিনথিয়া (৮) ও মো: তরীকুলের মেয়ে তানহা (৯) বছর।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার দুপুরে গোসলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে শিশু তিনটি বেরিয়ে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে চাপাতলা খালের পানিতে শিশু তিনটি গোসল করতে নামে। খালে প্রচন্ড গভীর ছিল এবং পানিতে প্রচুর স্রোত থাকায় তারা একে একে পানিতে ডুবে যায় । পানিতে পাট ধোয়ার কাজে ব্যাস্ত থাকা কয়েকজন হঠাৎ জানতে পারে একটি বাচ্চা পানিতে ডুবে গেছে । পরে তারা তাকে খুজে পায় এবং আরও জানতে পারে ২টি বাচ্চাকেউ পাওয়া যাচ্ছেনা। এর পর লোকজন পানিতে নেমে ৩টি শিশুকেই উদ্ধার করেন। দ্রুত তাদের মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরএমও ডা. আসাদুর রহমান তিনটি শিশুকেই মৃত ঘোষনা করেন।

স্থানীয় ও শিশুদের প্রতিবেশীরা বলেন, শিশু তিনটি সাতার জানতো তবে পানিতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় এবং গভীরতা বেশি হওয়ায় তারা পানিতে ডুবে যায় এবং মারা যায় । ঘটনাটি নিয়ে মুহুর্তেই এলাকায় ও পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি জেনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পেছনে কারও কোনো হাত না থাকলে এবং পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

ভিক্ষুকের মৃত্যুর পরে ঘরে মিলল বস্তা ভর্তি টাকা

ভিক্ষুকের মৃত্যুর পরে ঘরে মিলল বস্তা ভর্তি টাকা

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলাগাঁও গ্রামে এক ভিক্ষুকের মৃত্যুর পর তার ঘর থেকে মিলেছে এক বস্তা ভর্তি টাকা! এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নাসির মিয়া (৬৫) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৯ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরের দিন তার পরিবারের সদস্যরা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি বস্তা দেখতে পান। কৌতূহলবশত বস্তাটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকাভর্তি নোট। পরে স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে টাকা গুনে দেখা যায়, মোট ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা রয়েছে বস্তাটিতে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ মনে করছেন, নাসির মিয়া জীবনের বহু বছর ধরে ভিক্ষা ও মানুষের দেয়া সাহায্যের টাকা অল্প অল্প করে জমিয়ে রেখেছিলেন। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন, তিনি হয়তো কাউকে বিশ্বাস করতে না পেরে সেই টাকাগুলো ঘরেই লুকিয়ে রেখেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাসির মিয়া ছিলেন অত্যন্ত মিতব্যয়ী ও সৎ মানুষ। কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এত টাকা তিনি ঘরে রেখে গেছেন, অথচ কেউ জানত না!

বহরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি সত্যি এবং এটি পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না, একজন ভিক্ষুকের ঘরে এত টাকা থাকতে পারে!

ঘটনাটি এখন দলাগাঁও গ্রামসহ পুরো মাধবপুরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National Charter Signature Ceremony on October 1

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The principal of the principal of Nabinagar

নবীনগরে প্রধান শিক্ষিকাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

নবীনগরে প্রধান শিক্ষিকাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন চাকরি জীবনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অবসরে গেছেন। এই উপলক্ষে শনিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর।প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতিক মাষ্টার ও মেজবা উদ্দিন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তফা কামাল, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি পুলিশের উপপরিদর্শক নোমান মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী খান মাষ্টার,বিদায়ী প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন ও তার স্বামী নুরুল আমিন মাষ্টার,বিটঘর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগম,ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন সেলিম, মাহমুদ আক্তার, ইকবাল হোসেন, ডা. শামিম হাসনাইন ভূইঁয়া, ডা. সুমির সাহা, কামরুল হাসান শিমুল ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ রতন প্রমুখ।

বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষিকার চার দশকের কর্মজীবনের নিষ্ঠা, দক্ষতা ও অবদান তুলে ধরে তার আদর্শিক জীবনদর্শন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে রাজকীয় আয়োজনে ঘোড়ার গাড়িতে করে রেহেনা পারভীনকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ সময় উপস্থিত সবাই এক আবেগঘন পরিবেশে তাকে শেষ বিদায় জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kishoreganj social worker Mahbub receives childrens Nobel Prize

শিশুদের নোবেল পুরুস্কার পাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের সমাজকর্মী মাহবুব

শিশুদের নোবেল পুরুস্কার পাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের সমাজকর্মী মাহবুব

আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের ‘নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে পরিচিত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের তরুণ সমাজকর্মী মাহবুব। তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু কার্যক্রম, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবা এই তিনটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংস্থা কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন প্রতিবছর শিশুদের অধিকার ও মানবতার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা একজন শিশুকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১৭২ জন শিশুকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

১৭ বছর বয়সী মাহবুব কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি ২০২২ সালে ‘দি চ্যাঞ্জ বাংলাদেশ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি শিশুদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, বৃক্ষরোপণ, এবং গাছের চারা, খাতা, কলম ও পেন্সিল বিতরণের মতো নানা উদ্যোগ পরিচালনা করছেন।

এছাড়া হাওর এলাকার শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষায়ও তিনি নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।

শিশু অধিকার রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ মাহবুব অসুস্থ শিশুদের রক্তের সংকট মোকাবিলায় ‘ব্লাড খুজি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তিনি শিশু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাড়ে সহায়তা করে থাকেন।

শুধু তাই নয়, হাওর অঞ্চলের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের প্রেরণা সম্পর্কে মাহবুব বলেন, “শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narail Cultural Council Bangladesh Conference

নড়াইলে সংস্কৃতিক পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে সংস্কৃতিক পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নানা আয়োজনে শনিবার সকালে নড়াইল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে সংস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের মধ্যে ছিল শিশুদের চিত্র প্রদর্শনী,সাধারণ সভা, প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক প্রতিবেদন উপস্থাপন,আলোচনা সভা। দ্বিতীয় অধিবেশনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নড়াইলের সারেগামাপা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে । সম্মেলনে সংস্কৃতি পরিষদের ১০১টি সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন ।

নড়াইল শিল্পকলা অ্যাকাডেমির খোলা মঞ্চে শিশুদের আকা শতাধিক ছবি প্রদর্শণ করা হয় । বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের শিষ্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান (ড্রইং ও পেইন্ট)শিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ।

পরে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় সাধারণ সভা । সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অর্ধেন্দু ব্যাণার্জি সভায় সভাপতিত্ব করেন । সাধারণ সম্পাদক পান্নালাল দে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন,চারুকলা এবং সঙ্গীত অনেকটা একই সূত্রে গাথা । এই অনুষ্ঠানে শিশুদের আকা ছবি গুরুত্ব বহন করে । তিনি বলেন,বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতানের পরবর্তী প্রজন্ম বর্তমানে চারুকলা এবং সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । দেশের বিভিন্ন জেলাসহ সমাজের তৃণমুল প্রান্তে গড়ে উঠছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান । তিনি মনে করেন,দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সন্তানরা এদিক থেকে এগিয়ে আছে । ছোটরা ক্যানভাসে ছবি আকছে । নড়াইলের শিল্পাঞ্জলীর শিশুরা পাচ বছর ধরে ৬ হাজার বর্গফুট ছবি একেছে ফেলেছে । যা ওয়েবসাইটে যাবার পথে ।

তিনি বলেন, দেশের নাম করা প্রতিষ্ঠান সঙস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশ নড়াইলে এমন একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান করেছে এর গুরুত্ব বহন করে ।

মন্তব্য

p
উপরে