× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Naogaon BNP 4 point leaflet distribution
google_news print-icon

নওগাঁয় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

নওগাঁয়-বিএনপির-৩১-দফার-লিফলেট-বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে নওগাঁয় জেলা বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে নেতৃত্বদেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসলাম ধলু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, সাবেক সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর-ই আলম মিঠু ও খায়রুল আলম গোল্ডেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। লিফলেটে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।

নেতাকর্মীরা পথচারী, দোকানদার ও এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আহ্বান জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতেই এই প্রচার কার্যক্রম। আমরা এই ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখাতে চাই। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি সুশাসনের সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
All must unite for the victory of Islamic power Shahjahan Chowdhury

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতির নামে বিভাজন সৃষ্টি করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা আজও চলছে। তিনি আরো বলেন, যারা রাজনীতির নামে বিভাজন তৈরি করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির শত্রু, সর্বোপরি তারা ইসলামের শত্রু। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যই ইসলামের শক্তি—এই সত্যকে হৃদয়ে ধারণ করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রে কর্ণপাত না করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শনিবার দুপুরে পুটিবিলা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আইয়ুব সাবেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেন্টার দায়িত্বশীলদের সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, বটতলী শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জালাল আহমদ, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইদ্রিস, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আফসার, সাবেক ছাত্রনেতা বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল মোজাফফর আহমদ, মাওলানা রফিক আহমদ ও মো. শাহজাহান মুন্সী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি একটি নিয়মতান্ত্রিক ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠনের কর্মীরা শৃঙ্খলা, ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের কর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Safe Exit does not want to be in the country with normal exit Religious Advisor

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাবো। তিনি বলেন, সেইফ একজিট বলতে আমি কিছু জানিনা। আমার কোন সেকেন্ড হোম নেই। এমনকি ঢাকায় আমার থাকার কোন বাড়ীও নেই। বর্তমানে আমি সরকারী বাড়ীতে থাকি আর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশেরই মানুষ,এই দেশ আমার আপনার, এখানেই আমি থাকব। তিনি আরো বলেছেন আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই এবং সম্প্রীতিই একমাত্র মৌলিক বিষয়। এটা নিয়েই পার্বত্য এলাকাসহ পুরো দেশে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারব বলে আমি আশাবাদি।

তিনি শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

ধর্ম উপদেষ্টা ড, আ ফ ম খালিদ হোসাইন আরো বলেন, ‘কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল।’ দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্ধ আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্প্রীতির এসভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Amtali Upazila Health Complex is pushing for manpower crisis

জনবল সংকটে ধুঁকছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৩১ চিকিৎসকের স্থলে কাজ করছেন ৪ জন
জনবল সংকটে ধুঁকছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চরম জনবল সংকটে পড়েছে। উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষের একমাত্র ভরসার এই সরকারি হাসপাতালটিতে ৫০ শয্যার জন্য ৩১ চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ধার-কর্জ করে পটুয়াখালী, বরিশাল বা ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, ‘গত বছর মেয়ে অসুস্থ হইলে কিস্তি কইরা বরিশাল নিয়া চিকিৎসা করাইতে হইছে। গরিব মানুষরে চিকিৎসা নেই, আমরা নাপা খাইয়া ঘরে বইসা থাকি।’

উপজেলা সদর ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছে কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারে একটি ১০ শয্যার হাসপাতাল, আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে একটি করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হলদিয়া ইউনিয়নের সেনের হাটে একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে এসব কেন্দ্র কার্যত অচল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন শত শত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি চিকিৎসাসেবাও দিচ্ছেন।

চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি কর্মচারী সংকটও ভয়াবহ। হাসপাতালের ৮৮টি তৃতীয় শ্রেণির পদের মধ্যে ৫২টি, ৩৪টি চতুর্থ শ্রেণির পদের মধ্যে ১৬টি শূন্য। ফলে প্রশাসনিক কাজ, পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। কিছু নার্সের অসৌজন্যমূলক আচরণ রোগীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

