নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৭ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকার পর আবার রোগীদের নির্ভুল চিকিৎসাসেবা দিতে চালু হলো ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশরাত জাহান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা হেলথ কেয়ার প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন, ডাক্তার শফিকুর রহমান, তাহামিনা আলম, সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, এক্সরে টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ সেলিম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই ইলিয়াস মামুন প্রমুখ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ব্যবস্থা চালু হয়। কিন্তু চালুর পর থেকেই মেশিনটি কয়েকবার মেরামত করা হয়। গত ৭ বছর ধরে এক্সরে মেশিন বিকল হাওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সে-রে করাতে বাধ্য হন রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশরাত জাহান বলেন, এক্স-রে মেশিন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র পাঠানোর পরে এই আধুনিক (৫০০ এম এম) মেশিনটি হাসপাতালে দিয়েছেন। নোয়াখালীর অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে এ উন্নত মানের এক্সরে মেশিন নেই। রোগীরা সরকারি ফি দিয়ে এখানে এক্সেরে করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনে রোগীদের রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হবে।
বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করতে গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কিছু কিছু দেশে আমাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, যা আগের সরকারের সময় থেকেই চলমান। প্রধান উপদেষ্টা চান, এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হোক। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।’
তিনি জানান, পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার তৈরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরে প্রধান উপদেষ্টা কসোভো ও আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং কসোভোর প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনায় শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন। তবে এসব দেশে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লিতে গিয়ে আবেদন করতে হয়। প্রধান উপদেষ্টা চান, এসব জটিলতা দ্রুত দূর হোক।’
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পোশাক ও অন্যান্য ব্যবসা খাতের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সেখানে আমদানি নীতি, গ্যাস সরবরাহ, ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ, আইসিটি খাতের প্রণোদনা ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়।
বিশেষভাবে, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা বলেন, ম্যানমেড ফাইবারসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ধারাবাহিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট সম্প্রসারণসহ নতুন ল্যান্ড বেস টার্মিনাল স্থাপনের দাবি উত্থাপন করা হয়। তারা উল্লেখ করেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। দরকষাকষির সক্ষমতা বাড়াতে সরকার এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে।’
আইসিটি খাত প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রচলিত খাতে প্রণোদনা কমিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নির্ভর খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই খাতের কর্মসংস্থান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিগগিরই একটি রোডম্যাপ উপস্থাপনের কথা বলেছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দেশের ব্যাংকিং খাত, মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, রিজার্ভ এখন পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান এবং মুদ্রাস্ফীতি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে। সূত্র: বাসস
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সাইদ চেয়ারম্যানসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত।
পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি। এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সম্ভবত একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। এ ক্ষেত্রে তদন্তে আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারও নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি। এজাহারের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলা ও গুলি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হোসেন নিলয় (১৬) নিহত হন।
ফেনীতে শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশনবিষয়ক’ দিনব্যাপী কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ফেনী সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর তথ্য ও সম্প্রচার মন্তনালয়ের মহাপরিচালক ফয়জুল হক।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসার এস এম আল আমিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশন ফেনীর উপপরিচালক নাজমুস সাকিব, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদুল হাসান। টাইফয়েড টিকাদান বিষয় নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রনয় কুমার চক্রবর্তী।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ওরিয়েন্টেশনে সভাপতি ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম তার বক্তব্যে বলেন, টাইফয়েড টিকা রেজিস্ট্রেশনে বাংলাদেশের মধ্যে ২য় স্থানে রয়েছে ফেনী জেলা। জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার শিশুর টিকা দেওয়ার লক্ষে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৮ হাজার শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে।
