কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় কমিটির সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার এনজিও কর্মকর্তাদের নিয়ে
এনজিও সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন দুস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার এনজিও পরিচালক মো. হারুনার রশীদ বুলবুল, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। অনুষ্ঠানে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মানব উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অত্র এলাকার অসহায় দরিদ্র, শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানব উন্নয়ন সংস্থা। বর্তমানে ‘মানব উন্নয়ন সংস্থা’ কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাঙ্গা অঞ্চলে ১০টি গ্রামে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, কেশবপুর সকল জিও-এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করলে কেশবপুরের উন্নয়ন সম্ভব। অনুষ্ঠানে (জিইপি) এনজিও কর্মকর্তার মাধ্যমে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয় গুরুত্ব দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, দুস্থ শিশুশিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মো. হারুনার রশীদ, সমাধান এনজিও সিনিয়র ম্যানেজার মুনছুর আলী, রিইব এনজিও সমন্বয়ক খালেদ হাসান, ভানু রানী, সুবোধ মিত্র মেমোরিয়াল অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, এস আর যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, মায়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মিলন হোসেন, কামরুজ্জামান রাজু ফিল্ড অফিসার ভাব, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির বুলবুল ইসলাম, ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর এনজিও কর্মকর্তারা, সুপিয়া পারভীন, মনিরা খানম, সবুরোন নেছা, মোসলেম উদ্দিন, মো. মোসলেম উদ্দিন মানব উন্নয়ন সংস্থা মনিরা খানম জীবিকা নারী উন্নয়ন সংস্থা, বিপ্লব কুমার পাল এনডিও ম্যানেজার প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি সেক্রেটারি ছিল বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করছে তা আপনারা প্রত্যেকেই ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোজা, যারা একেক জন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজেটিভ ছাড়া পাচ্ছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে। এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে, তখন দাবি, চিন্তা-ভাবনা, দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো মিলে যায় তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসাথে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে জার্মানি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির নবনিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জার্মানিকে আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় দেশের বাণিজ্যকে বহুমুখী করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, যা আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের ১০.৯৬ শতাংশ। এ সময় উপদেষ্টা জার্মানির আমদানিকারকদের প্রতি আরও বেশি পরিমাণে এ দেশের তৈরি পোষাক, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাদুকা, সাইকেল এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে জার্মানি একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তার দেশ বাংলাদেশের সাথে চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখবে।এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জার্মানিতে ৪ হাজার ৮৫০ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং আমদানি মূল্য পরিশোধ করেছে ৯৪০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন উপস্থিত ছিলেন।
মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রায় ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনি হোসেন (৩০) নামের এক অসাধু জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ। পরে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আরও ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছিল।
অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ, দৌলতপুর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় বর্তমানে পদ্মা নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকের অভিযানে ৩ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এসম এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়ালেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের দুই প্রার্থী। তারা হলেন, ভিপি প্রার্থী সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান ও দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সালমান। তারা উভয়ই শাখা ছাত্রদল কর্মী। মঙ্গলবার চাকসু ভবনে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তটি জানান এই দুই প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে সাঈদ মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতিটি শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, আর ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য ছিল গর্বের বিষয়। ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন সালমান বলেন, ‘আজকের এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি, ব্যক্তির চেয়ে দল কতখানি বড়।
ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি এই সংগঠনকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, দল থেকে কোনো চাপ নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। দীর্ঘদিন পর চাকসু নির্বাচনে দল থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দলের বৃহত্তর স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এই দুই প্রার্থী।
তারা আরো জানান, তাদের প্যানেল থেকে শুধু তারাই সরে এসেছেন। বাকিরা নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।
“টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫” উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহন করেন জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার।
ওরিয়েন্টেশনে জেলা প্রশাসক বলেন, জনকল্যাণে ইউনিসেফের সহায়তায় এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত এ বিষয়টিকে আপনারা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গণমাধ্যমে তুলে ধরে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন, তাহলে সবচেয়ে বেশী উপকৃত আপনাদের মাদারীপুরবাসি। আমরা চাই ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু টাইফয়েড এর টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আসুক, কেউ যেনো টিকা থেকে বাদ না যায় এবং টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিকলাঙ্গ পঙ্গু অথবা মৃত্যুবরণ না করে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ বেনজীর আহম্মেদ এবং মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগে (এলজিইডি) এর উপ-সচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিগার সুলতানা, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকতা মোঃ শহীদুল ইসলাম মুন্সী, মাদারীপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে টাইফয়েড জ্বরের টিকার কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও ব্যাখ্যা দেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ডিজিটাল পর্দায় ভার্চুয়ালি ঢাকা থেকে যোগদান করেন গণসংযোগ অধিদপ্তর (কারিগরি ও প্রশিক্ষণ) এর উপ-পরিচালক কাজী শাম্মিনাজ আলম।
শেরপুরের গারো পাহাড়ের হলদিগ্রাম সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার কালে মানব পাচারকারীসহ ২৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার গভীর রাতে গারো পাহাড়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি হতে ৮শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গজারী বাগান নামক স্থান হতে ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশী ১৮ নাগরিক ভারতের চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে প্রত্যেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে যাওয়ার জন্য দালাল চক্রের সাথে লেনদেন করে। সে অনুযায়ী তাদেরকে গারো পাহাড় এলাকায় আনা হয়। গারো পাহাড়ী এলাকার হলদীগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে মানব পাচার হওয়ার খবরে হলদীগ্রাম বিওপি'র দায়িত্বরত বিজিবি‘র জোয়ানরা নজরদারীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে দুই পাচারকারী, ১৮জন অনুপ্রবেশকারী ও ৪ জন সিএনজি চালকসহ ২৪জনকে আটক করে। আটককৃত ১৮ অনুপ্রবেশকারী সবাই রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তবে মানবপাচারকারী প্রধান হোতা নালিতাবাড়ী উপজেলার বরুঙ্গা এলাকার মহিদুল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যায়।
পাচারকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কুদালকাটির মিলন হক ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া। অনুপ্রবেশকারীরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলার বার বশিয়া ঘনটলার আনারুল ইসলামের ছেলে মজিবুর রহমান, গোটাপাড়ার শাহরিয়ার ইমন, ওয়াহিদ, কুরবান আলী, মিঠুন আল, জয়নুল হোসেন, ইব্রাহীম, মাহাবুর, আখতারুল, শাকিল, ইয়াকুব আলী, চরবাগডাঙ্গার তারিফ, আসমাউল, গোটাত্তপাড়ার মামুন, গোদাগাড়ী উপজেলার লারেংপুরের পানিহারের আজাহারের ছেলে মোঃ আকবর, চরআসরাদাও বিপ্লব হোসেন, মতিহার উপজেলার মাসকাটাদিঘীর তৌফিক ওমর (২৩) ও নাটর সদরের কৈপারিকৃষ্ণপুরের রতন আলী। পরে আটককৃতদের ৭ অক্টোবর দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ঝিনাইগাতী ওসি আল আমিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভারত মহানন্দা নদীর ফুলবাড়ী বাঁধের ৯টি গেট এক সাথে খুলে দেয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ঝাড়ুয়াপাড়া এলাকায় মহানন্দা নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ১ কিলো মিটার নদীর দুই পাশ্বের সাইট ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
গত রবিবার ভোররাতে অতি বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে মহানন্দার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এতে ভারত শিলিগুড়ি শহরের ফুলবাড়ি নামক স্থানে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত বাঁধের ৯টি গেট একসংগে খুলে দেয়। এতে ১৫-২০ ফুট উঁচু থেকে পানি মহানন্দার বুকে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ সীমানায় নদীর তীরে আঘাত হানে।
ভারত দুপুরের পর পুনরায় বাঁধের গেট বন্ধ করে দিলে নদীর পানি কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের ঝাড়ুয়াপাড়া নামক এলাকায় তীররক্ষা বাঁধের তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে মহানন্দা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০০৩-০৪ সালে নির্মিত সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া আরও কয়েক কিলোমিটার নদী তীররক্ষা সিসি ব্লক বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় সীমান্তের ওপর লাগানো গাছপালা ও একটি টিনের ঘর ভেসে যায়। এতে ঝাড়ুয়াপাড়া, কাশিমগঞ্জ ও সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ভারত পুনরায় বাঁধের গেট খুলে দিলে নদী ভাঙন তীব্র আকার করার আতঙ্কে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের বাঁধের গেট বন্ধ রয়েছে ফলে মহানন্দা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ শফরাজ বান্ডা নদীতীর ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। গত সোমবার সকাল থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় সাময়িক রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে ফেলানো শুরু হয়েছে পঞ্চগড় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ জানান।
ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামের দুলাল, নাজির, নুর আলম ও রাশেদ জানান, ভারত ৯০ দশকের পর তাদের গ্রামের সহ তিনটি বিদ্যুতের স্টিল পোল স্থাপন করে নদীর পানি প্রবাহ ঘুরিয়ে দেন। তখন থেকে মহানন্দা নদীর পানি ওই গ্রোয়েন বাঁধে আঘাত পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত তীরে আছড়ে পড়ে এবং তখন থেকে নদীর পাড়ের ফসলি জমি ভাঙতে শুরু হয়।
এছাড়া তাদের প্রয়োজনে কোন রকম সতর্কতা বার্তা ছাড়াই গেট খুলে আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারছে যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আমরা বর্তমান সরকারের মাধ্যমে ভারতের এ আগ্রাসী মনোভাব থেকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকায় গত রবিবার এবং সোমবার পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগে বালি ভরে প্রাথমিক ভাবে বাধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ বলেন, মহানন্দা নদীর পুর্বের দেয়া সিসি ব্লক বাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শ করেছি। প্রাথমিকভাবে ১০ হতে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে বাধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা মাপজোঁক করে প্রকল্প বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রনালয়ের হতে বরাদ্দ এলে পুনাঙ্গ ভাবে কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য