জনবল না থাকার কারণে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি অচল। প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বা অন্য জেলায় রেফার হচ্ছেন। ফলে উপকূলীয় দরিদ্র মানুষের জন্য বাড়তি বোঝা তৈরি হচ্ছে।

মানবাধিকারকর্মী জোসেফ মাহতাব বলেন, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট কেবল প্রশাসনিক সমস্যা নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। তবে আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিলে মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি। এখানে চিকিৎসাসেবা শক্তিশালী করা মানে শুধু হাসপাতাল সচল রাখা নয়, এটি মানুষের মানবিক মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয় ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে জরুরি বিভাগসহ সব দিক সামলাতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক চেয়েছি।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ জানান, আমরা বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানিয়েছি এবং দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gaibandha is exporting edible oil made from rice paddy

গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে তৈরি ভোজ্যতেল রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

সাশ্রয়ী মূল্য আর কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত
গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে তৈরি ভোজ্যতেল রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে উৎপাদন হচ্ছে ভোজ্যতেল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এ তেল স্থানীয় বাজার ছাড়াও সরকারি সহায়তায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করছে উৎপাদনকারী মিল কর্তৃপক্ষ। এই তেল রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। এছাড়াও কুড়া থেকে তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত সূচনা হয়েছে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে।

উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধানের কুড়ার তেল অন্যান্য সাধারণ ভোজ্যতেলের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এতে রয়েছে ওরিজানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমায়। এই তেল প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে মনো ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জে মহিমাগঞ্জ এলাকার পুনতাইর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ‘প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিল’। অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে সেখানে চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। বিভাগ ভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছে যান্ত্রিক মেশিনের সাথে সমান তালে। হাজার হাজার বস্তায় স্তুপ করা ধানের কুড়া। শ্রকিকরা বস্তাভর্তি ধানের কুড়া ঢেলে দিচ্ছেন মাটির নিচে স্থাপন করা কনভেয়ার নামক মেশিনে। সেখান থেকে কয়েকটি মেশিনের ধাপ পেরিয়ে সর্বশেষ রিফাইনারিতে যাচ্ছে ভোজ্যতেল।

সেকশানভিত্তিক তেল উৎপাদন সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা দায়িত্বপালন করছেন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থেকে। উৎপাদনের একেবারে শেষ পর্যায়ে কোনো রকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই বোতলজাত হচ্ছে এই তেল। যে সেকশানে কাজ করছে মিলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মচারী।

তেল ছাড়িয়ে অবশিষ্ট কুড়ার অংশ যাচ্ছে আলাদা এক সেকশানে। যেখানে প্রস্তুত হচ্ছে মৎস ও প্রাণি খাদ্য। সমান তালে লোড করা হচ্ছে ট্রাক। ওইসব ট্রাকে করে এই প্রাণি খাদ্যগুলো যায় দেশের নাম করা বিভিন্ন মৎস ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া থেকে কুড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী একটি ক্যাপিটাল মেশিন নিয়ে এসে স্থাপন করেন। যেটির মাধ্যমে ২০১৬ সালে তেল উৎপাদনে শুরু করেন। একই বছর থেকে উৎপাদন করা অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগ বিদেশে রপ্তানি শুরু করেন। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশে তেল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের মেশিনারী সেকশানের ইনচার্জ কমলকান্তিপাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখানে তেল উৎপাদনে কোনো হাতের স্পর্শ নেই। সকল প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ এবং দামেও সাশ্রয়ী।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের প্যাকেজিং সেকশানের সুপারভাইজার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, সারা দেশের অটো রাইচ মিল এবং সেমি অটো রাইচ মিল থেকে কুড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কুড়া থেকে উৎপাদিত হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল। আর সেখান থেকে রিফাইন করা হচ্ছে ৪০ হাজার লিটার তেল। প্রতিলিটার তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এসবের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিলে স্থানীয় ৩০০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এই তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও দামে সাশ্রয়ী হলেও প্রচারণার অভাবে এখনো আশানুরুপ সাড়া পড়েনি ভোক্তা পর্যায়ে। ২০১৬ সাল থেকে এই তেল বিদেশ রপ্তানি করা হতো বিশেষ করে ইন্ডিয়ায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রপ্তানি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। তবে তাদের সরকারি সহায়তায় টিসিবিতে তেল সরবরাহ করছি। যা উৎপানের তুলনায় অনেক কম।

তিনি বলেন, কৃষি-শিল্পভিত্তিক এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতি ছাড়াও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতায়। এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী বছর হয়তো সেকশান-২ চালু করলে সেখানো আরো ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে আমরা বিক্রিতে তেমন সাড়া পাচ্ছি না।

এসময় দেশের ২০টি রাইচ ব্রান অয়েল মিলকে টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ ও প্রচারণায় সরকারি সহায়তা চান তিনি। অন্যথায় ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই শিল্প মুখ থুবরে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান এই স্বত্বাধিকারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jonaid returned to exile by selling crabs

কাঁকড়া বিক্রি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেল প্রবাস ফেরত জোনায়েদ

কাঁকড়া বিক্রি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেল প্রবাস ফেরত জোনায়েদ

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের ফল ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম মিয়ার পুত্র জোনায়েদ অর্থের অভাবে তেমন লেখা পড়ায় আগাতে পারেনি। জোনায়েদ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জুনিয়র পরিক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণিতে উঠলেও অভাব অনটনে কারণে আর লেখাপড়া চালাতে পারেনি। পরে আর্থিক স্বচ্ছলতা করারে আশায় প্রবাসে পাড়ি জমায়। বিদেশের মাটিতে গিয়েও ভাগ্যের পরিহাসে ভালো চাকরি না পাওয়ার পাশাপাশি আকামা জটিলতার কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসে তিনি। জোনায়েদের পরিবারে রয়েছে ৬ বোন এবং দুভাই। জোনায়েদের বাবা সেলিম মিয়াকে সংসারে সবার খাবার জোগাতে হিমসিম খেতে হয়। বাবার অভাবের সংসারে অর্থ যোগান দিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাস ফেরত জোনায়েদ বেছে নেয় কাঁকড়া ব্যবসা।

জোনায়েদ এবিষয়ে তার জীবন কাহিনী বর্ননা দিতে গিয়ে চোখের জল ছেড়ে দেন। জোনায়েদ ৬০ কেজি দেশীয় কাঁকড়া নিয়ে তার কাছের বন্ধু কাঁকড়া ব্যবসায়ী উজ্জ্বলকে সাথে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার উদ্দেশ্য আসে। দুই বন্ধু কুমিল্লা নগরীর মধ্যে দুটি পয়েন্ট বেছে নিয়ে উজ্জল ৬০ কেজি দেশীয় কাঁকড়া নিয়ে ক্যান্টনম্যানের দিকে চলে যায়। আর জোনায়েদ ৬০ কেজি কাঁকড়া নিয়ে চলে আসে কান্দিড়পাড়। জোনায়েদ কান্দিড়পাড় টাউন হলের গেইটের পূর্ব পাশে বসে কাঁকড়ার ব্যাগ খুলতেই ক্রেতাদের ভীড় জমে যায় বলে জোনায়েদ জানান।

কাঁকড়া বিক্রি ও সংরক্ষণ বিষয়ে জোনায়েদ বলেন, নবীনগর উপজেলার কৃষ্টপুর এলাকায় তার বাড়ি আর এসব কাঁকড়া পাগলা নদীর প্রাকৃতিক দেশীয় প্রজাতির।

তিনি আরো বলেন, নদীতে জেলেরা মাছ ধরার সময় মাছের সাথে জালে আটকা পড়ে এসব কাঁকড়া। তখন জেলেরা এসব কাঁকড়া সংরক্ষণ করে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করে।

