কফি সকলের কাছে পানীয় নয়! কারও কারও কাছে এটি আবেগ, সম্পর্ক আর ভালোবাসার প্রতীক। এমনকি প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। বিশ্বজুড়ে কফির যাত্রা, কফি চাষি ও উৎপাদকদের অবদানকে স্মরণ করতেই এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। চা বা কফি খেলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয়। তবে সেই কফির খাওয়ার জন্যে যদি আপনাকে দাম গুনতে হয় ৮৩ হাজার টাকা! তবে কি কফিপ্রেমীরা কফি খাবেন নাকি বাদ দেবেন খাওয়া-এমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল কফিশপ।
যেই কফিশপে পরিবেশন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এক কাপ কফি। এর দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম বা ৮২ হজার ৭৮৭ টাকা। এই কাপ কফির মাধ্যমেই তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফির কাপ। গত বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, রোস্টার্স নামের এই আমিরাতি কফিশপটির মোট ১৫টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আছে দুবাইয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ডাউনটাউন বুলেভার্ডে অবস্থিত তাদের প্রধান শাখায় গিনেস রেকর্ডটি হয়। সেদিন একজন ভাগ্যবান অতিথিকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা এক কাপ কফি পরিবেশন করেন রোস্টার্সের দক্ষ কর্মীরা।
কফিটি তৈরি করা হয় বিখ্যাত ভি৬০ পোর-ওভার পদ্ধতিতে। আর পরিবেশন করা হয় জাপানের ঐতিহ্যবাহী এডো কিরিকো ক্রিস্টাল গ্লাসে। যা হাতে তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খোদাই করা ছিল। কফির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় তিরামিসু ও সেই একই কফি বিন মিশ্রিত চকলেট আইসক্রিমের একটি স্কুপ।
এই অসাধারণ কফির মূল আকর্ষণ ছিল পানামার হাসিয়েন্ডা লা এসমেরালদা ফার্মের বিরল গেইশা জাতের কফি বিন। এই বিনগুলো বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান। কারণ এগুলো ফুলেল, ফলের মতো ও সাইট্রাস ঘ্রাণের জন্য বিখ্যাত। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত বেস্ট অব পানামা ২০২৫ নিলামে রোস্টার্স পুরো ২০ কিলোগ্রাম ওয়াশড গেইশা কফি লটটি কিনে নেয় ৬ লাখ ৪ হাজার মার্কিন ডলারে। তখন এটি বিশ্বের কফি শিল্পে সাড়া ফেলে দেয়।
রেকর্ড গড়া দিনের বিশেষ আয়োজনটি ছিল যেন এক শিল্পসম্ভার। কফি প্রস্তুত করা হয় অতিথির টেবিলের পাশে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত কেটলি ও কাঁচের ড্রিপার ব্যবহার করে। প্রতিটি ধাপের বিবরণ অতিথিকে জানানো হয় তথ্যসমৃদ্ধ কার্ডে। যাতে গেইশা বিনের উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও সুবাস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা ছিল।
যে অতিথি এই কফির স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন, তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে রোস্টার্স কর্তৃপক্ষ এই ইভেন্টটিকে তাদের ব্র্যান্ড প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কনস্টান্টিন হারবুজ বলেন, এই রেকর্ড আমাদের দলের নিষ্ঠা ও কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি। এটি প্রমাণ করে, দুবাই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কফি অভিজ্ঞতার কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিলাসবহুল কফি সংস্কৃতিতে দ্রুত উত্থান ঘটাচ্ছে দুবাই। এখানে কফি আর শুধু পানীয় নয়- এটি এখন রুচি, সংস্কৃতি ও অভিজাত অভিজ্ঞতার প্রতীক। আর সেই ধারায় রোস্টার্সের এই রেকর্ড কফি এখন পুরো বিশ্বের কফিপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেস্কো) মহাপরিচালক ড. সালিম এম. আল মালিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে ড. আল মালিক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস ও তাঁর বিশ্বব্যাপী প্রভাববিস্তারকারী উদ্যোগগুলোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্র, স্নাতক শেষের পথে, তখনই প্রথম আপনার ও গ্রামীণ ব্যাংকের কথা শুনেছিলাম। আপনার থ্রি জিরো তত্ত্ব তখন ব্যাংকিং থেকে খেলাধুলা, এমনকি পরিবেশ বৈঠক পর্যন্ত সর্বত্র আলোচিত ছিল। সেটি ছিল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে আইসেস্কো মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর আমি বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জেনেছি। আপনাদের উদ্যোগের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
