বর্ণিল সাজে সেজেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ লেক। একসময় যেখানে ছিল ময়লা আবর্জনা আর কচুরিপানার ভাগার আজ সেখানে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য।
লেকের চারপাশে ফুটওয়াক তৈরি করা হয়েছে। লেকপাড়ে বসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক রঙিন টুল। লেকে নামানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন চারটি প্যাডেল বোট। গত ৫ অক্টোবর লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ ও লেকবোট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক।
এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ, কৃষি অফিসার দোলন চন্দ্র রায়, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবু তাহের হেলালসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পর থেকেই নানা বয়সের মানুষ ভীড় জমাচ্ছে অপার আনন্দে। লেকটি এখন পরিচিতি পেয়েছে বিনোদন স্পট হিসেবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সরেজমিন লেকপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সের ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভীড় জমাচ্ছে প্যাডেল বোটে ওঠার জন্য। দর্শনার্থীদের জন্য লেকে নামানো হয়েছে চারটি প্যাডেল বোট। প্রতিটি বোটেই রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট।
৫ম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা বলেন, আমাদের ঘোরার কোনো জায়গা ছিল না। এখন এই লেকের বোটে চড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। লেকের পাড়ে বসার জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে।
কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লেকটির পুরো চেহারাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। নর্দমার কারণে এখানে মশার উপদ্রব্য ছিল। অব্যবস্থাপনার কারণে লেকের পাড়ে হাসপাতালে রোগীরা দুর্ভোগে ছিল। এখন শুধু এসবেরই অবসান হয়নি বরং কোটালীপাড়াবাসীর জন্য বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।
কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সমেন মজুমদার বলেন, প্যাডেল বোট দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়, কারণ এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও শান্ত বিনোদন। এর মাধ্যমে মানুষ জলজ জীবনকে বিরক্ত না করে শান্তভাবে লেকে ঘোরাঘুরি করতে পারে, যা একে পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতায় পরিণত করে। কোটালীপাড়ার দক্ষিণ সীমান্তে মাচারতারা গ্রামে একটি শিশুপার্ক থাকলেও যাতায়াত সমস্যা ও দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে নিয়মিত যাওয়া সম্ভব হয় না। উপজেলা পরিষদের এই লেকটি এখন সকলের মনের খোরাক জোগাবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, লেকটিকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে আশা করছি এটি কোটালীপাড়াবাসীর জন্য একটি বিনোদন স্পট হিসেবে পরিচিতি পাবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় লেকের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। লেকের পাড়ে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোর কারণে পানির বোতল, কাগজের প্যাকেটসহ নানা আবর্জনা লেকে ফেলে যাতে পানি দূষিত না হতে পারে এবং দর্শনার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তির কারণ না সে জন্য পুরো লেকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ দেখভাল করার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লেকে প্যাডেল বোড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা জনসাধারণের কাছ থেকে নামমাত্র শুভেচ্ছামূল্যে নিয়ে লেকে প্যাডেল বোট পরিচালনা করবে।
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে।
ঐতিহাসিক এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় বলে কমিশন থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সভায় অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আজকের সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের ৫টি বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করা হয়।
এসময় বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশেষজ্ঞগণ এবং রাজনৈতিক দলসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিমতসমূহ বিশ্লেষণ করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশ এবং চূড়ান্তকৃত জুলাই সনদ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সূত্র: বাসস
বিএনপির বিরুদ্ধে প্রবাসী সাংবাদিক ইউটিউবার ইলিয়াসের পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হুসাইন পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা বিরোধী একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছে। এর সাথে আমাদের দলেরই একজন নব্য উদিত হওয়া মনোনয়ন প্রতাশ্যী ও তার চাচা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারা বিশেষ দল ও গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়া-নেয়ার পাঁয়তারা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে যেখানেই বিএনপির মাঠ ভালো, যেখানেই বিএনপির জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেই একটি দল বিষদাগার করার চেষ্টা করছে। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। ইলিয়াস বিএনপির সেসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার অপপ্রচারে নেমেছে। শরীফুজ্জামান শরীফ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের কাউন্সিলরদের ভোটে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনিপর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির এই নেতা ও তার ভাই সাহিদুজ্জামান টরিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুই ভাই মিলে বাংলা সিনেমার স্টাইলে চাঁদাবাজি করছে’ শিরোনামে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও তার অনুসারীদের নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমান এর ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁয় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি’ জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদেকুল ইসলাম, সকালের সময় এর প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল নয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন , দপ্তর সম্পাদক মাহাবুল আলম মারুফ ও
এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী সহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন- সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার সংবাদিক সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এখনো পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশ প্রশাসনের নীবর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।
