মুন্সিগঞ্জে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল ও সুতার রিল জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
সোমবার ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত ৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রবিবার রাত ১১ টা হতে আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন দয়াল বাজার মাদবর বাড়ি এবং মিরকাদিম উত্তর কাজি কসবা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় ৩টি গোডাউন ও ৩টি কারখানা তল্লাশি করে প্রায় ১৫৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং জাল তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১২ হাজার পিস সুতার রিল জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল ও সুতার রিল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে মোকাবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু আব্দুল্লা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমিতে তিনি ধানের মধ্যে ঘাস কাটতে গেছেন, তখন প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। তখন কোনো একসময় তিনি মারা যান।
ইউপি সদস্য আবু আব্দুল্লা জানান, সকাল থেকে অনেক খুজাঁখুজি হয় ফজলুর রহমানকে। পরিবারের সদস্যরা জানান ধানি জমিতে গেছেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কৃষি জমির মধ্যে ওনার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।
মৃত্যুট কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখের পুরো অংশ কালো হয়ে গেছে। বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘মৃত্যুর বিষয়টি শুনে আমি রওয়ানা হয়েছি। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে আমি এখনও নিশ্চিত না।’
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙামাটি জেলায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
সোমবার জেলার রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাজবন বিহারের র র আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
রাজবন বিহারের র র উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে ওইদিন রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।
এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজবন বিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুষ উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
রাজবন বিহার ছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যা নামলেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিহারগুলোতে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানসহ ফানুস ওড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আজকের (সোসবার) এই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।
কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাজবন বিহারের দেশের সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবন বিহারের র এই কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের র র উপসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করব, কিন্তু প্রতিহিংসায় যাব না। জনগণের ভোটে যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাই মিলে তাদেরকেই স্বাগত জানাব।
দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসন ভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার দুপুর ৩ টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসনভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি- ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন এবং বামপন্থি দলগুলোসহ সব দলের নেতারা একসঙ্গে বসেছে। আগামীর বাংলাদেশটা এমন হবে। সবার রাজনৈতিক আদর্শ নিজ নিজ দলের কাছে থাকবে। দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা সবাই এক থাকবো। আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলকে বলেছি- আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদ তারিয়েছি, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ফ্যাসিস্ট ভারতে চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের যেসব রং, রূপ রয়ে গেছে- এগুলো সব বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এজন্য মানুষকে বুঝাতে হবে, তাদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে- ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা।
তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছে- জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অতীতের তোকমা কেউ আর বিশ্বাস করে না। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট পেয়েছি- ডাকসু এবং জাকসুতে। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট আগামীর বাংলাদেশে আসবে। এজন্য অহমিকা শতভাগ বর্জন করতে হবে।
পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক মাওলানা আব্দুল বাসেত এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।
‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বসতি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ। সভাই প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।
এ সময় বক্তারা বলেন, নিরাপদ আবাসন তৈরিতে সরকারি নীতিমালা মেনে চলা উচিত।
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে তৃতীয় দিনের অভিযানে জাল ও নৌকা জব্দ করে উন্মুক্ত নিলাম করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার সকালে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ছাত্তার মেম্বার পাড়া ও কলাবাগান এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও একটি নৌকা জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি ত্রিনাথ সাহা, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলমসহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের দল।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এ সময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় দিনের মতো পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকাটি উন্মুক্ত নিলামে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলার স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। জেলার পাঁচটি উপজেলার হাজারও মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসে এই হাসপাতালে।
ভর্তি ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা।
জরুরি সেবা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নেন এই হাসপাতালে।
আধুনিক সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড় এ চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ৩৭টির বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২২ জন। ১৫টি পদ শূন্য।
এর মধ্যে মেডিসিন কনসালটেন্ট, গাইনি কনসালটেন্টের পদ ও শূন্য রয়েছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদও শূন্য রয়েছে, একজন মেডিকেল অফিসারকে সাময়িকভাবে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই মেডিকেল অফিসারেরও সংকট প্রকট। প্রায় ১০টির মতো মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে।
বহির্বিভাগে প্রতিদিনই প্রায় ১২০০-১৪০০ রোগী সেবা নিচ্ছে, এর মধ্যে মহিলা রোগী সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬০০-৮০০, পুরুষ প্রায় ৩০০-৪০০, শিশু প্রায় ৩০০।
চিকিৎসককে একাধিক ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে শিশু বিভাগ, মেডিসিন, গাইনি ও সার্জারি বিভাগে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকায় সেখানে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হলেও, নার্স ও সেবা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় অনেক সময় জটিল রোগীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে।
ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তার সংকট বহুদিনের সমস্যা। আমাদের এখানে ৩৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। তা ছাড়া স্পেশালাইজড ডাক্তারও খুব কম। ফলে আমাদের চিকিৎসকদের একাধিক বিভাগে কাজ করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত নতুন ডাক্তার নিয়োগ হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
পঞ্চগড় জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একই সমস্যা বিরাজ করছে। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংখ্যা খুবই সীমিত। ফলে সেবার মান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত জেলা হিসেবে পঞ্চগড়ে চিকিৎসক নিয়োগে অনীহা দেখা যায়। অনেকে পদায়ন পেলেও যোগ দিতে চান না, আবার কেউ যোগ দিয়ে কিছুদিন পর বদলি হয়ে যান। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ জেলায় ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকলে আধুনিক হাসপাতাল থাকার কোনো সুফলই জনগণ পাচ্ছে না। দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি তুলেছেন তারা।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এখনকার বাস্তব চিত্র- দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় রোগী, ব্যস্ত নার্স ও সেবিকারা, আর একদিকে হিমশিম খাওয়া স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক।
স্বাস্থ্যসেবার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্রুত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। যদিও ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে; কিন্তু ডাক্তারও সরঞ্জাম নেই। এসব না থাকায় এ পর্যন্ত হাসপাতাল চালু হয়নি।
‘শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়। শিক্ষক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান মহোদয়ের নেতৃত্বে সকালে একটি র্যালি বের হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এ র্যালি পাবলিক হলে গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা বিনতে রফিক। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাংগীর কবির আহমেদ।
এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পাবলিক হল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। বক্তব্যে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তাদের দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সাথে পালনের কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা এবং শিক্ষকদের সাথে সম্মান বজায় রেখে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য