× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Padmas horrific breakdown in Daulatpur Geo Bag project in the face of threat
google_news print-icon

দৌলতপুরে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গন: হুমকির মুখে জিও ব্যাগ প্রকল্প, মানববন্ধনে এলাকাবাসী

দৌলতপুরে-পদ্মার-ভয়াবহ-ভাঙ্গন-হুমকির-মুখে-জিও-ব্যাগ-প্রকল্প-মানববন্ধনে-এলাকাবাসী
ছবি: মানববন্ধন।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, বাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ প্রকল্প। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কোলদিয়াড় এলাকায় মানববন্ধন করেছে শত শত এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে কোলদিয়াড় গ্রামের নিচ দিয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়। বর্তমানে কোলদিয়াড় থেকে হাটখোলা পাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলমান প্রায় ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর ফলে শুধু মরিচা ইউনিয়নই নয়, পাশ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার রাইটা পাথরঘাটা থেকে দৌলতপুরের আল্লাহর দর্গা বাজার সংযোগ সড়ক, রাইটা-মহিষকুন্ডী বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ, ভুরকা-বৈরাগীরচর সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন হুমকির মুখে পড়বে।

এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, দুই এক দিনের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হবে।

এদিকে, ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Mahananda Sluice Gate opened the gate of Bangabandha 5 km dam

মহানন্দা স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধার ১ কি.মি বাঁধে ভাঙ্গন

মহানন্দা স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধার ১ কি.মি বাঁধে ভাঙ্গন

ভারত মহানন্দা নদীর ফুলবাড়ী বাঁধের ৯টি গেট এক সাথে খুলে দেয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ঝাড়ুয়াপাড়া এলাকায় মহানন্দা নদীর তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ১ কিলো মিটার নদীর দুই পাশ্বের সাইট ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

গত রবিবার ভোররাতে অতি বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে মহানন্দার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এতে ভারত শিলিগুড়ি শহরের ফুলবাড়ি নামক স্থানে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত বাঁধের ৯টি গেট একসংগে খুলে দেয়। এতে ১৫-২০ ফুট উঁচু থেকে পানি মহানন্দার বুকে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ সীমানায় নদীর তীরে আঘাত হানে।

ভারত দুপুরের পর পুনরায় বাঁধের গেট বন্ধ করে দিলে নদীর পানি কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তের ঝাড়ুয়াপাড়া নামক এলাকায় তীররক্ষা বাঁধের তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে মহানন্দা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০০৩-০৪ সালে নির্মিত সিসি ব্লক বাঁধের প্রায় ১ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এছাড়া আরও কয়েক কিলোমিটার নদী তীররক্ষা সিসি ব্লক বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় সীমান্তের ওপর লাগানো গাছপালা ও একটি টিনের ঘর ভেসে যায়। এতে ঝাড়ুয়াপাড়া, কাশিমগঞ্জ ও সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

ভারত পুনরায় বাঁধের গেট খুলে দিলে নদী ভাঙন তীব্র আকার করার আতঙ্কে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের বাঁধের গেট বন্ধ রয়েছে ফলে মহানন্দা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ শফরাজ বান্ডা নদীতীর ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। গত সোমবার সকাল থেকে ভাঙন কবলিত এলাকায় সাময়িক রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে ফেলানো শুরু হয়েছে পঞ্চগড় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ জানান।

ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামের দুলাল, নাজির, নুর আলম ও রাশেদ জানান, ভারত ৯০ দশকের পর তাদের গ্রামের সহ তিনটি বিদ্যুতের স্টিল পোল স্থাপন করে নদীর পানি প্রবাহ ঘুরিয়ে দেন। তখন থেকে মহানন্দা নদীর পানি ওই গ্রোয়েন বাঁধে আঘাত পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত তীরে আছড়ে পড়ে এবং তখন থেকে নদীর পাড়ের ফসলি জমি ভাঙতে শুরু হয়।

এছাড়া তাদের প্রয়োজনে কোন রকম সতর্কতা বার্তা ছাড়াই গেট খুলে আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারছে যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আমরা বর্তমান সরকারের মাধ্যমে ভারতের এ আগ্রাসী মনোভাব থেকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকায় গত রবিবার এবং সোমবার পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগে বালি ভরে প্রাথমিক ভাবে বাধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ বলেন, মহানন্দা নদীর পুর্বের দেয়া সিসি ব্লক বাঁধ ভাঙন এলাকা পরিদর্শ করেছি। প্রাথমিকভাবে ১০ হতে ১৫ হাজার জিও ব্যাগে বালি ভরে বাধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা মাপজোঁক করে প্রকল্প বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রনালয়ের হতে বরাদ্দ এলে পুনাঙ্গ ভাবে কাজ শুরু করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workshop held on the occasion of the typhoid immunization campaign in Naogaon

নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

“শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের অর্থায়নে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে নওগাঁয় জেলা পর্যায়ের এক পরামর্শমূলক মিডিয়া কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা ফায়জুল হক। সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মনির আলী আকন্দ, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. মাসুদুল ইসলাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর প্রতিনিধি ডা. লুৎফর রহমান।

কর্মশালায় টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধে দলগতভাবে টিকাগ্রহণের গুরুত্ব, বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও নারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর কার্যকর কৌশল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সফল টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nilphamaris bypass road is now dead to reduce traffic congestion

যানজট নিরসনে নীলফামারীর বাইপাস সড়ক এখন মরণফাঁদ

অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়ছে ২৩ কোটি টাকার সড়ক
যানজট নিরসনে নীলফামারীর বাইপাস সড়ক এখন মরণফাঁদ

নীলফামারী জেলা শহরে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে তিন বছর আগে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত করা হয় ৭ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে এ সড়কটি প্রশস্ত করা হয়েছিলো, তা অপূর্ণই রয়ে গেছে। সড়কটিতে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁকের কারণে এ পথ ধরতে অনীহা প্রকাশ করেন ভারী যানবাহনের চালকরা। এমনকি হালকা গাড়ির চালকরাও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন এই পথ। ৭ কিলোমিটারের এই বাইপাস সড়কে ছোট বড় ৪২টি বাঁক রয়েছে। যা বলা চলে রীতিমত একধরনের মরণফাদ। একটু হেরফের হলে দুর্ঘটনা অনিবার্য। যেহেতু বাইপাস তেমন কাজে আসছে না, তাই শহরের মূল সড়ক ধরেই অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘সৈয়দপুর হয়ে আঞ্চলিক সড়ক ধরে নীলফামারীর দিকে আসার পথে শহরের প্রবেশদ্বার মশিউর রহমান কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় বাইপাস সড়কটি। এরপর জেলখানা, পাঁচমাথা, ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড়, মায়ার মোড়, বড় দিঘির পাড়, শাহপাড়া, শিমুলতলী মোড়, পোড়পোড়ার মোড় হয়ে নটখানায় মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়কটি। সড়কের ৪২টি বাকের মধ্যে মধ্যে বাদিয়ার মোড় এলাকা থেকে পোড়পোড়ার মোড় পর্যন্ত ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁক রয়েছে বারোটি। মায়ার মোড়, বড় দিঘির পাড়, শাহ পাড়া, পোড়মোড়ার মোড় ও নটখানায় এলাকায় রায় প্রায় ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলের ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বাঁক। এই বাকগুলোতে বিপরীত দিক থেকে কোনো যানবাহনা কিংবা মানুষ যাতায়াত করছে কি না তা বুঝার কোনো উপায় নেই। এসব বাঁকে ঝুঁকি নিয়ে জেলার ডোমার, ডিমলা এবং পঞ্চগড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।’

কুষ্টিয়া থেকে ইটবোঝাই ট্রাক নিয়ে নীলফামারীর বাইপাস সড়ক দিয়ে ডোমারে যাচ্ছিলেন মকবুল হোসেন। বাইপাস সড়কের শিমুলতলী মোড়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সামান্য এ সড়কে চলতে গিয়ে ২৪টি বাঁক অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে আবার কিছু বাঁক মরণ ফাঁদ। এই বাঁকগুলো অতিক্রম করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে।’

জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার ট্রাকচালক মো. খতিবর রহমান খোকন জানান, ‘কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪২টি বাগ বা মোড় অতিক্রম (পাড়) করতে হয়। বিশেষ করে বড় ট্রাক (১০ চাকা) ও কোচ (বাস) বাইপাশ সড়কের বাগগুলোতে ঘুরানো যায় না। মানুষের দোকানে ও বাসাবাড়ীতে ঢুকে যায়। তাই সড়কটি সোজা করলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে ও শহরের লোক চলাচলের ঝুঁকি কমে আসবে।’

ইটাখোলা ইউনিয়নের শাহ্ পাড়ার বাসিন্দা মাহাবুল হোসেন বলেন, ‘বাদিয়ার মোড় থেকে পোড়পোড়ার মোড় পর্যন্ত সড়কটি অতি ঝুকিপূর্ণ বাক রয়েছে। এসব বাঁকে চালকদের মোড় ঘুরতে সমস্যা হয়, তেমনি সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় আমরাও সমস্যায় আছি। কিছুদিন আগে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক ঠিকমত মোড় নিতে না পেরে আমার বাড়ীর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।’