প্রধান অতিথি গণযোগাযোগ অধিদপ্তর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফয়জুল হক বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ টাইফয়েডের টিকা নিতে চাইলে টিকার মান নিশ্চিত হবে না। তা ছাড়া এই টিকার জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু সরকার যে টিকা দিচ্ছে তা নিরাপদ, হালাল এবং বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
মৃত্যুর নাম শুনলেই শিউরে ওঠে মানুষ। কবরের পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়েও অনেকে ভয় পান। কিন্তু সেই কবরই হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নূঠুর চর গ্রামের এক বৃদ্ধের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আ. খালেক, বয়স এখন সত্তর। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন কবর খুঁড়ে, খুঁড়েছেন দুই হাজারেরও বেশি কবর।
আ. খালেকের চোখেমুখে নেই কোনো ক্লান্তি, নেই অনুতাপও। বরং গর্বের সুরে বলেন, প্রায় ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে এ কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহ যতদিন শক্তি দেবেন, ততদিন কবর খুঁড়েই জীবন কাটাব।
মৃত্যুর সংবাদ যেন আ. খালেকের কানে পৌঁছে যায় সবার আগে। গ্রামের কোনো মানুষ মারা গেলে অন্যরা জানুক বা না জানুক, তিনি খবর পেয়ে দৌঁড়ে যান কবরস্থানে। নিজ গ্রাম নুঠুরচর, ঘাটাইল উপজেলার নরজনা কবরস্থান ছাড়াও কয়েকটি কবরস্থানের দায়িত্ব তার কাঁধেই। কোন জায়গায় কবর খোঁড়া হবে, কীভাবে হবে সবটা একাই সামলান এবং কবরস্থানগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখেন। তিনি মনে করেন, এটি তার দায়িত্ব, মানুষের শেষ আশ্রয় ঠিক করার দায়িত্ব।
তবে কাজের শুরুটা ছিল সহজ নয়। প্রথম দিকে কবর খুঁড়তে গিয়ে হাড়, মাথার খুলি কিংবা পুরোনো কাফনের কাপড় বেরিয়ে এলে আঁতকে উঠতেন তিনি। সাপ, শিয়ালের সাথেও হয়েছে মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে ভয় কাটিয়ে নিয়েছেন। এখন এসব তার কাছে আর অস্বাভাবিক লাগে না।
গ্রামের মানুষ আ. খালেককে ডাকে গোরস্থানের অভিভাবক। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে যেতে চান তিনি। তার কাছে মৃত্যু ভয় নয়, বরং মানবসেবার একটি পথ।
কবরের নীরব নিস্তব্ধতার মাঝেই আ. খালেক খুঁজে পান জীবনের শান্তি। অন্যেরা যেখানে কবরকে এড়িয়ে চলেন, তিনি সেখানে খুঁজে পান নিজের অস্তিত্বের মানে।
সিটি ব্যাংক পিএলসি ‘’Bank on Solidity, Banking on Sustainability’’ শিরোনামে প্রথমবারের মত তাদের এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক-যেমন GRI Standards, IFRS S1 ও S2 এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং পূর্ববর্তী সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় এই পূর্ণাঙ্গ ইএসজি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ।
এই প্রতিবেদনে জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্যোগসমূহের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সিটি ব্যাংকের বিস্তৃত অবদানকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবুজ ও টেকসই অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের তথ্য এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও এতে গ্রাহকের পরিবেশ ও সামাজিক ঝুঁকি (ESRM) নির্ণয় কিভাবে অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগের পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের তথ্য রয়েছে। এ বছরের প্রতিবেদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হিসাব প্রকাশ, যা ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি পরিপালনের একটি নজির।
ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, “এই ইএসজি প্রতিবেদনটি দায়িত্বশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কার্যক্রমের প্রতিফলন। আমরা পরিবেশ, সামাজিক এবং সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমাদের অংশীদারদের মধ্যে দৃঢ় আস্থা গড়ে তুলেছি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে আমাদের ভূমিকা জোরদার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।”
এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের টেকসই যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধানকারী গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও জোরদার করবে বলে ব্যাংক আশা রাখে।
জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে মন্তব্য করে দেশের শিক্ষক সমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যোগে শিক্ষকদের এক সমাবেশে তিনি বলেন, আপনাদের আমি বলতে চাই, আসন্ন যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে আপনাদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। আজকে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে, সেই নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার। কেউ যেন সেটাকে (নির্বাচন) ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে না পারে, সে দিকে আপনারা সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আমাদের নেতার যে স্বপ্ন সেই… আমাদের পথ একটাই সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ।
শিক্ষকদের দাবি-দওয়ার সবকিছু বিএনপির ৩১ দফার কর্মসূচিতে আছে দাবি করে দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, আমাদের জাতি হিসেবে আপনাদের কাছে একটা দাবি আছে, সে দাবিটা হচ্ছে যে আপনারা আপনাদের ছাত্রদেরকে ছাত্রীদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে এমন করে গড়ে তুলবেন, যেন তারা সত্যিকার অর্থেই আদর্শ নাগরিক হতে পারে, নৈতিকতার মধ্যে থাকতে পারে। আমরা সবাই মিলে যেন একটা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদেন মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুগিজউদ্দিন চৌধুরী।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রীতাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য