× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Attorney General is invited to strengthen the National Human Rights Commission
google_news print-icon

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের

জাতীয়-মানবাধিকার-কমিশনকে-আরও-শক্তিশালী-করার-আহ্বান-অ্যাটর্নি-জেনারেলের

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এ আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। যা ভবিষ্যতে কার্যকারিতা ও প্রশাসনিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই কমিশনকে আরও কার্যকর বা স্বাধীন হতে হবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনের নানান দিক তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু অ্যাকশন নেওয়ার যে মেকানিজমগুলো আছে, তা গুরুত্ব দিয়ে করার জন্য বা সরাসরি মামলা করতে পারবেন; সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ বা বিধান আইনে রাখা হয়নি।

মানবাধিকার কমিশন আইন খসড়ার ধারা-৫ নিয়ে তিনি বলেন, এ ধারায় বলা হয়েছে কমিশনের মধ্যে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ নারী ও একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে। কিন্তু আধুনিক যুগে নারীকে অনগ্রসর বা অধীনস্ত হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এখানে অনেকের সঙ্গে আমার দ্বিমত হবে। তাই কমিশনের সদস্য নির্বাচনে সর্বসম্মত মতামত বা কনসেন্স থাকা উচিত। কারণ আইনে নির্ধারিত বিধান হিসেবে নারী বা নৃগোষ্ঠী সদস্যদের নির্দিষ্ট কোটায় বাধ্যতামূলক রাখলে উপগোষ্ঠী হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে ধারণা জন্ম নিতে পারে। তবে এটা আমরা নিজস্ব ধারণা।

আসাদুজ্জামান বলেন, ধারা-৬ অনুযায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ ও পদত্যাগের নিয়ম নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উচ্চপদস্থ পদে আবেদন জমা নেওয়ার পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মানবাধিকারে কাজ করা স্বাধীনচেতা ও নীতিবান ব্যক্তি কি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কিনা এটি পুনর্বিবেচনার বিষয়। এছাড়া উপধারা (৫) অনুযায়ী কমিশনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। এটি আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। ধারা ১৩ অনুযায়ী কমিশনের কার্যাবলীতে গবেষণা ও সুপারিশের কথা থাকলেও প্রোঅ্যাকটিভ মামলা দায়েরের ক্ষমতাও স্পষ্ট নয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করে মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করা দরকার।

ধারা-১৬ ও ধারা ১৯(১) নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ধারা ১৬ অনুযায়ী এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মধ্যস্থ সমঝোতার জন্য নিয়োগ করতে পারবে কমিশন। কিন্তু কমিশন নিজেই একটি স্বাধীন সংস্থা। যদি এখানে আলাদা মিডিয়েটর নিয়োগ বা তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নেওয়া হয়, তাহলে কমিশনের ক্ষমতা ও মিডিয়েটরের ক্ষমতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা প্রদানের নির্দেশনা কমিশন করবে, নাকি মিডিয়েটর—এ নিয়েও আইনে স্পষ্টতা নেই। এসব বিষয় আরেকটু বিবেচনা করা দরকার। ধারা ১৯(১) এর ‘গ’ অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করতে পারবে কমিশন। যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে যায়, তখন তাকে কি না ডেকেই এক্সনারেট (দায়মুক্ত) করে দেওয়া হবে; এটিও স্পষ্ট নয়। এসব ধারা-উপধারার আইনি অস্পষ্টতা দূর না করলে কমিশনের কার্যকারিতা সীমিত হয়ে যাবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The presiding officer will be the Chief Election Officer of the Center CEC Nasir Uddin

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার চট্টগ্রামে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

