× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

কুষ্টিয়ায় হাটে ইজারার নামে রমরমা চাঁদাবাজি

কুষ্টিয়ায়-হাটে-ইজারার-নামে-রমরমা-চাঁদাবাজি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লাহরদর্গা হাটে খাস ইজারার নামে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি। সরকারিভাবে কোনও ইজারা না থাকলেও, ইজারাদারের পরিচয়ে বহিরাগতরা এ হাটে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

হাটের নিয়মিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই একটি স্থানীয় চক্র হাট ইজারার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি হাটবারে বাধ্যতামূলক ও ইচ্ছামতো টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।

সরজমিনে দেখা যায়, ইমামুল নামে , এক ব্যক্তি তার বাড়ির পালিত কবুতর ৮০০ টাকায় এক পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় ইজারাদার পরিচয়ে রানা নামের এক ব্যক্তি তার কাছে ৫০ টাকা ইজারা বাবদ দাবি করেন। এত বেশি টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, রানা উত্তেজিত হয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দেন এবং আটকানোর ভয় দেখান। ভয়ে তিনি ৫০ টাকা পরিশোধ করেন। রশিদ চাইলে রানা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, ফলে ওই ব্যক্তি ভয়ে রশিদ না নিয়েই স্থান ত্যাগ করেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানা নামের ওই ব্যক্তি জাকির হোসেন নামের এক কথিত ইজারাদারের পক্ষে টাকা আদায় করে থাকেন।

এই ঘটনায় হাটের ইজারাদার পরিচয় দানকারী জাকির হোসেন বলেন, আমরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করি না, শতকরা ৫ টাকা হারে ইজারা নিয়ে থাকি।

এ ঘটনায় সাচ্চু নামে আরেক ইজারাদার বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা, যে অভিযোগ দিয়েছে তাকে নিয়ে আমার কাছে আসেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল্লাহরদর্গা হাট সরকারিভাবে কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। এই টাকা আদায়ের দায়িত্ব এখন তহশিলদারের।

এ ব্যাপারে তহশিলদার আনিসুর রহমান জানান, সরকারিভাবে কাউকে হাটে ইজারা দেয়া হয়নি, তবে হাট প্রশাসনের নির্দেশে আমি পরিচালনা করছি। আমার লোকবল কম থাকায় বহিরাগতদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে থাকি। শতকরা ৫ টাকা আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এভাবে আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা এভাবে টাকা আদায় করি না। কেউ আদায় করলে ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, হাট কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি, সংশ্লিষ্ট তহশিলদারদের মাধ্যমে কালেকশন হচ্ছে। শতকরা ৫ টাকা আদায়ের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি হাটে বৈধ নথি বা টেন্ডার ছাড়া একদল প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় জনগণ ও সচেতন মহল আশা করছেন, দ্রুত এই অবৈধ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে হাটের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল থাকে এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Madhupur average of the greater commercial center of agricultural products

কৃষি পণ্যের বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধুপুর গড়ের জলছত্র

*সারা বছর চলে মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল বেচাকেনা *দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে এ বাজারে ফলমূল
কৃষি পণ্যের বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধুপুর গড়ের জলছত্র

