× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Gaibandha is being made from rice paddy to edible oil affordable and new horizons in employment
google_news print-icon

গাইবান্ধায় তৈরি হচ্ছে ধানের কুড়া থেকে ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্য আর কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

গাইবান্ধায়-তৈরি-হচ্ছে-ধানের-কুড়া-থেকে-ভোজ্য-তেল-সাশ্রয়ী-মূল্য-আর-কর্মসংস্থানে-নতুন-দিগন্ত

গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ভোজ্য তেল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এই তেল স্থানীয় বাজার ছাড়াও সরকারি সহায়তায় টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করছে উৎপাদনকারী মিল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, এই তেল রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। শুধু তেলই নয়, কুড়া থেকে তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত সূচনা হয়েছে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে।

উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধানের কুড়ার তেল অন্যান্য সাধারণ ভোজ্য তেলের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এতে রয়েছে ওরিজানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমায়। এই তেল প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে মনো ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জে মহিমাগঞ্জ এলাকার পুনতাইর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে "প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিল"। অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে সেখানে চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। বিভাগ ভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছে যান্ত্রিক মেশিনের সাথে সমান তালে। হাজার হাজার বস্তায় স্তুপ করা ধানের কুড়া। শ্রকিকরা বস্তাভর্তি ধানের কুড়া ঢেলে দিচ্ছেন মাটির নিচে স্থাপন করা কনভেয়ার নামক মেশিনে। সেখান থেকে কয়েকটি মেশিনের ধাপ পেরিয়ে সর্বশেষ রিফাইনারিতে যাচ্ছে ভোজ্য তেল।

সেকশান ভিত্তিক তেল উৎপাদন সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা দায়িত্বপালন করছেন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থেকে। উৎপাদনের একেবারে শেষ পর্যায়ে কোনো রকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই বোতলজাত হচ্ছে এই তেল। যে সেকশানে কাজ করছে মিলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মচারী।

তেল ছাড়িয়ে অবশিষ্ট কুড়ার অংশ যাচ্ছে আলাদা এক সেকশানে। যেখানে প্রস্তুত হচ্ছে মৎস ও প্রাণি খাদ্য। সমান তালে লোড করা হচ্ছে ট্রাক। ওইসব ট্রাকে করে এই প্রাণি খাদ্যগুলো যায় দেশের নাম করা বিভিন্ন মৎস ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া থেকে কুড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী একটি ক্যাপিটাল মেশিন নিয়ে এসে স্থাপন করেন। যেটির মাধ্যমে ২০১৬ সালে তেল উৎপাদনে শুরু করেন। একই বছর থেকে উৎপাদন করা অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগ বিদেশে রপ্তানি শুরু করেন। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশে তেল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের মেশিনারী সেকশানের ইনচার্জ কমলকান্তিপাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখানে তেল উৎপাদনে কোনো হাতের স্পর্শ নেই। সকল প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, প্রথমে কুড়া কনভেয়ারের মাধ্যমে প্রেপ মেশিনে উঠানো হয়, এরপর সেটি স্টিভারের মাধ্যমে গুটি করে নেওয়া হয়। পরে সলভেন চাইনিজ মেশিনে বডি থেকে তেল করা হয়। সর্বশেষ তেলটি রিফাইনারিতে যায়। সেখানে ডাবল রিফাইন করে বোতলজাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ এবং দামেও সাশ্রয়ী।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের প্যাকেজিং সেকশানের সুপারভাইজার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, সারা দেশের অটো রাইচ মিল এবং সেমি অটো রাইচ মিল থেকে কুড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কুড়া থেকে উৎপাদিত হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল। আর সেখান থেকে রিফাইন করা হচ্ছে ৪০ হাজার লিটার তেল। প্রতিলিটার তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

এসময় তিনি জানান, ধানের কুড়া থেকে শুধু তেলই উৎপাদন করা হচ্ছে না। তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে এখানে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। যা ক্রয় করছেন দেশের নামকরা বড় বড় মৎস ও প্রাণীখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো । ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই শিল্পে।

তিনি আরও বলেন, এসবের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিলে স্থানীয় ৩০০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এই তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও দামে সাশ্রয়ী হলেও প্রচারণার অভাবে এখনো আশানুরুপ সাড়া পড়েনি ভোক্তা পর্যায়ে। ২০১৬ সাল থেকে এই তেল বিদেশ রপ্তানি করা হতো বিশেষ করে ইন্ডিয়ায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রপ্তানি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। তবে তাদের সরকারি সহায়তায় টিসিবিতে তেল সরবরাহ করছি। যা উৎপানের তুলনায় অনেক কম।

তিনি বলেন, কৃষি-শিল্পভিত্তিক এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতি ছাড়াও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসচেতনতায়। এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী বছর হয়তো সেকশান-২ চালু করলে সেখানো আরো ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে আমরা বিক্রিতে তেমন সাড়া পাচ্ছিনা।

