বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে নওগাঁয় জেলা বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে নেতৃত্বদেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসলাম ধলু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, সাবেক সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর-ই আলম মিঠু ও খায়রুল আলম গোল্ডেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। লিফলেটে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।
নেতাকর্মীরা পথচারী, দোকানদার ও এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আহ্বান জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতেই এই প্রচার কার্যক্রম। আমরা এই ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখাতে চাই। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি সুশাসনের সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের ঢল নামে।
তিনি গতকাল বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মুষল বৃষ্টির মধ্যেও সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনুরাগীরা তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর মধ্যে ছিল— প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, কপিরাইট অফিস, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কালি ও কলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক পরিবার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশের জাসদ, বাসদ, ছায়ানট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমি।
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ও পরবর্তী সময়ের সহকর্মী সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে স্মরণ করে বলেন, 'মনজুর শুধু মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসাধারণ শিক্ষকও। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষক, আর সেই উত্তরাধিকার তিনি গৌরবের সঙ্গে বহন করেছেন। তাঁর সব ছাত্র-ছাত্রী তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।'
তিনি আরও বলেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সাহিত্যিক হিসেবেও উজ্জ্বল ছিলেন, বিশেষত কথাসাহিত্যে। এজন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।
কথাসাহিত্যের পাশাপাশি তিনি শিল্পসমালোচক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চারু ও নন্দনকলার গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক অনুবাদ এবং ইংরেজিতেও মৌলিক সাহিত্য রচনা করেছেন।
প্রফেসর চৌধুরী বলেন, 'তিনি ছিলেন বিনয়ী, প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ। আমি কখনো তাঁকে দুঃখিত, হতাশ বা অসুস্থ দেখিনি। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে শিক্ষক, লেখক, সমালোচক এবং সর্বোপরি একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁর কাজ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।'
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক আছেন, কিন্তু অল্প কয়েকজনই পুরো জাতির কাছে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রফেসর মনজুরুল ইসলাম তাঁদের একজন।'
তিনি বলেন, প্রফেসর ইসলাম শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছাত্রদেরই গড়ে তোলেননি, তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে অসংখ্য তরুণ মনকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর কথাসাহিত্য নাগরিক জীবনের সংকটকে এমনভাবে ধারণ করেছে, যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।
'তাঁর প্রয়াণে আমরা জাতি হিসেবে এক অমূল্য সম্পদ হারালাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, তিনি আজীবন আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন,’ বলেন বাসস-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূত্র: বাসস
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন বিষমুক্ত টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কম পুঁজিতে লাভজনক টমেটো চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শীত মৌসুমের মধ্যকালীন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের টমেটো চাষ বাড়ছে। উপজেলার পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের নগর গ্রামে অনেকেই ৮০-৯০ দিনের টমেটো চাষে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলার মাধবপুর, মুন্সিবাজার, আদমপুর, আলীনগর ও ইসলামপুর গ্রামের বিভিন্ন জমিতে দেখা যায় বিষমুক্ত টমেটোর আবাদ। ক্ষেতজুড়ে সারিসারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। অসংখ্য টমেটো পরিপক্ক হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ক্ষেতে সুস্বাদু এসব টমেটো পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ইয়াকুব আলী এই সাফল্য এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী। শুধু আর্থিক লাভ নয়, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে কিভাবে কৃষি খাতে পরিবর্তন আনা যায়- ইয়াকুব আলীর বাগান এখন তারই জীবন্ত উদাহরন। কৃষক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো ও বেগুন চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১ লাখ টাকা। ফুল-ফলনে তার জমি এখন ভরপুর। আশা করছেন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে উৎপাদিত টাটকা বিষমুক্ত টমেটো বাজারজাত শুরু হবে। বর্তমানে টমেটোর বাজার মূল্য ১২০-১৩০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি। এতে করে খরচ বাদে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার মুনাফা হবে বলে জানিয়েছেন।