ছয় মাস আনারস, বারো মাস কলা, কয়েক মাস পেঁপে। আর আদা হলুদ কচু থাকে কয়েক মাস। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় এভাবে সারা বছরই চলে বিভিন্ন ফলের হাট-বাজার। এসব ফলের হাটে পাইকার ও ফড়িয়াদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। বৈশাখের শেষের দিক থেকে প্রায় কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রতিদিন চলে আনারসের বাজার। এদিকে, শুক্রবার ও মঙ্গলবার থাকলেও কলা হাট বসে শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিনই। আদা কচুর মৌসুমে প্রায় প্রতিদিন চলে বেচা-বিক্রি। এভাবে সারা বছরই কোন না কোনো কৃষি পণ্যের বাজার জমে উঠে। অনেক বছর ধরে মধুপুর শহরের আনারস ও কলার হাট বসছে জলছত্রে। ধীরে ধীরে জলছত্র বাজারটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়। বাজার কমিটি ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন, কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষি বিভাগসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র কৃষি পন্যের বাজারটি । এ বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ফড়িয়া আসে, কৃষি পন্য সরবরাহ হয় সারাদেশে। যে কারণে বাজারটি খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বছরের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে এ বাজারে।
জানা গেছে, মধুপুরের লাল মাটি কৃষি ফসল চাষাবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। খরা বন্যার প্রভাব পড়ে না। উঁচু উর্বর মাটি। সহজেই যে কোন ফসল চাষ করা যায়। খরা বা বর্ষাকালেও চলে আবাদ ফসল। বর্ষায় সহজে পানি উঠে না। খরায়ও ফসল পুড়ে না। গড় অঞ্চলের মাঝে মাঝে রয়েছে বাইদ বিল নালা। বৃষ্টি হওয়ার পরপরই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়। যে কারণে সারাবছরই ফসল ফলে।
এ অঞ্চলের প্রধান ফসল হচ্ছে আনারস, কলা, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু ও সবজি। গড়ের মাটি বেশির ভাগই বন আর উঁচু ভূমি। উঁচু এলাকায় আনারস কলা পেঁপে আদা কচু হলুদসহ অন্যান্য ফসল আর নিচুতে ধান ও শীতকালে সবজি চাষ হয়ে থাকে। যে কারণে সারা বছরই মৌসুমভিত্তিক ফল ফসল পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য্যময় মাটির কারণেই এমন আবাদ ফসল হয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্যে মোতাবেক, ৩৭০.৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২৭০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত উপজেলায় ১৩১ টি মৌজায় কৃষি ব্লক সংখ্যা ৩৪ টি। ভূমিহীন ক্ষুদ্র মাঝারি প্রান্তিক ছোট বড় মিলে ৬০,৮৪৩টি কৃষি পরিবার রয়েছে। উঁচু নিচু মিলে কোট কৃষি জমির পরিমান ২৬,৯৫০ হেক্টর। নিট, এক ফসলি দুই ফসলি তিন ফসলি চার ফসলের অধিক ব্যবহৃত জমির পরিমান ৫১,৬১৫হেক্টর। ফসলের নিবিড়তা ১৯৫%। বোরো আমন ১০,৪১৫ হেক্টর, আনারস ৬,৬২৭ হেক্টর, সরিষা বোরো আমন ২১০০ হেক্টর, কলা ১৯৪৫ হেক্টর, ভুট্রা- সবজি ১৭৯৬ হেক্টর আদা ৫৯২ হেক্টর, হলুদ ৭৬২ হেক্টর, আলু- সবজি ১২৬ হেক্টর ছাড়াও কাসাবা মুখি কচু , পেয়ারা, আম,কফি, ড্রাগণ ও মিশ্র ফসলসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ হয়ে থাকে।
পিরোজপুর গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া (৪৫) জানালেন, মধুপুরে সারা বছরই কোন না কোন ফসল চাষ হয়। এসব ফসল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় জলছত্র বাজারে বিক্রি করা যায়।
জলছত্র ট্রাক ও কর্ভাডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, জলছত্র এ বাজারটি কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত। বারো মাসই ফসল থাকে। সারা দেশ থেকে ব্যাপারী আসে। বেচা কেনা হয়। সারা দেশেই সরবরাহ হয়ে থাকে।
কলার পাইকার হাবিজুল ইসলাম জানান, কলার বাজার শনিবার বাদে প্রায় প্রতিদিন। বাগান থেকে কৃষকরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসে নগদ দামে বিক্রি করে চলে যায়। পাইকারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রকির আল রানা জানান, মধুপুরের মাটি আবহাওয়া ভূ-প্রকৃতি কৃষি ফসলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আনারস কলা পেঁপে ধান পাট চা কফি কাজুবাদাম আদা হুলদ কচু ড্রাগনসহ প্রায় সব ধরণের ফসল সহজেই চাষ করা যায়। মধুপুরের মাটির গুণাগুণ বন্যা মুক্ত উঁচু থাকায় সারাবছরই নানা ধরনের সবজি ফলের চাষ করে কৃষকরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এ ফসলের কারণে দেশখ্যাত জলছত্র বাজারে বছরে কোটি কোটি টাকার কৃষি পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zero Tolerance of Bangladesh Airlines Limited to prevent misconduct in the recruitment test

নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জিরো টলারেন্স।

নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় রোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জিরো টলারেন্স।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অসদুপায় রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং এ বিষয়ে কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষা ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. তারিখে বিকেল ৩.০০টা থেকে ৪.০০টা পর্যন্ত ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা—এই দুই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত পরীক্ষায় মোট ১১ (এগারো) জন পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে বিএএফ শাহীন কলেজে ৭ (সাত) জন এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪ (চার) জন পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় রুবা আক্তার (রোল: ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল: ২৮০০৬৬৪৭) ও ইমামুল হক (রোল: ২৮০০৭৭০৩) বহিষ্কৃত হয়। প্রবেশপত্রে ছবির অমিল থাকায় মো: ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল: ২৮০০৭৪৮৯) ও মো: লাবিব হাসান (রোল: ২৮০০৭৭৬১)-কে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় মো: শাহিন মিয়া (রোল: ২৮০০৫০৫৫), আবদুস সোবাহান (রোল: ২৮০১৪০২৩) ও মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-কে বহিষ্কার করা হয়। তদুপরি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় মো: মোকসেদুল (রোল: ২৮০১৩৫০১) ও মো: নজরুল ইসলাম (রোল: ২৮০১২৮২৪) এবং একই প্রবেশপত্র ব্যবহার করে দুইজন পরীক্ষা দেওয়ায় আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল: ২৮০০৮৮৩২)-কে বহিষ্কার করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এ ঘটনায় মোট ১১ (এগারো) জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ৫ (পাঁচ) জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লা (রোল: ২৮০০০০৯১)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মোছা: শারমিন নাহার এবং প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার দায়ে ধরা পরে মো: হানিফ আলী (রোল: ২৮০০৪৩৭৩)। অন্যদিকে, সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আব্দুস সোবহান (রোল: ২৮০১৪০২৩)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মো: রেজাউল ইসলাম, মো: রেজওয়ান (রোল: ২৮০১৪৪৬৫)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় সাদ্দাম হোসেন এবং মো: নজরুল ইসলাম (২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় মাহামুদুল হাসান। প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের আটক এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পূর্বেও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও অসদুপায়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Advisors do not need Safe Exit Law Advisor

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা আজ শনিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্যে একথা বলেন। ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমানে 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু উপদেষ্টারা ভালোভাবেই জানেন যে তাদের কোনপ্রকার 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই।

আজ দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আপনারা জানেন এখন 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা খুব নিশ্চিতভাবে জানি আমাদের কারো কোনো 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই। বরং জাতি হিসেবে দেশের মানুষের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সৃষ্ট বিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, 'গত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, দেখলাম ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা লুট হচ্ছে- এ ধরনের একটি ভয়াবহ ও আত্মবিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে আমাদের এ জাতির সেফ এক্সিট এর প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে বলা হয়েছিলো যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করবেন যেন এতে রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। কিন্তু সবাই জানেন রাষ্ট্রপতি কখনই স্বাধীনভাবে বিচারপতিকে নিয়োগ করতে পারেননি। এদেশে সবসময় বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এমন প্রধান বিচারপতিও পেয়েছি যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যারা নিজের চোখে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখেও তা উপেক্ষা করেছেন। যে সকল বিচারক মানবাধিকার লংঘনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে তাদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে এমন কেউ কেউ এখনো বিচার বিভাগে রয়ে গেছে। আমরা ইনস্টিটিউশনাল রিফর্ম এর পথে কিছুটা অগ্রসর হয়েছি, পুরোটা করতে পারি নাই।