এবারের নির্বাচনে আমরা আইনের শাসন কাকে বলে, সেটা দেখাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভোট গ্রহণকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’। আইন অনুযায়ী সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্ব তার ওপরই থাকবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিইসি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করুন, আইন প্রয়োগ করুন। তবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন আরো বলেন, আজকের এই কর্মশালা থেকে আমাদের বিভিন্ন ক্যাপসগুলো উঠে আসবে। আমরা তো সব জানি না, তাই আমরা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। যারা এর আগে নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি। যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে, আমরা সেই ঘাটতি পূরণ করে নেব। আমাদের এখানে খুব দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে, অনেক চ্যালেঞ্জও আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক, আমাদেরকে সবাই মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা চাই, একটি এমপাওয়ার্ড (ক্ষমতাসম্পন্ন) প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার তৈরি করতে। আমরা একটি বিশ্বমানের ও সম্পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিজাইডিং অফিসার গড়ে তুলতে চাই।

সিইসি আরো বলেন, আপনাদের হাতে আমরা সমস্ত ক্ষমতা দিচ্ছি। আপনি যদি সেই ক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে সেটাকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করব। আপনি যদি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেন, সেটাও আমরা ভালোভাবে নেব না।

তিনি বলেন, ক্ষমতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার সঠিক ব্যবহারও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, যেই পর্যায়ের ক্ষমতা আপনাদের দেওয়া হয়েছে, আপনারা সেটি দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করবেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে— এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এজন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে কখনো ভোটগ্রহণের অভিজ্ঞতা পাননি, তারাও দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়ে ওঠেন। ‘ওয়ান সাইজ ফিটস অল’ পদ্ধতিতে নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনায় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরাপত্তা। প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়।

এজন্য তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশন একটি ‘সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল’ ও ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট’ গঠন করছে, যাতে দেশের যে কোনো স্থান থেকে দ্রুত যোগাযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

তিনি বলেন, একটি সফল নির্বাচন আয়োজনের মূল চাবিকাঠি হলো সমন্বয়। প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ই নির্বাচনের সাফল্য নিশ্চিত করবে।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই-ভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি সেল গঠন করেছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Public tribute to Syed Manjurul Islam at the Central Shaheed Minar

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। ছবি: বাসস

এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের ঢল নামে।

তিনি গতকাল বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মুষল বৃষ্টির মধ্যেও সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনুরাগীরা তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর মধ্যে ছিল— প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, কপিরাইট অফিস, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কালি ও কলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক পরিবার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশের জাসদ, বাসদ, ছায়ানট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমি।

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ও পরবর্তী সময়ের সহকর্মী সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে স্মরণ করে বলেন, 'মনজুর শুধু মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসাধারণ শিক্ষকও। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষক, আর সেই উত্তরাধিকার তিনি গৌরবের সঙ্গে বহন করেছেন। তাঁর সব ছাত্র-ছাত্রী তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।'

তিনি আরও বলেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সাহিত্যিক হিসেবেও উজ্জ্বল ছিলেন, বিশেষত কথাসাহিত্যে। এজন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি তিনি শিল্পসমালোচক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চারু ও নন্দনকলার গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক অনুবাদ এবং ইংরেজিতেও মৌলিক সাহিত্য রচনা করেছেন।

প্রফেসর চৌধুরী বলেন, 'তিনি ছিলেন বিনয়ী, প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ। আমি কখনো তাঁকে দুঃখিত, হতাশ বা অসুস্থ দেখিনি। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে শিক্ষক, লেখক, সমালোচক এবং সর্বোপরি একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁর কাজ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।'

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক আছেন, কিন্তু অল্প কয়েকজনই পুরো জাতির কাছে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রফেসর মনজুরুল ইসলাম তাঁদের একজন।'

তিনি বলেন, প্রফেসর ইসলাম শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছাত্রদেরই গড়ে তোলেননি, তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে অসংখ্য তরুণ মনকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর কথাসাহিত্য নাগরিক জীবনের সংকটকে এমনভাবে ধারণ করেছে, যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।

'তাঁর প্রয়াণে আমরা জাতি হিসেবে এক অমূল্য সম্পদ হারালাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, তিনি আজীবন আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন,’ বলেন বাসস-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Farmer Yakub Ali is dreaming of profit in cultivating poison free tomatoes

বিষমুক্ত টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক ইয়াকুব আলী

বিষমুক্ত টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক ইয়াকুব আলী

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কম পুঁজিতে লাভজনক টমেটো চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শীত মৌসুমের মধ্যকালীন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের টমেটো চাষ বাড়ছে। উপজেলার পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের নগর গ্রামে অনেকেই ৮০-৯০ দিনের টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলার মাধবপুর, মুন্সিবাজার, আদমপুর, আলীনগর ও ইসলামপুর গ্রামের বিভিন্ন জমিতে দেখা যায় বিষমুক্ত টমেটোর আবাদ। ক্ষেতজুড়ে সারিসারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। অসংখ্য টমেটো পরিপক্ক হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষেতে সুস্বাদু এসব টমেটো পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ইয়াকুব আলী এই সাফল্য এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী। শুধু আর্থিক লাভ নয়, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে কিভাবে কৃষি খাতে পরিবর্তন আনা যায়- ইয়াকুব আলীর বাগান এখন তারই জীবন্ত উদাহরন। কৃষক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো ও বেগুন চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১ লাখ টাকা। ফুল-ফলনে তার জমি এখন ভরপুর। আশা করছেন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে উৎপাদিত টাটকা বিষমুক্ত টমেটো বাজারজাত শুরু হবে। বর্তমানে টমেটোর বাজার মূল্য ১২০-১৩০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি। এতে করে খরচ বাদে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার মুনাফা হবে বলে জানিয়েছেন।
সবজির আবাদ খুবই লাভজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিতে তেমন লাভ নেই এমন যারা বলেন, তাদের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতি জেনে চাষাবাদ করলে অবশ্যই কৃষিতে মুনাফা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায় বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক। তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা। লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিদের উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Madhupur average of the greater commercial center of agricultural products

কৃষি পণ্যের বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধুপুর গড়ের জলছত্র

*সারা বছর চলে মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল বেচাকেনা *দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে এ বাজারে ফলমূল
কৃষি পণ্যের বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধুপুর গড়ের জলছত্র

