কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে স্থানীয়দের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের দ্রুত তৎপরতায় নৌকার সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা নিখোঁজ হননি। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার নং ৮৪/৩ থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দক্ষিণে ডিগ্রি চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সৃষ্ট চরে হাত দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১৫ জন আরোহী বহনকারী একটি নৌকা প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।
ঘটনাটি নদীর তীর থেকে প্রত্যক্ষ করে উদয়নগর বিওপির টহলরত দল দ্রুত চারটি নৌকা নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে নামে। তাদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, যদিও নৌকাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে উদয়নগর বিওপির টহল দল নৌযোগে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তারা প্রবল স্রোতের সময় নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে না যান।
উদয়নগর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার পরপরই আমাদের টহল দল ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সকল আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব মহোদয় প্রকল্পের স্টেক ইয়ার্ড-৪ বাইপাইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
মতবিনিময় সভায় সচিব সেতু বিভাগ প্রকল্পের গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের উপর তাগিদ প্রদান করেন। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি কারার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সচিব মহোদয় সভায় আরও বলেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পের কাজের কারণে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করে যথাযথভাবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সচিব মহোদয় গুরুত্ব আরোপ করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি সেক্রেটারি ছিল বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোজা, যারা একেক জন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তা-ভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায় তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে জার্মানি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির নবনিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জার্মানিকে আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের বাণিজ্যকে বহুমুখী করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, যা আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের ১০.৯৬ শতাংশ। এ সময় উপদেষ্টা জার্মানির আমদানিকারকদের প্রতি আরও বেশি পরিমাণে এ দেশের তৈরি পোষাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জার্মানি একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তার দেশ বাংলাদেশের সাথে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৫০ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি মূল্য পরিশোধ করেছে ৯৪০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন উপস্থিত ছিলেন।
মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনি হোসেন (৩০) নামের এক অসাধু জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ। পরে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আরও ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছিল।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ, দৌলতপুর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় বর্তমানে পদ্মা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকের অভিযানে ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এসম এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের দুই প্রার্থী। তারা হলেন, ভিপি প্রার্থী সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সালমান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদল কর্মী। মঙ্গলবার চাকসু ভবনে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তটি জানান এই দুই প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, আর ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য ছিল গর্বের বিষয়। ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন সালমান বলেন, ‘আজকের এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি, ব্যক্তির চেয়ে দল কতখানি বড়।
ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, দল থেকে কোনো চাপ নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর চাকসু নির্বাচনে দল থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দলের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই দুই প্রার্থী।
তারা আরো জানান, তাদের প্যানেল থেকে শুধু তারাই সরে এসেছেন। বাকিরা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।
“টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫” উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহন করেন জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার।
ওরিয়েন্টেশনে জেলা প্রশাসক বলেন, জনকল্যাণে ইউনিসেফের সহায়তায় এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত এ বিষয়টিকে আপনারা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গণমাধ্যমে তুলে ধরে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন, তাহলে সবচেয়ে বেশী উপকৃত আপনাদের মাদারীপুরবাসি। আমরা চাই ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু টাইফয়েড এর টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আসুক, কেউ যেনো টিকা থেকে বাদ না যায় এবং টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিকলাঙ্গ পঙ্গু অথবা মৃত্যুবরণ না করে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ বেনজীর আহম্মেদ এবং মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগে (এলজিইডি) এর উপ-সচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিগার সুলতানা, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকতা মোঃ শহীদুল ইসলাম মুন্সী, মাদারীপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে টাইফয়েড জ্বরের টিকার কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও ব্যাখ্যা দেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ডিজিটাল পর্দায় ভার্চুয়ালি ঢাকা থেকে যোগদান করেন গণসংযোগ অধিদপ্তর (কারিগরি ও প্রশিক্ষণ) এর উপ-পরিচালক কাজী শাম্মিনাজ আলম।
শেরপুরের গারো পাহাড়ের হলদিগ্রাম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার কালে মানব পাচারকারীসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার গভীর রাতে গারো পাহাড়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি হতে ৮শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গজারী বাগান নামক স্থান হতে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশী ১৮ নাগরিক ভারতের চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে প্রত্যেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে যাওয়ার জন্য দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করে। সে অনুযায়ী তাদেরকে গারো পাহাড় এলাকায় আনা হয়। গারো পাহাড়ী এলাকার হলদীগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে মানব পাচার হওয়ার খবরে হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা নজরদারীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে দুই পাচারকারী, ১৮জন অনুপ্রবেশকারী ও ৪ জন সিএনজি চালকসহ ২৪জনকে আটক করে। আটককৃত ১৮ অনুপ্রবেশকারী সবাই রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তবে মানবপাচারকারী প্রধান হোতা নালিতাবাড়ী উপজেলার বরুঙ্গা এলাকার মহিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যায়।
পাচারকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কুদালকাটির মিলন হক ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া। অনুপ্রবেশকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলার বার বশিয়া ঘনটলার আনারুল ইসলামের ছেলে মজিবুর রহমান, গোটাপাড়ার শাহরিয়ার ইমন, ওয়াহিদ, কুরবান আলী, মিঠুন আল, জয়নুল হোসেন, ইব্রাহীম, মাহাবুর, আখতারুল, শাকিল, ইয়াকুব আলী, চরবাগডাঙ্গার তারিফ, আসমাউল, গোটাত্তপাড়ার মামুন, গোদাগাড়ী উপজেলার লারেংপুরের পানিহারের আজাহারের ছেলে মোঃ আকবর, চরআসরাদাও বিপ্লব হোসেন, মতিহার উপজেলার মাসকাটাদিঘীর তৌফিক ওমর (২৩) ও নাটর সদরের কৈপারিকৃষ্ণপুরের রতন আলী। পরে আটককৃতদের ৭ অক্টোবর দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইগাতী ওসি আল আমিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য