কান্দুরার মোড়ের মুদি দোকানদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটিতে অসংখ্য বাঁক থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় যানবাহন যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তেমনি অনেকে আহত হন। পাঁচ বছরে ছোটখাটো অর্ধশতাধিক যানবাহনকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে।’

নীলফামারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে তথ্য মতে, ‘মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে নটখানা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার। তিন দশমিক ৭০ মিটার প্রস্থের এটি ছিল একটি পুরাতন সড়ক। শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সেটিকে পাঁচ দশমিক পাঁচ মিটারে উন্নীত করে বাইপাস সড়কে রূপান্তর করে সওজ। ২০১৮ সালে ২৭ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তিন দশমিক ৭০ মিটার থেকে ৫ দশমিক পাঁচ মিটার প্রস্থ বৃদ্ধিকরণে মোট ব্যয় হয় ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।’

সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ‘৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে বাক বা মোড় (আঁকা বাঁকা) পড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪২টি। এটি সোজা করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বাইপাস সড়কটি চালু বা সোজা করতে গেলে প্রায় ৮ দশমিক ৪ একর জমির প্রয়োজন। এসব বাঁক সোজা করার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি, সেটি হয়ে গেলে খুব সহজে বাইপাস দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gangachara people are in terror even though Teestas water is down

তিস্তার পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে গঙ্গাচড়ার মানুষ

তিস্তার পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে গঙ্গাচড়ার মানুষ

তিস্তা নদীর পানি কমলেও গঙ্গাচড়া উপজেলার চর এলাকায় বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনো চোখে পড়ছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানি ও উজানের ঢলে নদীর তীরবর্তী এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর রক্ষা বাঁধে প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সেতু ও রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক প্রতিদিন যাতায়াত করা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর রক্ষা বাঁধের ক্ষতি চলতে থাকে ১১ আগস্ট থেকে। প্রথমে ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। সময়মতো সংস্কার না হওয়ায় ধস বৃদ্ধি পায়। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ মিটার।

নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা গ্রামের মধ্য চর বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্টু মিয়ার বাড়ির সামনে নদীভাঙন ঘটছে। এছাড়া মিনা বাজার সংলগ্ন আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজনের জমিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে মিনা বাজার থেকে বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট পর্যন্ত নির্মিত বাঁধের মাথাও ভাঙা শুরু হয়েছে। কাঁচারাস্তা ও ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি শাহ মো. ওবায়দুল রহমান জানান, সেতু রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন মিললেই দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকালাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে পানি কমছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

গত সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় ২০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
All the passengers rescued by the BGBs activities in Padma

পদ্মায় নৌকাডুবি, বিজিবির তৎপরতায় সকল আরোহী নিরাপদে উদ্ধার

পদ্মায় নৌকাডুবি, বিজিবির তৎপরতায় সকল আরোহী নিরাপদে উদ্ধার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে স্থানীয়দের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের দ্রুত তৎপরতায় নৌকার সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা নিখোঁজ হননি। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার নং ৮৪/৩ থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দক্ষিণে ডিগ্রি চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সৃষ্ট চরে হাত দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১৫ জন আরোহী বহনকারী একটি নৌকা প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়।

ঘটনাটি নদীর তীর থেকে প্রত্যক্ষ করে উদয়নগর বিওপির টহলরত দল দ্রুত চারটি নৌকা নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে নামে। তাদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় সকল আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, যদিও নৌকাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে উদয়নগর বিওপির টহল দল নৌযোগে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তারা প্রবল স্রোতের সময় নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে না যান।

উদয়নগর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার পরপরই আমাদের টহল দল ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সকল আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Keshabpur Upazila Monthly NGO Coordination Meeting held

কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কেশবপুর উপজেলা মাসিক এনজিও সমন্বয় কমিটির সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার এনজিও কর্মকর্তাদের নিয়ে

এনজিও সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন দুস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার এনজিও পরিচালক মো. হারুনার রশীদ বুলবুল, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। অনুষ্ঠানে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মানব উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অত্র এলাকার অসহায় দরিদ্র, শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানব উন্নয়ন সংস্থা। বর্তমানে ‘মানব উন্নয়ন সংস্থা’ কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাঙ্গা অঞ্চলে ১০টি গ্রামে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, কেশবপুর সকল জিও-এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করলে কেশবপুরের উন্নয়ন সম্ভব। অনুষ্ঠানে (জিইপি) এনজিও কর্মকর্তার মাধ্যমে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয় গুরুত্ব দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, দুস্থ শিশুশিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মো. হারুনার রশীদ, সমাধান এনজিও সিনিয়র ম্যানেজার মুনছুর আলী, রিইব এনজিও সমন্বয়ক খালেদ হাসান, ভানু রানী, সুবোধ মিত্র মেমোরিয়াল অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, এস আর যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, মায়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মিলন হোসেন, কামরুজ্জামান রাজু ফিল্ড অফিসার ভাব, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির বুলবুল ইসলাম, ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর এনজিও কর্মকর্তারা, সুপিয়া পারভীন, মনিরা খানম, সবুরোন নেছা, মোসলেম উদ্দিন, মো. মোসলেম উদ্দিন মানব উন্নয়ন সংস্থা মনিরা খানম জীবিকা নারী উন্নয়ন সংস্থা, বিপ্লব কুমার পাল এনডিও ম্যানেজার প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Breed 1 cultivation of a lot of affected farmers

চলনবিলে ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক!

চলনবিলে ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক!

নাটোরের সিংড়ায় সুপ্রিম বীজ এর ব্রিধান-৭৫ রোপা আমন ধান আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০ জন কৃষক। শতাধিক বিঘা জমি আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের পমগ্রামের কৃষকরা। ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে এসব কৃষকের মাথায় হাত । খরচের টাকাই উঠছে না এবার কৃষকদের। বিঘাকে বিঘা ধান জমিতেই পড়ে আছে কোনো কোনো কৃষকের। এবার এই গ্রামের এসব কৃষকদের মাঝে আনন্দ নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে দু:চিন্তা তাদের। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সিংড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে তারা এ বিষয়ে তারা সুপ্রিম বীজ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। তারা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।

কৃষকরা জানায়, এ বছর জুন মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রাক্তন সহকারী কৃষি অফিসার নিখিল এবং কেউ কেউ নাটোর সুপ্রিম ডিলার পয়েন্ট থেকে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করে। ২০২৪ সালে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ সংগ্রহ করে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মন ধান পেলেও এবার পাওয়া গেছে মাত্র ৪/৫ মন ধান ধান। যারা ধান কেটেছে তারা হতাশায় মাথায় হাত দিয়েছেন। আর যারা ধান কাটতে পারেনি তাদের ধান মাঠেই পড়ে আছে। বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার খরচের টাকা ও উঠছে না কৃষকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিধান-৭৫ রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধান জমিতেই পড়ে আছে। একটি গোছে কোনো ধান কাঁচা, কোনোটা পাকা, কোনোটার শীষ ফেটে গেছে।

কৃষক জিয়াউর জানান, আমি ৬ বিঘা জমিতে লীজ নিয়ে এবার ব্রিধান-৭৫ ধান আবাদ করি। কোম্পানি আমাদের অপক্ক বীজ দিয়েছে আমরা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিঘা প্রতি ৫/৬ মন ধান হবে। কাটার খরচই উঠবে না। তাই মাঠেই ধান পড়ে আছে।

কৃষক শাহিন আলম জানান, আমি ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেছি ৫ মন করে ধান পেয়েছি। অনেক লোকসানের সম্মুখীন। ৩০ কেজি বীজ ৩ হাজার টাকায় সংগ্রহ করি। আমরা কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত।

কৃষক আতাউর রহমান জানান, ৪ বিঘা জমিতে ৭৫ ধান রোপন করি। ১২ কেজি বীজ আমাকে দেয়। ধান কাটতে পারিনি। খরচের টাকাই উঠবে না। হতাশায় আছি। আমার লিজ নেয়া জমি। পরিবার নিয়ে দু:চিন্তায় আছি।

কৃষক আ. সালাম, শাহীনুর ইসলাম, সুমন, রাশিদুল, আ. মান্নান, আবুল কালাম, আ. সামাদ, আ. হাকিম, শাহিন আলম সহ অনেক কৃষক ব্রিধান-৭৫ আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বিঘা প্রতি ধান কাটা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা খরচ হবে সেখানে ধান কাটলে তারা ঘরে তুলতে পাচ্ছে ৪/৫ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ জানান, আমার কাছে ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক আসছিল। সরেজমিনে গিয়ে সত্যটা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।

প্রতি বছর ইরি - বোরো ধান এবং রোপা আমন ধান আবাদ করে চলনবিলের কৃষকরা। কিছু কিছু কোম্পানির নিম্নমানের বীজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

p
উপরে