× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
One cup of coffee is priced at Tk 5000
google_news print-icon

এক কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা

এক-কাপ-কফির-দাম-৮৩-হাজার-টাকা

কফি সকলের কাছে পানীয় নয়! কারও কারও কাছে এটি আবেগ, সম্পর্ক আর ভালোবাসার প্রতীক। এমনকি প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। বিশ্বজুড়ে কফির যাত্রা, কফি চাষি ও উৎপাদকদের অবদানকে স্মরণ করতেই এ দিবসের আয়োজন করা হয়।

অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। চা বা কফি খেলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয়। তবে সেই কফির খাওয়ার জন্যে যদি আপনাকে দাম গুনতে হয় ৮৩ হাজার টাকা! তবে কি কফিপ্রেমীরা কফি খাবেন নাকি বাদ দেবেন খাওয়া-এমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল কফিশপ।

যেই কফিশপে পরিবেশন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এক কাপ কফি। এর দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম বা ৮২ হজার ৭৮৭ টাকা। এই কাপ কফির মাধ্যমেই তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফির কাপ। গত বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, রোস্টার্স নামের এই আমিরাতি কফিশপটির মোট ১৫টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আছে দুবাইয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ডাউনটাউন বুলেভার্ডে অবস্থিত তাদের প্রধান শাখায় গিনেস রেকর্ডটি হয়। সেদিন একজন ভাগ্যবান অতিথিকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা এক কাপ কফি পরিবেশন করেন রোস্টার্সের দক্ষ কর্মীরা।

কফিটি তৈরি করা হয় বিখ্যাত ভি৬০ পোর-ওভার পদ্ধতিতে। আর পরিবেশন করা হয় জাপানের ঐতিহ্যবাহী এডো কিরিকো ক্রিস্টাল গ্লাসে। যা হাতে তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খোদাই করা ছিল। কফির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় তিরামিসু ও সেই একই কফি বিন মিশ্রিত চকলেট আইসক্রিমের একটি স্কুপ।

এই অসাধারণ কফির মূল আকর্ষণ ছিল পানামার হাসিয়েন্ডা লা এসমেরালদা ফার্মের বিরল গেইশা জাতের কফি বিন। এই বিনগুলো বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান। কারণ এগুলো ফুলেল, ফলের মতো ও সাইট্রাস ঘ্রাণের জন্য বিখ্যাত। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত বেস্ট অব পানামা ২০২৫ নিলামে রোস্টার্স পুরো ২০ কিলোগ্রাম ওয়াশড গেইশা কফি লটটি কিনে নেয় ৬ লাখ ৪ হাজার মার্কিন ডলারে। তখন এটি বিশ্বের কফি শিল্পে সাড়া ফেলে দেয়।

রেকর্ড গড়া দিনের বিশেষ আয়োজনটি ছিল যেন এক শিল্পসম্ভার। কফি প্রস্তুত করা হয় অতিথির টেবিলের পাশে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত কেটলি ও কাঁচের ড্রিপার ব্যবহার করে। প্রতিটি ধাপের বিবরণ অতিথিকে জানানো হয় তথ্যসমৃদ্ধ কার্ডে। যাতে গেইশা বিনের উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও সুবাস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা ছিল।

যে অতিথি এই কফির স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন, তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে রোস্টার্স কর্তৃপক্ষ এই ইভেন্টটিকে তাদের ব্র্যান্ড প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কনস্টান্টিন হারবুজ বলেন, এই রেকর্ড আমাদের দলের নিষ্ঠা ও কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি। এটি প্রমাণ করে, দুবাই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কফি অভিজ্ঞতার কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিলাসবহুল কফি সংস্কৃতিতে দ্রুত উত্থান ঘটাচ্ছে দুবাই। এখানে কফি আর শুধু পানীয় নয়- এটি এখন রুচি, সংস্কৃতি ও অভিজাত অভিজ্ঞতার প্রতীক। আর সেই ধারায় রোস্টার্সের এই রেকর্ড কফি এখন পুরো বিশ্বের কফিপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sonimuri seizes dredger machine to illegally lift sand

