× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
All will need to ensure environmentally friendly disaster tolerant and decentral housing Environment Advisor
google_news print-icon

সবার জন্য পরিবেশ বান্ধব, দুর্যোগ-সহনশীল ও বিকেন্দ্রীকৃত আবাসন  নিশ্চিত করতে হবে :  পরিবেশ উপদেষ্টা

সবার-জন্য-পরিবেশ-বান্ধব-দুর্যোগ-সহনশীল-ও-বিকেন্দ্রীকৃত-আবাসন -নিশ্চিত-করতে-হবে- -পরিবেশ-উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সবার জন্য দুর্যোগ-সহনশীল, পরিবেশ বান্ধব ও বিকেন্দ্রীকৃত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বসতি কোনো বিলাসিতা নয়, এটিকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তিনি বলেন, শুধু শহরাঞ্চলে নয়, গ্রামাঞ্চলেও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক আধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, বরং বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পরিবহনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিশ্চিত করেই বসতি গড়ে তুলতে হবে।

আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে “পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া” প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তাঁর বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূমি পানির নিচে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই বাস্তবতায় এখন থেকেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে বিপুলসংখ্যক মানুষের পুনর্বাসন একটি ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (CSR) মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জলবায়ু সহনশীল আবাসন নির্মাণে মডেল প্রকল্প গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে প্রকল্প প্রস্তাব দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বার্থে একপাক্ষিক নগরায়ণ ও আবাসন ব্যবস্থা সমতা ও অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সংকুচিত করছে। ফলে একজন বিত্তশালী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হলেও একজন মধ্যবিত্ত নাগরিক একটি ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন না। বসতি নিশ্চিত করা তাই রাষ্ট্রের সংবিধানসম্মত দায়িত্ব এবং মানবাধিকারের অংশ হওয়া উচিত।

আলোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, উপকূলীয় শহরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত তীব্র আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা জনজীবন, কৃষি এবং নগর অবকাঠামোকে গভীর সংকটে ফেলে দিচ্ছে। এসকল সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো একটি পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার জন্য আমাদের ভূমির সঠিক ব্যবহার, গণপরিবহন ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা এবং নগর সেবায় আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যবহার বাড়ানো।

গণপূর্ত উপদেষ্টা আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণ শুধুমাত্র অবকাঠামোর উন্নয়ন নয়, এটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। আমরা যদি সমন্বিতভাবে ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করি, তবে বাংলাদেশের নগরগুলোর বর্তমান সংকটসমূহ মোকাবেলা করে এগুলোকে আমরা আধুনিক, টেকসই ও বসবাসযোগ্য নগর রূপে গড়ে তুলতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর ডেপুটি আবাসিক সমন্বয়কারী সোনালী দয়ারত্নে। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল মতিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোসাঃ ফেরদৌসী বেগম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মোঃ আসিফুর রহমান ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫’-এর স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং পরে তিনদিন ব্যাপী বসতি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। আলোচনা সভার পূর্বে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা নগর এলাকায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The son was born in the house of martyr firefighter Nurul Huda in the fire

অগ্নিদুর্ঘটনায় শহীদ ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার ঘরে জন্ম নিল পুত্র সন্তান

অগ্নিদুর্ঘটনায় শহীদ ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার ঘরে জন্ম নিল পুত্র সন্তান

টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন উৎসর্গ করা ফায়ারফাইটার মো. নুরুল হুদার পরিবারে জন্ম নিল নতুন প্রাণ। বাবার মৃত্যুর ১২ দিন পর আজ সোমবার সকাল ১০টা ৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেয় তাঁর পুত্র সন্তান। কিন্তু এই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখলেও দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা বাবাকে কখনোই দেখতে পাবে না।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নি নির্বাপণে নিয়োজিত হয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। পরে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ ঘটিকায় সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন এই অগ্নিযোদ্ধা। এ ঘটনায় আরও ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আরও ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও মৃত্যুবরণ করেন।
ফায়ারফাইটার মোঃ নূরুল হুদা ১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। নতুন সদ্যোজাত পুত্র সন্তান ছাড়াও ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার ১০ বছরের ১টি কন্যা ও ৩ বছরের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting of the President of International Human Rights Organization FIDH with the Chief Adviser

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এফআইডিএইচের সভাপতির বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এফআইডিএইচের সভাপতির বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ) এর সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)ু এর সভাপতি অ্যালিস মগওয়ে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস মগওয়ের সফরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আমি বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমি তাঁদের সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি বাংলাদেশে আসতে, কারণ দেশটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করছে।’

প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘প্রতিটি সফর অবহেলিত বিষয়গুলো সামনে আনে এবং আমাদের সেগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’

বৈঠকে তিনি তাঁর প্রয়াত বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর স্মৃতিচারণ এবং ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি তাঁদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।

গাজার চলমান মানবিক সংকটও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।

অ্যালিস মগওয়ে জানান, গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে এফআইডিএইচ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি গাজা ইস্যুতে প্রফেসর ইউনূসের অবিচল সংহতির প্রশংসা করেন।

মগওয়ে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি এবং আপনার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

এফআইডিএইচ সভাপতি গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় গুম ও বিরোধী মত দমনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন । একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখেন।

মগওয়ে বলেন, ‘তরুণরা পরিবর্তনের এক প্রবল তৃষ্ণা দেখাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় আমার চিন্তায় থাকে। আমি প্রতিদিন সকালবেলার প্রার্থনায় দেশটিকে স্মরণ করি।’

বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারু-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Turkeys Deputy Foreign Minister meeting with BNP Secretary General

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস সাক্ষাৎ করেন। ছবি : বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচি।

আজ দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

সাক্ষাতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও উপস্থিত রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রয়েছেন।

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্যও বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One cup of coffee is priced at Tk 5000

এক কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা

এক কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা

কফি সকলের কাছে পানীয় নয়! কারও কারও কাছে এটি আবেগ, সম্পর্ক আর ভালোবাসার প্রতীক। এমনকি প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। বিশ্বজুড়ে কফির যাত্রা, কফি চাষি ও উৎপাদকদের অবদানকে স্মরণ করতেই এ দিবসের আয়োজন করা হয়।

অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। চা বা কফি খেলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয়। তবে সেই কফির খাওয়ার জন্যে যদি আপনাকে দাম গুনতে হয় ৮৩ হাজার টাকা! তবে কি কফিপ্রেমীরা কফি খাবেন নাকি বাদ দেবেন খাওয়া-এমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল কফিশপ।

যেই কফিশপে পরিবেশন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এক কাপ কফি। এর দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম বা ৮২ হজার ৭৮৭ টাকা। এই কাপ কফির মাধ্যমেই তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফির কাপ। গত বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, রোস্টার্স নামের এই আমিরাতি কফিশপটির মোট ১৫টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আছে দুবাইয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ডাউনটাউন বুলেভার্ডে অবস্থিত তাদের প্রধান শাখায় গিনেস রেকর্ডটি হয়। সেদিন একজন ভাগ্যবান অতিথিকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা এক কাপ কফি পরিবেশন করেন রোস্টার্সের দক্ষ কর্মীরা।

কফিটি তৈরি করা হয় বিখ্যাত ভি৬০ পোর-ওভার পদ্ধতিতে। আর পরিবেশন করা হয় জাপানের ঐতিহ্যবাহী এডো কিরিকো ক্রিস্টাল গ্লাসে। যা হাতে তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খোদাই করা ছিল। কফির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় তিরামিসু ও সেই একই কফি বিন মিশ্রিত চকলেট আইসক্রিমের একটি স্কুপ।

এই অসাধারণ কফির মূল আকর্ষণ ছিল পানামার হাসিয়েন্ডা লা এসমেরালদা ফার্মের বিরল গেইশা জাতের কফি বিন। এই বিনগুলো বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান। কারণ এগুলো ফুলেল, ফলের মতো ও সাইট্রাস ঘ্রাণের জন্য বিখ্যাত। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত বেস্ট অব পানামা ২০২৫ নিলামে রোস্টার্স পুরো ২০ কিলোগ্রাম ওয়াশড গেইশা কফি লটটি কিনে নেয় ৬ লাখ ৪ হাজার মার্কিন ডলারে। তখন এটি বিশ্বের কফি শিল্পে সাড়া ফেলে দেয়।

রেকর্ড গড়া দিনের বিশেষ আয়োজনটি ছিল যেন এক শিল্পসম্ভার। কফি প্রস্তুত করা হয় অতিথির টেবিলের পাশে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত কেটলি ও কাঁচের ড্রিপার ব্যবহার করে। প্রতিটি ধাপের বিবরণ অতিথিকে জানানো হয় তথ্যসমৃদ্ধ কার্ডে। যাতে গেইশা বিনের উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও সুবাস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা ছিল।

যে অতিথি এই কফির স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন, তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে রোস্টার্স কর্তৃপক্ষ এই ইভেন্টটিকে তাদের ব্র্যান্ড প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কনস্টান্টিন হারবুজ বলেন, এই রেকর্ড আমাদের দলের নিষ্ঠা ও কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি। এটি প্রমাণ করে, দুবাই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কফি অভিজ্ঞতার কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিলাসবহুল কফি সংস্কৃতিতে দ্রুত উত্থান ঘটাচ্ছে দুবাই। এখানে কফি আর শুধু পানীয় নয়- এটি এখন রুচি, সংস্কৃতি ও অভিজাত অভিজ্ঞতার প্রতীক। আর সেই ধারায় রোস্টার্সের এই রেকর্ড কফি এখন পুরো বিশ্বের কফিপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মন্তব্য

ভারত থেকে ভেসে আসা ঢলে গাছের গুঁড়ি ধর‌তে গি‌য়ে নিখোঁজ ধান ব্যবসায়ী

ভারত থেকে ভেসে আসা ঢলে গাছের গুঁড়ি ধর‌তে গি‌য়ে নিখোঁজ ধান ব্যবসায়ী

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নে ভারত থেকে ঢলে ভেসে আসা গাছের গুঁড়ি সংগ্রহ কর‌তে গি‌য়ে দুধকুমার নদে এক ধান ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়নের খেলার‌ ভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে স্থানীয়‌দের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নি‌খোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে অভিযান শুরু ক‌রে। নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসার মে‌হেরু‌ন্নেসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নি‌খোঁজ ব্যবসায়ীর নাম মনসুর আলী (৪৫)। তিনি বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ইউনিয়নের খামার নকুলা এলাকার বাসিন্দা এবং ওই এলাকার আমজাদ হো‌সেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুর থেকে উজানের ঢলে দুধকুমার ন‌দের পানিতে হাজার হাজার গাছের গুঁড়ি ভেসে আসতে শুরু ক‌রে। ন‌দের তীরের লোকজন বিভিন্নভাবে সেগু‌লো সংগ্রহ করতে থাকেন। সোমবার সকালে অন্যদের মতো মনসু‌রও গাছের গুঁড়ি সংগ্রহ কর‌তে শুরু করেন। এ সময় হঠাৎ তিনি ন‌দের পানিতে নি‌খোঁজ হন। স্থানীয়‌দের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার খোঁজ শুরু করলেও সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত তা‌র কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসার মে‌হেরু‌ন্নেসা বলেন, নি‌খোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। তবে দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Want to make a transparent selection like the mirror CEC

আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই: সিইসি

আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই: সিইসি

আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চান উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এটা কোনও কথার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা মিডিয়াকে পার্টনার হিসেবে পেতে চাই।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আজকের সংলাপ শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়। আপনাদের মতামত নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। মিসইনফরমেশন, ডিসইনফেমেশন এড্রেস করার জন্য আপনাদের গুরুত্ব অনেক।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে ফেলেছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ফেলেছি। ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত করেছি, যাদের অনেকে ভোট দিয়ে যেতো, মিডিয়ায় এমন নিউজ দেখেছি। ৪৩ লাখের বেশি ভোটাযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে পেরেছি। নারী-পুরুষের ব্যবধান ৩০ লাখ ছিল। এখন ১৮ লাখে নেমে এসেছে। মানুষ বিশেষ করে নারীরা যে ভোটার হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল আমরা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন প্রায় ১০ লাখ লোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, সরকারি চাকরিজীবী, হাজতিদের ভোটের আওতায় আনবো। আমরা এবার এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, আইনে আগেও ছিল। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে পারবো না।

সিইসি বলেন, আমরা একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে এগিয়ে যেতে চাই। একবারে স্বচ্ছভাবে, আয়নার মতো করে নির্বাচন করতে চাই। এর জন্য আপনাদের সহায়তা চাই। আপনাদের পরামর্শ আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা রেগুলার ট্রান্সপারেন্ট ওয়েতে আগাতে চাই। তাই আমাদের সচিব, কমিশনারদের বলা আছে যাতে তারা নিয়মিত ব্রিফিং করেন।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে