রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহযোগিতা হিসেবে চেক বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭নম্বর শেডের সামনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারের হাতে সাড়ে ৭ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউওনও মো. নাহিদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রুহুল আমিন।
এ সময় ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে হঠাৎ আগুনে পুড়ে ১০ পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে শুকনা খাবার এই পরিবার গুলোর মাঝে পৌছে দিয়েছি। আজকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১০টি পরিবারের মাঝে সাড়ে ৭ হাজার টাকার ১০টি চেক পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি, এটা দিয়ে তাদের জরুরি ভিত্তিতে যেটা প্রয়োজন সেটা কিছুটা হলেও মেটাতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দের অনেক প্রবাসী ভায়েরা বিশ্বের অনেক দেশে আছেন, আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা এই অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ান। আপনাদের একটু সহযোগিতা পেলে তারা একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে যায়। এই শেডের ১০টি কক্ষে ১০টি পরিবার বসবাস করতো। তবে মঙ্গলবার রাতে সাতটি পরিবার ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি।
আগুনের খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের। এসব অসহায় দরিদ্র পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পরশুরামের রিকশাচালক সাগর আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি ১২০ টাকায় আবেদন করে পুলিশে চাকরি পেয়েছি, কাউকে কোনো উৎকোচ (ঘুষ) প্রদান করতে হয়নি। এ জন্য তিনি পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। সিএনজি চালক ইকবাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার পিতা সিএনজি চালক। আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। আমার ঘুষ দেওয়ার মতো অর্থ নেই, পুলিশে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছি।
কৃষক আব্দুল মতিন ছেলে আবু বকর ছিদ্দিক জানান, তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে একটি কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করেন। মাত্র ১২০ টাকা ফি’তে অনলাইনে আবেদন করে কনস্টেবল পদে সুযোগ পেয়ে যাবেন, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। তিনি বলেন, যদিও আগে বিভিন্ন লেনদেনের কথা শোনা যেত। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের লেনদেন ছাড়াই চাকরি পেয়েছি। আমাদের এই আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না।’
গত শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ লাইনের গ্রিল শেডে পুলিশে কনস্টেবল পদে চুড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশে যাওয়ার পূর্বে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছি। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০জনের কাছে সরাসরি জানতে চান- কাওকে টাকা দিয়েছে কি না, তারা সবাই জানায়, কাউকে টাকা দিতে হয়নি।
পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণদের উদ্দেশে বক্তব্যে বলেন, আপনারা সবাই চাকরি জীবনে সততার সাথে চাকরি করবেন। মানুষকে সেবা দিবেন। আপনারা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন। উত্তীর্ণ ২০ জনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেছেন, ফরিদপুরে পদ্মা নদী ভাঙন রোধে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সর্বপ্রথম ফরিদপুরের পদ্মা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় নদী ভাঙন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৪ থেকে ৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ঘরবাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েকশ’ পরিবার, এদের মধ্যে অনেকেই ছেলে সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়, আবার কেউ আছেন ভাড়া বাড়িতে। এলাকাবাসীর দাবি ছিল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অবশিষ্ট গ্রামটুকু হারিয়ে যাবে পদ্মা নদীর ভাঙনে।
বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নজরে আসলে সোমবার সকালে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙন কবলিত ৮৬ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, জেলা কৃষক দলের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তাকুজ্জামান মোস্তাক, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলমাস মন্ডল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরুখ ফয়সাল নিলয়, যুবদল নেতা পারভেজ বেপারী, ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলামসহ বিএনপি সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
পরে ভাঙন প্রতিরোধে এলাকাবসীদের সাথে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মতো বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়াতে আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়েও দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগ বলছে, আখ চাষ সম্প্রসারণে সরকারি প্রকল্প নেওয়া হবে, পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি জরিপ মৌসুমে কুমিল্লার মুরাদনগর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, বিপাড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গল কোট, লালমাই, বরুড়াসহ ১০ উপজেলায় প্রায় ৩০০ শত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০০ শত হেক্টর জমি।
অন্য জেলার তুলনায় আখ চাষ একসময় খুবই কম ছিল। তবে গত কয়েক বছরে লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক আখ চাষে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে উঁচু জমি ও বেলে-দোয়াশ মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা হোসেন মিয়া।
বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের কৃষক ইয়াছিন, খোকন মেম্বার, খায়ের মেম্বার, ফারুক আহম্মেদ,তা রু মিয়া, আলী নেওয়াজ তাদের নিজ ধানি জমিতে গত কয়েক বছর যাবত আখ চাষ শুরু করেন। আখ ফলনে কৃষক ইয়াছিন জানান, গত বছর ১ লাখ টাকা খরচ করে এবার প্রায় ৩ লাখ টাকার আখ বিক্রি করেন। চলতি বছরেও তার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ভালো দামের আশায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ আখ চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি গুড় তৈরির জন্যও বেশ জনপ্রিয়।
কৃষক খোকন মেম্বার বলেন ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বেশি দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’
এলাকার আরেক কৃষক তারুমিয়া জানান, ‘আগে শুধু ধান করতাম। কিন্তু ধানে তেমন লাভ নেই। এখন আখ করে দেখছি খরচ কম, লাভ বেশি। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে আখ চাষ করব। ৯ মাসে ফলন আসে, আমাদের এলাকায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে এবার রংবিলাস ২০৮ নম্বর ও ৫৩২ নম্বর জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব আখ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লা জেলা ও ঢাকা, চট্টগ্রামের খুচরা ব্যবসায়ীরা জমিতে কন্টাক করে ক্রয় করে প্রতিকানি ৩-৪ লাখ টাকা। এতে ধারণা করা হয় প্রতি ১০০ আখ ৪০০০-৫০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে জমিতে।
স্থানীয় আখ বিক্রেতা খায়ের বলেন, ‘এলাকায় এখন আখের প্রচুর চাহিদা। বাজারে তুললেই বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকা দরে আখ বিক্রি করছি। এই আখ কার্তিক অগ্রহায়ণে রোপণ করা হয়, যত্ন দিয়ে কীটনাশক ছিটানোর পরে দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষা করে ফলন বিক্রির জন্য রেডি হয়। এই ফলনে কৃষকরা খুশি কারণ অল্প খরচে তিনগুণ লাভ। তাই চাষিরা আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আখ একটি অর্থকরী ফসল। একসময় আখ চাষ হারিয়ে যাচ্ছিল, তবে গত দুই বছর থেকে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় আখ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আরও বেশি করে আখ চাষে আগ্রহী হন সে জন্য প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে মোকাবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু আব্দুল্লা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমিতে তিনি ধানের মধ্যে ঘাস কাটতে গেছেন, তখন প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। তখন কোনো একসময় তিনি মারা যান।
ইউপি সদস্য আবু আব্দুল্লা জানান, সকাল থেকে অনেক খুজাঁখুজি হয় ফজলুর রহমানকে। পরিবারের সদস্যরা জানান ধানি জমিতে গেছেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কৃষি জমির মধ্যে ওনার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।
মৃত্যুট কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখের পুরো অংশ কালো হয়ে গেছে। বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘মৃত্যুর বিষয়টি শুনে আমি রওয়ানা হয়েছি। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে আমি এখনও নিশ্চিত না।’
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙামাটি জেলায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
সোমবার জেলার রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাজবন বিহারের র র আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
রাজবন বিহারের র র উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে ওইদিন রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।
এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজবন বিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুষ উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
রাজবন বিহার ছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যা নামলেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিহারগুলোতে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানসহ ফানুস ওড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আজকের (সোসবার) এই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।
কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাজবন বিহারের দেশের সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবন বিহারের র এই কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের র র উপসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করব, কিন্তু প্রতিহিংসায় যাব না। জনগণের ভোটে যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাই মিলে তাদেরকেই স্বাগত জানাব।
দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসন ভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার দুপুর ৩ টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসনভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি- ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন এবং বামপন্থি দলগুলোসহ সব দলের নেতারা একসঙ্গে বসেছে। আগামীর বাংলাদেশটা এমন হবে। সবার রাজনৈতিক আদর্শ নিজ নিজ দলের কাছে থাকবে। দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা সবাই এক থাকবো। আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলকে বলেছি- আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদ তারিয়েছি, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ফ্যাসিস্ট ভারতে চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের যেসব রং, রূপ রয়ে গেছে- এগুলো সব বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এজন্য মানুষকে বুঝাতে হবে, তাদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে- ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা।
তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছে- জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অতীতের তোকমা কেউ আর বিশ্বাস করে না। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট পেয়েছি- ডাকসু এবং জাকসুতে। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট আগামীর বাংলাদেশে আসবে। এজন্য অহমিকা শতভাগ বর্জন করতে হবে।
পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক মাওলানা আব্দুল বাসেত এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।
‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বসতি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ। সভাই প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।
এ সময় বক্তারা বলেন, নিরাপদ আবাসন তৈরিতে সরকারি নীতিমালা মেনে চলা উচিত।
মন্তব্য