এসময় দেশের ২০ টি রাইচ ব্রান অয়েল মিলকে টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ ও প্রচারণায় সরকারি সহায়তা চান তিনি। অন্যথায় ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই শিল্প মুখ থুবরে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান এই স্বত্বাধিকারী।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The principal of the principal of Nabinagar

নবীনগরে প্রধান শিক্ষিকাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

নবীনগরে প্রধান শিক্ষিকাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন চাকরি জীবনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অবসরে গেছেন। এই উপলক্ষে শনিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর।প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতিক মাষ্টার ও মেজবা উদ্দিন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তফা কামাল, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি পুলিশের উপপরিদর্শক নোমান মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী খান মাষ্টার,বিদায়ী প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন ও তার স্বামী নুরুল আমিন মাষ্টার,বিটঘর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগম,ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন সেলিম, মাহমুদ আক্তার, ইকবাল হোসেন, ডা. শামিম হাসনাইন ভূইঁয়া, ডা. সুমির সাহা, কামরুল হাসান শিমুল ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ রতন প্রমুখ।

বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষিকার চার দশকের কর্মজীবনের নিষ্ঠা, দক্ষতা ও অবদান তুলে ধরে তার আদর্শিক জীবনদর্শন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে রাজকীয় আয়োজনে ঘোড়ার গাড়িতে করে রেহেনা পারভীনকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ সময় উপস্থিত সবাই এক আবেগঘন পরিবেশে তাকে শেষ বিদায় জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kishoreganj social worker Mahbub receives childrens Nobel Prize

শিশুদের নোবেল পুরুস্কার পাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের সমাজকর্মী মাহবুব

শিশুদের নোবেল পুরুস্কার পাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের সমাজকর্মী মাহবুব

আন্তর্জাতিকভাবে শিশুদের ‘নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে পরিচিত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের তরুণ সমাজকর্মী মাহবুব। তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু কার্যক্রম, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবা এই তিনটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংস্থা কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন প্রতিবছর শিশুদের অধিকার ও মানবতার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করা একজন শিশুকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১৭২ জন শিশুকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

১৭ বছর বয়সী মাহবুব কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা। শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি ২০২২ সালে ‘দি চ্যাঞ্জ বাংলাদেশ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি শিশুদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, বৃক্ষরোপণ, এবং গাছের চারা, খাতা, কলম ও পেন্সিল বিতরণের মতো নানা উদ্যোগ পরিচালনা করছেন।

এছাড়া হাওর এলাকার শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষায়ও তিনি নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।

শিশু অধিকার রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ মাহবুব অসুস্থ শিশুদের রক্তের সংকট মোকাবিলায় ‘ব্লাড খুজি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তিনি শিশু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাড়ে সহায়তা করে থাকেন।

শুধু তাই নয়, হাওর অঞ্চলের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের প্রেরণা সম্পর্কে মাহবুব বলেন, “শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narail Cultural Council Bangladesh Conference

নড়াইলে সংস্কৃতিক পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে সংস্কৃতিক পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নানা আয়োজনে শনিবার সকালে নড়াইল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে সংস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের মধ্যে ছিল শিশুদের চিত্র প্রদর্শনী,সাধারণ সভা, প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক প্রতিবেদন উপস্থাপন,আলোচনা সভা। দ্বিতীয় অধিবেশনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নড়াইলের সারেগামাপা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে । সম্মেলনে সংস্কৃতি পরিষদের ১০১টি সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন ।

নড়াইল শিল্পকলা অ্যাকাডেমির খোলা মঞ্চে শিশুদের আকা শতাধিক ছবি প্রদর্শণ করা হয় । বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের শিষ্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান (ড্রইং ও পেইন্ট)শিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ।

পরে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় সাধারণ সভা । সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অর্ধেন্দু ব্যাণার্জি সভায় সভাপতিত্ব করেন । সাধারণ সম্পাদক পান্নালাল দে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী বিমানেশ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন,চারুকলা এবং সঙ্গীত অনেকটা একই সূত্রে গাথা । এই অনুষ্ঠানে শিশুদের আকা ছবি গুরুত্ব বহন করে । তিনি বলেন,বরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতানের পরবর্তী প্রজন্ম বর্তমানে চারুকলা এবং সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । দেশের বিভিন্ন জেলাসহ সমাজের তৃণমুল প্রান্তে গড়ে উঠছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান । তিনি মনে করেন,দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সন্তানরা এদিক থেকে এগিয়ে আছে । ছোটরা ক্যানভাসে ছবি আকছে । নড়াইলের শিল্পাঞ্জলীর শিশুরা পাচ বছর ধরে ৬ হাজার বর্গফুট ছবি একেছে ফেলেছে । যা ওয়েবসাইটে যাবার পথে ।