ছয় মাস আনারস, বারো মাস কলা, কয়েক মাস পেঁপে। আর আদা হলুদ কচু থাকে কয়েক মাস। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় এভাবে সারা বছরই চলে বিভিন্ন ফলের হাট-বাজার। এসব ফলের হাটে পাইকার ও ফড়িয়াদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বৈশাখের শেষের দিক থেকে প্রায় কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন চলে আনারসের বাজার। এদিকে, শুক্রবার ও মঙ্গলবার থাকলেও কলা হাট বসে শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই। আদা কচুর মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন চলে বেচা-বিক্রি। এভাবে সারা বছরই কোন না কোনো কৃষি পণ্যের বাজার জমে উঠে। অনেক বছর ধরে মধুপুর শহরের আনারস ও কলার হাট বসছে জলছত্রে। ধীরে ধীরে জলছত্র বাজারটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়। বাজার কমিটি ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষি বিভাগসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র কৃষি পন্যের বাজারটি । এ বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ফড়িয়া আসে, কৃষি পন্য সরবরাহ হয় সারাদেশে। যে কারণে বাজারটি খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে এ বাজারে।
জানা গেছে, মধুপুরের লাল মাটি কৃষি ফসল চাষাবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। খরা বন্যার প্রভাব পড়ে না। উঁচু উর্বর মাটি। সহজেই যে কোন ফসল চাষ করা যায়। খরা বা বর্ষাকালেও চলে আবাদ ফসল। বর্ষায় সহজে পানি উঠে না। খরায়ও ফসল পুড়ে না। গড় অঞ্চলের মাঝে মাঝে রয়েছে বাইদ বিল নালা। বৃষ্টি হওয়ার পরপরই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। যে কারণে সারাবছরই ফসল ফলে।
এ অঞ্চলের প্রধান ফসল হচ্ছে আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু ও সবজি। গড়ের মাটি বেশির ভাগই বন আর উঁচু ভূমি। উঁচু এলাকায় আনারস কলা পেঁপে আদা কচু হলুদসহ অন্যান্য ফসল আর নিচুতে ধান ও শীতকালে সবজি চাষ হয়ে থাকে। যে কারণে সারা বছরই মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য্যময় মাটির কারণেই এমন আবাদ ফসল হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্যে মোতাবেক, ৩৭০.৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২৭০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত উপজেলায় ১৩১ টি মৌজায় কৃষি ব্লক সংখ্যা ৩৪ টি। ভূমিহীন ক্ষুদ্র মাঝারি প্রান্তিক ছোট বড় মিলে ৬০,৮৪৩টি কৃষি পরিবার রয়েছে। উঁচু নিচু মিলে কোট কৃষি জমির পরিমান ২৬,৯৫০ হেক্টর। নিট, এক ফসলি দুই ফসলি তিন ফসলি চার ফসলের অধিক ব্যবহৃত জমির পরিমান ৫১,৬১৫হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৯৫%। বোরো আমন ১০,৪১৫ হেক্টর, আনারস ৬,৬২৭ হেক্টর, সরিষা বোরো আমন ২১০০ হেক্টর, কলা ১৯৪৫ হেক্টর, ভুট্রা- সবজি ১৭৯৬ হেক্টর আদা ৫৯২ হেক্টর, হলুদ ৭৬২ হেক্টর, আলু- সবজি ১২৬ হেক্টর ছাড়াও কাসাবা মুখি কচু , পেয়ারা, আম,কফি, ড্রাগণ ও মিশ্র ফসলসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে।
পিরোজপুর গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৪৫) জানালেন, মধুপুরে সারা বছরই কোন না কোন ফসল চাষ হয়। এসব ফসল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় জলছত্র বাজারে বিক্রি করা যায়।
জলছত্র ট্রাক ও কর্ভাডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, জলছত্র এ বাজারটি কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত। বারো মাসই ফসল থাকে। সারা দেশ থেকে ব্যাপারী আসে। বেচা কেনা হয়। সারা দেশেই সরবরাহ হয়ে থাকে।
কলার পাইকার হাবিজুল ইসলাম জানান, কলার বাজার শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিন। বাগান থেকে কৃষকরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে নগদ দামে বিক্রি করে চলে যায়। পাইকারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রকির আল রানা জানান, মধুপুরের মাটি আবহাওয়া ভূ-প্রকৃতি কৃষি ফসলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আনারস কলা পেঁপে ধান পাট চা কফি কাজুবাদাম আদা হুলদ কচু ড্রাগনসহ প্রায় সব ধরণের ফসল সহজেই চাষ করা যায়। মধুপুরের মাটির গুণাগুণ বন্যা মুক্ত উঁচু থাকায় সারাবছরই নানা ধরনের সবজি ফলের চাষ করে কৃষকরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এ ফসলের কারণে দেশখ্যাত জলছত্র বাজারে বছরে কোটি কোটি টাকার কৃষি পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zero Tolerance of Bangladesh Airlines Limited to prevent misconduct in the recruitment test

নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জিরো টলারেন্স।

নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জিরো টলারেন্স।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং এ বিষয়ে কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষা ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. তারিখে বিকেল ৩.০০টা থেকে ৪.০০টা পর্যন্ত ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা—এই দুই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত পরীক্ষায় মোট ১১ (এগারো) জন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে বিএএফ শাহীন কলেজে ৭ (সাত) জন এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ (চার) জন পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার (রোল: ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল: ২৮০০৬৬৪৭) ও ইমামুল হক (রোল: ২৮০০৭৭০৩) বহিষ্কৃত হয়। প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় মো: ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল: ২৮০০৭৪৮৯) ও মো: লাবিব হাসান (রোল: ২৮০০৭৭৬১)-কে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মো: শাহিন মিয়া (রোল: ২৮০০৫০৫৫), আবদুস সোবাহান (রোল: ২৮০১৪০২৩) ও মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-কে বহিষ্কার করা হয়। তদুপরি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মো: মোকসেদুল (রোল: ২৮০১৩৫০১) ও মো: নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪) এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করে দুইজন পরীক্ষা দেওয়ায় আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল: ২৮০০৮৮৩২)-কে বহিষ্কার করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এ ঘটনায় মোট ১১ (এগারো) জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৫ (পাঁচ) জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লা (রোল: ২৮০০০০৯১)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মোছা: শারমিন নাহার এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার দায়ে ধরা পরে মো: হানিফ আলী (রোল: ২৮০০৪৩৭৩)। অন্যদিকে, সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আব্দুস সোবহান (রোল: ২৮০১৪০২৩)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মো: রেজাউল ইসলাম, মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় সাদ্দাম হোসেন এবং মো: নজরুল ইসলাম (২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মাহামুদুল হাসান। প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদুপায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Advisors do not need Safe Exit Law Advisor

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা আজ শনিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্যে একথা বলেন। ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমানে 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু উপদেষ্টারা ভালোভাবেই জানেন যে তাদের কোনপ্রকার 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই।

আজ দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আপনারা জানেন এখন 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা খুব নিশ্চিতভাবে জানি আমাদের কারো কোনো 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই। বরং জাতি হিসেবে দেশের মানুষের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সৃষ্ট বিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, 'গত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, দেখলাম ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা লুট হচ্ছে- এ ধরনের একটি ভয়াবহ ও আত্মবিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে আমাদের এ জাতির সেফ এক্সিট এর প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে বলা হয়েছিলো যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করবেন যেন এতে রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। কিন্তু সবাই জানেন রাষ্ট্রপতি কখনই স্বাধীনভাবে বিচারপতিকে নিয়োগ করতে পারেননি। এদেশে সবসময় বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এমন প্রধান বিচারপতিও পেয়েছি যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যারা নিজের চোখে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখেও তা উপেক্ষা করেছেন। যে সকল বিচারক মানবাধিকার লংঘনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে তাদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে এমন কেউ কেউ এখনো বিচার বিভাগে রয়ে গেছে। আমরা ইনস্টিটিউশনাল রিফর্ম এর পথে কিছুটা অগ্রসর হয়েছি, পুরোটা করতে পারি নাই।

পরের যারা নির্বাচিত সরকার হবেন, তাদের কাছে এই দায়িত্বটা থাকলো।'

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা হয়তো ভালো ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা বদলে যাবে সেরকম নয়। দেখা গেছে অনেক ভালো ভালো আইন করা হলেও সে আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানই দাঁড়ায় না। আইন করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন ব্যর্থতার ইতিহাস নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন।'

ভালো প্রতিষ্ঠান গড়া একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, আশা করব এই আইনটি দ্বারা সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

ভয়াবহ এ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উচ্চ আদালত ও সংসদীয় কমিটি। এবং সেই সঙ্গে আরও কিছু জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানকে আমাদের শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মানবাধিকার কমিশন। এটি করতে ব্যর্থ হলে দেশের যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে পারেন।'

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটি সরকার বা কোনো একক ব্যক্তির নয় বরং আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সংশোধিত আইনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনতাকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর পাশাপশি আরও বক্তৃতা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এটর্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্রেড রেংগলি, ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন এন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারসহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Advisor to Rome to join the World Food Forum

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ফাইল ছবি

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।

পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা একত্রিত হয়ে খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এবারের ইভেন্ট ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রোমে এফএওর সদর দপ্তরে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে