টেকনাফে ৬ জন মানবপাচার চক্রের সদস্যদের আটক করেছে বিজিবি। আটকৃতরা হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়ার প্রবাসী আখের আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহার, রোহিঙ্গা হোসনে আরা, নুরুন্নিসা, মোহাম্মদ ইসমাইল, হারুন, ইউসুফ আলী। এ সময় কালু মিয়া ও হাশেম মোল্লাসহ আরও চারজন পালিয়ে যায়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (২ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযানে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়া এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। পরে বিজিবির কঠোর নজরদারি এবং তৎপরতার কারণে মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করতে সম্পূর্ণরূপে ভেস্তে যায়।
তিনি আরও জানান, গোপন সূত্রের খবরে ৪ অক্টোবর সাগর পথে মিয়ানমার থেকে পাচার করে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রেখে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাচারকারী চক্র। এই ভয়ংকর দুরভিসন্ধি আঁচ করতে পেরেই তৎপর হয়ে ওঠে বিজিবি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২ বিজিবির অধিনায়কের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে মানবপাচারবিরোধী একটি সুপরিকল্পিত অভিযান শুরু হয়। বিজিবির আভিযানিক দলটি শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মোছা. শামসুন্নাহারের বাড়িটি ঘেরাও করবার সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের দুজন সন্দেহভাজন বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবির টহল দল দ্রুত বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া একটি ঘর থেকে বাড়ির মালিক মোছা. শামসুন্নাহারসহ মানবপাচারকারী চক্রের ৬ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকদের বরাতে বিজিবির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাড়ির মালিক শামসুন্নাহার টাকার বিনিময়ে পাচার করে আনা এই লোকজনকে সাময়িকভাবে তার বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন। তারা মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে পাচার করে এনে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের এফডিএমএন কার্ড পেতে সাহায্য করারও কাজ করে থাকে।
মানবপাচার চক্রের ধৃত সদস্যদের বর্তমানে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে।’
রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এ জন্যে সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।’
গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসন্ন নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে আমির খসরু বলেন, ‘বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই’
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোয়েন লুইস সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি অফিসগুলোকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক থেকে সরিয়ে আনতে সচিবালয়কে দিয়েই যাত্রা শুরু করা হয়েছে।
নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় সম্পূর্ণরূপে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পানির বোতলসহ একবার ব্যবহার্য অন্যান্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ করা হবে। দেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আইনত নিষিদ্ধ না হলেও, সরকার এটিকে নিরুৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেছে।
এর আগে, সকালে সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর প্রবেশপথে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বাস্তবায়ন কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
এ সময় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ও ফাইল সংগ্রহ করে তাদের কাপড়ের বিকল্পে ব্যাগ সরবরাহ করা হয়।
সচিবালয়ের ভেতরে সচেতনতামূলক পোস্টার, বোর্ড ও স্ট্যান্ডি পরিদর্শনের পাশাপাশি পর্যটন করপোরেশনের ক্যাফেটেরিয়া ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যান্টিনও ঘুরে দেখেন।
এছাড়া সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন রোধে তল্লাশি চালান।
নেত্রকোণায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব নেত্রকোণা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন দুদকের অভিযোগের তদন্তের নামে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে নেত্রকোণা এডিএম সুখময় সরকার ও কেন্দুয়া উপজেলা কর্মকর্তা মো: ইমদাদুল হক ঘটনাস্থলে নিয়ে যান এবং সেখানে তাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক মহিউদ্দিনেরে উপর সন্ত্রাসী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ওরফে হালিম মাস্টারতার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিক মহিউদ্দিন ও তানজিলা শাহ রুরিব বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। এ সময় নেত্রকোণার কেন্দুয়া টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি অনিয়মে জড়িত প্রশাসন ও প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখার পক্ষে সভাপতি শামীম তালুকদার স্বাক্ষরিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ও প্রভাষক সুমন আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ, নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, দেশ কণ্ঠস্বর পত্রিকার সম্পাদক জালাল চৌধুরী, আর টিভির নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি গজনবী বিপ্লব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল আলম, সাংবাদিক আবুল কাশেম আবাদী, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তালুকদার, সাংবাদিক মোনায়েম খান, সাংবাদিক তানজিলা শাহ রুবি ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরেও শুরু হয়েছে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান।