তিনি বলেন, দেশের নাম করা প্রতিষ্ঠান সঙস্কৃতি পরিষদ বাংলাদেশ নড়াইলে এমন একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান করেছে এর গুরুত্ব বহন করে ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kuchiya fish to make a living by selling the Ruhunga trap

কুঁচিয়া মাছ ধরতে ‘রুহুঙ্গা’ ফাঁদ; বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

কুঁচিয়া মাছ ধরতে ‘রুহুঙ্গা’ ফাঁদ; বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির পানিতে খেতের আইলে,খালে ও বিলে কুঁচিয়া (কুইচ্চা) শিকারীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। শিকারীরা (ফাঁদ) পেতে রাখছেন এসব স্থানে। কুঁচিয়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। পরিবারের ভাত-কাপড়ের জোগান আসে প্রাকৃতিক উৎসের এই মাছ কুঁচিয়া ধরেই। মাছটির নাম ‘কুঁচিয়া’ হলেও বিভিন্ন স্থানে কুঁইচা, কুইচ্চা, কুঁচে, কুঁচো নামেও পরিচিতি আছে। কুঁচিয়া মাছ ধরার ফাঁদটির নাম ‘রুহুঙ্গা’। এটি বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি। এটি দেখতে অনেকটা মাছ ধরার চাঁইয়ের মতো হলেও চাঁই না। তবে কোনো কোনো এলাকায় এই ফাঁদকে ‘উকা’ নামেও ডাকা হয়।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এলাকা ১৫০টির ও অধিক রুহুঙ্গা নিয়ে এসেছেন শিকারীরা। আগের দিন বেলা তিনটা থেকে চারটার দিকে স্যাঁতসেঁতে জমি, খালের যেখানে কিছু পানি লেগে আছে; তেমন স্থানে কেঁচো টোপ দিয়ে রুহুঙ্গা পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। সারা রাত এগুলো ওই জায়গাতেই থাকে। জিরের টোপ খেতে এসে রুহুঙ্গার ফাঁদে আটকা পড়ে কুঁচিয়া। আর বের হতে পারে না। পরদিন সকাল ৬টার দিকে এসে রুহুঙ্গা তোলেন শিকারীরা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি রুহুঙ্গা পেতে রাখেন তারা। সব কটিতেই কুঁচিয়া ধরা পড়ে না। কোনো কোনো দিন অনেকগুলো কুঁচিয়া পাওয়া যায়, কোনো কোনো দিন কম। তবে খালি হাতে কোনো দিনই বাড়ি ফিরতে হয় না তাদের। কুঁচিয়াগুলোকে জীবিত রাখতে ড্রামের মধ্যে পানিতে রাখা হয়। সপ্তাহে দুই দিন পাইকার এসে বাড়ি থেকে তা নিয়ে যান। এক কেজি কুঁচিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি করেন।

কুঁচিয়া অনেকটা বাইম মাছের মতো। সাধারণত পুকুর, হাওর-বাঁওড়, খাল বা ধানখেতের তলদেশে, মাটির গর্তে এগুলো থাকে। স্থানীয় মানুষের খাদ্যতালিকায় মাছটি না থাকলেও বিদেশে এই মাছের বেশ চাহিদা আছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে এই মাছ সংগ্রহ করে তাদের মতো অনেকেই বিক্রি করেন।

কুঁচিয়া শিকারী নিকলেস সরকার বলেন, ‘কুঁচিয়া ধরায় কষ্টও আছে। জির (কেঁচো) তোলা, এগুলা (রুহুঙ্গা) বিভিন্ন জায়গায় নিয়া (নিয়ে) পাতানি (পাতানো)। কোনো মাসে ভালো চলা যায় আবার কোনো মাসে অয় (হয়) না। ওটার (কুঁচিয়া বিক্রি) আয় দিয়ে আমার সংসার চলে। কুঁচিয়া মাছ ধরতে কোনো বাধা নাই। মাঝেমধ্যে নিজেও খাই। খুব স্বাদ।’

স্থানীয় বাসিন্দারা অরুন মল্লিক জানান, অনেকটা বাইম মাছের মতো কুঁচিয়া। সাধারণত পুকুর, হাওর-বাঁওড়, খাল বা ধানখেতের তলদেশে, মাটির গর্তে এগুলো থাকে। স্থানীয় মানুষের খাদ্যতালিকায় মাছটি না থাকলেও বিদেশে এই মাছের বেশ চাহিদা আছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে এই মাছ সংগ্রহ করে সমীরণের মতো অনেকেই বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা ৪ মাস হয়েছে শিকারীরা বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। বিকাল হলে জীবিকা নির্বাহের জন্য এলাকার বিভিন্ন খালে বিলে শিকারীরা রুহুঙ্গা নিয়ে এসে কুঁচিয়া শিকার করেন। এসব বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়।

শ্রীমঙ্গল থেকে আসা পাইকার সমিরন শীল বলেন, আমি সম্পাতে ২বার শিকারীদের কাছ থেকে কুঁচিয়া সংগ্রহ করি। মূলত স্থানীয় বাজারেই তা বিক্রি করি। তাদের কাছ থেকে ২৫০-৩০০টাকা কেজি ধরে ক্রয় করে থাকি। ১০-২০ টাকা লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করে ফেলি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All must unite for the victory of Islamic power Shahjahan Chowdhury

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতির নামে বিভাজন সৃষ্টি করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা আজও চলছে। তিনি আরো বলেন, যারা রাজনীতির নামে বিভাজন তৈরি করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু, সর্বোপরি তারা ইসলামের শত্রু। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যই ইসলামের শক্তি—এই সত্যকে হৃদয়ে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রে কর্ণপাত না করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শনিবার দুপুরে পুটিবিলা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আইয়ুব সাবেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেন্টার দায়িত্বশীলদের সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, বটতলী শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জালাল আহমদ, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইদ্রিস, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আফসার, সাবেক ছাত্রনেতা বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল মোজাফফর আহমদ, মাওলানা রফিক আহমদ ও মো. শাহজাহান মুন্সী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি একটি নিয়মতান্ত্রিক ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠনের কর্মীরা শৃঙ্খলা, ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের কর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Safe Exit does not want to be in the country with normal exit Religious Advisor

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাবো। তিনি বলেন, সেইফ একজিট বলতে আমি কিছু জানিনা। আমার কোন সেকেন্ড হোম নেই। এমনকি ঢাকায় আমার থাকার কোন বাড়ীও নেই। বর্তমানে আমি সরকারী বাড়ীতে থাকি আর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশেরই মানুষ,এই দেশ আমার আপনার, এখানেই আমি থাকব। তিনি আরো বলেছেন আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই এবং সম্প্রীতিই একমাত্র মৌলিক বিষয়। এটা নিয়েই পার্বত্য এলাকাসহ পুরো দেশে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারব বলে আমি আশাবাদি।

তিনি শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

ধর্ম উপদেষ্টা ড, আ ফ ম খালিদ হোসাইন আরো বলেন, ‘কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল।’ দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্ধ আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্প্রীতির এসভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amtali Upazila Health Complex is pushing for manpower crisis

জনবল সংকটে ধুঁকছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৩১ চিকিৎসকের স্থলে কাজ করছেন ৪ জন
জনবল সংকটে ধুঁকছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চরম জনবল সংকটে পড়েছে। উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষের একমাত্র ভরসার এই সরকারি হাসপাতালটিতে ৫০ শয্যার জন্য ৩১ চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ধার-কর্জ করে পটুয়াখালী, বরিশাল বা ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, ‘গত বছর মেয়ে অসুস্থ হইলে কিস্তি কইরা বরিশাল নিয়া চিকিৎসা করাইতে হইছে। গরিব মানুষরে চিকিৎসা নেই, আমরা নাপা খাইয়া ঘরে বইসা থাকি।’

উপজেলা সদর ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছে কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল, আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে একটি করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হলদিয়া ইউনিয়নের সেনের হাটে একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে এসব কেন্দ্র কার্যত অচল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন শত শত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি চিকিৎসাসেবাও দিচ্ছেন।

চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি কর্মচারী সংকটও ভয়াবহ। হাসপাতালের ৮৮টি তৃতীয় শ্রেণির পদের মধ্যে ৫২টি, ৩৪টি চতুর্থ শ্রেণির পদের মধ্যে ১৬টি শূন্য। ফলে প্রশাসনিক কাজ, পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। কিছু নার্সের অসৌজন্যমূলক আচরণ রোগীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

জনবল না থাকার কারণে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি অচল। প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বা অন্য জেলায় রেফার হচ্ছেন। ফলে উপকূলীয় দরিদ্র মানুষের জন্য বাড়তি বোঝা তৈরি হচ্ছে।

মানবাধিকারকর্মী জোসেফ মাহতাব বলেন, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট কেবল প্রশাসনিক সমস্যা নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। তবে আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিলে মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি। এখানে চিকিৎসাসেবা শক্তিশালী করা মানে শুধু হাসপাতাল সচল রাখা নয়, এটি মানুষের মানবিক মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয় ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে জরুরি বিভাগসহ সব দিক সামলাতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক চেয়েছি।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ জানান, আমরা বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানিয়েছি এবং দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছি।

মন্তব্য

p
উপরে