রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় হঠাৎ বন্যায় তিস্তাপাড়ের অন্তত সাড়ে চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বর্ষণের ফলে নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাবে কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, নোহালী, গঙ্গাচড়া সদর, লক্ষীটারী ও মর্নেয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবদ্ধ এলাকায় বাগডোগরা, মিনারবাজার, আনন্দবাজার, বিনবিনা, চর মটুকপুর, চিলাখাল, বাগেরহাট, চর শংকরদহ, কাশিয়াবাড়ী, ইচলি ও চর ছালাপাকসহ শতাধিক বাড়ি, স্কুল ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। কৃষি জমি এবং ফসলও পানিতে ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত রোববার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। সোমবার বেলা ১১টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। পানি নামতে শুরু করায় নদীর তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
চর শংকরদহের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘রাতারাতি পানি বেড়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এখন পানি নামছে, কিন্তু ভাঙনের কারণে কাল সকালে বাড়ি থাকবে কি না তা আমরা জানি না।’
গৃহবধূ রহিমা বেগম জানান, ‘আমরা তিন দিন ধরে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। বাচ্চা ও গরু নিয়ে পরিস্থিতি খুব কষ্টকর। এখনো ত্রাণ পাইনি।
কোলকোন্দের কৃষক সালাম উদ্দিন বলেন, ‘আমনের খেত দেড় একর ছিল। সব পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু খাওয়ানোর ঘাসও নেই।’
উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করীম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং তাদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকলাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয়। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয়রা দ্রুত ত্রাণ এবং নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
‘শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়। শিক্ষক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান মহোদয়ের নেতৃত্বে সকালে একটি র্যালি বের হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এ র্যালি পাবলিক হলে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাংগীর কবির আহমেদ।
এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পাবলিক হল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। বক্তব্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তাদের দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সাথে পালনের কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা এবং শিক্ষকদের সাথে সম্মান বজায় রেখে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাষিরহাট ইউনিয়নের রথী গ্রামের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আক্তার জানান, উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের রথী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। চাষিরহাট ইউনিয়নের শহীদ নামে এক ব্যক্তি এই বালু উত্তোলন করছিল। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাসের ধাক্কায় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। সোমবার দুপরে উপজেলার গুনাইহাটি এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরও তিনজন আহত হয়। নিহতেরা হলো, একই উপজেলার কালিকাপুর পূর্বপাড়ার আনসার আলী (৬০) পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক লরু প্রমাণিক (৫৫) এবং ধলা ঢাকাইয়া পাড়ার নয়ন আলী (২৩)। এসময় আহত হন নিহত আনসার আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪৫) ও তার দুই ছেলে রানা (৩৫) ও রাসেল (২৮)।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বগুড়া থেকে কুষ্টিয়াগামী কল্পনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস নাটোরের বড়াইগ্রামের গুনাইহাটি এলাকায় একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচরে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার চালকসহ তিনজন মারা যান। এসময় গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেই সাথে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ নারায়নপুর এলাকা থেকে বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা সদর ইউনিয়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে হাজি শুক্কুর আলী পরিবারের আয়োজনে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঙ্গরা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর সওদাগর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম।
উপজেলা যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও শ্রমিকদল নেতা গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজ, বিএনপি নেতা আলম মেম্বার, রহিম খা, আলমগীর মেম্বার, মাহবুব আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জসিম প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জামাল সওদাগর, আব্দুল কাদের মৌলভী, দুলু মিয়া, খোরশেদ মিয়া, সামসুল হক, যুবদল নেতা শেখ এরশাদসহ এলাকার বিপুলসংখ্যক সাধারণ নারী-পুরুষ ভোটার।
বৈঠিকে বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদকে নির্বাচিত করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমবেত প্রার্থনা, ছোয়াইং দান ও ধর্মীয় দেশনা'র মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব প্রবারনা পূর্ণিমা।
সোমবার সকাল থেকে বিহারে বিহারে ছোয়াইং দান সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় দেশনায় অংশ নেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সি মানুষ। প্রবারনাকে ঘিরে পাহাড়ী পল্লী গুলোতে চলছে নানা আয়োজন। ফানুষ উড়ানো পিঠা তৈরি রথ টানাসহ নানা আয়োজনে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ৩ দিনব্যাপী চলবে এ উৎসব। তাই উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। বিকালে উড়ানো হয় প্রবারনা পূর্ণিমার প্রধান আকর্ষণ ফানুস বাতি। এসময় সকল ধর্ম বর্ণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় বান্দরবান জেলা। তাই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নির্বিগ্নে উৎসব পালন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মূলত, আর্শিণী পুর্ণিমা থেকে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিনমাস বর্ষাবাস পালনের পর পালন করা হয় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারনা পূর্ণিমা বা ওয়াগ্যোয় পোয়ে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মতে প্রবারণা পূর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্বার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল তাই প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি আজো বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাই নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করে থাকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। পাড়ায় পাড়ায় পিঠা তৈরী, ফানুষ উড়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রথ টানা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী পালিত হবে প্রবারনা উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী মারমা বয়-বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোররা এইদিন সকালে বিহারে বিহারে গিয়ে ধর্মীয় গুরুদের চোয়াইং দান (ভান্তেদের ভাল খাবার পরিবেশন) করেন এবং সকালেই সমবেত প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনে অংশ নেবেন। এদিকে উৎসবকে ঘিরে পাড়ায় পাড়ায় চলছে রথ তৈরী ও ফানুষ বানানোর কাজ। মারমা যুবক যুবতীরা দল বেধে তৈরী করছে রঙ বেরঙের ফানুষ। শুধু তাই নয় প্রতিটি বিহারে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জার কাজ। শেষ মুহূর্তে নতুন পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে তরুণ-তরুণীরা।
মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, এই দিনের জন্য আমরা একটি বছর অপেক্ষা করে থাকি। এ বছর আমরা অনেক আনন্দ করবো। সকাল সকাল খেয়াং এ এসেছি, ছোয়াইং দান করেছি, প্রদীপ জালিয়েছি এবং প্রার্থনা করেছি। বিকালে আমরা সবাই মিলে ফানুস বাতি উড়াবো। সব মিলিয়ে এবারের প্রবারনা পূর্ণিমায় বন্ধু-বান্ধব ও স্বজন মিলে আনন্দ বিনিময় করব।
অন্যদিকে প্রবারনা উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানায় বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি বলেন, এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। তাই এ উৎসবটি যেন উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে পারে সেজন্য কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ডিউটি করবে। আশা করি এ ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে মারমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রাণের উৎসব। আর এই প্রাণের উৎসবে ভগবান বুদ্ধকে মনের আশা পুরণের জন্য কাগজে ফানুস বাতি তৈরি করে তাতে আগুন দিয়ে আকাশে উড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। প্রবারণা পুর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্বার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল তাই বুদ্ধের ত্রিশুল বিজড়িত এদিনটি প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে বিশেষ স্মরণীয় হয়ে আছে। আগামী ৭ অক্টোবর রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিনব্যাপী এই প্রবারনা উৎসব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৫ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা রুপ কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়ে চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে, পরের দুসপ্তাহে পাড়া মহল্লায় নির্ধারিত কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও জেলায় স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রেও এ টিকা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহযোগিতা হিসেবে চেক বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭নম্বর শেডের সামনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারের হাতে সাড়ে ৭ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউওনও মো. নাহিদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রুহুল আমিন।
এ সময় ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে হঠাৎ আগুনে পুড়ে ১০ পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে শুকনা খাবার এই পরিবার গুলোর মাঝে পৌছে দিয়েছি। আজকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১০টি পরিবারের মাঝে সাড়ে ৭ হাজার টাকার ১০টি চেক পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি, এটা দিয়ে তাদের জরুরি ভিত্তিতে যেটা প্রয়োজন সেটা কিছুটা হলেও মেটাতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দের অনেক প্রবাসী ভায়েরা বিশ্বের অনেক দেশে আছেন, আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা এই অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ান। আপনাদের একটু সহযোগিতা পেলে তারা একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে যায়। এই শেডের ১০টি কক্ষে ১০টি পরিবার বসবাস করতো। তবে মঙ্গলবার রাতে সাতটি পরিবার ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি।
আগুনের খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের। এসব অসহায় দরিদ্র পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মন্তব্য