‘তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ এবং ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যাগে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পাঁচশিরা বাজার পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সচিব ও বিএনপি নেতা মো. আব্দুল বারী বলেন, দল থেকে যদি আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয় এবং জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবো। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ চলবেনা। আমি নিজে চাকরি জীবনে শতভাগ সততার সাথে কাজ করেছি এবং আমার অফিস ছিল ঘুষ দূর্নীতি মুক্ত। আমার কাছে কোন অনিয়মের প্রশ্রয় নেই। বিশেষত ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভয়ের সংস্কৃতি এখানে থাকবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান সুইট, ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, আক্কেলপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইফতেখার আহম্মেদ রানা, কালাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৌদুদ আলম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান এলান, আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান, উদয়পুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলীম, পুনট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ সিদ্দিকী রিপন, জিন্দারপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফিরোজ কবিরসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনার লিফলেট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেন এবং আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ ইশতেহার ঘোষণা করেছে। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার করে ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলটির জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, শিক্ষা ও গবেষণা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, জাতিগত বৈচিত্র্যে ও নারীবান্ধব ক্যাম্পাস, গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেল কাজ করে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আজ আমাদের প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করছি। আমরা ইতিহাসের সব গণসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস ধারণ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণে আমাদের চলমান সংগ্রাম জারি রাখবো। নিয়মিত চাকসু নির্বাচন জারি রাখা, নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করব।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব মুক্ত নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ নির্মাণে কাজ করব। মব ভায়োলেন্স, মোরাল পুলিশিং এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে নারীর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-প্রকৃৃতি ও মানুষের নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া, জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা, এজিএস প্রার্থী জশদ জাকিরসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা।
প্রায় তিনযুগ পর আগামী ১৫ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন, হল সংসদে ৪৭৩ জন এবং হোস্টেল সংসদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
’গবেষণা ও মেডিকেল শিক্ষা: উদ্ভাবনের অনুপ্রেরনা, এক্রিডিটেশনের নিশ্চয়তা’ কেন্দ্রীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্টিতব্য বৈজ্ঞানিক সিম্পোজিয়ামের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশ অব মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) কর্তৃক ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী প্রায় সকল দেশের মেডিকেল কলেজগুলো বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে মেডিকেল শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ হল বৈশ্বিক স্বীকৃতি। ইতোমধ্যে সরকার এই কাজের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন এক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএমইএসি) যেই সংস্থা মূলত সরকারী বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলোর ডব্লিউএফএমই কর্তৃক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সিম্পাজিয়ামের অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ডব্লিউএফএমই কর্র্তৃক বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নয়ন।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত এ সিম্পোজিয়াম কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সিম্পোজিয়াম অর্গানাইজিং কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ কমিটির সেক্রটারী ও অর্গানাইজিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. পারভেজ ইশবাল শরীফের পরিচালনায় উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম পারভেজ চৌধুরী, অধ্যাদপক ডা. মনসরুল আলম, অধ্যাপক ডা. আলী হোসাইন, অধ্যাপক ডা. আসমা কবির সোমা, অধ্যাপক ডা. মুসলিনা আক্তার, ডা. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মিসেস সানজিদা বিনতে আলম। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিম্পোজিয়ামের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে জনতা। রবিউল ইসলাম ক্ষমতাবলে সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোরপূর্বক প্রাচীরটি নির্মাণ করছিল। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর প্রাচীর নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ প্রাচীর ভেঙে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাস্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে ওই নির্মাণকাজ করছিল।
কেশবপুর বাজারের বেসরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ন ক্লিনিক স্থাপন, হাসপাতালের পাশে মূল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহগাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্ল্যাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মডার্ন ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎসহের ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছেন কেশবপুরবাসী।
রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে প্রাচীর নির্মাণ করতে বলেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। এ ব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙে দিয়েছেন।
মন্তব্য