জোনায়েদ বলেন, আমরা তিন বন্ধু প্রথমে তাদের সাথে কাঁকড়া বিক্রি বিষয় নিয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেই নবীনগর থেকে কাঁকড়া ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে খুচরা বিক্রি করব। তাই সেদিন তৃতীয় দিন বিক্রি করতে এসেছেন কুমিল্লা নগরীতে।

কাঁকড়া বিক্রি প্রসঙ্গে জোনায়েদ বলেন, এখানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে কতক্ষণেই অর্ধেক বিক্রি শেষ।

এ বিষয়ে ইসলামী চিন্তা বিদদের মতে মুসলিমদের জন্য কাঁকড়া খাওয়া হালাল নয়, খাওয়া যায় তা মাকরু হিসাবে গণ্য হবে।

কাঁকড়ার বিষয়ে প্রাণীবিদরা যা বলছেন, কাঁকড়া যে কোনো দিকে হাঁটতে পারে কিন্তু হাঁটতে এবং পাশ দিয়ে দৌঁড়াতে পছন্দ করে। কাঁকড়া হল ডেকাপড, যার মানে তাদের দশ পা আছে। স্ত্রী কাঁকড়া একবারে ১০০০ থেকে ২০০০ডিম পাড়তে পারে। একটি ছোট কাঁকড়ার গড় আয়ু ৩-৪ বছর, কিন্তু বড় প্রজাতি যেমন জাপানি মাকড়সা কাঁকড়া ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ismail of Naogaon in a new life after 20 years of imprisonment

২৩ বছর কারাভোগের পর নতুন জীবনে নওগাঁর ইসমাইল

২৩ বছর কারাভোগের পর নতুন জীবনে নওগাঁর ইসমাইল নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সাথে ইসমাইল।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন। ইসমাইলের বাবা ছিলেন একজন গ্রাম পুলিশ। গরিব পরিবারের সন্তান ইসমাইল হোসেন কলমুডাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। নিজের শরিকানদের সঙ্গে সামান্য জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল ইসমাইলের পরিবারের। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে শরিকানরা ইসমাইলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ে মিথ্যে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার আসামি হিসেবে ইসমাইলকে আটক করে ২০০০ সালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