সোনাইমুড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ড্রেজার মেশিন জব্দ

সোনাইমুড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ড্রেজার মেশিন জব্দ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চাষিরহাট ইউনিয়নের রথী গ্রামের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আক্তার জানান, উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের রথী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। চাষিরহাট ইউনিয়নের শহীদ নামে এক ব্যক্তি এই বালু উত্তোলন করছিল। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three passengers of Autorixa killed in a bus collision in Natore

নাটোরে বাসের ধাক্কায় অটোরিক্সার তিন যাত্রী নিহত

নাটোরে বাসের ধাক্কায় অটোরিক্সার তিন যাত্রী নিহত

নাটোরের বড়াইগ্রামে বাসের ধাক্কায় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। সোমবার দুপরে উপজেলার গুনাইহাটি এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরও তিনজন আহত হয়। নিহতেরা হলো, একই উপজেলার কালিকাপুর পূর্বপাড়ার আনসার আলী (৬০) পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক লরু প্রমাণিক (৫৫) এবং ধলা ঢাকাইয়া পাড়ার নয়ন আলী (২৩)। এসময় আহত হন নিহত আনসার আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৪৫) ও তার দুই ছেলে রানা (৩৫) ও রাসেল (২৮)।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বগুড়া থেকে কুষ্টিয়াগামী কল্পনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস নাটোরের বড়াইগ্রামের গুনাইহাটি এলাকায় একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচরে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার চালকসহ তিনজন মারা যান। এসময় গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেই সাথে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ নারায়নপুর এলাকা থেকে বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

মন্তব্য

মুরাদনগরের বাঙ্গরায় বিএনপির উঠান বৈঠক

মুরাদনগরের বাঙ্গরায় বিএনপির উঠান বৈঠক

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা সদর ইউনিয়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে হাজি শুক্কুর আলী পরিবারের আয়োজনে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঙ্গরা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর সওদাগর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম।

উপজেলা যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও শ্রমিকদল নেতা গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজ, বিএনপি নেতা আলম মেম্বার, রহিম খা, আলমগীর মেম্বার, মাহবুব আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জসিম প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জামাল সওদাগর, আব্দুল কাদের মৌলভী, দুলু মিয়া, খোরশেদ মিয়া, সামসুল হক, যুবদল নেতা শেখ এরশাদসহ এলাকার বিপুলসংখ্যক সাধারণ নারী-পুরুষ ভোটার।

বৈঠিকে বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদকে নির্বাচিত করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Buddhist community festival begins with the prayer in Bandarban

বান্দরবানে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শুরু হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারনা উৎসব

বান্দরবানে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শুরু হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারনা উৎসব

সমবেত প্রার্থনা, ছোয়াইং দান ও ধর্মীয় দেশনা'র মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব প্রবারনা পূর্ণিমা।

সোমবার সকাল থেকে বিহারে বিহারে ছোয়াইং দান সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় দেশনায় অংশ নেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সি মানুষ। প্রবারনাকে ঘিরে পাহাড়ী পল্লী গুলোতে চলছে নানা আয়োজন। ফানুষ উড়ানো পিঠা তৈরি রথ টানাসহ নানা আয়োজনে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ৩ দিনব্যাপী চলবে এ উৎসব। তাই উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। বিকালে উড়ানো হয় প্রবারনা পূর্ণিমার প্রধান আকর্ষণ ফানুস বাতি। এসময় সকল ধর্ম বর্ণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় বান্দরবান জেলা। তাই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নির্বিগ্নে উৎসব পালন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মূলত, আর্শিণী পুর্ণিমা থেকে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিনমাস বর্ষাবাস পালনের পর পালন করা হয় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারনা পূর্ণিমা বা ওয়াগ্যোয় পোয়ে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মতে প্রবারণা পূর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্বার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল তাই প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি আজো বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাই নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করে থাকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। পাড়ায় পাড়ায় পিঠা তৈরী, ফানুষ উড়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রথ টানা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী পালিত হবে প্রবারনা উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী মারমা বয়-বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোররা এইদিন সকালে বিহারে বিহারে গিয়ে ধর্মীয় গুরুদের চোয়াইং দান (ভান্তেদের ভাল খাবার পরিবেশন) করেন এবং সকালেই সমবেত প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনে অংশ নেবেন। এদিকে উৎসবকে ঘিরে পাড়ায় পাড়ায় চলছে রথ তৈরী ও ফানুষ বানানোর কাজ। মারমা যুবক যুবতীরা দল বেধে তৈরী করছে রঙ বেরঙের ফানুষ। শুধু তাই নয় প্রতিটি বিহারে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জার কাজ। শেষ মুহূর্তে নতুন পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে তরুণ-তরুণীরা।

মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, এই দিনের জন্য আমরা একটি বছর অপেক্ষা করে থাকি। এ বছর আমরা অনেক আনন্দ করবো। সকাল সকাল খেয়াং এ এসেছি, ছোয়াইং দান করেছি, প্রদীপ জালিয়েছি এবং প্রার্থনা করেছি। বিকালে আমরা সবাই মিলে ফানুস বাতি উড়াবো। সব মিলিয়ে এবারের প্রবারনা পূর্ণিমায় বন্ধু-বান্ধব ও স্বজন মিলে আনন্দ বিনিময় করব।

অন্যদিকে প্রবারনা উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে পালনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানায় বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি বলেন, এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। তাই এ উৎসবটি যেন উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে পারে সেজন্য কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ডিউটি করবে। আশা করি এ ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে মারমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রাণের উৎসব। আর এই প্রাণের উৎসবে ভগবান বুদ্ধকে মনের আশা পুরণের জন্য কাগজে ফানুস বাতি তৈরি করে তাতে আগুন দিয়ে আকাশে উড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। প্রবারণা পুর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্বার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল তাই বুদ্ধের ত্রিশুল বিজড়িত এদিনটি প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে বিশেষ স্মরণীয় হয়ে আছে। আগামী ৭ অক্টোবর রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিনব্যাপী এই প্রবারনা উৎসব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Typhoid vaccination for 1 lakh children in Chapainawabganj

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকাদানের কর্মপরিকল্পনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকাদানের কর্মপরিকল্পনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৫ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা তথ্য কর্মকর্তা রুপ কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়ে চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে, পরের দুসপ্তাহে পাড়া মহল্লায় নির্ধারিত কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও জেলায় স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রেও এ টিকা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of checks of the upazila administration among the families affected by the fire of Goalanda

গোয়ালন্দে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের চেক বিতরণ

গোয়ালন্দে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের চেক বিতরণ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহযোগিতা হিসেবে চেক বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা ১নং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭নম্বর শেডের সামনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারের হাতে সাড়ে ৭ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউওনও মো. নাহিদুর রহমান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. রুহুল আমিন।

এ সময় ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে হঠাৎ আগুনে পুড়ে ১০ পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে শুকনা খাবার এই পরিবার গুলোর মাঝে পৌছে দিয়েছি। আজকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১০টি পরিবারের মাঝে সাড়ে ৭ হাজার টাকার ১০টি চেক পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি, এটা দিয়ে তাদের জরুরি ভিত্তিতে যেটা প্রয়োজন সেটা কিছুটা হলেও মেটাতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দের অনেক প্রবাসী ভায়েরা বিশ্বের অনেক দেশে আছেন, আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা এই অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ান। আপনাদের একটু সহযোগিতা পেলে তারা একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে যায়। এই শেডের ১০টি কক্ষে ১০টি পরিবার বসবাস করতো। তবে মঙ্গলবার রাতে সাতটি পরিবার ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি।

আগুনের খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের। এসব অসহায় দরিদ্র পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demanding the construction of the Brahmaputra bridge in Kurigram