‘মা ইলিশ রক্ষা করি, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলার উদ্যোগে রোববার হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কচা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব স্বন্নামত, পিরোজপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর এস এম মোস্তফা কামাল, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আল-আমিন, পাড়েরহাট নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা মৎস্য অফিসাররা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা প্রমুখ। এ সময় ট্রলারযোগে হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কড়া মহরায় ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে ৭টি উপজেলার বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে। অভিযান তদারকিতে নিয়োজিত আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযানের মূল লক্ষ্য মা ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার সুযোগ নিশ্চিত করা, যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং দেশের ইলিশ সরবরাহ বাড়ে। কচানদীসহ জেলার অন্যান্য নদীতে এরই মধ্যে টানা টহল শুরু হয়েছে।
এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ । পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সব রকম মৎস্য নৌযান কর্তৃক ইলিশসহ সব প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, কঠোর নজরদারি থাকায় এ বছর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান আরও সফল হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় বেসরকারি চ্যানেল এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রামের ব্যুরোপ্রধান হোসাইন আহমেদ জিয়াদ এবং ক্যামেরাপার্সন মো. পারভেজ রহমান আহত হয়েছেন। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. পারভেজ বলেন, জঙ্গল ছলিমপুরের লোহারপুল এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন লোক আমাদের ওপর হামলা করে। তারা অস্ত্র ও গাছের টুকরো দিয়ে আমাদের আঘাত করে। আমাদের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ক্যামেরা ভেঙেছে। পরে আমাদেও জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। আমরা কোনোরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, সলিমপুর থেকে আহত অবস্থায় দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মাথায় আঘাত থাকায় সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সলিমপুরের আলিনগর এলাকায় ইয়াছিন ও রোকন-গফুর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কালু নামে রোকন বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৬ জন।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ এ হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি বলেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদেও উপর এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলা ঘৃণ্য ন্যাক্কারজনক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব বলেন, 'চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে টিসিজেএ নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও এখন টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্টস মো. পারভেজ রহমান এবং চট্টগ্রাম অফিস প্রধান হোসেন জিয়াদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই হামলা ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।'
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ২১ বছর বয়সি যুবক রামেলের। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ এলাকাবাসী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। বাবা-মায়ের আহাজারি যেন থামছেই না। নিহত মো. রামেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারি গ্রামে।
জিনারি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর আহমেদ জানান, কিছুদিন পূর্বে রামেলের বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিলেন পাশ্ববর্তী তেতুলিয়া গ্রামের নাঈমসহ (২২) কয়েক যুবক। এ সময় প্রতিবাদ করেন রামেল ও তার চাচাতো ভাই মো. রিফাত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় বিরোধ। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বেলতৈল স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামেল ও রিফাতের গতিরোধ হামলা চালায় নাঈম, তারেক, সাগর, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন। এক পর্যায়ে রামেলকে করা হয় ছুরিকাঘাত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রামেলকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।
জিনারি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বুলবুল জানান, এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর নিহত রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নাঈমসহ ৭ জনের নামোউল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
রামেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে খুব একটা পড়াশোনা করতে পারেননি রামেল। সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পরিবারে তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিলেন রামেল। শুধুমাত্র মাদকের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামেলের হত্যকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
রামেলের মা যমুনা বেগম জানান, রামেলের স্বপ্ন ছিল কুয়েতে গিয়ে উপার্জন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাবেন। সে অনুযায়ী ঋণ করে ৫ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়া ছিল একটা এজেন্সিতে। আর কদিন পরেই প্রবাসে পাড়ি জমানোর কথা ছিল রামেলের।
মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনহাটি ঢাল এলাকায় বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে দীনবন্ধু বিশ্বাস (৩৩) নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার সকাল দশটার দিকে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের সদরের ভাবনাটি ঢাল এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী এসপি গোল্ডেন লাইনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের চাকা ফেটে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গোল্ডেন পরিবহনে থাকা যাত্রী একই পরিবারের ৫ জনসহ দীনবন্ধু (৩৩),সোহেল (৩৬), মিন্টু (৩৪), আক্কাস (৫০), সিয়াম (২১) আহত হয়। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য