ইসমাইলের গরিব পরিবার অর্থের অভাবে তার জন্য একজন উকিল নিযুক্ত করতে পারেনি। ফলে ২০০৩ সালে আদালত ইসমাইলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। এরপর থেকে জেলখানার চার দেওয়ালের মাঝে বন্দি থাকার ২৩ বছর ৩ মাস ৭ দিন পর গত বছরের ডিসেম্বরের ১৫ মুক্ত হয় ইসমাইল। এই দীর্ঘ সময়ে ইসমাইল তার বাবাসহ পরিবারের অনেককেই হারিয়ে ফেললেও নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের জেলখানা পরিদর্শনে পাল্টে যায় জীবনের সবকিছু। জেলখানার মাঝে ইসমাইলকে দেওয়া জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতি একজন সব হারানো কয়েদী ইসমাইলকে নতুন করে বেঁচে থাকার রঙিন স্বপ্ন দেখার সাহস জোগায়। মুক্তির দিনে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পুর্নবাসনের উপহার হিসেবে পাওয়া একটি ভ্যানগাড়িও জীবন সংসারের চালিকা শক্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইসমাইল নতুন জীবন সঙ্গিকে সাথে নিয়ে সংসার সাজানো আর গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সম্প্রতি সেই ইসমাইলকে নিয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আবেগঘন অনুভূতির কথা লেখেন। সেই লেখাটি হচ্ছে- জীবন বড় বিচিত্র। ছবিতে যাদের সঙ্গে কথা বলছি, ছবি তুলছি তারা ইসমাইল দম্পতি। এই সেই ইসমাইল যার ২৬ বছর জেল হয়েছিল। নওগাঁতে দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলখানা পরিদর্শনের প্রথম দিন সাহস করে সে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার পুনর্বাসনের আবদার করে। সেদিন কথা দিয়েছিলাম তার মুক্ত হওয়ার দিন পর্যন্ত আমি যদি নওগাঁতে অবস্থান করি তবে অবশ্যই তার আবদার বিবেচনা করব। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির দিনে ইসমাইল আর কোথাও যায়নি, যাবেই বা কোথায়? সেদিন সে সোজা চলে এসেছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। তার আবদার বৃথা যায়নি। তার সকল কিছু পর্যালোচনা করে নতুন জীবনে ফিরে আনার চেষ্টা করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সফল হয়েছে কি না, বলা মুশকিল। তবে ইসমাইল নতুন জীবনে ফিরেছে। বিয়ে করেছে ইসমাইল। দাপ্তরিক চাপে, তার বিয়েতে যেতে পারিনি। তাই সে সস্ত্রীক জেলা প্রশাসনকে তার নববধূকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আজ এসেছিল। তাকে এবং নববধূকে যখন মিষ্টিমুখ করাচ্ছিলাম, যখন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করছিলাম তখন দেখলাম তার চোখে মুখে কৃতজ্ঞতার এমন ভাষা যা সে প্রকাশ করতে পারল না। হয়তো আরও কিছু দাবি ছিল আমার কাছে কিন্তু কৃতজ্ঞতার ভাষায় তার মনের কথা অব্যক্তই থেকে গেল। কিন্তু আমি বুঝে নিয়েছি তার মনের কথা, সে আমার আজন্ম সাথী হয়ে থাকতে চায়। তার স্ত্রীকে শুধু বললাম আশীর্বাদ, দোয়া, ভালোবাসা এগুলো দেখানোর জিনিস না। যে ইসমাইল তার যৌবনের পুরোটা সময় চার দেওয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দি রেখেছিল সেই ইসমাইল তার বাকি জীবন তার প্রিয় সঙ্গিণীর সঙ্গে হেসে খেলে আনন্দে কাটাক এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। ইসমাইলকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছি যাতে ভবিষ্যতে বিপদের সময় আর কারও কাছে তার মুখাপেক্ষী হতে না হয়। আমাদের ইসমাইলের জন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। ইসমাইলের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আমাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ইসমাইল আমার প্রতি যে কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছে, তার চোখে-মুখে যে অস্ফুট উচ্চারণ তার ভাগীদার আমার প্রিয় সহকর্মীরা। ভালো থাকুক ইসমাইল, ভালো থাকুক আমাদের প্রিয় মানুষগুলো। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল সম্পর্কে ইসমাইল হোসেন তার অনুভতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্না জড়ানো কণ্ঠে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল স্যার ভালো মনের একজন মানুষ। স্যার তাকে সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মোড়ে ছয়শতক জমি দিয়েছেন বলেও জানান। তবে, সামর্থ না থাকার কারণে সেখানে এখনো ঘর নির্মাণ করতে পারেননি বললেন ইসমাইল। বর্তমানে ইসমাইল সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ভেলাকুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়িতে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The only way to bring democracy is the only way to bring back Mirza Fakhrul

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরানোর একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই। কয়েকজন মিলে আইন করলে গণতন্ত্র হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবো না।
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষই গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। যতবার হোঁচট খেয়েছে ততবার উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।

হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে একটু সম্মান দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মনস্টার হাসিনা দেশের সব কিছুকে তছনছ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা সব জায়গায় সে তছনছ করে দিয়েছে।

ফখরুল বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করেন। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সমগ্র সময় ধরে লড়াই করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ৯০–এর গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, জিয়া পরিবার তখনও জনগণের পাশে ছিল, এখনো আছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারেক রহমান সোচ্চার ছিলেন, আছেন। যারা ‘পিআর’ পদ্ধতির কথা বলে, তারা আসলে নির্বাচন চায় না, গণতন্ত্রও চায় না। তিনি বলেন, আমাদের আগে বাংলাদেশ, না দিল্লি, না পিন্ডি; সবার আগে বাংলাদেশ।

সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে