রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন শাখা ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে আগস্ট ২০২৫ ভিত্তিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সিলেটের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ হতে আদায়, লো কস্ট, নো কস্ট আমানত সংগ্রহ, নতুন হিসাব খোলা, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ, গ্রাহকদের নিকট প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেয়া এবং মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তানভীর এবং আদায় বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মাহমুদুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক কমল ভট্টাচার্য্য।
এ সময় ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, জয়া চৌধুরী, বিপ্লব কুমার তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, মাসুক-ই-এলাহী ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন কর্পোরেট শাখার নির্বাহীগণসহ সকল শাখা ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বেরিস একিঞ্চি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিখাতে নতুন অংশীদারত্বের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত একিঞ্চি বলেন, ‘এটি আমার বাংলাদেশের প্রথম সফর।” তিনি বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন। একই সঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ককে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও উচ্চতায় নিতে চাই। জুলাই বিপ্লবের পর এটি এক নতুন সূচনা—দুই দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসহ বহু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
তিনি জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করায় তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী একিঞ্চি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক সবসময় শিক্ষা উন্নয়নে উৎসাহ দেয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৃত্তি ও বিনিময় কর্মসূচি চালু রেখেছে।’
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক এবং পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে।
বুধবার রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মশালায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে তা তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্মাতাদের চলচ্চিত্রের মান আরও উন্নত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে গত ০৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে ‘সিকিউরিটি কালচার ইন এভিয়েশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিমান চলাচল খাতে নিরাপত্তা সংস্কৃতির (Security Culture) গুরুত্ব তুলে ধরা এবং বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
উক্ত কর্মশালা স্বাগত বক্তা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক জনাব প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী (Prasanta Kumar Chakraborty) । তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিমান চলাচলে সার্বিক নিরাপত্তা বলয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা মানে হলো এমন একটি মানসিকতা তৈরি করা যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের অবস্থান থেকে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। বিমানবন্দরসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা এবং যাত্রী ও বিমান চলাচলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দরসমূহে একটি Positive Security Culture প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যেতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল; এভিয়েশন সিকিউরিটি কালচারের ধারণা ও গুরুত্ব, দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিরাপত্তা সংস্কৃতি সংযুক্ত করার পদ্ধতি, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের ভূমিকা এবং এভিয়েশন নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবেদন ও প্রতিক্রিয়া প্রদানের কৌশল।
উক্ত কর্মশালায় বেবিচক এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কার্যকর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা কেবল নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নয়—বরং এটি বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেকের সম্মিলিত দায়িত্ব ও অংশগ্রহণের বিষয়।
এছাড়া দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদার করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারী "নিরাপত্তা সবার আগে" এই মনোভাব পোষণ করে বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাত আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই কর্মশালাটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (ICAO) গ্লোবাল এভিয়েশন সিকিউরিটি প্ল্যান (GASeP)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বিমান চলাচল নিরাপত্তা জোরদারে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রচেষ্টারই অংশ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এ সময় ১৫ মিনিট দূরত্বের ৩ ঘণ্টা আটকা পড়ে অবশেষে মোটরসাইকেলের উদ্দেশ্যে গন্তব্যে পাড়ি দেন।
এরআগে, বুধবার ঢাকা থেকে রেলপথে আসেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। সকালে তিনি নামেন উপজেলার রেলওয়ে জংশনে। সেখান থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে আশুগঞ্জ উপজেলার হোটেল উজানভাটিতে যাত্রাবিরতি করেন। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে বাহাদুরপুরে তিনি তীব্র যানজটের কবলে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেন উন্নীত করার কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ধীরগতির কারণে মহাসড়কের এ অংশ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা।
এ অবস্থায় এই প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে আসেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তাই গত রোববার থেকে সড়কের খানাখন্দের ভরাট শুরু করা হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চালানোর ফলে গেল তিন দিন ধরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে মহাসড়কে। বুধবার সকাল থেকে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, উপদেষ্টা মহোদয় আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটের আটকা পড়েন তিনি।
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের পাশে অবস্থিত স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হোস্টেলের পরিচালিকার বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ওই ছাত্রীকে রুমে আটকে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ এসে পরিচালিকাকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
তিনি জানান, ওই রাতে তার এক আত্মীয় স্বপ্ননিবাস হোস্টেলে দেখা করতে আসেন। বিষয়টি জানার পর হোস্টেলের পরিচালক অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন এবং তাকে রুমে আটকে রাখেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে বন্ধুরা আমাকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও পরিচালিকা বাধা দেন।
এ ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে সঙ্গে নিয়ে হোস্টেলে যান। তারা পরিচালিকার গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান হলের ভিপি, সূর্যসেন হলের ভিপি এবং হাজি মুহাম্মদ মুহসিন হলের সমাজসেবা সম্পাদকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হোস্টেলের পরিচালিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলার সবগুলো জাহাজ আটক করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক যাত্রীরা সবাই সুস্থ্য ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) জানিয়েছে, আজ (বুধবার) তিনটি ছোট জাহাজে আক্রমণ করে ইসরাইল। এই তিনটিতে আক্রমণের আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দ্য কনশেনস নামে একটি জাহাজে হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক, ডাক্তার ও অধিকর্মীসহ ৯৩ জন যাত্রী ছিলেন।
সব যাত্রীকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএফসি।
ইসরাইল জানিয়েছে, গাজার ওপর আরোপ করা সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টাকারী একটি নতুন নৌবহরকে আটকে দেয়া হয়েছে। তাদের জাহাজ এবং যাত্রীদের আটক করে একটি ইসরাইলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ‘নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীদের একটি ইসরাইলি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। যাত্রীদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌবহরে নয়টি জাহাজ রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে নৌবহরটি।
মন্তব্য