সবজির আবাদ খুবই লাভজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিতে তেমন লাভ নেই এমন যারা বলেন, তাদের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতি জেনে চাষাবাদ করলে অবশ্যই কৃষিতে মুনাফা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায় বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক। তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা। লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাষিদের উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাতের টমেটো চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ছয় মাস আনারস, বারো মাস কলা, কয়েক মাস পেঁপে। আর আদা হলুদ কচু থাকে কয়েক মাস। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় এভাবে সারা বছরই চলে বিভিন্ন ফলের হাট-বাজার। এসব ফলের হাটে পাইকার ও ফড়িয়াদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বৈশাখের শেষের দিক থেকে প্রায় কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন চলে আনারসের বাজার। এদিকে, শুক্রবার ও মঙ্গলবার থাকলেও কলা হাট বসে শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই। আদা কচুর মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন চলে বেচা-বিক্রি। এভাবে সারা বছরই কোন না কোনো কৃষি পণ্যের বাজার জমে উঠে। অনেক বছর ধরে মধুপুর শহরের আনারস ও কলার হাট বসছে জলছত্রে। ধীরে ধীরে জলছত্র বাজারটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়। বাজার কমিটি ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষি বিভাগসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র কৃষি পন্যের বাজারটি । এ বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ফড়িয়া আসে, কৃষি পন্য সরবরাহ হয় সারাদেশে। যে কারণে বাজারটি খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে এ বাজারে।
জানা গেছে, মধুপুরের লাল মাটি কৃষি ফসল চাষাবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। খরা বন্যার প্রভাব পড়ে না। উঁচু উর্বর মাটি। সহজেই যে কোন ফসল চাষ করা যায়। খরা বা বর্ষাকালেও চলে আবাদ ফসল। বর্ষায় সহজে পানি উঠে না। খরায়ও ফসল পুড়ে না। গড় অঞ্চলের মাঝে মাঝে রয়েছে বাইদ বিল নালা। বৃষ্টি হওয়ার পরপরই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। যে কারণে সারাবছরই ফসল ফলে।
এ অঞ্চলের প্রধান ফসল হচ্ছে আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু ও সবজি। গড়ের মাটি বেশির ভাগই বন আর উঁচু ভূমি। উঁচু এলাকায় আনারস কলা পেঁপে আদা কচু হলুদসহ অন্যান্য ফসল আর নিচুতে ধান ও শীতকালে সবজি চাষ হয়ে থাকে। যে কারণে সারা বছরই মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য্যময় মাটির কারণেই এমন আবাদ ফসল হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্যে মোতাবেক, ৩৭০.৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২৭০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত উপজেলায় ১৩১ টি মৌজায় কৃষি ব্লক সংখ্যা ৩৪ টি। ভূমিহীন ক্ষুদ্র মাঝারি প্রান্তিক ছোট বড় মিলে ৬০,৮৪৩টি কৃষি পরিবার রয়েছে। উঁচু নিচু মিলে কোট কৃষি জমির পরিমান ২৬,৯৫০ হেক্টর। নিট, এক ফসলি দুই ফসলি তিন ফসলি চার ফসলের অধিক ব্যবহৃত জমির পরিমান ৫১,৬১৫হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৯৫%। বোরো আমন ১০,৪১৫ হেক্টর, আনারস ৬,৬২৭ হেক্টর, সরিষা বোরো আমন ২১০০ হেক্টর, কলা ১৯৪৫ হেক্টর, ভুট্রা- সবজি ১৭৯৬ হেক্টর আদা ৫৯২ হেক্টর, হলুদ ৭৬২ হেক্টর, আলু- সবজি ১২৬ হেক্টর ছাড়াও কাসাবা মুখি কচু , পেয়ারা, আম,কফি, ড্রাগণ ও মিশ্র ফসলসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে।
পিরোজপুর গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৪৫) জানালেন, মধুপুরে সারা বছরই কোন না কোন ফসল চাষ হয়। এসব ফসল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় জলছত্র বাজারে বিক্রি করা যায়।
জলছত্র ট্রাক ও কর্ভাডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, জলছত্র এ বাজারটি কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত। বারো মাসই ফসল থাকে। সারা দেশ থেকে ব্যাপারী আসে। বেচা কেনা হয়। সারা দেশেই সরবরাহ হয়ে থাকে।
কলার পাইকার হাবিজুল ইসলাম জানান, কলার বাজার শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিন। বাগান থেকে কৃষকরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে নগদ দামে বিক্রি করে চলে যায়। পাইকারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রকির আল রানা জানান, মধুপুরের মাটি আবহাওয়া ভূ-প্রকৃতি কৃষি ফসলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আনারস কলা পেঁপে ধান পাট চা কফি কাজুবাদাম আদা হুলদ কচু ড্রাগনসহ প্রায় সব ধরণের ফসল সহজেই চাষ করা যায়। মধুপুরের মাটির গুণাগুণ বন্যা মুক্ত উঁচু থাকায় সারাবছরই নানা ধরনের সবজি ফলের চাষ করে কৃষকরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এ ফসলের কারণে দেশখ্যাত জলছত্র বাজারে বছরে কোটি কোটি টাকার কৃষি পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং এ বিষয়ে কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষা ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. তারিখে বিকেল ৩.০০টা থেকে ৪.০০টা পর্যন্ত ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা—এই দুই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পরীক্ষায় মোট ১১ (এগারো) জন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে বিএএফ শাহীন কলেজে ৭ (সাত) জন এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ (চার) জন পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার (রোল: ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল: ২৮০০৬৬৪৭) ও ইমামুল হক (রোল: ২৮০০৭৭০৩) বহিষ্কৃত হয়। প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় মো: ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল: ২৮০০৭৪৮৯) ও মো: লাবিব হাসান (রোল: ২৮০০৭৭৬১)-কে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মো: শাহিন মিয়া (রোল: ২৮০০৫০৫৫), আবদুস সোবাহান (রোল: ২৮০১৪০২৩) ও মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-কে বহিষ্কার করা হয়। তদুপরি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মো: মোকসেদুল (রোল: ২৮০১৩৫০১) ও মো: নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪) এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করে দুইজন পরীক্ষা দেওয়ায় আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল: ২৮০০৮৮৩২)-কে বহিষ্কার