গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৩০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২১ জন রয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৩১০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার ১৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের অবমাননা এবং আপত্তিকর মন্তব্য করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ ওমর শরীফ এ নোটিশ দেন। নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর ইউটিউবে ‘চরমোনাই দর্পণ’ চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম পবিত্র কোরআন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
সেই বক্তব্যে ফয়জুল করিম বলেছিলেন, ‘শুধু কুরআন কিচ্ছু না’ এবং ‘শুধু কুরআন কোরআন, এর মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি’।
নোটিশে বলা হয়, ফয়জুল করিমের এসব মন্তব্য পবিত্র কোরআনুল কারীমের মর্যাদা ও পবিত্রতার পরিপন্থি এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক গ্রন্থ, যার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা বাংলাদেশের সংবিধান ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
নোটিশে আরও বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ফয়জুল করিমকে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে তার উল্লেখিত মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য আর করবেন না- এমন প্রতিশ্রুতি দিতেও আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। শুক্রবার বিকেলে ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
শহিদুল আলমের মুক্তি ও প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।সূত্র : বাসস
বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকী তাদের মর্যাদাপূর্ণ ‘টাইম শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’ তালিকায় ‘সামাজিক প্রভাব’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করেছে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকারী বিশেষ সম্পূরক খাবার এমডিসিএফ-২। এটি আইসিডিডিআর,বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির দীর্ঘদিনের যৌথ গবেষণার ফল।
এমডিসিএফ অর্থ হলো মাইক্রোবায়োটা ডিরেক্টেড কমপ্লিমেন্টারি ফুড, যা একটি বিশেষ ধরনের সম্পূরক খাবার, যা অন্ত্রের উপকারী জীবাণুগুলোকে উদ্দীপ্ত করে শিশুদের সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে।
বিগত বছরগুলোতে কিছু অগ্রগতি হলেও, বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকের জন্য অপুষ্টি দায়ী। যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, ফলে কোটি কোটি শিশু খর্বতা ও কৃশতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এমডিসিএফ-২ তৈরি হয়েছে ছোলা, সয়াবিন, চিনাবাদাম ও কাঁচা কলার গুঁড়োর বিশেষ মিশ্রণে। উপাদানগুলো এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে অন্ত্রের নির্দিষ্ট উপকারী জীবাণুগুলো পুষ্টি পায় এবং শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়বিক বিকাশ ও স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
এই উদ্ভাবনের সূচনা হয় আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অন্ত্র-জীবাণু গবেষক ড. জেফরি গর্ডন-এর মধ্যে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে। ড. তাহমিদ শিশুদের অপুষ্টি নিয়ে কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন, আর ড. গর্ডন মূলত স্থূলতা নিয়ে গবেষণা করলেও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বিষয়ে পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
ড. গর্ডন বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের পুষ্টি ও বৃদ্ধি নির্ভর করে অন্ত্রের জীবাণুর ওপর। আমরা যে উপকারী জীবাণুগুলো চিহ্নিত করেছি, তারা এমন খাদ্য উপাদান প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, যা শরীর নিজে থেকে করতে পারে না। বাংলাদেশি শিশুদের নিয়ে পরিচালিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এমডিসিএফ-২ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম পুনর্গঠনে সক্ষম এবং এর প্রভাব অন্ত্রের বাইরেও বিস্তৃত।”
ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য গভীর অনুপ্রেরণার উৎস। এটি প্রমাণ করে, বিজ্ঞান ও মানবিক সহমর্মিতা একত্রিত হলে বিশ্বের জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব। স্থানীয়ভাবে তৈরি, সাশ্রয়ী এই সমাধান কোটি কোটি অপুষ্টিগ্রস্ত শিশুকে শুধু বাঁচিয়ে রাখতেই নয়, বরং পূর্ণ বিকাশের সুযোগ দিতে পারে।”
বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, মালি এবং তানজানিয়া-তে এই খাবার নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা চলছে। এমডিসিএফ-২ পুষ্টি কর্মসূচিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিরোধ ও চিকিৎসার পদ্ধতিকে আমূল বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ- কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. কামাল হোসেন (৪৪), মো. নুরে আলম (৪৫), মো. ওসমান (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৫৬), মো. বিল্লাল গড়ামী (৩০), মো. রনি (২৫), মো.
শুভ ইসলাম কাউছার (২৪), বাপ্পী শিকদার (৩৫) ও মনিরুজ্জামান বাপ্পী ওরফে বাপ্পী শিকদার (৩২)।
হাতিরঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মামলার আসামি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি, অজ্ঞান পার্টির সদস্যসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
লিবিয়ার ত্রিপলি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবাসনেচ্ছুক ৩০৯ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
প্রত্যাবাসিতদের শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইট যোগে দেশে ফিরেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান তিনি মারা যান।
অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মাজহারুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতির কারণে তাকে শুক্রবার সকালে আবারও লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। স্যারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি হাসপাতালে ভিড় না করে স্যারের জন্য প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাড়িচালক একজনের সহায়তায় তাকে প্রথমে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে নেন। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর অস্ত্রোপচার করে দুটি রিং পরানো হয় তাকে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
তিনি সত্তরের দশকে লেখালেখি আরম্ভ করেছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাবিরতির কারণে বাংলা কথাসাহিত্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে আশির দশকে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিয়মিত কলাম লিখেছন/ একদম শুরুর দিবে সংবাদ সাময়িকীতে, ‘অলস দিনের হাওয়া’ তাকে পরিচিত করে তোলে। প্রধানত বিদেশি সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা করতেন তিনি।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— স্বনিরবাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯৪), থাকা না থাকার গল্প (১৯৯৫), কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প (১৯৯৮), অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প (২০০১), প্রেম ও প্রার্থনার গল্প (২০০৫)। সুখদুঃখের গল্প, বেলা অবেলার গল্প।
উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— আধখানা মানুষ্য (২০০৬) দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক, ব্রাত্য রাইসু সহযোগে, কানাগলির মানুষেরা।
প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ: নন্দনতত্ত্ব (১৯৮৬), কতিপয় প্রবন্ধ (১৯৯২)। অলস দিনের হাওয়া, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সুবীর চৌধুরীর সহযোগে রবীন্দ্রানাথের জ্যামিতি ও অন্যান্য শিল্পপ্রসঙ্গ।
মন্তব্য