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র সেতুর নির্মাণের দাবি

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র সেতুর নির্মাণের দাবি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র সেতু দেশের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সময় ও পথ কমে জ্বালানি তেলের আমদানি কমার পাশাপাশি দেশের পরিবেশ রক্ষায় ভারসাম্য রাখবে। ফলে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি করতে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতুর নির্মাণে দাবি সর্বস্তরের মানুষের।

একটি সেতুর অভাবে মেলবন্ধন হচ্ছে না দেশের রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা বিভাগসহ প্রায় ২০টি জেলার। কুড়িগ্রামে চিলমারী-রৌমারী উপজেলা ঘেঁষা ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু তৈরি হলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবধান রাখবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ব্রহ্মপুত্র নদের সেতুটি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কষ্ট-যন্ত্রণা এবং দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতুর নির্মাণের দাবি করে আসছেন সুবিধাবঞ্চিত এ জনপদের মানুষ। জেলা শহরের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা মানুষের দু:খ কষ্ট দীর্ঘদিনের। কয়েক লাখ মানুষের পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা। অফিস-আদালতে আসতে পোহাতে হয় হাজারো বিড়াম্বনা। সময়-অর্থ দুটো নষ্ট হচ্ছে এই জনপদের মানুষের। বারবার দাবি উঠেছে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু নির্মাণের। চিলমারী- রৌমীরী পর্যন্ত সেতুর দাবিতে হয়েছে একাধিকবার আন্দোলনও। তারই ফলশ্রুতিতে কয়েক বছর পূর্বে পরিদর্শন করা হয় সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা স্থান। এরপর থেকে মুখ থুবড়ে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণের অগ্রগতি। বর্তমানে কুড়িগ্রাম শহর থেকে ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ যেতে হয় সিরাজগঞ্জ হয়ে যমুনা সেতু দিয়ে। ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণ হলে কুড়িগ্রাম শহর থেকে রৌমারী হয়ে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ হয়ে সিলেটের দুরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং ঢাকার সাথে ১০০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে। অপর দিকে গাইবান্ধার তিস্তা নদী উপর সদ্য নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুটি কোন কাজে আসছে না। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণ হলে বগুড়া, জয়পুরহাট,নওগাঁ জেলার কানেক্টিক সেতু হিসেবে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট যাতায়াত সহজ হয়ে আসবে।

শিক্ষার্থী রিনি আকতার বলেন, রৌমারী থেকে আসতে ভিষণ কষ্ট হয়। নৌপথে নারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ব্রহ্মপুত্র সেতু হলে আমাদের মতো অনেক গরীব শিক্ষার্থী কুড়িগ্রাম এসে পড়ালেখার সুযোগ পাবে।

মজিবর রহমান বলেন, রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও আদালতে বিচার প্রার্থীদের কুড়িগ্রাম এসে অফিসিয়াল কাজ করতে হলে একদিন আগেই আসতে হয়। কেননা নৌকা ছাড়া এ দুটি উপজেলার কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এতে করে আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র সেতু করা গেলে আমাদের জেলার অভূতর্পব উন্নয়ন হতো। শুধু তাই নই ঢাকার উপর চাপও কমে আসবে। কেননা কুড়িগ্রাম থেকে রৌমারী হয়ে ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে কাজ শেষ করে মানুষ চলে আসতে পারবে। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অথবা আগামীতে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা যেন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

কুড়িগ্রাম চেম্বারস অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন,দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত সেতুর দাবি জানানো হচ্ছে। এই সেতু হলে আন্তঃদেশীয় ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা, বাণিজ্য এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ ঘটবে। এতে করে কুড়িগ্রামে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

কুড়িগ্রাম মোটর-বাস মালিক সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান বকসী বলেন, ব্রহ্মপুত্র সেতু হলে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা ১০০কিলোমিটার কমবে। এরফলে বড় গাড়ি গুলোর ৬৫/৭০ লিটার তেল সাশ্রয় হবে।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু হলে দেশের অর্থনীতিতে আমুল পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি এই সেতু শুধু দেশের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে গুরুত্ব অপরিসীম।

মন্তব্য

p
উপরে