পরের যারা নির্বাচিত সরকার হবেন, তাদের কাছে এই দায়িত্বটা থাকলো।'

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা হয়তো ভালো ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা বদলে যাবে সেরকম নয়। দেখা গেছে অনেক ভালো ভালো আইন করা হলেও সে আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানই দাঁড়ায় না। আইন করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন ব্যর্থতার ইতিহাস নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন।'

ভালো প্রতিষ্ঠান গড়া একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, আশা করব এই আইনটি দ্বারা সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

ভয়াবহ এ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উচ্চ আদালত ও সংসদীয় কমিটি। এবং সেই সঙ্গে আরও কিছু জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানকে আমাদের শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মানবাধিকার কমিশন। এটি করতে ব্যর্থ হলে দেশের যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে পারেন।'

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটি সরকার বা কোনো একক ব্যক্তির নয় বরং আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সংশোধিত আইনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনতাকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর পাশাপশি আরও বক্তৃতা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এটর্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্রেড রেংগলি, ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন এন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারসহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Advisor to Rome to join the World Food Forum

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ফাইল ছবি

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।

পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা একত্রিত হয়ে খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এবারের ইভেন্ট ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রোমে এফএওর সদর দপ্তরে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
RAB minibus collided with buses on the highway in Patuakhali 2

পটুয়াখালীতে মহাসড়কে বাসের সঙ্গে র‍্যাবের মিনিবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২

পটুয়াখালীতে মহাসড়কে বাসের সঙ্গে র‍্যাবের মিনিবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২

পটুয়াখালীতে র‍্যাবের মিনিবাস ও ধানসিড়ি ক্লাসিক নামের একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। নিহতরা হলো শিশু পিয়াম-(০২),র‍্যাবের ওই মিনিবাসের চালক এএসআই আবদুল আলীম (৩৩) ও আফরোজা (৩৫) নামের এক নারী। শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ফতুল্লা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধানসিড়ি পরিবহন নামের বাসটি কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালীর দিকে আসতেছিলো। আর র‍্যাবের মিনিবাসটি বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ফুতল্লা নামক স্থানে পৌছলে ওই বাস এবং মিনিবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু পিয়ামকে মৃত ঘোষনা করেন। আর র‍্যাবের ওই গাড়ি চালক আবদুল আলীম ও আফরোজাকে লেবুখালী ক্যান্টমেন্টের সিএমএইচ এ নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত ঘোষনা করা হয়।

পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, লাশ উদ্ধার থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের প্রক্রিয়া চলছে। সড়কের চলাচল স্বাভাবিক করতে গাড়ি দুটো সড়িয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gaibandha is being made from rice paddy to edible oil affordable and new horizons in employment

গাইবান্ধায় তৈরি হচ্ছে ধানের কুড়া থেকে ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্য আর কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

গাইবান্ধায় তৈরি হচ্ছে ধানের কুড়া থেকে ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্য আর কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

গাইবান্ধায় ধানের কুড়া থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ভোজ্য তেল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এই তেল স্থানীয় বাজার ছাড়াও সরকারি সহায়তায় টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করছে উৎপাদনকারী মিল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, এই তেল রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। শুধু তেলই নয়, কুড়া থেকে তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত সূচনা হয়েছে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে।

উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধানের কুড়ার তেল অন্যান্য সাধারণ ভোজ্য তেলের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এতে রয়েছে ওরিজানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টেরল কমায়। এই তেল প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে মনো ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জে মহিমাগঞ্জ এলাকার পুনতাইর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে "প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিল"। অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে সেখানে চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। বিভাগ ভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছে যান্ত্রিক মেশিনের সাথে সমান তালে। হাজার হাজার বস্তায় স্তুপ করা ধানের কুড়া। শ্রকিকরা বস্তাভর্তি ধানের কুড়া ঢেলে দিচ্ছেন মাটির নিচে স্থাপন করা কনভেয়ার নামক মেশিনে। সেখান থেকে কয়েকটি মেশিনের ধাপ পেরিয়ে সর্বশেষ রিফাইনারিতে যাচ্ছে ভোজ্য তেল।

সেকশান ভিত্তিক তেল উৎপাদন সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা দায়িত্বপালন করছেন অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থেকে। উৎপাদনের একেবারে শেষ পর্যায়ে কোনো রকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই বোতলজাত হচ্ছে এই তেল। যে সেকশানে কাজ করছে মিলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মচারী।

তেল ছাড়িয়ে অবশিষ্ট কুড়ার অংশ যাচ্ছে আলাদা এক সেকশানে। যেখানে প্রস্তুত হচ্ছে মৎস ও প্রাণি খাদ্য। সমান তালে লোড করা হচ্ছে ট্রাক। ওইসব ট্রাকে করে এই প্রাণি খাদ্যগুলো যায় দেশের নাম করা বিভিন্ন মৎস ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিতে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান ২০১৩ সালে ইন্ডিয়া থেকে কুড়া থেকে তেল উৎপাদনকারী একটি ক্যাপিটাল মেশিন নিয়ে এসে স্থাপন করেন। যেটির মাধ্যমে ২০১৬ সালে তেল উৎপাদনে শুরু করেন। একই বছর থেকে উৎপাদন করা অপরিশোধিত তেলের সিংহভাগ বিদেশে রপ্তানি শুরু করেন। তবে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিদেশে তেল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের মেশিনারী সেকশানের ইনচার্জ কমলকান্তিপাল দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখানে তেল উৎপাদনে কোনো হাতের স্পর্শ নেই। সকল প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, প্রথমে কুড়া কনভেয়ারের মাধ্যমে প্রেপ মেশিনে উঠানো হয়, এরপর সেটি স্টিভারের মাধ্যমে গুটি করে নেওয়া হয়। পরে সলভেন চাইনিজ মেশিনে বডি থেকে তেল করা হয়। সর্বশেষ তেলটি রিফাইনারিতে যায়। সেখানে ডাবল রিফাইন করে বোতলজাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ এবং দামেও সাশ্রয়ী।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের প্যাকেজিং সেকশানের সুপারভাইজার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, সারা দেশের অটো রাইচ মিল এবং সেমি অটো রাইচ মিল থেকে কুড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কুড়া থেকে উৎপাদিত হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল। আর সেখান থেকে রিফাইন করা হচ্ছে ৪০ হাজার লিটার তেল। প্রতিলিটার তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

এসময় তিনি জানান, ধানের কুড়া থেকে শুধু তেলই উৎপাদন করা হচ্ছে না। তেল নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট অংশকে কাজে লাগিয়ে এখানে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য। যা ক্রয় করছেন দেশের নামকরা বড় বড় মৎস ও প্রাণীখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো । ফলে ধানের কুড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই শিল্পে।

তিনি আরও বলেন, এসবের উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিলে স্থানীয় ৩০০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে।

প্রধান রাইচ ব্রান অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী নাজির হোসেন প্রধান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এই তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও দামে সাশ্রয়ী হলেও প্রচারণার অভাবে এখনো আশানুরুপ সাড়া পড়েনি ভোক্তা পর্যায়ে। ২০১৬ সাল থেকে এই তেল বিদেশ রপ্তানি করা হতো বিশেষ করে ইন্ডিয়ায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রপ্তানি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। তবে তাদের সরকারি সহায়তায় টিসিবিতে তেল সরবরাহ করছি। যা উৎপানের তুলনায় অনেক কম।