করা হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এ ঘটনায় মোট ১১ (এগারো) জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৫ (পাঁচ) জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লা (রোল: ২৮০০০০৯১)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মোছা: শারমিন নাহার এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার দায়ে ধরা পরে মো: হানিফ আলী (রোল: ২৮০০৪৩৭৩)। অন্যদিকে, সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আব্দুস সোবহান (রোল: ২৮০১৪০২৩)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মো: রেজাউল ইসলাম, মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় সাদ্দাম হোসেন এবং মো: নজরুল ইসলাম (২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মাহামুদুল হাসান। প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদুপায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমানে 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু উপদেষ্টারা ভালোভাবেই জানেন যে তাদের কোনপ্রকার 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই।
আজ দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আপনারা জানেন এখন 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা খুব নিশ্চিতভাবে জানি আমাদের কারো কোনো 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই। বরং জাতি হিসেবে দেশের মানুষের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সৃষ্ট বিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে।'
তিনি বলেন, 'গত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, দেখলাম ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা লুট হচ্ছে- এ ধরনের একটি ভয়াবহ ও আত্মবিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে আমাদের এ জাতির সেফ এক্সিট এর প্রয়োজন আছে।'
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে বলা হয়েছিলো যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করবেন যেন এতে রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। কিন্তু সবাই জানেন রাষ্ট্রপতি কখনই স্বাধীনভাবে বিচারপতিকে নিয়োগ করতে পারেননি। এদেশে সবসময় বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী।
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এমন প্রধান বিচারপতিও পেয়েছি যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যারা নিজের চোখে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখেও তা উপেক্ষা করেছেন। যে সকল বিচারক মানবাধিকার লংঘনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে তাদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে এমন কেউ কেউ এখনো বিচার বিভাগে রয়ে গেছে। আমরা ইনস্টিটিউশনাল রিফর্ম এর পথে কিছুটা অগ্রসর হয়েছি, পুরোটা করতে পারি নাই।
পরের যারা নির্বাচিত সরকার হবেন, তাদের কাছে এই দায়িত্বটা থাকলো।'
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা হয়তো ভালো ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা বদলে যাবে সেরকম নয়। দেখা গেছে অনেক ভালো ভালো আইন করা হলেও সে আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানই দাঁড়ায় না। আইন করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন ব্যর্থতার ইতিহাস নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন।'
ভালো প্রতিষ্ঠান গড়া একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, আশা করব এই আইনটি দ্বারা সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
ভয়াবহ এ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উচ্চ আদালত ও সংসদীয় কমিটি। এবং সেই সঙ্গে আরও কিছু জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানকে আমাদের শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মানবাধিকার কমিশন। এটি করতে ব্যর্থ হলে দেশের যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে পারেন।'
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটি সরকার বা কোনো একক ব্যক্তির নয় বরং আমাদের সকলের দায়িত্ব।
সংশোধিত আইনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনতাকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর পাশাপশি আরও বক্তৃতা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এটর্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্রেড রেংগলি, ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন এন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সূত্র: বাসস
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা একত্রিত হয়ে খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এবারের ইভেন্ট ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রোমে এফএওর সদর দপ্তরে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস
পটুয়াখালীতে র্যাবের মিনিবাস ও ধানসিড়ি ক্লাসিক নামের একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। নিহতরা হলো শিশু পিয়াম-(০২),র্যাবের ওই মিনিবাসের চালক এএসআই আবদুল আলীম (৩৩) ও আফরোজা (৩৫) নামের এক নারী। শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ফতুল্লা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধানসিড়ি পরিবহন নামের বাসটি কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালীর দিকে আসতেছিলো। আর র্যাবের মিনিবাসটি বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ফুতল্লা নামক স্থানে পৌছলে ওই বাস এবং মিনিবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু পিয়ামকে মৃত ঘোষনা করেন। আর র্যাবের ওই গাড়ি চালক আবদুল আলীম ও আফরোজাকে লেবুখালী ক্যান্টমেন্টের সিএমএইচ এ নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষনা করা হয়।
পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, লাশ উদ্ধার থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের প্রক্রিয়া চলছে। সড়কের চলাচল স্বাভাবিক করতে গাড়ি দুটো সড়িয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য