ড. আল মালিক বৈঠকে প্রফেসর ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’— শূণ্য দারিদ্র্য, শূণ্য বেকারত্ব এবং শূণ্য নিট কার্বন নিঃসরণ —আইসেস্কোর শিক্ষা, যুব উন্নয়ন ও পরিবেশুবিষয়ক কৌশলগত পরিকল্পনায় যুক্ত করার অনুমতি চান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার তত্ত্বটিকে আমাদের মূল কৌশলের অংশ হিসেবে গ্রহণের অনুমতি চাইতে এসেছি। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মিশনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আইসেস্কোর চলমান কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, সংস্থাটি সদস্য দেশগুলোকে খাদ্য অপচয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়তা করছে। ‘ব্রুনেই, আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো ইতোমধ্যে আমাদের সহায়তায় উদ্যোক্তা কার্যক্রমকে সামাজিক ব্যবসা মডেলে রূপান্তর করেছে,’ বলেন তিনি।
প্রতিক্রিয়ায় প্রফেসর ইউনূস আইসেস্কোর শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ব্যবসা সম্প্রসারণে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর সি. আর. আবরার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় হঠাৎ বন্যায় তিস্তাপাড়ের অন্তত সাড়ে চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বর্ষণের ফলে নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাবে কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, নোহালী, গঙ্গাচড়া সদর, লক্ষীটারী ও মর্নেয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবদ্ধ এলাকায় বাগডোগরা, মিনারবাজার, আনন্দবাজার, বিনবিনা, চর মটুকপুর, চিলাখাল, বাগেরহাট, চর শংকরদহ, কাশিয়াবাড়ী, ইচলি ও চর ছালাপাকসহ শতাধিক বাড়ি, স্কুল ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। কৃষি জমি এবং ফসলও পানিতে ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত রোববার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। সোমবার বেলা ১১টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। পানি নামতে শুরু করায় নদীর তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
চর শংকরদহের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘রাতারাতি পানি বেড়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এখন পানি নামছে, কিন্তু ভাঙনের কারণে কাল সকালে বাড়ি থাকবে কি না তা আমরা জানি না।’
গৃহবধূ রহিমা বেগম জানান, ‘আমরা তিন দিন ধরে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। বাচ্চা ও গরু নিয়ে পরিস্থিতি খুব কষ্টকর। এখনো ত্রাণ পাইনি।
কোলকোন্দের কৃষক সালাম উদ্দিন বলেন, ‘আমনের খেত দেড় একর ছিল। সব পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু খাওয়ানোর ঘাসও নেই।’
উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করীম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং তাদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকলাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয়। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয়রা দ্রুত ত্রাণ এবং নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল ও সুতার রিল জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
সোমবার ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত ৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রবিবার রাত ১১ টা হতে আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন দয়াল বাজার মাদবর বাড়ি এবং মিরকাদিম উত্তর কাজি কসবা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় ৩টি গোডাউন ও ৩টি কারখানা তল্লাশি করে প্রায় ১৫৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং জাল তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১২ হাজার পিস সুতার রিল জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল ও সুতার রিল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
সম্প্রতি, বিশ্বের নাম্বার ওয়ান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড গ্রী খুচরা পর্যায়ের ক্রেতাদের ও গ্রাহকদের জন্য "গ্রী ফরচুন অফার" নামক মোবাইল ওয়েব অ্যাপস-ভিত্তিক এক বিশেষ অফার কার্যক্রম চালু করেছে। গ্রাহকেরা গ্রী বা হাইকো এসি ক্রয় করার পর, তাদের মোবাইলের মাধ্যমে গ্রী ফরচুন অফারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই অফারে অংশগ্রহণকারীরা মোবাইলের মাধ্যমে স্পিনিং হুইল ঘুরিয়ে নিশ্চিত উপহার জেতার সুযোগ পাবেন, যার মধ্যে রয়েছে নগদ ছাড় অথবা আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী। গ্রী ফরচুন অফার ইলেকট্রোমার্টের সকল রিটেইল শোরুম এবং পার্টনার শোরুমের মাধ্যমে সহজেই উপভোগ করা যাবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইলেকট্রো মার্ট, ২৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশে বিশ্বস্ততা, সুনাম ও আস্থার সাথে গ্রী এসি উৎপাদন ও সরবরাহ করে আসছে। গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং ভোক্তাদের অফুরন্ত ভালোবাসা ও আস্থার ফলস্বরূপ, গ্রী এসি বাংলাদেশে নাম্বার ওয়ান অবস্থান ধরে রেখেছে। গ্রী বাংলাদেশে একাধিক বার সুপার ব্র্যান্ড স্বীকৃতি অর্জনকারী একমাত্র এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ড। এছাড়াও গ্রী এসি একটানা ১৯ বছর ধরে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে আসছে। গ্রী এসি আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব ফিচারের জন্য বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত এবং জিরো কার্বন নিঃসরণের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কৃত হয়েছে।
সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অফিসের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রী ফরচুন অফার ঘোষিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে গ্রী'র প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যসহ স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রুপের ডিএমডি মোঃ নুরুল আফছার। তিনি বলেন, "দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, গ্রী দেশের গ্রাহকদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।" তিনি আরও জানান, "বিশ্বব্যাপী ১৮০টিরও বেশি দেশে প্রায় ৬০ কোটি গ্রাহক গ্রী এসি ব্যবহার করছেন, যা আমাদের গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক।" গ্রী এসি ঘরের বাতাসের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, পরিবেশকে রাখে নির্মল, সুন্দর ও জীবাণুমুক্ত। গ্রী এসি বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব এসি উৎপাদনের শীর্ষে রয়েছে।
সবশেষে, তিনি "গ্রী ফরচুন অফার" সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিক ও অতিথিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং এই অফারে অংশগ্রহণের নিয়মাবলি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রো মার্ট গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ এবং নুরুল আজিম সানি, জিএম-সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মাহমুদুন নবী চৌধুরী, এনএসএম-রিটেইল অপারেশন মো. জুলহক হোসাইন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন উৎসর্গ করা ফায়ারফাইটার মো. নুরুল হুদার পরিবারে জন্ম নিল নতুন প্রাণ। বাবার মৃত্যুর ১২ দিন পর আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেয় তাঁর পুত্র সন্তান। কিন্তু এই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখলেও দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা বাবাকে কখনোই দেখতে পাবে না।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নি নির্বাপণে নিয়োজিত হয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। পরে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ ঘটিকায় সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন এই অগ্নিযোদ্ধা। এ ঘটনায় আরও ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আরও ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও মৃত্যুবরণ করেন।
ফায়ারফাইটার মোঃ নূরুল হুদা ১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। নতুন সদ্যোজাত পুত্র সন্তান ছাড়াও ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার ১০ বছরের ১টি কন্যা ও ৩ বছরের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)ু এর সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস মগওয়ের সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আমি বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি তাঁদের সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি বাংলাদেশে আসতে, কারণ দেশটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে।’
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘প্রতিটি সফর অবহেলিত বিষয়গুলো সামনে আনে এবং আমাদের সেগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’
বৈঠকে তিনি তাঁর প্রয়াত বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর স্মৃতিচারণ এবং ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি তাঁদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
গাজার চলমান মানবিক সংকটও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
অ্যালিস মগওয়ে জানান, গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে এফআইডিএইচ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি গাজা ইস্যুতে প্রফেসর ইউনূসের অবিচল সংহতির প্রশংসা করেন।
মগওয়ে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি এবং আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।’
এফআইডিএইচ সভাপতি গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও বিরোধী মত দমনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন । একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখেন।
মগওয়ে বলেন, ‘তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় আমার চিন্তায় থাকে। আমি প্রতিদিন সকালবেলার প্রার্থনায় দেশটিকে স্মরণ করি।’
বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারু-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য