তিনি বলেন, কৃষি-শিল্পভিত্তিক এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতি ছাড়াও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসচেতনতায়। এখানে বিপুল সংখ্যক মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী বছর হয়তো সেকশান-২ চালু করলে সেখানো আরো ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু প্রচারণার অভাবে আমরা বিক্রিতে তেমন সাড়া পাচ্ছিনা।

এসময় দেশের ২০ টি রাইচ ব্রান অয়েল মিলকে টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ ও প্রচারণায় সরকারি সহায়তা চান তিনি। অন্যথায় ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই শিল্প মুখ থুবরে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান এই স্বত্বাধিকারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attorney General is invited to strengthen the National Human Rights Commission

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এ আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। যা ভবিষ্যতে কার্যকারিতা ও প্রশাসনিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই কমিশনকে আরও কার্যকর বা স্বাধীন হতে হবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনের নানান দিক তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু অ্যাকশন নেওয়ার যে মেকানিজমগুলো আছে, তা গুরুত্ব দিয়ে করার জন্য বা সরাসরি মামলা করতে পারবেন; সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ বা বিধান আইনে রাখা হয়নি।

মানবাধিকার কমিশন আইন খসড়ার ধারা-৫ নিয়ে তিনি বলেন, এ ধারায় বলা হয়েছে কমিশনের মধ্যে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ নারী ও একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে। কিন্তু আধুনিক যুগে নারীকে অনগ্রসর বা অধীনস্ত হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এখানে অনেকের সঙ্গে আমার দ্বিমত হবে। তাই কমিশনের সদস্য নির্বাচনে সর্বসম্মত মতামত বা কনসেন্স থাকা উচিত। কারণ আইনে নির্ধারিত বিধান হিসেবে নারী বা নৃগোষ্ঠী সদস্যদের নির্দিষ্ট কোটায় বাধ্যতামূলক রাখলে উপগোষ্ঠী হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে ধারণা জন্ম নিতে পারে। তবে এটা আমরা নিজস্ব ধারণা।

আসাদুজ্জামান বলেন, ধারা-৬ অনুযায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ ও পদত্যাগের নিয়ম নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উচ্চপদস্থ পদে আবেদন জমা নেওয়ার পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মানবাধিকারে কাজ করা স্বাধীনচেতা ও নীতিবান ব্যক্তি কি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কিনা এটি পুনর্বিবেচনার বিষয়। এছাড়া উপধারা (৫) অনুযায়ী কমিশনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। এটি আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। ধারা ১৩ অনুযায়ী কমিশনের কার্যাবলীতে গবেষণা ও সুপারিশের কথা থাকলেও প্রোঅ্যাকটিভ মামলা দায়েরের ক্ষমতাও স্পষ্ট নয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করে মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করা দরকার।

ধারা-১৬ ও ধারা ১৯(১) নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ধারা ১৬ অনুযায়ী এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মধ্যস্থ সমঝোতার জন্য নিয়োগ করতে পারবে কমিশন। কিন্তু কমিশন নিজেই একটি স্বাধীন সংস্থা। যদি এখানে আলাদা মিডিয়েটর নিয়োগ বা তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নেওয়া হয়, তাহলে কমিশনের ক্ষমতা ও মিডিয়েটরের ক্ষমতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা প্রদানের নির্দেশনা কমিশন করবে, নাকি মিডিয়েটর—এ নিয়েও আইনে স্পষ্টতা নেই। এসব বিষয় আরেকটু বিবেচনা করা দরকার। ধারা ১৯(১) এর ‘গ’ অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করতে পারবে কমিশন। যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে যায়, তখন তাকে কি না ডেকেই এক্সনারেট (দায়মুক্ত) করে দেওয়া হবে; এটিও স্পষ্ট নয়। এসব ধারা-উপধারার আইনি অস্পষ্টতা দূর না করলে কমিশনের কার্যকারিতা সীমিত হয়ে যাবে।

মন্তব্য

p
উপরে